১৭৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়

১৭৯৫-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গোলাম ও ঘোড়ার জন্য মালিক মুসলিমকে যাকাত দিতে হবে না। আর এক বর্ণনায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গোলামের যাকাত দেয়া কোন মুসলিমের জন্য ওয়াজিব নয়। তবে সদাক্বায়ে ফিতর দেয়া ওয়াজিব। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَجِبُ فِيْهِ الزَّكَاةُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِ صَدَقَةٌ فِي عَبْدِهِ وَلَا فِي فَرَسِهِ» . وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: «لَيْسَ فِي عَبْدِهِ صَدَقَةٌ إِلَّا صَدَقَةُ الْفِطْرِ»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس على المسلم صدقة في عبده ولا في فرسه وفي رواية قال ليس في عبده صدقة الا صدقة الفطر

ব্যাখ্যা: এ হাদীস হতে বুঝা যায় যে, মুসলিমদের গোলামে ও ঘোড়াতে যাকাত নেই। তবে গোলামের ওপর যাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়। তবে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে ঘোড়ায় যাকাত ওয়াজিব হয়। যে সব দাস এবং ঘোড়া বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় তাতে কোন যাকাত নেই। তবে যদি তা ব্যবসার উদ্দেশে ক্রয়-বিক্রয় হয় তাহলে তার মূল্যে যাকাত ফরয হবে। এ বিষয়ে ইমাম নাবাবী (রহঃ) পূর্ব-পরের প্রায় সকল ‘উলামাগণের ঐকমত্য বর্ণনা করেছেন। তবে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) ঘোড়ার ক্ষেত্রে যাকাত ওয়াজিবের মত পোষণ করেছেন। আর দাসের ক্ষেত্রে সদাক্বাতুল ফিতর আবশ্যক হবে যার তার পক্ষ থেকে তার মুনিব আদায় করবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)