৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. খাদ্যে বরকত প্রদানের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে

৪৬. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‍মুশরিকদের বিরুদ্ধে এক যুদ্ধে বেরিয়েছিলেন। আমার পিতা আব্দুল্লাহ আমাকে বললেন, হে জাবির, তোমার জন্য জরুরী যে, তুমি যুদ্ধে না গিয়ে মদীনাবাসীর দেখাশুনা করবে। এভাবে তুমি আমাদের পরিণতি কী হয় তা জানতে পারবে। আল্লাহর কসম! যদি আমার এ আশংকা না থাকত যে, আমার মৃত্যুর পর এতগুলো মেয়েকে (অভিভাবকবিহীন) রেখে যেতে হবে, তবে অবশ্যই আমি পছন্দ করতাম যে, তুমি যুদ্ধে গিয়ে সামনে থেকে জিহাদ করে শহীদ হয়ে যাও। জাবির বলেন, আমি মদীনা দেখাশুনাকারীদের মাঝে রয়ে গেলাম। (পরে) দেখলাম আমার ফুফু আমার আব্বা ও মামার লাশ নিয়ে এলেন আমাদের কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করার জন্য। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন নিহতদের লাশ ফেরত দিতে এবং তারা যেখানে নিহত হয়েছেন সেখানেই তাদেরকে দাফন করতে। আমরা তাদের দু’জনের লাশ ফেরত দিলাম এবং তাদের নিহত হওয়ার স্থানে তাদেরকে দাফন করলাম।

এরপর মু’আবিয়া ইবনু আবী সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে বললেন, হে জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ, আপনার আব্বার কবর মু’আবিয়ার লোকজন খুঁড়ে ফেলেছে, তার লাশের কিছু অংশ বের হয়ে পড়েছে। কতিপয় লোক সেখানে গেল। আমিও সেখানে গেলাম। আমি আমার আব্বাকে ঠিক তেমনি পেলাম যেমন আমরা দাফন করেছিলাম। শাহাদাতের ক্ষত ছাড়া লাশের আর কোন বিকৃতি ঘটেনি।

জাবির বলেন, অতঃপর আব্বার লাশ পুনঃদাফন করে ফিরে এলাম। আব্বা জীবদ্দশায় কিছু খেজুর ঋণ নিয়েছিলেন। কিছু ঋণদাতা সেই ঋণ পরিশোধের জন্য আমাকে চাপ দিতে লাগলো। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে গিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমার আব্বা অমুক দিন শহীদ হয়েছেন। তিনি কিছু খেজুর ঋণ করে গেছেন। কতিপয় পাওনাদার আমাকে ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি চাই আপনি এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করুন যেন সামনের ফসল তোলার পূর্ব পর্যন্ত আমাকে তারা অবকাশ দেয়। তিনি বলেন: ’ঠিক আছে, দুপুরের কাছাকাছি সময়ে আল্লাহ চান তো আমি তোমার কাছে যাবে।’ জাবির বলেন, তিনি আসলেন, তাঁর সাথে কয়েকজন সঙ্গীও ছিল। তারা সবাই ছায়ায় বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে সালাম দিলেন এবং ভেতরে প্রবেশের জন্য অনুমতি চাইলেন। তারপর তিনি আমাদের নিকট এলেন। আমি আমার স্ত্রীকে বলে রেখেছিলাম, আজ দুপুরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট আসবেন। তিনি যেন তোমাকে কিছুতেই না দেখতে পান। তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমার বাড়িতে কোন কারণেই কষ্ট দিবে না। আর তুমি তাঁর সাথে কথাও বলবে না।

তারপর আমি চাদর বিছিয়ে দিলাম এবং সেখানে একটি বালিশ রাখলাম। তিনি তাঁর উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। আমার কাছে একটি ছাগল ছানা ছিল, সেটি ছিল আমার পোষা ও বেশ মোটাতাজা। আমার গোলামকে বললাম, এই ছাগলটি যবেহ করো এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম থেকে জেগে উঠার আগেই তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেল। আমি তোমার সাথে আছি। আমরা কাজ শেষ না করে আর বিশ্রাম নিলাম না। তখনও তিনি ঘুমে ছিলেন। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জেগে ওযুর পানি চাইবেন। আমার ভয় হচ্ছে, তিনি ওযু করেই যদি চলে যান। ওযু শেষ করার সাথে সাথেই যদি তাঁর সামনে ছাগলের মাংস পেশ করা না যায়! তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে বললেন: ’হে জাবির, আমাকে ওযুর পানি দাও।’ আমি বললাম, জ্বি, দিচ্ছি। তিনি ওযু শেষ করার আগেই তাঁর সামনে মাংস রাখা হল। তিনি আমার দিকে চাইলেন। তারপর বললেন, আবু বকরকে ডাকো। অতঃপর তিনি তাঁর সঙ্গীদেরকে ডেকে পাঠালেন।

জাবির বলেন, খানা এনে সামনে রাখা হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেগুলোর ওপর হাত রেখে বললেন: বিসমিল্লাহ, তোমরা খাও। তারা সকলেই পরিতৃপ্তির সাথে খেলেন। তারপরও অনেক মাংস বেঁচে গেল। আল্লাহর কসম! বনী সালামার লোকজন তাদেরকে দেখছিলেন। তিনি তাদের কাছে তাদের জীবনের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিলেন। তারা কাছে আসতে পারছিলেন না, তাদের ভয় ছিল, তারা না আবার (তাদের কোন কথা বা কাজের দ্বারা) তাঁকে কষ্ট দিয়ে ফেলেন! তারপর তিনি উঠে দাঁড়ালেন, তাঁর সাথীরাও উঠে দাঁড়ালেন এবং তাঁর সামনে সামনে চলতে লাগলেন। আর তিনি বলতেন: ’আমার পেছনের দিকটা ফেরেশতাদের জন্য ছেড়ে দাও।’

আমি তাঁর সাথে দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত যেতেই আমার স্ত্রী মাথা বের করে দিল। সে বেশ পর্দানশীন ছিল। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার ও আমার স্বামীর জন্য দু’আ করুন। তিনি বললেন: ’আল্লাহ তোমার ও তোমার স্বামীর উপর রহমত করুন।’

তারপর বললেন: ’অমুককে আমার নিকট ডেকে নিয়ে আস।’ অর্থাৎ যিনি ঋণ পরিশোধের জন্য আমাকে চাপাচাপি করছিল। (ডেকে আনা হলে) তিনি তাকে বললেন: ’জাবিরের পিতার উপর যে ঋণ ছিলো, তা পরিশোধের জন্য জাবিরকে আগামী ফসল তোলা পর্যন্ত অবকাশ দাও।’ সে বললো, আমি তা পারব না। সে কারণ দর্শাতে লাগলো, বললো, তা ইয়াতীমের সম্পদ। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’জাবির কোথায়?’ বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই যে আমি। তিনি বললেন: ’তুমি তাকে মেপে দাও। আর শীঘ্রই আল্লাহ তা পরিশোধ করে দেবেন।’ তারপর তিনি আকাশের দিকে মাথা উঠিয়ে তাকালেন। সূর্য্য তখন মাত্র হেলে পড়েছিল। তিনি বললেন: ’হে আবু বকর! সালাত।’ বর্ণনাকারী বলেন, একথা বলেই তারা মসজিদের দিকে ধাবিত হলেন। আমি ঋণদাতাকে বললাম, তোমার পাত্র কাছে আন এবং আমি তাকে আজওয়া খেজুর মেপে দিতে লাগলাম। দেখা গেল, আল্লাহ তা পরিশোধ করে দিলেন এবং অনেক পরিমাণে খেজুর অতিরিক্ত থাকলো। আমি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত দ্রুত দৌড়ে মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট গেলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এমন অবস্থায় পেলাম যে, তিনি মাত্র সালাত আদায় শেষ করেছেন।

অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার কাছে পাওনাদারকে তার প্রাপ্য খেজুর মেপে দিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ তাঁকে তা পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। এমনকি তারপরও এই এই পরিমাণে খেজুর আমাদের জন্য উদ্বৃত্ত থাকলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’উমার ইবনুল খাত্তাব কোথায়? (ডাক শুনে) তিনি দৌড়ে কাছে এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: ’জাবির ইবনু আব্দুল্লাহকে তার ঋণ ও খেজুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর।’ তিনি বললেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করব না। কেননা, আমি জানি যে, আল্লাহ অচিরেই তাকে পরিশোধ করে দিবেন,যখন আপনি বলেছেন যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ অচিরে তাকে পরিশোধ করে দিবেন। এভাবে তিনি তিনবার এ কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। প্রত্যেকবারই তিনি বললেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করব না। তৃতীয়বারের পর আর এর পুনরাবৃত্তি হয় নি। এবারে জিজ্ঞাসা করলেন: ’তোমার ঋণদাতা আর খেজুরের কী হল?’ আমি বললাম, আল্লাহই তা পরিপূর্ণরূপে পরিশোধ করে দিয়েছেন এবং আমাদের নিকট এত এত পরিমাণে উদ্বৃত্ত রয়ে গেছে। তারপর আমি আমার স্ত্রীর নিকট ফিরে এলাম। তাকে বললাম, আমি কি তোমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে আমার বাড়িতে কথা বলতে নিষেধ করিনি? সে বললো, তোমার কি ধারণা, আল্লাহ তাঁর নবীকে আমাদের বাড়িতে পাঠাবেন এরপর তিনি চলেও যাবেন, অথচ আমি তাঁর নিকট আমার জন্য ও আমার স্বামীর জন্য রহমতের দু’আ চাইব না?[1]

بَاب مَا أُكْرِمَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَرَكَةِ طَعَامِهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَان، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ لِيُقَاتِلَهُمْ، فَقَالَ أَبِي عَبْدُ اللَّهِ: يَا جَابِرُ، لَا عَلَيْكَ أَنْ تَكُونَ، فِي نَظَّارِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ حَتَّى تَعْلَمَ إِلَى مَا يَصِيرُ أَمْرُنَا، فَإِنِّي وَاللَّهِ لَوْلَا أَنِّي أَتْرُكُ بَنَاتٍ لِي بَعْدِي، لَأَحْبَبْتُ أَنْ تُقْتَلَ بَيْنَ يَدَيَّ، قَالَ: فَبَيْنَمَا أَنَا فِي النَّظَّارِينَ إِذْ جَاءَتْ عَمَّتِي بِأَبِي وَخَالِي لِتَدْفُنَهُمَا فِي مَقَابِرِنَا، فَلَحِقَ رَجُلٌ يُنَادِي، إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَرُدُّوا الْقَتْلَى فَتَدْفُنُوهَا فِي مَضَاجِعَهَا حَيْثُ قُتِلَتْ، فَرَدَدْنَاهُمَا، فَدَفَنَّاهُمَا فِي مَضْجَعِهِمَا حَيْثُ قُتِلَا: فَبَيْنَا أَنَا فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، لَقَدْ أَثَارَ أَبَاكَ عُمَّالُ مُعَاوِيَةَ، فَبَدَا، فَخَرَجَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ، فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهِ فَوَجَدْتُهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي دَفَنْتُهُ لَمْ يَتَغَيَّرْ إِلَّا مَا لَمْ يَدَعِ الْقَتِيلَ، قَالَ: فَوَارَيْتُهُ، وَتَرَكَ أَبِي عَلَيْهِ دَيْنًا مِنْ التَّمْرِ فَاشْتَدَّ عَلَيَّ بَعْضُ غُرَمَائِهِ، فِي التَّقَاضِي، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي أُصِيبَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، وَإِنَّهُ تَرَكَ عَلَيْهِ دَيْنًا مِنَ التَّمْرِ، وَإِنَّهُ قَدْ اشْتَدَّ عَلَيَّ بَعْضُ غُرَمَائِهِ فِي الطَّلَبِ، فَأُحِبُّ أَنْ تُعِينَنِي عَلَيْهِ لَعَلَّهُ أَنْ يُنْظِرَنِي طَائِفَةً مِنْ تَمْرِهِ إِلَى هَذَا الصِّرَامِ الْمُقْبِلِ، قَالَ: " نَعَمْ آتِيكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ قَرِيبًا مِنْ وَسَطِ النَّهَارِ "، قَالَ: فَجَاءَ وَمَعَهُ حَوَارِيُّوهُ، قَالَ: فَجَلَسُوا فِي الظِّلِّ وَسَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتَأْذَنَ ثُمَّ دَخَلَ عَلَيْنَا، قَالَ: وَقَدْ قُلْتُ لِامْرَأَتِي: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَنِي الْيَوْمَ وَسَطَ النَّهَارِ، فَلَا يَرَيَنَّكِ وَلَا تُؤْذِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِي بِشَيْءٍ وَلَا تُكَلِّمِيهِ، فَفَرَشَتْ فِرَاشًا وَوِسَادَةً فَوَضَعَ رَأْسَهُ، فَنَامَ، فَقُلْتُ لِمَوْلًى لِي: اذْبَحْ هَذِهِ الْعَنَاقَ، وَهِيَ دَاجِنٌ سَمِينَة، فَالْوَحَا وَالْعَجْلَ افْرَغْ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ يَسْتَيْقِظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَكَ، فَلَمْ نَزَلْ فِيهَا حَتَّى فَرَغْنَا مِنْهَا، وَهُوَ نَائِمٌ، فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَسْتَيْقِظُ يَدْعُو بِطَهُورِ، وَأَنَا أَخَافُ إِذَا فَرَغَ أَنْ يَقُومَ، فَلَا يَفْرَغْ مِنْ طُهُورِهِ حَتَّى يُوضَعَ الْعَنَاقُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ، قَالَ: " يَا جَابِرُ ائْتِنِي بِطَهُورٍ "، قَالَ: نَعَمْ، فَلَمْ يَفْرَغْ مِنْ وُضُوئِهِ حَتَّى وُضِعَتِ الْعَنَاقُ بَيْنَ يَدَيْهِ، قَالَ: فَنَظَرَ إِلَيَّ، فَقَالَ: " كَأَنَّكَ قَدْ عَلِمْتَ حُبَّنَا اللَّحْمَ، ادْعُ أَبَا بَكْر "، ثُمَّ دَعَا حَوَارِيِّيهِ، قَالَ: فَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَوُضِعَ، قَالَ: فَوَضَعَ يَدَهُ، وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ كُلُوا "، فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا وَفَضَلَ مِنْهَا لَحْمٌ كَثِيرٌ، وَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ مَجْلِسَ بَنِي سَلِمَةَ لَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِمْ، هُوَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَعْيُنِهِمْ، مَا يَقْرَبُونَهُ مَخَافَةَ أَنْ يُؤْذُوهُ، ثُمَّ قَامَ، وَقَامَ أَصْحَابُهُ، فَخَرَجُوا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ يَقُولُ: " خَلُّوا ظَهْرِي لِلْمَلَائِكَةِ "، قَالَ: فَاتَّبَعْتُهُمْ حَتَّى بَلَغْتُ سَقُفَّةَ الْبَابِ، فَأَخْرَجَتِ امْرَأَتِي صَدْرَهَا وَكَانَتْ سَتِّيرَةً، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلِّ عَلَيَّ وَعَلَى زَوْجِي، قَالَ: " صَلَّى اللَّهُ عَلَيْكِ وَعَلَى زَوْجِكِ "، ثُمَّ قَالَ: " ادْعُوا لِي فُلَانًا لِلْغَرِيمِ الَّذِي اشْتَدَّ عَلَيَّ فِي الطَّلَبِ، فَقَالَ: " أَنْسِ جَابِرًا طَائِفَةً مِنْ دَيْنِكَ الَّذِي عَلَى أَبِيهِ إِلَى هَذَا الصِّرَامِ الْمُقْبِلِ "، قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ، قَالَ: وَاعْتَلَّ وَقَالَ: إِنَّمَا هُوَ مَالُ يَتَامَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ جَابِرٌ؟ " قَالَ: قُلْتُ: أَنَا ذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: " كِلْ لَهُ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَوْفَ يُوَفِّيهِ "، فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، فَإِذَا الشَّمْسُ قَدْ دَلَكَتْ، قَالَ: " الصَّلَاةُ يَا أَبَا بَكْرٍ "، فَانْدَفَعُوا إِلَى الْمَسْجِدِ، فَقُلْتُ لِغَرِيمِي: قَرِّبْ أَوْعِيَتَكَ، فَكِلْتُ لَهُ مِنْ الْعَجْوَةِ فَوَفَّاهُ اللَّهُ وَفَضُلَ لَنَا مِنْ التَّمْرِ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: فَجِئْتُ أَسْعَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْجِدِهِ كَأَنِّي شَرَارَةٌ، فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ صَلَّى، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ كِلْتُ لِغَرِيمِي تَمْرَهُ فَوَفَّاهُ اللَّهُ وَفَضُلَ لَنَا مِنْ التَّمْرِ كَذَا وَكَذَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ؟ "، قَالَ: فَجَاءَ يُهَرْوِلُ، قَالَ: " سَلْ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ غَرِيمِهِ وَتَمْرِهِ "، قَالَ: مَا أَنَا بِسَائِلِهِ، قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ سَوْفَ يُوَفِّيهِ إِذْ أَخْبَرْتَ أَنَّ اللَّهَ سَوْفَ يُوَفِّيهِ فَرَدَّدَ عَلَيْهِ، وَرَدَّدَ عَلَيْهِ هَذِهِ الْكَلِمَةَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ: مَا أَنَا بِسَائِلِهِ، وَكَانَ لَا يُرَاجَعُ بَعْدَ الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ، فَقَالَ: مَا فَعَلَ غَرِيمُكَ وَتَمْرُكَ؟، قَالَ: قُلْتُ: وَفَّاهُ اللَّهُ وَفَضُلَ لَنَا مِنْ التَّمْرِ كَذَا وَكَذَا، قالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى امْرَأَتِي، فَقُلْتُ: أَلَمْ أَكُنْ نَهَيْتُكِ أَنْ تُكَلِّمِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِي؟، فَقَالَتْ: تَظُنُّ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُورِدُ نَبِيَّهُ فِي بَيْتِي ثُمَّ يَخْرُجُ وَلَا أَسْأَلُهُ الصَّلَاةَ عَلَيَّ وَعَلَى زَوْجِي

إسناده صحيح

اخبرنا ابو النعمان حدثنا ابو عوانة عن الاسود عن نبيح العنزي عن جابر بن عبد الله قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم الى المشركين ليقاتلهم فقال ابي عبد الله يا جابر لا عليك ان تكون في نظاري اهل المدينة حتى تعلم الى ما يصير امرنا فاني والله لولا اني اترك بنات لي بعدي لاحببت ان تقتل بين يدي قال فبينما انا في النظارين اذ جاءت عمتي بابي وخالي لتدفنهما في مقابرنا فلحق رجل ينادي ان النبي صلى الله عليه وسلم يامركم ان تردوا القتلى فتدفنوها في مضاجعها حيث قتلت فرددناهما فدفناهما في مضجعهما حيث قتلا فبينا انا في خلافة معاوية بن ابي سفيان رضي الله عنه اذ جاءني رجل فقال يا جابر بن عبد الله لقد اثار اباك عمال معاوية فبدا فخرج طاىفة منهم فانطلقت اليه فوجدته على النحو الذي دفنته لم يتغير الا ما لم يدع القتيل قال فواريته وترك ابي عليه دينا من التمر فاشتد علي بعض غرماىه في التقاضي فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله ان ابي اصيب يوم كذا وكذا وانه ترك عليه دينا من التمر وانه قد اشتد علي بعض غرماىه في الطلب فاحب ان تعينني عليه لعله ان ينظرني طاىفة من تمره الى هذا الصرام المقبل قال نعم اتيك ان شاء الله قريبا من وسط النهار قال فجاء ومعه حواريوه قال فجلسوا في الظل وسلم رسول الله صلى الله عليه وسلم واستاذن ثم دخل علينا قال وقد قلت لامراتي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم جاءني اليوم وسط النهار فلا يرينك ولا توذي رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيتي بشيء ولا تكلميه ففرشت فراشا ووسادة فوضع راسه فنام فقلت لمولى لي اذبح هذه العناق وهي داجن سمينة فالوحا والعجل افرغ منها قبل ان يستيقظ رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا معك فلم نزل فيها حتى فرغنا منها وهو ناىم فقلت ان رسول الله صلى الله عليه وسلم حين يستيقظ يدعو بطهور وانا اخاف اذا فرغ ان يقوم فلا يفرغ من طهوره حتى يوضع العناق بين يديه فلما استيقظ قال يا جابر اىتني بطهور قال نعم فلم يفرغ من وضوىه حتى وضعت العناق بين يديه قال فنظر الي فقال كانك قد علمت حبنا اللحم ادع ابا بكر ثم دعا حوارييه قال فجيء بالطعام فوضع قال فوضع يده وقال بسم الله كلوا فاكلوا حتى شبعوا وفضل منها لحم كثير وقال والله ان مجلس بني سلمة لينظرون اليهم هو احب اليهم من اعينهم ما يقربونه مخافة ان يوذوه ثم قام وقام اصحابه فخرجوا بين يديه وكان يقول خلوا ظهري للملاىكة قال فاتبعتهم حتى بلغت سقفة الباب فاخرجت امراتي صدرها وكانت ستيرة فقالت يا رسول الله صل علي وعلى زوجي قال صلى الله عليك وعلى زوجك ثم قال ادعوا لي فلانا للغريم الذي اشتد علي في الطلب فقال انس جابرا طاىفة من دينك الذي على ابيه الى هذا الصرام المقبل قال ما انا بفاعل قال واعتل وقال انما هو مال يتامى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اين جابر قال قلت انا ذا يا رسول الله قال كل له فان الله تعالى سوف يوفيه فرفع راسه الى السماء فاذا الشمس قد دلكت قال الصلاة يا ابا بكر فاندفعوا الى المسجد فقلت لغريمي قرب اوعيتك فكلت له من العجوة فوفاه الله وفضل لنا من التمر كذا وكذا قال فجىت اسعى الى رسول الله صلى الله عليه وسلم في مسجده كاني شرارة فوجدت رسول الله صلى الله عليه وسلم قد صلى فقلت يا رسول الله اني قد كلت لغريمي تمره فوفاه الله وفضل لنا من التمر كذا وكذا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اين عمر بن الخطاب قال فجاء يهرول قال سل جابر بن عبد الله عن غريمه وتمره قال ما انا بساىله قد علمت ان الله سوف يوفيه اذ اخبرت ان الله سوف يوفيه فردد عليه وردد عليه هذه الكلمة ثلاث مرات كل ذلك يقول ما انا بساىله وكان لا يراجع بعد المرة الثالثة فقال ما فعل غريمك وتمرك قال قلت وفاه الله وفضل لنا من التمر كذا وكذا قال فرجعت الى امراتي فقلت الم اكن نهيتك ان تكلمي رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيتي فقالت تظن ان الله تعالى يورد نبيه في بيتي ثم يخرج ولا اساله الصلاة علي وعلى زوجياسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)