২১২০

পরিচ্ছেদঃ ৫. উত্তরাধিকারীদের জন্য ওয়াসিয়াত করার বৈধতা নেই

২১২০। আবূ উমামা আল-বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, বিদায় হাজের খুৎবায় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক হক্‌দারের হক (নির্দিষ্ট করে) দিয়েছেন। অতএব, উত্তরাধিকারীদের জন্য ওয়াসিয়াত করা বৈধ নয়। সন্তান বিছানার (মালিকের); আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। তাদের সর্বশেষ ফায়সালার ভার আল্লাহ্ তা’আলার উপর। যে লোক নিজের বাবাকে পরিত্যাগ করে আরেকজনকে বাবা বলে পরিচয় দেয় এবং যে গোলাম নিজের মনিব ব্যতীত অন্য মনিবের পরিচয় দেয় তার উপর অব্যাহতভাবে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলার অভিশাপ। স্ত্রী তার স্বামীর বিনা অনুমতিতে তার ঘর হতে কোন কিছু ব্যয় করবে না। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। খাদ্যদ্রব্যও নয়? তিনি বললেনঃ এটাতো আমাদের সর্বোত্তম সম্পদ। তিনি আরো বললেনঃ ধারকৃত বস্তু ফেরত যোগ্য, মানীহা (দুধপানের উদ্দেশ্যে ধার করা পশু) ফেরত দিতে হবে, ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং যামিনদার দায়বদ্ধ থাকবে।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৭১৩)।

আবূ ঈসা বলেন, আমর ইবনু খা-রিজাহ (রাঃ) ও আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আবৃ উমামা (রাঃ) হতে অপরাপর সূত্রেও বর্ণিত আছে।

ইরাক ও হিজাযবাসীদের হতে ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশের একক বর্ণনাগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, তিনি তাদের সূত্রে বহু মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে সিরিয়াবাসীদের সূত্রে বর্ণিত তার হাদীসসমূহ অনেক বেশি সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী এরকম কথাই বলেছেন।

তিনি আরো বলেছেন, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বলকে বলতে শুনেছি যে, বাকিয়্যার তুলনায় ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশের অবস্থা সন্তোষজনক। বাকিয়া সিকাহ্ বর্ণনাকারীদের সূত্রেও মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। আমি আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রাহমানকে বলতে শুনেছি, আমি যাকারিয়া ইবনু আদীকে বলতে শুনেছি, আবূ ইসহাক আল-ফাযারী বলেন, সিকাহ বর্ণনাকারীদের সূত্রে বাকিয়া যা কিছু বর্ণনা করেন তোমরা তা গ্রহণ কর। আর নির্ভরযোগ্য ও অনির্ভরযোগ্য যাদের সূত্রেই ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হাদীস বর্ণনা করুন না কেন তোমরা তা গ্রহণ করো না।

باب مَا جَاءَ لاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ ‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ التَّابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ تُنْفِقُ امْرَأَةٌ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الطَّعَامَ قَالَ ‏"‏ ذَلِكَ أَفْضَلُ أَمْوَالِنَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ وَالْمِنْحَةُ مَرْدُودَةٌ وَالدَّيْنُ مَقْضِيٌّ وَالزَّعِيمُ غَارِمٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ وَهُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَرِوَايَةُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَأَهْلِ الْحِجَازِ لَيْسَ بِذَلِكَ فِيمَا تَفَرَّدَ بِهِ لأَنَّهُ رَوَى عَنْهُمْ مَنَاكِيرَ وَرِوَايَتُهُ عَنْ أَهْلِ الشَّامِ أَصَحُّ هَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ أَصْلَحُ حَدِيثًا مِنْ بَقِيَّةَ وَلِبَقِيَّةَ أَحَادِيثُ مَنَاكِيرُ عَنِ الثِّقَاتِ ‏.‏ وَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ سَمِعْتُ زَكَرِيَّا بْنَ عَدِيٍّ يَقُولُ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ خُذُوا عَنْ بَقِيَّةَ مَا حَدَّثَ عَنِ الثِّقَاتِ وَلاَ تَأْخُذُوا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ مَا حَدَّثَ عَنِ الثِّقَاتِ وَلاَ عَنْ غَيْرِ الثِّقَاتِ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر وهناد قالا حدثنا اسماعيل بن عياش حدثنا شرحبيل بن مسلم الخولاني عن ابي امامة الباهلي قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم في خطبته عام حجة الوداع ان الله قد اعطى كل ذي حق حقه فلا وصية لوارث الولد للفراش وللعاهر الحجر وحسابهم على الله ومن ادعى الى غير ابيه او انتمى الى غير مواليه فعليه لعنة الله التابعة الى يوم القيامة لا تنفق امراة من بيت زوجها الا باذن زوجها قيل يا رسول الله ولا الطعام قال ذلك افضل اموالنا ثم قال العارية موداة والمنحة مردودة والدين مقضي والزعيم غارم قال ابو عيسى وفي الباب عن عمرو بن خارجة وانس بن مالك وهو حديث حسن صحيح وقد روي عن ابي امامة عن النبي صلى الله عليه وسلم من غير هذا الوجه ورواية اسماعيل بن عياش عن اهل العراق واهل الحجاز ليس بذلك فيما تفرد به لانه روى عنهم مناكير وروايته عن اهل الشام اصح هكذا قال محمد بن اسماعيل قال سمعت احمد بن الحسن يقول قال احمد بن حنبل اسماعيل بن عياش اصلح حديثا من بقية ولبقية احاديث مناكير عن الثقات وسمعت عبد الله بن عبد الرحمن يقول سمعت زكريا بن عدي يقول قال ابو اسحاق الفزاري خذوا عن بقية ما حدث عن الثقات ولا تاخذوا عن اسماعيل بن عياش ما حدث عن الثقات ولا عن غير الثقات


Abu Ummah said:
"During the year of the Farewell Pilgrimage, I heard the Messenger of Allah (S.A.W) saying in the Khutbah: 'Indeed Allah, Most Blessed and Most High, has given the right due to everyone deserving a right. So there is no will for an heir, the child is for the bed, and for the fornicator is the stone, and their reckoning is for Allah, Most High. And whoever claims someone other than his father, or an affiliation with other than his Mawali, then upon him is the continued curse of Allah until the Day of Judgment. The wife is not to spend from her husband's house except with her husband's permission.' They said: 'O Messenger of Allah! Not even food?' He said: 'That is the most virtuous of our wealth.' And he said: 'The borrowed is to be returned, the endowment is to be refunded and the debt is to be repaid, and the guarantor is responsible.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
২৮/ ওয়াসিয়াত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ)