১২৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)

১২৯৭-[৩] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কোন লোক যখন নিজের ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মসজিদে আদায় করে, সে যেন তার সালাতের কিছু অংশ বাড়ীতে আদায়ের জন্য জন্য রেখে দেয়। কেননা, আল্লাহ তা’আলা তার সালাতের দ্বারা ঘরের মাঝে কল্যাণ সৃষ্টি করে দেন।’’ (মুসলিম)[1]

بَابُ قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَضَى أَحَدُكُمُ الصَّلَاةَ فِي مَسْجده فليجعل لبيته نَصِيبا من صلَاته فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ فِي بَيْتِهِ مِنْ صِلَاتِهِ خيرا» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا قضى احدكم الصلاة في مسجده فليجعل لبيته نصيبا من صلاته فان الله جاعل في بيته من صلاته خيرا رواه مسلم

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত সালাত দ্বারা মুত্বলাক্ব (সকল সালাত) সালাত উদ্দেশ্য হতে পারে। ‘আল্লামা সিনদী (রহঃ) বলেনঃ এখানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দ্বারা ফরয ও নফল সালাতের যেগুলো মসজিদে আদায় করার ইচ্ছা করবে এ সমস্ত সালাত উদ্দেশ্য হতে পারে। এর অর্থ হলো যখন ঐ সালাতগুলো মসজিদে আদায় কিংবা ক্বাযা করার ইচ্ছা করবে তখন সে যেন সালাতের কিছু অংশ বাড়ীতে আদায় করে। অর্থাৎ যখন মসজিদে ফরয সালাত আদায় করবে তখন সুন্নাত ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সালাতগুলো বাড়িতে আদায় করবে। আর বাড়িতে সালাত আদায়ে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এ ব্যাপারে আলক্বারী (রহঃ) বলেন যে, নফল সালাতের কারণে বাড়ীতে যে কল্যাণ নিহিত থাকে তা হলো আল্লাহর যিকিরে তার আনুগত্য, মালায়িকাহ্-এর (ফেরেশতাদের) উপস্থিতি, তাদের ক্ষমা প্রার্থনা ও দু‘আর মাধ্যমে কল্যাণ সুদৃঢ় হবে এবং তার পরিবার পরিজনদের জন্য সাওয়ার ও বারাকাত হাসিল হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)