১৩০৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)

১৩০৬-[১২] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা শা’বান মাসের পনের তারিখ রাত্রে দুনিয়াবাসীর প্রতি ফিরেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া তাঁর সৃষ্টির সকলের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। (ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن ابي موسى الاشعري عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله تعالى ليطلع في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه الا لمشرك او مشاحن رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীস এ মর্মে প্রমাণ বহন করে যে, অর্ধ শা‘বানের রাত্রিটি একটি সম্মানিত রাত, নিশ্চয় এ রাতটি অন্যান্য রাতের মতো নয়। সুতরাং তা থেকে উদাসীন থাকা উচিত নয়। বরং ‘ইবাদাত, দু‘আ ও যিকিরের (জিকিরের) মাধ্যমে উক্ত রাতে জাগ্রত থাকা মুস্তাহাব। কিন্তু এ রাত্রির সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা, পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কিংবা সকল ফরয ‘ইবাদাত বর্জন করে এবং অন্যান্য ওয়াজিবগুলোর কোন গুরুত্ব না দিয়ে (যেমন বর্তমান সময়ে সকল মুসলিমদের যে অবস্থা) শুধু নির্দিষ্ট করে এ রাত্রি জাগ্রত থাকা নিঃসন্দেহে তা একটি ঘৃণিত কাজ। ফরয ছেড়ে মুস্তাহাব নিয়ে ব্যস্ত থাকা কখনো দীন হতে পারে না। অনুরূপভাবে সকল সুন্নাতকে ছেড়ে দিয়ে এ রাত্রিতে কবর যিয়ারাতের গুরুত্ব প্রদান করা কোন সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। এ রাত্রিকে উপলক্ষ করে দরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন রকমের খাবার বিতরণ করার ব্যাপারে মারফূ‘, মাওকূফ, সহীহ কিংবা য‘ঈফ কোন হাদীস বর্ণিত হয়নি এবং এ রাত্রিতে মৃত ব্যক্তির আত্মার উপস্থিতি বিশ্বাস করা ঘর-বাড়ী পরিচ্ছন্ন করা, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতি জ্বালানো ইত্যাদি এসবগুলোই নিঃসন্দেহে বিদ্‘আত ও গোমরাহী।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)