৮৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘

৮৮৫-[১৮] আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চুরি হিসেবে সবচেয়ে বড় চোর হলো ঐ ব্যক্তি যে সালাতে (আরকানের) চুরি করলো। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! সালাতের চুরি কিভাবে হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সালাতের চুরি হলো রুকূ’-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণ না করা। (আহমাদ)[1]

وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسْوَأُ النَّاسِ سَرِقَةً الَّذِي يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ؟ قَالَ: لَا يتم ركوعها وَلَا سجودها . رَوَاهُ أَحْمد

وعن ابي قتادة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اسوا الناس سرقة الذي يسرق من صلاته قالوا يا رسول الله وكيف يسرق من صلاته قال لا يتم ركوعها ولا سجودها رواه احمد

ব্যাখ্যা: রাগিব বলেন, চুরি হলো নিজ অধিকারভুক্ত নয় এমন কোন কিছু গোপনে গ্রহণ করা, বিশেষ করে শারী‘আতে চুরি বলা হয় নির্ধারিত স্থান ও পরিমাণ কোন কিছু গ্রহণ করা যা নিজ অধিকারভুক্ত নয়।

সালাতে কিভাবে চুরি হয়? সালাতের চুরি রুকূ‘ ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণভাবে না করা অথবা রুকূ‘ সাজদায় পিঠকে সোজা না করা। সালাতে চুরি করাটা বড় ধরনের বা জঘন্যতম চুরি।

সালাতের চুরির মাধ্যমে সে নিজকে প্রতিদান থেকে বঞ্চিত করলো এবং এর পরিবর্তে শাস্তি বেছে নিলো। ফলে সে ক্ষতি এবং শাস্তিরই যোগ্য হলো।

এ হাদীসটিতে রুকূ' ও সাজদায় ধীরস্থিরতা ফরয হিসেবে সাব্যস্ত হলো। আর ঠিকভাবে রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) না করাতে নিজকে নিকৃষ্ট চোরের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রমাণিত হলো।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)