পরিচ্ছেদঃ
২০২। নবীগণকে তাঁদের কবরে চল্লিশ রজনীর পর অবশিষ্ট রাখা হয় না, তবে তাঁরা আল্লাহর সম্মুখে শিঙ্গায় ফুঁক না দেয়া পর্যন্ত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে থাকবেন।
হাদীসটি জাল।
এটিকে বাইহাকী “কিতাবু হায়াতিল আম্বিয়া” গ্রন্থে (পৃঃ ৪) উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি জাল। কারণ এর বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু আলী আল-হাসনবী মিথ্যার দোষে দোষী। তিনি হাকিমের শাইখ, হাকিম নিজে তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ তার হাদীস দলীল হিসাবে গ্রহণীয় নয়। আল-খাতীব বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন না। তার সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ জুরজানী আল-কুশশী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। তার সম্পর্কে আবুল আব্বাস আল-আসামও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন।
সনদের আরেক বর্ণনাকারী আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাসকে চিনি না। তার শাইখ ইসমাঈল ইবনু তালহা ইবনু ইয়াযীদের জীবনী পাচ্ছি না। এছাড়া মুহাম্মাদ ইবনু আবী লায়লা দুর্বল। তার স্মরণশক্তি ছিল ক্রটিপূর্ণ। তিনি এ ব্যাপারে প্রসিদ্ধ। সুয়ূতী হাদীসটি “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/২৮৫) পুর্বের হাদীসটির শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু দু দিক দিয়ে তা সঠিক নয়ঃ
১। এটি বানোয়াট, এ ব্যাপারে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
২। এ হাদীসটিকে যার জন্য শাহেদ হিসাবে বলা হচ্ছে এটি তার বিরোধী। কারণ এ হাদীসে বলা হচ্ছে চল্লিশ দিন পরে নবীগণকে তাদের কবরে অবশিষ্ট রাখা হবে না (যদিও এটি জাল) এবং পূর্বেরটিতে বলা হয়েছে তাঁর আত্মাকে কবরের মধ্যে তার নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে! এটি কোথায় আর সেটি কোথায়? একটি অপরটির বিরোধী। এছাড়া এ হাদীসটি সহীহ হাদীস বিরোধী যা এটির জাল হওয়ার প্রমাণ বহন করছে।
إن الأنبياء لا يتركون في قبورهم بعد أربعين ليلة، ولكنهم يصلون بين يدي الله حتى ينفخ في الصور
موضوع
-
أخرجه البيهقي في " كتاب حياة الأنبياء " (ص 4) قال: أنبأنا أبو عبد الله الحافظ، حدثنا أحمد بن علي الحسنوي إملاء، حدثنا أبو عبد الله بن محمد العباسي الحمصي، حدثنا أبو الربيع الزهراني، حدثنا إسماعيل بن طلحة بن يزيد عن محمد بن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن ثابت عن أنس مرفوعا، وقال البيهقي: وهذا إن صح بهذا اللفظ فالمراد به - والله أعلم - لا يتركون يصلون هذا المقدار ثم يكونون مصلين فيما بين يدي الله عز وجل
قلت: وهذا إسناد موضوع، الحسنوي هذا متهم، وهو شيخ الحاكم وقد ضعفه هو فقال: هو في الجملة غير محتج بحديثه
وقال الخطيب: لم يكن بثقة، وقال فيه محمد بن يوسف الجرجاني الكشي: هو كذاب ونحوه عن أبي العباس الأصم
ومحمد بن العباس هذا لم أعرفه ويراجع له " تاريخ دمشق " لابن عساكر، وكذا شيخه إسماعيل بن طلحة بن يزيد لم أجد له ترجمة، وابن أبي ليلى ضعيف سيء الحفظ معروف بذلك
والحديث أورده السيوطي في " اللآليء " (1 / 285) شاهدا للذي قبله كما سبق، ولا يصلح لذلك من وجهين: الأول: أنه موضوع لما تقدم بيانه آنفا، وهو سكت عليه فأساء! وليته على الأقل نقل كلام البيهقي الذي سبق في تضعيفه! وأسوأ منه أنه ذكره في الجامع
الآخر: أنه مخالف للمشهو د له، فإنه صريح في أن الأنبياء لا يتركون في قبورهم بعد أربعين، وذلك - وهو موضوع أيضا - يقول بأن الروح تعود إليه وهو في قبره فأين هذا من ذاك؟
ثم إن الحديث يعارض حديثا صحيحا سبق ذكره في الحديث الذي قبله، فدل ذلك على وضعه أيضا
ويعارضه أيضا قوله صلى الله عليه وسلم: الأنبياء أحياء في قبورهم يصلون
وهو حديث صحيح كما تبين لي بعد أن وقفت على متابع له قال البيهقي: إنه تفرد به فكتبت بحثا حققت فيه صحة الحديث وأن التفرد المشار إليه غير صحيح وأو دعت ذلك في السلسلة الأخرى برقم (621)