১৩১৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্‌তের সালাত

১৩১৯-[১১] উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি চাশ্‌তের (চাশতের) আট রাক্’আত করে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তিনি বলতেন, আমার জন্যে যদি আমার মাতা-পিতাকেও জীবিত করে দেয়া হয় তাহলেও আমি এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছাড়ব না। (মালিক)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تُصَلِّي الضُّحَى ثَمَانِي رَكَعَاتٍ ثُمَّ تَقُولُ: «لَوْ نُشِرَ لِي أَبَوَايَ مَا تركتهَا» . رَوَاهُ مَالك

وعن عاىشة انها كانت تصلي الضحى ثماني ركعات ثم تقول لو نشر لي ابواي ما تركتها رواه مالك

ব্যাখ্যা: আল্লামা বাজী (রহঃ) বলেন যে, হতে পারে তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত কোন হাদীসের ভিত্তিতে এরূপ ‘আমল করতেন, যেমন উম্মু হানী (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস। এজন্য তিনি এ সংখ্যার উপরই সালাতুয্ যুহা সংক্ষেপ করতেন এবং এটাও হতে পারে যে, এ সংখ্যার উপর তিনি সর্বদা ‘আমল করেছেন। তিনি বলেন, সালাতুয্ যুহা সংখ্যায় সীমাবদ্ধ সালাতের অন্তর্ভুক্ত নয় যে, তা বৃদ্ধি বা কম করা যাবে না বরং তা উৎসাহমূলক ‘আমল, মানুষ তা সাধ্য অনুযায়ী পালন করবে। আল্লামা যুরক্বানী (রহঃ) বলেন যে, এটা বাজী (রহঃ)-এর নিজ পছন্দ, কিন্তু আমাদের মত হলো তার সর্বোচ্চ সংখ্যক রাক্‘আত হলো ৮, কারণ এটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিক কর্ম দ্বারা প্রমাণিত।

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমার বাবা আবূ বাকর ও মা উম্মু রুমান জীবিত থাকত তবুও আমি তাদের জীবিত থাকার বিনিময়ে সালাতুয্ যুহা পরিত্যাগ করতাম না। এর সমর্থনে মুয়াত্ত্বার অপর বর্ণনায় রয়েছে।

সালাতুয্ যুহার রাক্‘আতগুলো পরিত্যাগ করতাম না কারণ এর স্বাদ তাদের জীবিত থাকার স্বাদের তুলনায় অধিক।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)