৯৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

৯৯৯-[২২] ’আদী ইবনু সাবিত (রাঃ) তার পিতার সূত্রে তার দাদা থেকে এ হাদীসটিকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মারফূ’রূপে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের মাঝে হাঁচি আসা, তন্দ্রা আসা, হাই তোলা, মাসিক হওয়া, বমি হওয়া, নাক দিয়ে রক্ত নির্গত হওয়া শায়ত্বন (শয়তান) কর্তৃক আয়োজিত হয়। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَفَعَهُ قَالَ: «الْعُطَاسُ وَالنُّعَاسُ وَالتَّثَاؤُبُ فِي الصَّلَاةِ وَالْحَيْضُ وَالْقَيْءُ وَالرُّعَافُ مِنَ الشَّيْطَانِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن عدي بن ثابت عن ابيه عن جده رفعه قال العطاس والنعاس والتثاوب في الصلاة والحيض والقيء والرعاف من الشيطان رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ সালাতে হাঁচি, তন্দ্রা ও হাই তোলা- এই তিনটি উল্লেখ করার পরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শব্দ উল্লেখ করে পুনরায় হায়ায, বমি ও নাক্‌সীর উল্লেখ করার কারণ এই যে, প্রথম তিনটি দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ভঙ্গ হয় না। পক্ষান্তরে শেষে উল্লেখিত তিনটি অবস্থায় সালাত ভঙ্গ হয়ে যায়। আর এ কাজগুলোকে শায়ত্বনের (শয়তানের) দিকে সম্পর্কিত করার করণ এই যে, শায়ত্বন (শয়তান) এগুলো পছন্দ করে। যাতে এর মাধ্যমে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীর মন অন্যদিকে নিবিষ্ট করা যায় এবং সালাতের বিঘ্ন ঘটে। মুল্লা ‘আলী আলী ক্বারী বলেনঃ অত্র হাদীস এবং আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন। এ হাদীসদ্বয়ের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। আল্লাহ হাঁচি পছন্দ করেন তা যদি সালাতের বাইরে হয়। আর তা যদি সালাতের মধ্যে হয় তবে তা অপছন্দনীয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)