৪৬০

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা

৪৬০-[১০] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানা হতে বেরিয়ে (উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করার আগে) আমাদেরকে কুরআন মাজীদ পড়াতেন এবং আমাদের সাথে মাংস (মাংস/মাংস/গোসত) খেতেন। নাপাকী ব্যতীত কোন কিছু তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত হতে ফিরিয়ে রাখতে পারতো না। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1] ইবনু মাজাহ অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

وَعَن عَليّ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ مِنَ الْخَلَاءِ فَيُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ وَيَأْكُلُ مَعَنَا اللَّحْم وَلم يكن يَحْجُبْهُ أَوْ يَحْجُزْهُ عَنِ الْقُرْآنِ شَيْءٌ لَيْسَ الْجَنَابَةَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ نَحوه

وعن علي قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يخرج من الخلاء فيقرىنا القران وياكل معنا اللحم ولم يكن يحجبه او يحجزه عن القران شيء ليس الجنابة رواه ابو داود والنساىي وروى ابن ماجه نحوه

ব্যাখ্যা: উল্লিখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, জুনুবী তথা অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। তবে তাদের দলীল গ্রহণের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, উল্লিখিত হাদীস দ্বারা শুধুমাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কর্ম বুঝা যায়, যার উদ্দেশ্য হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত বর্জন করেছেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো, শুধুমাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কর্ম দ্বারা নিষিদ্ধ এবং হারাম হওয়ার দলীল গ্রহণ করা কিভাবে সম্ভব হতে পারে?

এ হাদীসের সমর্থনে ‘আলী  (রাঃ)-এর হাদীস দ্বারা অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ হতে পারে। ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে দেখলাম। অতঃপর তিনি কুরআনের কিছু অংশ তিলাওয়াত করলেন এবং বললেন, যে ব্যক্তি অপবিত্র নয় তার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য। অপবিত্র ব্যক্তির জন্য এক আয়াত পড়াও সমুচিত নয়।

প্রমাণিত হলো যে, অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ তবে পেশাব বা পায়খানা থেকে ফেরার পর উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ছাড়াই কুরআন তিলাওয়াত বৈধ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)