৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘

৮৮৪-[১৭] শাক্বীক্ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযায়ফাহ্ (রাঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে তার রুকূ’-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণ করছে না। সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করলে তিনি তাকে ডেকে বললেন, তুমি সালাত আদায় করনি। শাক্বীক্ব বলেন, আমার মনে হয় হুযায়ফাহ্ এ কথাও বলেছেন, যদি তুমি এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর, তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যে প্রকৃতির উপর আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি করেছেন, তুমি তার বাইরে মৃত্যুবরণ করবে। (বুখারী)[1]

وَعَن شَقِيق قَالَ: إِنَّ حُذَيْفَةَ رَأَى رَجُلًا لَا يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلَا سُجُودَهُ فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: مَا صَلَّيْتَ. قَالَ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ: وَلَوْ مِتَّ مِتَّ عَلَى غَيْرِ الْفِطْرَةِ الَّتِي فطر الله مُحَمَّدًا صلى الله عَلَيْهِ وَسلم. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن شقيق قال ان حذيفة راى رجلا لا يتم ركوعه ولا سجوده فلما قضى صلاته دعاه فقال له حذيفة ما صليت قال واحسبه قال ولو مت مت على غير الفطرة التي فطر الله محمدا صلى الله عليه وسلم رواه البخاري

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে লোকটির নাম উল্লেখ হয়নি, তবে ইবনু খুযায়মাহ্ ও ইবনু হিব্বানে আছে লোকটির নাম ‘‘কিনদী’’।

হাদীসটির অন্যতম শিক্ষা হলো রুকূ'-সাজদায় ধীরস্থিরতা ও প্রশান্তচিত্ততা অত্যাবশ্যক। আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ে কোন ত্রুটি করলে তা’ বাতিল হয়ে যায়। কেননা হাদীসে হুযায়ফাহ্ (রাঃ)-এর মন্তব্য যে সালাতের রুকন আদায়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি করে সে যেন ইসলামকে অস্বীকার করলো। এ মন্তব্য থেকে আরো একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে, যে সালাত আদায় করে না সে কাফির। কারণ সালাতের রুকন ঠিকভাবে আদায় না হওয়াতেই যদি ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে তার চেয়ে আরও বড় অপরাধ সালাত আদায় না করা। সুতরাং এখানে কাফিরও বলাটা আরও সহজ। এ কথার উপর ভিত্তি করে ফিত্বরাত অর্থ হলো দীন আর কুফর শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যে সালাত আদায় করে না তাকে বুঝাতে। যেমন সহীহ মুসলিমে এ বিষয়ে হাদীস এসেছে। কারও নিকট এটি (সালাত পরিত্যাগ করা) সুস্পষ্ট কুফর।

ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, فِطْرَةِ (ফিত্বরাত) উদ্দেশ্য দীন। দীন ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে না বলে তাকে শাসানো হয়েছে তার এ খাবার কাজের জন্য (রুকূ'-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পরিপূর্ণ আদায় না করা) তাতে করে ভবিষ্যতে সালাতে এর পুনরাবৃত্তি না করে। এটা দ্বারা দীন ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া উদ্দেশ্য নয়।

فِطْرَةِ (ফিত্বরাত) দ্বারা কখনো উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সুন্নাত। যেমন হাদীসে আসছেঃ (خَمْسُ مِّنَ الْفِطْرَةِ السِّوَاكْ) পাঁচটি বিষয় সুন্নাত মিসওয়াক করা ইত্যাদি হাদীস, আর এটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন ইবনু হাজার আল আসক্বালানী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)