১১০৫

পরিচ্ছেদঃ ২৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের কাতার সোজা করা

১১০৫-[২১] ওয়াবিসাহ্ ইবনু মা’বাদ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে কাতারের পেছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখলেন। তিনি ওই লোককে আবার সালাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ; তিরমিযী বলেন- এ হাদীসটি হাসান)[1]

وَعَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ قَالَ: رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا يُصَلِّي خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ

وعن وابصة بن معبد قال راى رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلا يصلي خلف الصف وحده فامره ان يعيد الصلاة رواه احمد والترمذي وابو داود وقال الترمذي هذا حديث حسن

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে দলীল পাওয়া যাচ্ছে কাতারের পেছনে একাকী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলে সালাত বিশুদ্ধ হবে না। যে ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাই সালাত আদায় করবে তার ওপর আবশ্যক সালাত দোহরানো। এ মত পোষণ করেছেন, ইবরাহীম নাখ্‘ঈ, হাসান বিন সালিহ, আহমাদ, ইসহাক অধিকাংশ আহলে যাহির ও ইবনুল মুনযির। এ ব্যাপারে কুফাবাসীদের একটি সম্প্রদায়ও উক্তি করেছেন।

তাদের মাঝে আছে হাম্মাদ বিন আবূ সুলায়মান, ‘আবদুর রহমান বিন আবূ লায়লা এবং অকী। ইবনু হাযম বলেন, এ ব্যাপারে আওযা‘ঈ ও হাসান বিন হাই কথা বলেন, এবং এটি সুফ্ইয়ান সাওরীর দু’মতের এক মত। ‘আবদুল্লাহ বিন আহমাদ মুসনাদ এর চতুর্থ খন্ডে দু’শত আটাশ পৃষ্ঠাতে ওয়াবিসাহ্ এর হাদীসের পর একটি হাদীস নকল করে বলেন, আমার পিতা এ হাদীসের মতটি পেশ করতেন। এ মতের দিকে গিয়েছেন ইমাম দারাকুত্বনীও; অতঃপর তিনি তার সুনান গ্রন্থে ওয়াবিসার হাদীসের পর বলেন, আবূ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেন, আমি এ মত পোষণ করি।

ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ ও আবূ হানীফাহ্ বলেন, যে কাতারের পেছনে একাকী সালাত আদায় করবে তার সালাত বিশুদ্ধ কিন্তু সে গুনাহগার হবে। তবে প্রথম উক্তিটিই সত্য। তার, উপর প্রমাণ করে ওয়াবিসার হাদীস আর তা বিশুদ্ধ হাদীস। ‘আলী ইবনু শায়বান-এর হাদীসও এর উপর প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাতারের পেছনে এক লোককে একাকী সালাত আদায় করতে দেখে থেমে গেলেন এমনকি লোকটি সালাত থেকে সালাম ফিরাল তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার সালাত দোহরাও কারণ কাতারের পেছনে একাকী কোন ব্যক্তির সালাত নেই। ইমাম আহমাদ মুসনাদে চতুর্থ খন্ডে ২৩ পৃষ্ঠাতে সংকলন করেছেন। ইবনু মাজাহ, ইবনু হাযম মুহাল্লার ৪র্থ খন্ডে ৫৩ পৃষ্ঠাতে। ইমাম বায়হাক্বী তাঁর কিতাবের ৩য় খন্ডে ১০৫ পৃষ্ঠাতে। এভাবে আরও কতকে উল্লেখ করেছেন হাদীস সহীহ।

পরিশেষে বলা যেতে পারে ওজর-আপত্তির কারণে কেউ কাতারের পেছনে একাকী সালাত আদায় করলে তার সালাত বিশুদ্ধ হবে অন্যথায় বাতিল হয়ে যাবে। এ উক্তিটি করেছেন হাসান বসরী, হানাফীদের এক উক্তি, শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়্যাহ্ ও তার ছাত্র ইবনুল ক্বইয়্যিম এ মতটিকে পছন্দ করেছেন। ‘আল্লামা ইবনু উসায়মীন এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)