৩২২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়

৩২২-[২৩] নাসায়ী (রহঃ) বুসরাহ্ (রাঃ)থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি ’’হাত ও পুরুষাঙ্গের মধ্যে কোন আবরণ নেই’’- এ শব্দগুলো বর্ণনা করেননি।[1]

وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ بُسْرَةَ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يذكر: «لَيْسَ بَينه بَينهَا شَيْء»

ورواه النساىي عن بسرة الا انه لم يذكر ليس بينه بينها شيء

ব্যাখ্যা: ইমাম নাসায়ী হাদীসটি বুসরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ- বুসরাহ্ ত্বলক্ব-এর পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বিষয়টি এর সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ বুসরাহ্ আগেই ইসলাম গ্রহণ করে হিজরত করেছেন। যেমনটি হাযিমীসহ অন্যরা বলেছেন। আর যদি এটি মেনে নেয়া হয় তাহলে তা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণের মতো ত্বলক্ব বিন ‘আলী (রাঃ) এর হাদীস মানসূখ করার উপর দলীল হয় না। ইমাম শাওকানী তাঁর ‘‘নায়লুল আওত্বার’’ গ্রন্থে বলেছেন, বুসরাহ্ (রাঃ) ত্বলক্ব (রাঃ)-এর পরবর্তী মুসলিম হওয়ার দ্বারা ত্বলক্ব-এর হাদীস মানসূখ হওয়ার দাবী শক্তিশালী হলেও উসূলবিদ বিশ্লেষকদের নিকট তা মানসূখের দলীল নন।

আর ইবনু হাযম-এর المخلى গ্রন্থে বলেছেন, ত্বলক্ব-এর হাদীসটি সহীহ। তবে এতে তাদের পক্ষে কোন দলীল নেই। আর তা কয়েকটি কারণে যথা- প্রথমত এ হাদীসটি লজ্জাস্থান স্পর্শ দ্বারা উযূর নির্দেশ আসার পূর্বে মানুষেরা যে বিধানে ছিল তার উপযোগী। আর এ বিষয়টিতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। যখন হাদীসটির অবস্থা এরূপ তখন লজ্জাস্থান স্পর্শ দ্বারা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশের সাথে সাথে হুকুমটি নিশ্চিতভাবেই মানসূখ হয়ে গেছে। আর যার মানসূখ হওযা সুনিশ্চিত তা গ্রহণ করে নাসেককে পরিত্যাগ করা আদৌ ঠিক নয়।

ভাষ্যকার বলেনঃ আমাদের নিকট ত্বলক্ব-এর হাদীসের উপর বুসরাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসকে প্রাধান্য দেয়ার মতটি মানসূখ বা য‘ঈফ বলার চেয়ে উত্তম।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة)