১১২৮

পরিচ্ছেদঃ ২৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা

১১২৮-[১২] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তিন ব্যক্তি এমন আছেন যাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মাথার উপরে এক বিঘত পরিমাণও উঠে না। এক ব্যক্তি যে জাতির ইমাম, অথচ জাতি তাকে অপছন্দ করে। দ্বিতীয় মহিলা, যে এ অবস্থায় রাত অতিবাহিত করে যে তার স্বামী তার ওপর অসন্তুষ্ট। তৃতীয় দু’ ভাই, যাদের পরস্পরের ওপর পরস্পর অসন্তুষ্ট। (ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثَةٌ لَا تُرْفَعُ لَهُم صلَاتهم فَوق رؤوسهم شِبْرًا: رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَأَخَوَانِ مُتَصَارِمَانِ . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثة لا ترفع لهم صلاتهم فوق رووسهم شبرا رجل ام قوما وهم له كارهون وامراة باتت وزوجها عليها ساخط واخوان متصارمان رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: হাদীস থেকে বুঝা যায়, ইমাম হতে হবে সর্বজনপ্রিয়, পরহেযগার। যার ওপরে সবার ভক্তি শ্রদ্ধাবোধ থাকে। স্ত্রী হতে হবে-স্বামীর প্রতি অনুরাগী ও তাবেদারিণী। স্বামীর সব হক আদায়ের প্রতি যত্নবান হবে। স্বামীও তার স্ত্রীর সব বিষয় লক্ষ্য রাখবে। একজন মুসলিম অপর মুসলিম ভাই থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা সর্বোচ্চ তিনদিন বৈধ। তিনদিনের বেশি হারাম। হাদীসে ভাই বলতে বংশগত ও দীনের দিক থেকে উভয় ধরনের ভাই উদ্দেশ্য। যেমন অপর হাদীসে এসেছে, কোন মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করে কথাবার্তা বন্ধ করে রাখা বৈধ না। দু’ভাই কলহ ঝগড়া করে পরস্পর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে থাকবে না। কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখতে পারবে না, তিনদিন পর্যন্ত শার‘ঈ কারণ ছাড়া পারস্পরিক কথাবার্তা বন্ধ রাখা হারাম। এমন করা ঠিক না। করলে এদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কবূল হবে না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)