৩৭৪

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব

৩৭৪-[৪১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানা হতে বের হতেন, এ দু’আ পড়তেনঃ ’’আলহাম্‌দু লিল্লা-হিল্লাযী আযহাবা ’আন্নিল আযা- ওয়া’আ-ফানী’’- [অর্থাৎ- সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার, যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করেছেন ও আমাকে নিরাপদ করেছেন]। (ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي» . رَوَاهُ أبن مَاجَه

وعن انس قال كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا خرج من الخلاء قال الحمد لله الذي اذهب عني الاذى وعافاني رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: قوله (إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلَاءِ) অর্থাৎ যখন তিনি প্রাচীরবেষ্টিত টয়লেট হতে বের হতেন বা জনমানবহীন ফাঁকা স্থানে প্রয়োজন পূরণ করার পর চলে যেতেন তখন তিনি এ দু‘আ পাঠ করতেন। কারণ সাধারণত সর্বক্ষেত্রেই এ দু‘আ পাঠ করা সুন্নাত। দু‘আটি হলো (الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّىْ الْأَذى وَعَافَانِىْ) ‘‘সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমার কষ্ট দূর করেছেন এবং মল পেটে আবদ্ধ হওয়া বা তার সাথে নাড়ি-ভুড়ি বের হওয়ার বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন’’। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রশংসা থেকে বুঝা যায় যে পায়খানা-প্রস্রাব মানব জাতির প্রতি আল্লাহ তা‘আলার বিরাট ও শ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ। কারণ পেটে মল, প্রস্রাব আবদ্ধ থাকাটা মৃত্যু বা ধ্বংসের একটি অন্যতম কারণ। আর তা বের হওয়া আল্লাহ তা‘আলার বিশাল অনুগ্রহ যা ব্যতীত কেউ পূর্ণ সুস্থ থাকতে পারবে না। অতএব, যারা ক্ষুধা নিবারণকল্পে সুস্থ থাকার জন্য হালাল খাবার গ্রহণ করে, অতঃপর খাবারের পুষ্টি গ্রহণ করে যখন অনুপকারী দুর্গন্ধযুক্ত মলগুলো পিছনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যায় তখন তাদের সকলের দায়িত্ব হলো বেশি বেশি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)