৩১৬৮

পরিচ্ছেদঃ ২৩. সূরা আল-হজ্জ

৩১৬৮। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, “হে লোকেরা! তোমাদের প্রভুর গযব হতে নিজকে রক্ষা কর। কিয়ামতের কম্পন বড়ই ভয়াবহ ব্যপার। যেদিন তোমরা তা দেখতে পাবে সেদিনের অবস্থা এমন হবে যে, প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী নিজের দুধের শিশুকে দুধ পান করাতে ভুলে যাবে। প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করবে এবং লোকদেরকে তোমরা মাতালের মতো দেখতে পাবে, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বরং আল্লাহ্ তা’আলার শাস্তিই এতদূর কঠোর হবে" (সূরাঃ আল-হাজ্জ১-২)।

রাবী বলেন, এ আয়াত যখন অবতীর্ণ হয়, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান এটা কোন দিন? সাহাবীগণ বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলই সবচাইতে ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এটা সেই দিন, যখন আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে বলবেনঃ জাহান্নামের বাহিনী প্রস্তুত কর। আদম (আঃ) বলবেনঃ হে প্ৰভু! জাহান্নামের বাহিনীর সংখ্যা কত? তিনি বলবেনঃ (হাজারকে) নয় শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের এবং একজন জান্নাতের বাহিনী।

একথা শুনে মুসলিমরা কান্নায় ভেংগে পড়েন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সমতল পথে চলো, আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য খোজ কর, সোজা পথ ধর। প্রত্যেক নাবূয়াতের পূর্বেই রয়েছে জাহিলিয়াত। তিনি আরো বললেনঃ জাহিলিয়াত হতেই বেশি সংখ্যক নেয়া হবে। যদি এতে সংখ্যা পূর্ণ হয় তো ভালো, অন্যথায় মুনাফিকদের দিয়ে সংখ্যা পূর্ণ করা হবে।

অপরাপর উম্মাতের ও তোমাদের উদাহরণ হচ্ছে, যেমন পশুর বাহুর দাগ অথবা উটের পার্শ্বদেশের তিলক (অর্থাৎ তোমাদের সংখ্যা বেশি হবে)। তিনি আবার বললেনঃ আমি আশা করি তোমরাই হবে জান্নাতের এক-চতুর্থাংশ অধিবাসী। একথা শুনে তারা তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন। তারপর তিনি বললেনঃ আমি আশা করি তোমরাই হবে জান্নাতের এক-তৃতীয়াংশ অধিবাসী। একথা শুনে তারা তাকবীর ধ্বনি দেন। তিনি আবার বললেনঃ আমি আশা করি তোমরাই হবে জান্নাতের অর্ধেক অধিবাসী। তারা এবারও তাকবীর ধ্বনি দেন। রাবী বলেন, তিনি দুই-তৃতীয়াংশের কথা বলেছেন কি-না তা আমার মনে নেই

সনদ দুর্বল, তা’লীকুর রাগীব (৪/২২৯)

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ولَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ‏)‏ قَالَ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَقَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ذَلِكَ يَوْمَ يَقُولُ اللَّهُ لآدَمَ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ فَقَالَ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ إِلَى الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْشَأَ الْمُسْلِمُونَ يَبْكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قَارِبُوا وَسَدِّدُوا فَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ كَانَ بَيْنَ يَدَيْهَا جَاهِلِيَّةٌ قَالَ فَيُؤْخَذُ الْعَدَدُ مِنَ الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنْ تَمَّتْ وَإِلاَّ كَمُلَتْ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَمَا مَثَلُكُمْ وَالأُمَمِ إِلاَّ كَمَثَلِ الرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ أَوْ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَبَّرُوا قَالَ وَلاَ أَدْرِي قَالَ الثُّلُثَيْنِ أَمْ لاَ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن ابن جدعان، عن الحسن، عن عمران بن حصين، ان النبي صلى الله عليه وسلم لما نزلت ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الناس اتقوا ربكم ان زلزلة الساعة شيء عظيم ‏)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ولكن عذاب الله شديد ‏)‏ قال انزلت عليه هذه وهو في سفر فقال ‏"‏ اتدرون اى يوم ذلك ‏"‏ ‏.‏ فقالوا الله ورسوله اعلم ‏.‏ قال ‏"‏ ذلك يوم يقول الله لادم ابعث بعث النار فقال يا رب وما بعث النار قال تسعماىة وتسعة وتسعون الى النار وواحد الى الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال فانشا المسلمون يبكون فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قاربوا وسددوا فانها لم تكن نبوة قط الا كان بين يديها جاهلية قال فيوخذ العدد من الجاهلية فان تمت والا كملت من المنافقين وما مثلكم والامم الا كمثل الرقمة في ذراع الدابة او كالشامة في جنب البعير ثم قال اني لارجو ان تكونوا ربع اهل الجنة ‏"‏ ‏.‏ فكبروا ثم قال ‏"‏ اني لارجو ان تكونوا ثلث اهل الجنة ‏"‏ ‏.‏ فكبروا ثم قال ‏"‏ اني لارجو ان تكونوا نصف اهل الجنة ‏"‏ ‏.‏ فكبروا قال ولا ادري قال الثلثين ام لا ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عن عمران بن حصين عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated 'Imran bin Husain:
when (the following) was revealed: "O mankind! Have Taqwa of your Lord! Verily the earthquake of the hour is a terrible thing..." up to His saying: "But Allah's torment is severe...(22:1 & 2)" - he said: "These Ayat were revealed while he (ﷺ) was on a journey and he said: 'Do you know what Day this is?' So they said: 'Allah and His Messenger know better.' He said: 'That is the day when Allah says to Adam: Send forth those who are to be sent to the Fire. So he says: O Lord! How many are to be sent? He says: Nine-hundred and ninety-nine in the Fire, and one to Paradise. He said: "So the Muslims started crying. Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Close your ranks and be straight forward, for there was never any Prophethood but there was a time of ignorance just before his advent, so the number will be taken from that time of ignorance, and if that is not enough, it will be made up of the hypocrites. The parable of you and the other nations is that you are like a mark on the foreleg of an animal, or a mole on the flank of a camel.' Then he said: 'I hope that you will be a quarter of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar. Then he said: 'I hope that you will be a third of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar. Then he said: 'I hope that you will be half of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar." He said: "I do not know if he said two thirds or not."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ)