১৩৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৪১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত

১৩৪৮-[১৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (ইসলামের প্রথম দিকে) দু’ রাক্’আতই সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ফরয ছিল। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করলে মুক্বীমের জন্য চার রাক্’আত সালাত নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। আর সফর অবস্থায় প্রথম থেকেই দু’ রাক্’আত ফরয ছিল। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, আমি ’উরওয়ার নিকট আরয করলাম, ’আয়িশার কি হলো যে, তিনি সফর অবস্থায়ও পুরো চার রাক্’আত সালাত আদায় করেন। (উত্তরে) তিনি বললেন, তিনিও ’উসমান (রাঃ)-এর মতো ব্যাখ্যা করেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفُرِضَتْ أَرْبَعًا وَتُرِكَتْ صَلَاةُ السَّفَرِ عَلَى الْفَرِيضَةِ الْأُولَى. قَالَ الزُّهْرِيُّ: قُلْتُ لِعُرْوَةَ: مَا بَال عَائِشَة تتمّ؟ قَالَ: تأولت كَمَا تَأَول عُثْمَان

وعن عاىشة قالت فرضت الصلاة ركعتين ثم هاجر رسول الله صلى الله عليه وسلم ففرضت اربعا وتركت صلاة السفر على الفريضة الاولى قال الزهري قلت لعروة ما بال عاىشة تتم قال تاولت كما تاول عثمان

ব্যাখ্যা: (فُرِضَتِ الصَّلَاةُ) অর্থাৎ মি‘রাজের রাত্রিতে মক্কায় দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ফরয করা হয়েছে। অপর বর্ণনায় (رَكْعَتَيْنِ، رَكْعَتَيْنِ) এখানে দ্বিবচনে অধিক উপকারিতার জন্য শব্দটি বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ মুক্বীম ও মুসাফিরের জন্য দু’ রাক্‘আত সালাত ফরয করা হয়েছে, তবে আহমাদ (রহঃ) মুসনাদে বৃদ্ধি করেছেন যে, ‘মাগরিব ব্যতীত, কেননা তা তিন রাক্‘আত’। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় হিজরত করলে মুক্বীম অবস্থায় ফাজ্‌র (ফজর) (ও মাগরিব) ব্যতীত সকল সালাত চার রাক্‘আত ফরয করা হলো।

আদ্ দাওলাবী (রহঃ) বলেন যে, মুক্বীম অবস্থায় যুহরের সালাত পূর্ণ আদায়ের বিধান অবতীর্ণ হয়েছে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনায় হিজরাতের পরবর্তী মাসে, অর্থাৎ রবিউস্ সানী মাসের ১৭/১৮ তারিখ মঙ্গলবার। ‘আয়নী (রহঃ) অনুরূপ কথা বলেছেন। সুহায়লী (রহঃ) বলেন যে, হিজরাতের এক বছর পর মুক্বীমের সালাত বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সফরের সালাত প্রথম ফারযিয়্যাতের উপর দু’ রাক্‘আতই অবশিষ্ট রয়েছে, তবে বুখারীর বর্ণনায় (الْفَرِيْضَةِ) শব্দটি নেই। সহীহ মুসলিমে জননী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা যখন সালাত ফরয করেছেন তখন দু’ রাক্‘আত ফরয করেছেন। অতঃপর তা মুক্বীমের ক্ষেত্রে (চার রাক্‘আতে) পূর্ণ করেছেন এবং সফরের সালাত পূর্ব ফারযের (ফরযের/ফরজের) উপরই রেখেছেন, (অর্থাৎ দু’ রাক্‘আত)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)