১৭৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়

১৭৯৭-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে স্থান আকাশের অথবা প্রবাহিত কূপের পানিতে সিক্ত হয় অথবা যা নালার পানিতে তরতাজা হয়, তাতে ’উশর’ (দশভাগের একভাগ) আদায় করতে হবে। আর যে সব ফসল সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত হয় তাতে নিসফে উশর (বিশ ভাগের এক ভাগ) আদায় করতে হবে। (বুখারী)[1]

بَابُ مَا يَجِبُ فِيْهِ الزَّكَاةُ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا الْعُشْرُ. وَمَا سقِِي بالنضح نصف الْعشْر» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن عبد الله بن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال فيما سقت السماء والعيون او كان عثريا العشر وما سقي بالنضح نصف العشر رواه البخاري

ব্যাখ্যা: যে জমিনের ফসল উৎপন্ন হয় বৃষ্টির পানিতে এবং নদীর বা খালের পানিতে অথবা বিনা পানি দেয়াতে, তার মধ্যে এক দশমাংশ ‘উশর ফরয হয় আর পানি ছেঁচে দিলে বিশভাগে একভাগ ‘উশর আদায় করতে হয়। ‘উশর সেই জমিনের ফসলেও দিতে হবে যার কৌস বা খাজনা সরকারকে দিতে হয়। তবে এ সকল ক্ষেত্রে শর্ত উৎপাদিত ফসল, শস্য বা ফল নিসাব পরিমাণ হতে হবে। আর তা হল পাঁচ ওয়াসাক্ব বা প্রায় ১৯ মণ। যদি কোন ফসল বা শস্য বৃষ্টির পানি এবং সেঁচের পানির উভয়টির মাধ্যমে উৎপাদিত হয়, তাহলে যেটির পরিমাণ বেশি হবে তার আলোকে ‘উশর বের করবে। আর যদি উভয়টি সমান হয় অর্থাৎ কোন ফসল উৎপাদনে দুইবার বৃষ্টির পানি এবং দুইবার সেঁচের পানি লাগে তাহলে তাতে আহলে ‘ইলমদের মতানুসারে দশভাগের তিন চতুর্থাংশ ‘উশর লাগবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)