১৯৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দান করে দান ফেরত না নেবার বর্ণনা

১৯৫৫-[২] বুরায়দাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে বসেছিলাম। তখন এক মহিলা তাঁর কাছে উপস্থিত হলো। সে নিবেদন করল, হে আল্লাহর রসূল! আমি মা-কে আমার একটি বাঁদী সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হিসেবে দান করেছিলাম। আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার সাওয়াব তো প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখন মীরাস (আইন) তোমাকে বাঁদিটি ফেরত দিয়েছে। মহিলাটি আবার বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার মায়ের উপর এক মাসের সিয়াম (ফরয) ছিল। আমি কি তা’ তার পক্ষ থেকে আদায় করে দেব? তিনি বলেন, তার পক্ষ থেকে আদায় করবে। মহিলাটি পুনরায় বলল, আমার মা কখনো হাজ্জ (হজ/হজ্জ) পালন করেননি। আমি কি তার পক্ষে হাজ্জ (হজ/হজ্জ) আদায় করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তুমি তার হাজ্জ (হজ/হজ্জ) আদায় করে দাও। (মুসলিম)[1]

بَابُ مَنْ لَا يَعُوْدُ فِي الصَّدَقَةِ

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَت يَا رَسُول الله إِنِّي كنت تَصَدَّقْتُ عَلَى أُمِّي بِجَارِيَةٍ وَإِنَّهَا مَاتَتْ قَالَ: «وَجَبَ أَجَرُكِ وَرَدَّهَا عَلَيْكِ الْمِيرَاثُ» . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ كَانَ عَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ أفأصوم عَنْهَا قَالَ: «صومي عَنْهَا» . قَالَت يَا رَسُول الله إِنَّهَا لَمْ تَحُجَّ قَطُّ أَفَأَحُجُّ عَنْهَا قَالَ: «نعم حجي عَنْهَا» . رَوَاهُ مُسلم

وعن بريدة قال كنت جالسا عند النبي صلى الله عليه وسلم اذ اتته امراة فقالت يا رسول الله اني كنت تصدقت على امي بجارية وانها ماتت قال وجب اجرك وردها عليك الميراث قالت يا رسول الله انه كان عليها صوم شهر افاصوم عنها قال صومي عنها قالت يا رسول الله انها لم تحج قط افاحج عنها قال نعم حجي عنها رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ আল্লামা মুলা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, এখানে নিসবতটি হয়েছে রূপক অর্থে অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা তাকে তোমার নিকট ফিরিয়ে দিবেন মীরাসের মাধ্যমে। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, হাদিসটি থেকে বুঝা যায় যদি কোন ব্যাক্তি কোন সাদাকাহ করে তারপর সে ঐ ব্যাক্তি তাকে ঐ সম্পদের উত্তরাধিকারী বানায় তাহলে সেখান থেকে তার খরচ করা মাকরুহ হবে না।

ইবনু মালিক (রহঃ) বলেন, অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম বলেন, কোন ব্যাক্তি তার নিকট আত্মীয়কে কোন কিছু সাদাকাহ দিলে সে যদি তার ওয়ারিস হয় তাহলে সেটা তার জন্য বৈধ হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেছেন সেটা কোন ফকীরকে দেয়া বাঞ্ছনীয়।

قَالَ: صُوْمِىْ عَنْهَا অর্থাৎ মৃত ব্যক্তি যখন কোন মানতের সিয়াম না রেখে মারা যাবে তাহলে তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে তা আদায় কে দিবে এমনটিই মত দিয়েছেন আসহাবুল হাদীসের অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম।

আল্লামা সিনদী (রহঃ) বলেন, (عَلَيْهَا صَوْمُ) এখানে যেহেতু صوم শব্দটি কোন শর্ত ছাড়াই আছে, সুতরাং যে কোন صوم হতে পারে চাই সেটা ফারয (ফরজ) নাফ্‌ল যাই হোক না কেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)