৩৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে

৩৯০-[১৫] আবূ সালামাহ্ (রহঃ) যায়দ ইবনু খালিদ আল জুহানী (রাঃ)হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আমি যদি উম্মাতকে কষ্টে ফেলার আশংকা না করতাম তাহলে অবশ্যই তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে হুকুম (ফরয) করতাম এবং ’ইশার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) রাতের এক-তৃতীয়াংশে পিছিয়ে দিতাম। তিনি [আবূ সালামাহ্ (রাঃ)] বলেন, (আমি দেখেছি) যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ)সালাতে উপস্থিত হতেন। তার মিসওয়াক স্বীয় কানে আটকানো থাকত, যেখানে লেখকের কলম থাকে ঠিক তদ্রূপ। যখনই তিনি সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখনই মিসওয়াক করতেন। তারপর তা আবার সেখানে (কানে) রেখে দিতেন। (তিরমিযী)

আবূ দাঊদ ’ইশার সালাত পিছিয়ে দিতাম’ বাক্য ছাড়া বাকীটুকু বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَلَأَخَّرْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ» قَالَ فَكَانَ زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ يَشْهَدُ الصَّلَوَاتِ فِي الْمَسْجِدِ وَسِوَاكُهُ عَلَى أُذُنِهِ مَوْضِعَ الْقَلَمِ مِنْ أُذُنِ الْكَاتِبِ لَا يَقُومُ إِلَى الصَّلَاةِ إِلَّا اسْتَنَّ ثُمَّ رَدَّهُ إِلَى مَوْضِعِهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ: «وَلَأَخَّرْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ» . وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حسن صَحِيح

وعن ابي سلمة عن زيد بن خالد الجهني قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لولا ان اشق على امتي لامرتهم بالسواك عند كل صلاة ولاخرت صلاة العشاء الى ثلث الليل قال فكان زيد بن خالد يشهد الصلوات في المسجد وسواكه على اذنه موضع القلم من اذن الكاتب لا يقوم الى الصلاة الا استن ثم رده الى موضعه رواه الترمذي وابو داود الا انه لم يذكر ولاخرت صلاة العشاء الى ثلث الليل وقال الترمذي هذا حديث حسن صحيح

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি সালাতুল ‘ইশা আবশ্যকীয়ভাবে বিলম্বে পড়তে নির্দেশ দিতাম। বর্ণনাকারী (আবূ সালামাহ্) বলেনঃ যায়দ ইবনু খালিদ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) জামা‘আতের সাথে আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হতেন এবং তার মিসওয়াকটি সর্বদা কানে গুঁজে রাখতেন।

(لَا يَقُومُ إِلَى الصَّلَاةِ اِلَّا أُسْتَنَّ) বাহ্যিক হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সালাতের জন্য মিসওয়াক করতেন।

মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেনঃ উক্ত হাদীস দ্বারা উপযুক্ত দলীল সাব্যস্ত হয় না। কেননা যায়দ ইবনু খালিদ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, অন্য কেউ (হাদীসটি) বর্ণনা করেননি।

শায়খ ‘উবায়দুল্লাহ রহমান মুবারকপূরী (রহঃ) বলেনঃ আমি বলছি, উক্ত হাদীস যায়দ ইবনু খালিদ একাকীভাবে বর্ণনা করেননি বরং এ সম্পর্কিত হাদীস আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের মিসওয়াকগুলো তাদের কানের উপর থাকতো। প্রত্যেক সালাতের সময় তারা মিসওয়াক করে নিতেন।

এছাড়াও সাহাবী ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) এবং অন্যান্য সাহাবীগণের থেকে বর্ণিত আছে তারা বিকাল বেলা ঘুরাফেরা করতেন আর তাদের মিসওয়াকগুলো তাদের কানেই রাখতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)