৮৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘

রুকূ’ সালাতের অন্যতম রুকন যা কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মাতের ইজমা থেকে প্রমাণিত। রুকূ’র শাব্দিক অর্থ اِلْاِنْحِنَاءُ তথা মাথা ঝুকানো/নত করা এবং এর দ্বারা উদ্দেশ্য বিনয়ী হওয়া। বলা হয় কোন কোন তাফসীরকারকের মতে এ উম্মাতের জন্য ৩টি একটি (রুকূ’) বিশেষ বৈশিষ্ট্য। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ ’’তোমরা রুকূ’কারীদের সাথে রুকূ’ কর’’, আর এ বিষয়টি এজন্য যে, ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের সালাতে রুকূ’ নেই এবং রুকূ’ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার উম্মাতের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আর রুকূ’ দ্বারা উদ্দেশ্য ’’সালাত’’। যেমন আল্লাহ বলেন, وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ ’’(হে মারইয়াম (আঃ)!) তুমি মুসল্লীদের সাথে সালাত আদায় কর’’- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২: ৪৩)।
প্রতি রাক্’আতে রুকূ’ হওয়ার হিকমাত হলো রুকূ’ই হচ্ছে সাজদার জন্য ভূমিকা স্বরূপ যা সর্বোচ্চ বিনয়। আর সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দু’বার হওয়ার উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। আবার অনেকে অন্য কথাও বলেছেন, তবে এ কথা সুস্পষ্ট এটি একটি ’ইবাদাত।


৮৬৮-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রুকূ’ ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ঠিকভাবে আদায় করবে। আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয়ই তোমাদেরকে আমার পিছন দিক হতেও দেখি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الرُّكُوْعِ

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقِيمُوا الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاكُمْ من بعدِي»

عن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقيموا الركوع والسجود فوالله اني لاراكم من بعدي

ব্যাখ্যা: হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও নাসায়ী সংকলন করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার আল আসক্বালানী (রহঃ) ফাতহুল বারীতে বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দেখাটা বাস্তবিক এবং সুস্পষ্ট, আর এ বিষয়টি তাঁর সাথেই সংশ্লিষ্ট এবং তাঁর শানেই প্রযোজ্য। আর এটা ইমাম বুখারীর অভিমত। তিনি এ হাদীসটি চয়ন করেছেন في علامات النبوة ‘‘নুবূওয়্যাতের নিদর্শনের উপর’’। অনুরূপ ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য ইমামের অভিমত। এটা রসূলের মর্যাদার সাথেই প্রযোজ্য।

হাদীসের শিক্ষাঃ

* রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মু‘জিযা যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পিছন দিক হতে দেখতেন।

* সালাতের প্রতি যত্নশীল ও সংরক্ষণকারী হওয়া এবং তা‘দীল আরকান ও বিনয় নম্রতার সাথে আদায় করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণ।

* ইমাম সাহেব সালাত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুক্তাদীদেরকে সতর্ক করবেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)