আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৩১ টি

পরিচ্ছেদঃ ১০২০. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা

১৫১৪। আহমদ ইবনু সিনান (রহঃ) ... আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ’উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) কে হজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে দখেছি। আর তিনি বললেন, যদি আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখতাম তাহলে আমিও তোমায় চুম্বন করতাম না।

باب تَقْبِيلِ الْحَجَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا وَرْقَاءُ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَقَالَ لَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ‏.‏


Narrated Zaid bin Aslam that his father said: "I saw `Umar bin Al-Khattab kissing the Black Stone and he then said, (to it) 'Had I not seen Allah's Apostle kissing you, (stone) I would not have kissed you.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৩১. মুসাফিরের সফর দ্রুত করা ও করে শীঘ্র বাড়ি ফেরা

১৬৮৯। সা’ঈদ ইবনু আবূ মারইয়াম (রহঃ) ... আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কার পথে আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। সাফিয়্যা বিনত আবূ ’উবায়দ (রাঃ) এর গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সংবাদ তাঁর কাছে পৌছল। তখন তিনি গতি বাড়িয়ে দিলেন। (পশ্চিম আকাশের) লালিমা অদৃশ্য হবার পর সাওয়ারী থেকে নেমে মাগরিব ও ’ইশা একসাথে আদায় করেন। তারপর বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, সফরে দ্রুত চলার প্রয়োজন হলে তিনি মাগরিবকে বিলম্ব করে মাগরিব ও ’ইশা একসাথে আদায় করতেন।

باب الْمُسَافِرِ إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ يُعَجِّلُ إِلَى أَهْلِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ بِطَرِيقِ مَكَّةَ، فَبَلَغَهُ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ شِدَّةُ وَجَعٍ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ، حَتَّى كَانَ بَعْدَ غُرُوبِ الشَّفَقِ نَزَلَ، فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعَتَمَةَ، جَمَعَ بَيْنَهُمَا، ثُمَّ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ، وَجَمَعَ بَيْنَهُمَا‏.‏


Narrated Zaid bin Aslam from his father: I was with Ibn `Umar on the way to Mecca, and he got the news that Safiya bint Abu Ubaid was seriously ill. So, he hastened his pace, and when the twilight disappeared, he dismounted and offered the Maghrib and `Isha' prayers together. Then he said, "I saw that whenever the Prophet (ﷺ) had to hasten when traveling, he would delay the Maghrib prayer and join them together (i.e. offer the Maghrib and the `Isha prayers together).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪৫৮. নবী (ﷺ)-এর সাহাবীগণের ওয়াক্‌ফ ও খাজনার জমি এবং তাঁদের বর্গাচাষ ও চুক্তি ব্যবস্থা। নবী (ﷺ) উমর (রা.)-কে বললেন, তুমি মূল জমিটা এ শর্তে সাদকা করো যে, তা আর বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু তার উৎপাদন ব্যয় করা হবে। তখন তিনি এভাবেই সাদকা করলেন।

২১৮৩। সাদাকা (রহঃ) ... আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) বলেছেন, পরবর্তী যুগের মুসলিমদের বিষয়ে যদি আমরা চিন্তা না করতাম, তবে যে সব এলাকা জয় করা হতো, তা আমি মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করে দিতাম, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার বণ্টন করে দিয়েছিলেন।

بَابُ أَوْقَافِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَرْضِ الْخَرَاجِ وَمُزَارَعَتِهِمْ وَمُعَامَلَتِهِمْ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: تَصَدَّقْ بِأَصْلِهِ لاَ يُبَاعُ، وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ فَتَصَدَّقَ بِهِ

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ لَوْلاَ آخِرُ الْمُسْلِمِينَ مَا فَتَحْتُ قَرْيَةً إِلاَّ قَسَمْتُهَا بَيْنَ أَهْلِهَا كَمَا قَسَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ‏.‏


Narrated Zaid bin Aslam from his father: `Umar said, "But for the future Muslim generations, I would have distributed the land of the villages I conquer among the soldiers as the Prophet (ﷺ) distributed the land of Khaibar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮৭৭. ভ্রমনকালে তাড়াতাড়ি করা।

২৭৯২। সাঈদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কার পথে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। পথে তাঁর নিকট সাফিয়্যা বিনতে আবূ উবাইদ (রাঃ) এর ভীষণ অসুস্থতার সংবাদ পৌঁছে। তখন তিনি দ্রুতগতিতে চলতে থাকেন। এমনকি যখন সূর্যাস্তের পরে লালিমা অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন তিনি উট থেকে অবতরণ করে মাগরিব ও এশার সালাত একত্রে আদায় করেন। আর আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, যখন তাঁর দ্রুত চলার প্রয়োজন হতো, তখন তিনি মাগরিবকে বিলম্বিত করে মাগরিব ও এশার উভয় সালাত (নামায/নামাজ) পরপর এক সাথে আদায় করতেন।

باب السُّرْعَةِ فِي السَّيْرِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدٌ ـ هُوَ ابْنُ أَسْلَمَ ـ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ بِطَرِيقِ مَكَّةَ، فَبَلَغَهُ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ شِدَّةُ وَجَعٍ، فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى إِذَا كَانَ بَعْدَ غُرُوبِ الشَّفَقِ، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعَتَمَةَ، يَجْمَعُ بَيْنَهُمَا، وَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ وَجَمَعَ بَيْنَهُمَا‏.‏


Narrated Aslam: While I was in the company of `Abdullah bin `Umar on the way to Mecca, he received the news of the severe illness of Safiya bint Abi Ubaid (i.e. his wife), so he proceeded at greater speed, and when the twilight disappeared, he dismounted and offered the Maghrib and `Isha 'prayers together and said, " I saw the Prophet (ﷺ) delaying the Maghrib prayer to offer it along with the `Isha' when he was in a hurry on a journey."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৮৫. উমর ইবন খাত্তাব আবু হাফস কুরায়শী-আদাবী (রাঃ) এর ফযিলত ও মর্যাদা

৩৪২২। ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... আসলাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাঃ) আমাকে উমর (রাঃ) এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আমি তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করলাম। তখন তিনি ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের পরে কাউকে (এসব গুণের অধিকারী) আমি দেখিনি। তিনি [উমর (রাঃ)] অত্যন্ত দৃঢ়চিত্ত দানশীল ছিলেন। এসব গুণাবলী যেন উমর (রাঃ) পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে।

باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ، هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلَنِي ابْنُ عُمَرَ عَنْ بَعْضِ، شَأْنِهِ ـ يَعْنِي عُمَرَ ـ فَأَخْبَرْتُهُ‏.‏ فَقَالَ، مَا رَأَيْتُ أَحَدًا قَطُّ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ حِينَ قُبِضَ كَانَ أَجَدَّ وَأَجْوَدَ حَتَّى انْتَهَى مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ‏.‏


Narrated Aslam: Ibn `Umar asked me about some matters concerning `Umar. He said, "Since Allah's Messenger (ﷺ) died. I have never seen anybody more serious, hard working and generous than `Umar bin Al-Khattab (till the end of his life."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)

৩৮৫২। ইসমাইল ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, একদা আমি উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এর সঙ্গে বাজারে বের হলাম। সেখানে একজন যুবতী মহিলা তাঁর সাথে সাক্ষাত করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন, আমার স্বামী ছোট একটা বাচ্ছা রেখে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহর কসম, তাদের আহারের জন্য পাকানোর মত কোন বকরীর খুরাও নেই এবং নেই কোন ফসলের ব্যবস্থা ও দুধের উঠ, বকরী। পোকা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে অথচ আমি হলাম খুফাফ ইবনু আয়মা গিফারীর কন্যা। আমার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হুদায়বিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কথা শুনে উমর (রাঃ) তাঁকে অতিক্রম না করে পার্শ্বে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, তোমার গোত্রকে ধন্যবাদ। তারা তো আমার খুবই নিকটের মানুষ।

এরপর তিনি বাড়িতে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উক্ত উটের পৃষ্ঠে উঠিয়ে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার পূর্বেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যাক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন, আপনি তাকে খুব বেশি দিলেন। উমর (রাঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।* আল্লাহর কসম, আমি দেখেছি এ মহিলার আব্বা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয় ও করেছিলেন। এরপর ওই দুর্গ থেকে অর্জিত তাঁদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্দ সম্পদের দাবি করি (এবং কিছু অংশ আমরা নিজেরা গ্রহণ করি এবং কিছু অংশ তাদেরকে দেই। )

باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ إِلَى السُّوقِ، فَلَحِقَتْ عُمَرَ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ فَقَالَتْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلَكَ زَوْجِي وَتَرَكَ صِبْيَةً صِغَارًا، وَاللَّهِ مَا يُنْضِجُونَ كُرَاعًا، وَلاَ لَهُمْ زَرْعٌ وَلاَ ضَرْعٌ، وَخَشِيتُ أَنْ تَأْكُلَهُمُ الضَّبُعُ، وَأَنَا بِنْتُ خُفَافِ بْنِ إِيمَاءَ الْغِفَارِيِّ، وَقَدْ شَهِدَ أَبِي الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَوَقَفَ مَعَهَا عُمَرُ، وَلَمْ يَمْضِ، ثُمَّ قَالَ مَرْحَبًا بِنَسَبٍ قَرِيبٍ‏.‏ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيرٍ ظَهِيرٍ كَانَ مَرْبُوطًا فِي الدَّارِ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ غِرَارَتَيْنِ مَلأَهُمَا طَعَامًا، وَحَمَلَ بَيْنَهُمَا نَفَقَةً وَثِيَابًا، ثُمَّ نَاوَلَهَا بِخِطَامِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتَادِيهِ فَلَنْ يَفْنَى حَتَّى يَأْتِيَكُمُ اللَّهُ بِخَيْرٍ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَكْثَرْتَ لَهَا‏.‏ قَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ، وَاللَّهِ إِنِّي لأَرَى أَبَا هَذِهِ وَأَخَاهَا قَدْ حَاصَرَا حِصْنًا زَمَانًا، فَافْتَتَحَاهُ، ثُمَّ أَصْبَحْنَا نَسْتَفِيءُ سُهْمَانَهُمَا فِيهِ‏.‏


Narrated Aslam: Once I went with `Umar bin Al-Khattab to the market. A young woman followed `Umar and said, "O chief of the believers! My husband has died, leaving little children. By Allah, they have not even a sheep's trotter to cook; they have no farms or animals. I am afraid that they may die because of hunger, and I am the daughter of Khufaf bin Ima Al-Ghafari, and my father witnessed the Pledge of allegiance) of Al-Hudaibiya with the Prophet.' `Umar stopped and did not proceed, and said, "I welcome my near relative." Then he went towards a strong camel which was tied in the house, and carried on to it, two sacks he had loaded with food grains and put between them money and clothes and gave her its rope to hold and said, "Lead it, and this provision will not finish till Allah gives you a good supply." A man said, "O chief of the believers! You have given her too much." "`Umar said disapprovingly. "May your mother be bereaved of you! By Allah, I have seen her father and brother besieging a fort for a long time and conquering it, and then we were discussing what their shares they would have from that war booty."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)

৩৮৬৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন এক সফরে রাত্রিকালে চলছিলেন। এ সফরে উমর (রাঃ) ও তাঁর সাথে চলছিলেন। এক সময় উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তাঁকে কোন এক বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন উত্তর করলেন না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তবুও তিনি তাঁকে কোন জবাব দিলেন না। এরপর আবার তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবারও তার কোন উত্তর দিলেন না। তখন উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) নিজেকে লক্ষ্য করে মনে মনে বললেন, হে উমর! তোমাকে তোমার মা হারিয়ে ফেলুক। তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিনবার পিড়াপীড়ি করলে। কিন্তু কোনবারই তিনি তোমাকে উত্তর দেননি।

উমর (রাঃ) বললেন, এরপর আমি আমার উটকে তাড়া দিয়ে মুসলিমদের সামনে চলে যাই। কারন আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, হয়ত আমার সম্পর্কে কোরআন শরীফের কোন আয়াত অবতীর্ণ হতে পারে। এ কথা বলে আমি বেশি দেরি করিনি এমতাবস্থায় শুনতে পেলাম এক ব্যাক্তি চিৎকার করে আমাকে ডাকতে শুরু করলেন। উমর (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমার সম্পর্কে হয়তো কুরআন নাযিল হয়েছে। এ মনে করে আমি ভীত হয়ে পড়লাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁকে সালাম দিলাম। তখন তিনি বললেন, আজ রাতে আমার প্রতি এমন একটি সুরা নাযিল হয়েছে যা আমার কাছে সূর্য উদিত পৃথিবী থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি ‏إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا তিলাওয়াত করেন।

باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلاً، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَىْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا عُمَرُ، نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ لاَ يُجِيبُكَ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ الْمُسْلِمِينَ، وَخَشِيتُ أَنْ يَنْزِلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي ـ قَالَ ـ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ‏.‏ وَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، ثُمَّ قَرَأَ ‏(‏إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا‏)‏‏.‏‏"‏


Narrated Zaid bin Aslam: My father said, "Allah's Messenger (ﷺ) was proceeding at night on one of his journeys and `Umar bin Al- Khattab was going along with him. `Umar bin Al-Khattab asked him (about something) but Allah's Apostle did not answer him. `Umar asked him again, but he did not answer him. He asked him again (for the third time) but he did not answer him. On that `Umar bin Al-Khattab addressed himself saying, "May your mother be bereaved of you, O `Umar, for you have asked Allah's Messenger (ﷺ) thrice, yet he has not answered you." `Umar said, "Then I made my camel run fast and took it in front of the other Muslims, and I was afraid that something might be revealed in my connection. I had hardly waited for a moment when I heard somebody calling me. I said, 'I was afraid that something might have been revealed about me.' Then I came to Allah's Messenger (ﷺ) and greeted him. He (i.e. the Prophet) said, 'Tonight there has been revealed to me, a Sura which is dearer to me than (all the world) on which the sun rises,' and then he recited: 'Verily! We have granted you (O Muhammad) A manifest victory." (48.1)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ إنا فتحنا لك فتحا مبينا "নিশ্চয়ই আমি তোমাদের দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়।"

সুরা ফাতহ

وَقَالَ مُجَاهِدٌ بُورًا هَالِكِينَ سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ السَّحْنَةُ وَقَالَ مَنْصُورٌ عَنْ مُجَاهِدٍ التَّوَاضُعُ شَطْأَهُ فِرَاخَهُ فَاسْتَغْلَظَ غَلُظَ سُوقِهِ السَّاقُ حَامِلَةُ الشَّجَرَةِ وَيُقَالُ دَائِرَةُ السَّوْءِ كَقَوْلِكَ رَجُلُ السَّوْءِ وَدَائِرَةُ السُّوءِ الْعَذَابُ تُعَزِّرُوهُ تَنْصُرُوهُ شَطْأَهُ شَطْءُ السُّنْبُلِ تُنْبِتُ الْحَبَّةُ عَشْرًا أَوْ ثَمَانِيًا وَسَبْعًا فَيَقْوَى بَعْضُهُ بِبَعْضٍ فَذَاكَ قَوْلُهُ تَعَالَى فَآزَرَهُ قَوَّاهُ وَلَوْ كَانَتْ وَاحِدَةً لَمْ تَقُمْ عَلَى سَاقٍ وَهُوَ مَثَلٌ ضَرَبَهُ اللَّهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ خَرَجَ وَحْدَهُ ثُمَّ قَوَّاهُ بِأَصْحَابِهِ كَمَا قَوَّى الْحَبَّةَ بِمَا يُنْبِتُ مِنْهَا

মুজাহিদ বলেন, سِيْمَاهُمْ فِيْ وُجُوْهِهِمْ তাদের মুখমণ্ডল ের নিদর্শন। মানসূর মুজাহিদের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, এর অর্থ হচ্ছে বিনয় ও নম্রতা। شَطْأَهُ অর্থ, কচি পাতা। فَاسْتَغْلَظَ পুষ্ট হয়। سُوْقِهِ ঐ কান্ড যা গাছকে দাঁড় করিয়ে রাখে। دَآئِرَةُالسَّوْءِ শব্দটি এখানে رَجُلُالسَّوْءِ এর মত ব্যবহৃত হয়েছে। دَآئِرَةُ السُّوْءِ শাস্তি। تُعَزِّرُوْهُ তাঁরা তাঁকে সাহায্য করে। شَطْأَهُ কচি পাতা, একটি বীজ থেকে দশ, আট এবং সাতটি করে বীজ অঙ্কুরিত হয় এবং একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে। আল্লাহর বাণীঃ فَاٰزَرَهُ (এরপর এটা শক্তিশালী হয়) এর মধ্যে এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে। অঙ্কুর যদি একটি হয় তাহলে তা কান্ডের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। আল্লাহ্ তা’আলা এ উপমাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্বন্ধে ব্যবহার করেছেন, কেননা, প্রথমত তিনি একাই দাওয়াত নিয়ে উত্থিত হয়েছেন, তারপর সাহাবীদের দ্বারা (আল্লাহ্) তাকে শক্তিশালী করেছেন যেমন বীজ থেকে উদগত অঙ্কুর দ্বারা বীজ শক্তিশালী হয়।


৪৪৭৪। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা কোন এক সফরে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-ও চলছিলেন। উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তাঁকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন জবাব দেননি। তিনি আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কিন্তু তিনি কোন জবাব দিলেন না। তারপর তিনি আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, এবারও তিনি কোন জবাব দিলেন না। তখন উমর (রাঃ) (নিজেকে) বললেন, উমরের মা হারাক। তুমি তিনবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলে, কিন্তু একবারও তিনি তোমার জবাব দিলেন না।

উমর (রাঃ) বলেন, তারপর আমি আমার উটটি দ্রুত চালিয়ে লোকদের আগে চলে গেলাম এবং আমার ব্যাপারে কুরআন নাযিলের আশংকা করলাম। বেশিক্ষণ হয়নি, তখন শুনলাম এক আহবানকারী আমাকে আহবান করছে। আমি (মনে মনে) বললাম, আমি তো আশংকা করছিলাম যে, আমার ব্যাপারে কোন আয়াত নাযিল হতে পারে। তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, আজ রাতে আমার উপর এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, যা আমার কাছে, এই পৃথিবী, যার ওপর সূর্য উদিত হয়, তা থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি পাঠ করলেন, "নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়"।

باب إنا فتحنا لك فتحا مبينا

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلاً، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَىْءٍ، فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فُلَمْ يُجِبْهُ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَكِلَتْ أُمُّ عُمَرَ، نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، كُلَّ ذَلِكَ لاَ يُجِيبُكَ‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي، ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ النَّاسِ، وَخَشِيتُ أَنْ يُنْزَلَ فِيَّ الْقُرْآنُ، فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ‏.‏ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏"‏‏(‏إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا‏)‏‏"‏


Narrated Aslam: While Allah's Messenger (ﷺ) was proceeding at night during one of his journeys and `Umar bin Al-Khattab was traveling beside him, `Umar asked him about something but Allah's Messenger (ﷺ) did not reply. He asked again, but he did not reply, and then he asked (for the third time) but he did not reply. On that, `Umar bin Al-Khattab said to himself, "Thakilat Ummu `Umar (May `Umar's mother lose her son)! I asked Allah's Messenger (ﷺ) three times but he did not reply." `Umar then said, "I made my camel run faster and went ahead of the people, and I was afraid that some Qur'anic Verses might be revealed about me. But before getting involved in any other matter. I heard somebody calling me. I said to myself, 'I fear that some Qur'anic Verses have been revealed about me,' and so I went to Allah's Messenger (ﷺ) and greeted him. He (Allah's Messenger (ﷺ) ) said, 'Tonight a Sura has been revealed to me, and it is dearer to me than that on which the sun rises (i.e. the world)' Then he recited: "Verily, We have given you a manifest victory." (48.1)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সুরা আল-ফাতহর ফযীলত

৪৬৪৮। ইস্‌মাঈল (রহঃ) ... আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে রাতের বেলায় চলছিলেন এবং উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাঁর সাথে ছিলেন। তখন উমর (রাঃ) তাঁর কাছে কিছু জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন উত্তর দিলেন না। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এবারও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। এমতাবস্থায়, উমর (রাঃ) নিজকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! তুমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তিনবার প্রশ্ন করে কোন উত্তর পাওনি। উমর (রাঃ) বললেন, এরপর আমি আমার উটকে দ্রুত চালিয়ে সকলের আগে চলে গেলাম এবং আমি শঙ্কিত হলাম, না জানি আমার সম্পর্কে কুরআন অবতীর্ণ হয়। কিছুক্ষণ পর কেউ আমাকে ডাকছে, এমন আওয়োজ শুনতে পেলাম। আমি মনে আশংকা করলাম যে, হয়তো বা আমার সম্পর্কে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তখন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে গেলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন আজ রাতে আমার কাছে এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, যা আমার কাছে সূর্যালোক পতিত সকল স্থান হতেও উত্তম। এরপর তিনি পাঠ করলেন,إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا “নিশ্চয় আমি তোমাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি”।

باب فَضْلُ سُورَةِ الْفَتْحِ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلاً فَسَأَلَهُ عُمَرُ عَنْ شَىْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، فَقَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلَّ ذَلِكَ لاَ يُجِيبُكَ، قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي حَتَّى كُنْتُ أَمَامَ النَّاسِ وَخَشِيتُ أَنْ يَنْزِلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ ـ قَالَ ـ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ ـ قَالَ ـ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏(‏إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا‏)‏


Narrated Aslam: Allah's Messenger (ﷺ) was traveling on one of his journeys, and `Umar bin Al-Khattab was traveling along with him at night. `Umar asked him about something, but Allah's Messenger (ﷺ) did not answer him. He asked again, but he did not answer. He asked for the third time, but he did not answer. On that, `Umar said to himself, "May your mother lose you! You have asked Allah's Messenger (ﷺ) three times, but he did not answer at all!" `Umar said, "So I made my camel go fast till I was ahead of the people, and I was afraid that something might be revealed about me. After a little while I heard a call maker calling me, I said, 'I was afraid that some Qur'anic Verse might be revealed about me.' So I went to Allah's Apostle and greeted him. He said, 'Tonight there has been revealed to me a Surah which is dearer to me than that on which the sun shines (i.e. the world).' Then he recited: 'Verily! We have given you (O Muhammad), a manifest victory.' " (Surat al-Fath) No. (48.1).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৭২. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... আসলাম আবূ ইমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রোম সাম্রাজ্যের এক শহরে ছিলাম। তখন রোমকদের এক বিরাট বাহিনী আমদের দিকে বের হয়ে আসে। মুসলিমদের দিক থেকেও সে ধরনের বা আরো বেশী সংখ্যক তাদের দিকে অগ্রসর হয়। শহরবাসীর শাসক ছিলেন উকবা ইবন আমির। যার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন ফাযালা ইবন উবায়েদ। তখন মুসলিমদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি রোমক বাহিনীর উপর প্রচন্ড আত্রমণ চালান। এমনকি তাদের ভিতরে ঢুকে পড়ল। তখন মুসলিমগণ চীৎকার করে উঠলেন এবং বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! ঐ ব্যক্তি নিজ হাতে নিজকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করছে। এ সময় আবূ আয়্যূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আয়াতটির এই ব্যাখ্যা করছ? অথচ এই আয়াতটি আমাদের আনসারী সম্প্রদায়ের বিষয়েই নাযিল হয়েছিল। আল্লাহ্ তা’আলা যখন ইসলামকে শক্তিশালী করলেন এবং এর সাহায্যকারীর সংখ্যা বেড়ে গেল। তখন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে না শুনিয়ে চুপে চুপে পরস্পর বললামঃ আমাদের অর্থ-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলা এখন ইসলামকেও শক্তিশালী করেছেন। এর সাহায্যকারীও হয়েছে অনেক। এখন যদি আমরা আমাদের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষনে অবস্থান করি, তবে আমাদের যা নষ্ট হয়ে গেছে তা আমরা পরিপূরণ করতে সক্ষম হতাম। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবীর উপর এই আয়াত নাযিল করলেনঃ ‏ (وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلاَ تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ) তোমরা আল্লাহ পথে ব্যয় করবে আর নিজেদেরকে ধ্বংসের মাঝে নিক্ষেপ করবে না (২ঃ ১৯৫)। এর দ্বারা আল্লাহ্ পাক আমাদের মতামত খন্ডন করে দিলেন। সুতরাং ধন-সম্পদ তত্ত্বাবধান, তাতে ব্যস্ত থাকা এবং জিহাদ পরিত্যাগ করাই হল ধ্বংস। এ কারণেই আবূ আয়্যূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু সব সময়ই বাড়ী ঘর ছেড়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে থাকতেন। অবশেষে রোম দেশেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তথায় তাঁকে দাফন করা হয়।

সহীহ, সহীহাহ ১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৭২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَسْلَمَ أَبِي عِمْرَانَ التُّجِيبِيِّ، قَالَ كُنَّا بِمَدِينَةِ الرُّومِ فَأَخْرَجُوا إِلَيْنَا صَفًّا عَظِيمًا مِنَ الرُّومِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِثْلُهُمْ أَوْ أَكْثَرُ وَعَلَى أَهْلِ مِصْرَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ وَعَلَى الْجَمَاعَةِ فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى صَفِّ الرُّومِ حَتَّى دَخَلَ فِيهِمْ فَصَاحَ النَّاسُ وَقَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ يُلْقِي بِيَدَيْهِ إِلَى التَّهْلُكَةِ فَقَامَ أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَتَأَوَّلُونَ هَذِهِ الآيَةَ هَذَا التَّأْوِيلَ وَإِنَّمَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ لَمَّا أَعَزَّ اللَّهُ الإِسْلاَمَ وَكَثُرَ نَاصِرُوهُ فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ سِرًّا دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَمْوَالَنَا قَدْ ضَاعَتْ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعَزَّ الإِسْلاَمَ وَكَثُرَ نَاصِرُوهُ فَلَوْ أَقَمْنَا فِي أَمْوَالِنَا فَأَصْلَحْنَا مَا ضَاعَ مِنْهَا ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم يَرُدُّ عَلَيْنَا مَا قُلْنَا‏:‏ ‏(‏وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلاَ تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ‏)‏ فَكَانَتِ التَّهْلُكَةُ الإِقَامَةَ عَلَى الأَمْوَالِ وَإِصْلاَحَهَا وَتَرَكْنَا الْغَزْوَ فَمَا زَالَ أَبُو أَيُّوبَ شَاخِصًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى دُفِنَ بِأَرْضِ الرُّومِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏


Narrated Aslam bin 'Imran At-Tujibi: "We were in a Roman city, when a large column of Romans came out to us. So about the same number or more of the Muslims went towards them. The commander of the people of Egypt was 'Uqbah bin 'Amir, and the commenter of the (our) group was Fadalah bin 'Ubaid. One man among the Muslims reached the Roman line until he entered amidst them, so the people started screaming: 'Subhan Allah! He has thrown himself into destruction!' Abu Ayyub Al-Ansari said: 'O you people! You give this interpretation for this Ayah, while this Ayah was only revealed about us, the people among the Ansar, when Allah made Islam might, and increased its supporters. Some of us secretly said to each other, outside of the presence of the Messenger of Allah (ﷺ): "Our wealth has been ruined, and Allah has strengthened Islam, and increased its supporters, so if we tend to our wealth then what we lost of it shall be revitalized for us." So Allah, Blessed and Most High, revealed to His Prophet (ﷺ), rebuking what we said: 'And spend in the cause of Allah, and do not throw yourselves into destruction. (2:195)' So the destruction was tending to the wealth and maintaining it.' Abu Ayyub did not cease traveling in Allah's cause, until he was buried in the land of the Romans."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতহ

৩২৬২. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ....... আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনেছিঃ আমরা কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কথা বলতে গেলাম। কিন্তু তিনি চুপ করে রইলেন। এরপর আবার কথা বললাম কিন্তু তিনি চুপ করে রইলেন। তখন আমি আমার বাহন উটটি চালিয়ে সরে এলাম। আমি নিজেকে লক্ষ্য করে বললামঃ হে খাত্তাবের বেটা, তোমার মা পুত্রহারা হোন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তুমি তিন তিনবার একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছ কিন্তু তিনি একবারও তোমার সঙ্গে কথা বলেন নি। তোমার বিষয়ে কুরআনে কিছু নাযিল হওয়াটা বিচিত্র নয়। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে পারি নি অমনি জনৈক আহবানকারীকে আমার নাম নিয়ে ডাকতে শুনতে পেলাম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেনঃ হে খাত্তাব পুত্র। আজ রাতে আল্লাহ্ তা’আলা আমার উপর এমন একটি সূরা নাযিল করেছেন, যার বিনিময়ে সূর্যোদিত হয় এমন সব জিনিস (পৃথিবীর সবকিছু) লাভও আমার প্রিয় নয়। সেটি হলঃ (‏إنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا)

সহীহ, বুখারি ৪৮৩৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩২৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الفَتْحِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رضى الله عنه يَقُولُ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَكَلَّمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَكَتَ ثُمَّ كَلَّمْتُهُ فَسَكَتَ ثُمَّ كَلَّمْتُهُ فَسَكَتَ فَحَرَّكْتُ رَاحِلَتِي فَتَنَحَّيْتُ وَقُلْتُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لاَ يُكَلِّمُكَ مَا أَخْلَقَكَ أَنْ يَنْزِلَ فِيكَ قُرْآنٌ قَالَ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي قَالَ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ لَقَدْ أُنْزِلَ عَلَىَّ هَذِهِ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِهَا مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ‏:‏ ‏(‏إنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مَالِكٍ مُرْسَلاً ‏.‏


Narrated Malik bin Anas: from Zaid bin Aslam, from his father who said: "I heard 'Umar bin Al-Khattab [may Allah be pleased with him] saying: 'We were with the Messenger of Allah (ﷺ) during one of his journeys when I said something to him but he was silent. Then I said something again but he was silent. I quickened my pace of mount to go to the other wise. I said: "May your mother lose you O Ibn Al-Khattab! You pestered the Messenger of Allah (ﷺ) three times, each time he did not reply to you! You deserve that something be revealed about you in the Qur'an.'" He ('Umar) said: "It was not long before I heard a voice calling me.' So I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: "O Ibn Al-Khattab! A Surah was revealed to me last night which is dearer to me than what the sun rises upon: Verily, We have given you a manifest victory (48:1).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫/৬০. হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা।

১৬১০. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে দেখেছি। আর তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখতাম তাহলে আমিও তোমায় চুম্বন করতাম না। (১৫৯৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ,১৫০৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৫১১)

بَاب تَقْبِيلِ الْحَجَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا وَرْقَاءُ أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَقَالَ لَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ


Narrated Zaid bin Aslam that his father said: "I saw `Umar bin Al-Khattab kissing the Black Stone and he then said, (to it) 'Had I not seen Allah's Apostle kissing you, (stone) I would not have kissed you.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬/২০. মুসাফিরের সফর সফর যদি অসহনীয় হয়ে পড়ে সে দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসবে।

১৮০৫. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কার রাস্তায় আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। সাফিয়্যা বিনতু আবূ ‘উবায়দ (রাঃ)-এর মারাত্নক অসুস্থ হওয়ার খবর তাঁর নিকট পৌঁছল। তখন তিনি গতি বৃদ্ধি করলেন। (পশ্চিম আকাশের) লালিমা চলে যাবার পর সাওয়ারী হতে অবতরণ করে মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায় করেন। অতঃপর বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সফরে তাড়াতাড়ি চলার দরকার হলে তিনি মাগরিবকে দেরি করে মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায় করতেন। (১০৯১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৭৬. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৮৬ )

بَاب الْمُسَافِرِ إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ يُعَجِّلُ إِلَى أَهْلِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَبِطَرِيقِ مَكَّةَ فَبَلَغَهُ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ شِدَّةُ وَجَعٍ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى كَانَ بَعْدَ غُرُوبِ الشَّفَقِ نَزَلَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعَتَمَةَ جَمَعَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ وَجَمَعَ بَيْنَهُمَا


Narrated Zaid bin Aslam from his father: I was with Ibn `Umar on the way to Mecca, and he got the news that Safiya bint Abu Ubaid was seriously ill. So, he hastened his pace, and when the twilight disappeared, he dismounted and offered the Maghrib and `Isha' prayers together. Then he said, "I saw that whenever the Prophet (ﷺ) had to hasten when traveling, he would delay the Maghrib prayer and join them together (i.e. offer the Maghrib and the `Isha prayers together).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪১/১৪. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণের ওয়াক্ফ ও খাজনার জমি এবং তাঁদের কৃষিকাজ ও লেনদেন প্রসঙ্গে।

وَقَالَ النَّبِيُّ  لِعُمَرَ تَصَدَّقْ بِأَصْلِهِ لاَ يُبَاعُ وَلَكِنْ يُنْفَقُ ثَمَرُهُ فَتَصَدَّقَ بِهِ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি মূল জমিটা এ শর্তে সাদাকা কর যে, তা আর বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু তার উৎপাদন ব্যয় করা হবে। তখন তিনি এভাবেই সাদাকা করলেন।


২৩৩৪. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, পরবর্তী যুগের মুসলিমদের বিষয়ে যদি আমরা চিন্তা না করতাম, তবে যে সব এলাকা জয় করা হত, তা আমি মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করে দিতাম, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার বণ্টন করে দিয়েছিলেন। (৩১২৫, ৪২৩৫, ৪২৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৮৩)

 

بَاب أَوْقَافِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ وَأَرْضِ الْخَرَاجِ وَمُزَارَعَتِهِمْ وَمُعَامَلَتِهِمْ

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ عُمَرُ لَوْلاَ آخِرُ الْمُسْلِمِينَ مَا فَتَحْتُ قَرْيَةً إِلاَّ قَسَمْتُهَا بَيْنَ أَهْلِهَا كَمَا قَسَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ


Narrated Zaid bin Aslam from his father: `Umar said, "But for the future Muslim generations, I would have distributed the land of the villages I conquer among the soldiers as the Prophet (ﷺ) distributed the land of Khaibar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৬/১৩৬. ভ্রমণে ত্বরা করা।

৩০০০. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কার পথে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। পথে তাঁর নিকট সাফিয়্যাহ বিনতু আবূ ‘উবাইদ (রাঃ)-এর ভীষণ অসুস্থতার সংবাদ পৌঁছে। তখন তিনি দ্রতগতিতে চলতে থাকেন। এমনকি যখন সূর্যাস্তের পরে লালিমা কেটে গেল, তখন তিনি উট থেকে নেমে মাগরিব ও এশার সালাত একত্রে আদায় করেন। আর ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, যখন তাঁর দ্রুত গতিতে চলার প্রয়োজন দেখা দিত, তখন তিনি মাগরিবকে বিলম্বিত করে মাগরিব ও এশার উভয় সালাত একত্রে আদায় করতেন। (১০৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭৮৯)

بَابُ السُّرْعَةِ فِي السَّيْرِ

حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ زَيْدٌ هُوَ ابْنُ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بِطَرِيْقِ مَكَّةَ فَبَلَغَهُ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِيْ عُبَيْدٍ شِدَّةُ وَجَعٍ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى إِذَا كَانَ بَعْدَ غُرُوْبِ الشَّفَقِ ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعَتَمَةَ يَجْمَعُ بَيْنَهُمَا وَقَالَ إِنِّيْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ وَجَمَعَ بَيْنَهُمَا


Narrated Aslam: While I was in the company of `Abdullah bin `Umar on the way to Mecca, he received the news of the severe illness of Safiya bint Abi Ubaid (i.e. his wife), so he proceeded at greater speed, and when the twilight disappeared, he dismounted and offered the Maghrib and `Isha 'prayers together and said, " I saw the Prophet (ﷺ) delaying the Maghrib prayer to offer it along with the `Isha' when he was in a hurry on a journey."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬২/৬. পরিচ্ছেদ নাই।

৩৬৮৭. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমাকে ‘উমার (রাঃ)-এর বিভিন্ন গুণাবলী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি তাকে সে সম্পর্কে জ্ঞাত করলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পর কাউকে (এ সব গুণের অধিকারী) আমি দেখিনি। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়চেতা দানবীর ছিলেন। এ সকল গুণাগুণ যেন ‘উমার (রাঃ) পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৪১৯)

بَاب

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُمَرُ هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ سَأَلَنِيْ ابْنُ عُمَرَ عَنْ بَعْضِ شَأْنِهِ يَعْنِيْ عُمَرَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا قَطُّ بَعْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ حِيْنَ قُبِضَ كَانَ أَجَدَّ وَأَجْوَدَ حَتَّى انْتَهَى مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ


Narrated Aslam: Ibn `Umar asked me about some matters concerning `Umar. He said, "Since Allah's Messenger (ﷺ) died. I have never seen anybody more serious, hard working and generous than `Umar bin Al-Khattab (till the end of his life."


পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ

৪১৬০-৪১৬১. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে বাজারে বের হলাম। সেখানে একজন যুবতী মহিলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার স্বামী ছোট ছোট বাচ্চা রেখে মারা গেছেন। আল্লাহর কসম! তাদের খাওয়ার জন্য পাকানোর মতো কোন বাকরীর খুরও নেই এবং নেই কোন ফসলের ব্যবস্থা ও দুধেল উট, বাকরী। আমার আশঙ্কা হচ্ছে পোকা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে অথচ আমি হলাম খুফাফ ইবনু আইমা গিফারীর কন্যা। আমার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুদাইবিয়াহ্য় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) তাকে অতিক্রম না করে পার্শ্বে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, তোমার গোত্রকে মোবারাকবাদ। তাঁরা তো আমার খুব নিকটের মানুষ। এরপর তিনি ফিরে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উটের পিঠে তুলে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি তাকে খুব অধিক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।[১] আল্লাহর কসম! আমি দেখেছি এ মহিলার আববা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয় করেছিলেন। এরপর ঐ দূর্গ থেকে প্রাপ্ত তাদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের দাবী করি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৯)

بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة

إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى السُّوْقِ فَلَحِقَتْ عُمَرَ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ فَقَالَتْ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ هَلَكَ زَوْجِيْ وَتَرَكَ صِبْيَةً صِغَارًا وَاللهِ مَا يُنْضِجُوْنَ كُرَاعًا وَلَا لَهُمْ زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ وَخَشِيْتُ أَنْ تَأْكُلَهُمْ الضَّبُعُ وَأَنَا بِنْتُ خُفَافِ بْنِ إِيْمَاءَ الْغِفَارِيِّ وَقَدْ شَهِدَ أَبِي الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَقَفَ مَعَهَا عُمَرُ وَلَمْ يَمْضِ ثُمَّ قَالَ مَرْحَبًا بِنَسَبٍ قَرِيْبٍ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيْرٍ ظَهِيْرٍ كَانَ مَرْبُوْطًا فِي الدَّارِ فَحَمَلَ عَلَيْهِ غِرَارَتَيْنِ مَلَأَهُمَا طَعَامًا وَحَمَلَ بَيْنَهُمَا نَفَقَةً وَثِيَابًا ثُمَّ نَاوَلَهَا بِخِطَامِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتَادِيْهِ فَلَنْ يَفْنَى حَتَّى يَأْتِيَكُمْ اللهُ بِخَيْرٍ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ أَكْثَرْتَ لَهَا قَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ وَاللهِ إِنِّيْ لَأَرَى أَبَا هَذِهِ وَأَخَاهَا قَدْ حَاصَرَا حِصْنًا زَمَانًا فَافْتَتَحَاهُ ثُمَّ أَصْبَحْنَا نَسْتَفِيْءُ سُهْمَانَهُمَا فِيْهِ.


Narrated Aslam: Once I went with `Umar bin Al-Khattab to the market. A young woman followed `Umar and said, "O chief of the believers! My husband has died, leaving little children. By Allah, they have not even a sheep's trotter to cook; they have no farms or animals. I am afraid that they may die because of hunger, and I am the daughter of Khufaf bin Ima Al-Ghafari, and my father witnessed the Pledge of allegiance) of Al-Hudaibiya with the Prophet.' `Umar stopped and did not proceed, and said, "I welcome my near relative." Then he went towards a strong camel which was tied in the house, and carried on to it, two sacks he had loaded with food grains and put between them money and clothes and gave her its rope to hold and said, "Lead it, and this provision will not finish till Allah gives you a good supply." A man said, "O chief of the believers! You have given her too much." "`Umar said disapprovingly. "May your mother be bereaved of you! By Allah, I have seen her father and brother besieging a fort for a long time and conquering it, and then we were discussing what their shares they would have from that war booty."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ

৪১৬০-৪১৬১. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে বাজারে বের হলাম। সেখানে একজন যুবতী মহিলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার স্বামী ছোট ছোট বাচ্চা রেখে মারা গেছেন। আল্লাহর কসম! তাদের খাওয়ার জন্য পাকানোর মতো কোন বাকরীর খুরও নেই এবং নেই কোন ফসলের ব্যবস্থা ও দুধেল উট, বাকরী। আমার আশঙ্কা হচ্ছে পোকা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে অথচ আমি হলাম খুফাফ ইবনু আইমা গিফারীর কন্যা। আমার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুদাইবিয়াহ্য় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) তাকে অতিক্রম না করে পার্শ্বে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, তোমার গোত্রকে মোবারাকবাদ। তাঁরা তো আমার খুব নিকটের মানুষ। এরপর তিনি ফিরে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উটের পিঠে তুলে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি তাকে খুব অধিক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।[১] আল্লাহর কসম! আমি দেখেছি এ মহিলার আববা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয় করেছিলেন। এরপর ঐ দূর্গ থেকে প্রাপ্ত তাদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের দাবী করি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৯)

بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة

إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى السُّوْقِ فَلَحِقَتْ عُمَرَ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ فَقَالَتْ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ هَلَكَ زَوْجِيْ وَتَرَكَ صِبْيَةً صِغَارًا وَاللهِ مَا يُنْضِجُوْنَ كُرَاعًا وَلَا لَهُمْ زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ وَخَشِيْتُ أَنْ تَأْكُلَهُمْ الضَّبُعُ وَأَنَا بِنْتُ خُفَافِ بْنِ إِيْمَاءَ الْغِفَارِيِّ وَقَدْ شَهِدَ أَبِي الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَقَفَ مَعَهَا عُمَرُ وَلَمْ يَمْضِ ثُمَّ قَالَ مَرْحَبًا بِنَسَبٍ قَرِيْبٍ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيْرٍ ظَهِيْرٍ كَانَ مَرْبُوْطًا فِي الدَّارِ فَحَمَلَ عَلَيْهِ غِرَارَتَيْنِ مَلَأَهُمَا طَعَامًا وَحَمَلَ بَيْنَهُمَا نَفَقَةً وَثِيَابًا ثُمَّ نَاوَلَهَا بِخِطَامِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتَادِيْهِ فَلَنْ يَفْنَى حَتَّى يَأْتِيَكُمْ اللهُ بِخَيْرٍ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ أَكْثَرْتَ لَهَا قَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ وَاللهِ إِنِّيْ لَأَرَى أَبَا هَذِهِ وَأَخَاهَا قَدْ حَاصَرَا حِصْنًا زَمَانًا فَافْتَتَحَاهُ ثُمَّ أَصْبَحْنَا نَسْتَفِيْءُ سُهْمَانَهُمَا فِيْهِ.


Narrated Aslam: Once I went with `Umar bin Al-Khattab to the market. A young woman followed `Umar and said, "O chief of the believers! My husband has died, leaving little children. By Allah, they have not even a sheep's trotter to cook; they have no farms or animals. I am afraid that they may die because of hunger, and I am the daughter of Khufaf bin Ima Al-Ghafari, and my father witnessed the Pledge of allegiance) of Al-Hudaibiya with the Prophet.' `Umar stopped and did not proceed, and said, "I welcome my near relative." Then he went towards a strong camel which was tied in the house, and carried on to it, two sacks he had loaded with food grains and put between them money and clothes and gave her its rope to hold and said, "Lead it, and this provision will not finish till Allah gives you a good supply." A man said, "O chief of the believers! You have given her too much." "`Umar said disapprovingly. "May your mother be bereaved of you! By Allah, I have seen her father and brother besieging a fort for a long time and conquering it, and then we were discussing what their shares they would have from that war booty."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ

৪১৭৭. আসলামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন এক সফরে রাত্রিকালে চলছিলেন। এ সফরে ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-ও তাঁর সঙ্গে চলছিলেন। ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন উত্তর করলেন না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তিনি এবারও জবাব দিলেন না। এরপর আবার তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, এবারও উত্তর দিলেন না। তখন ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) মনে মনে বললেন, হে ‘উমার! তোমাকে তোমার মা হারিয়ে ফেলুক! তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনবার বিরক্ত করলে। কিন্তু কোনবারই তিনি তোমাকে জবাব দেননি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, এরপর আমি আমার উটকে তাড়িয়ে মুসলিমদের সম্মুখে চলে যাই। কারণ আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, হয়তো আমার ব্যাপারে কুরআন মাজীদের কোন আয়াত অবতীর্ণ হতে পারে। অধিক দেরি হয়নি এমন সময় শুনতে পেলাম এক লোক চীৎকার করে আমাকে ডাকছে। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমার ব্যাপারে হয়তো কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এ ভেবে আমি ভীত হয়ে পড়লাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে সালাম করলাম। তখন তিনি বললেন, আজ রাতে আমার প্রতি এমন একটি সূরাহ অবতীর্ণ হয়েছে যা আমার কাছে যার উপর সূর্য উদিত হয় তার থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি  إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِيْنًا পাঠ করলেন। [৪৮৩৩, ৫০১২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৬৪)

بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسِيْرُ فِيْ بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيْرُ مَعَهُ لَيْلًا فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا عُمَرُ نَزَرْتَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لَا يُجِيْبُكَ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيْرِيْ ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ الْمُسْلِمِيْنَ وَخَشِيْتُ أَنْ يَنْزِلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِيْ قَالَ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيْتُ أَنْ يَكُوْنَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ وَجِئْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ سُوْرَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَرَأَ(إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا).


Narrated Zaid bin Aslam: My father said, "Allah's Messenger (ﷺ) was proceeding at night on one of his journeys and `Umar bin Al- Khattab was going along with him. `Umar bin Al-Khattab asked him (about something) but Allah's Apostle did not answer him. `Umar asked him again, but he did not answer him. He asked him again (for the third time) but he did not answer him. On that `Umar bin Al-Khattab addressed himself saying, "May your mother be bereaved of you, O `Umar, for you have asked Allah's Messenger (ﷺ) thrice, yet he has not answered you." `Umar said, "Then I made my camel run fast and took it in front of the other Muslims, and I was afraid that something might be revealed in my connection. I had hardly waited for a moment when I heard somebody calling me. I said, 'I was afraid that something might have been revealed about me.' Then I came to Allah's Messenger (ﷺ) and greeted him. He (i.e. the Prophet) said, 'Tonight there has been revealed to me, a Sura which is dearer to me than (all the world) on which the sun rises,' and then he recited: 'Verily! We have granted you (O Muhammad) A manifest victory." (48.1)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৪৮/১. আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয় আমি আপনাকে এক প্রকাশ্য বিজয় দান করেছি (সূরাহ আল-ফাত্হ ৪৮/১)

(48) سُوْرَةُ الْفَتْحِ

সূরাহ (৪৮) : আল-ফাত্হ

قَالَ مُجَاهِدٌ (بُوْرًا) هَالِكِيْنَ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (سِيْمَاهُمْ فِيْ وُجُوْهِهِمْ) السَّحْنَةُ وَقَالَ مَنْصُوْرٌ عَنْ مُجَاهِدٍ التَّوَاضُعُ (شَطْأَهُ) فِرَاخَهُ فَاسْتَغْلَظَ غَلُظَ (سُوْقِهِ) السَّاقُ حَامِلَةُ الشَّجَرَةِ وَيُقَالُ دَائِرَةُ السَّوْءِ كَقَوْلِكَ رَجُلُ السَّوْءِ وَدَائِرَةُ السُّوْءِ الْعَذَابُ تُعَزِّرُوْهُ تَنْصُرُوْهُ شَطْأَهُ شَطْءُ السُّنْبُلِ تُنْبِتُ الْحَبَّةُ عَشْرًا أَوْ ثَمَانِيًا وَسَبْعًا فَيَقْوَى بَعْضُهُ بِبَعْضٍ فَذَاكَ قَوْلُهُ تَعَالَى فَآزَرَهُ قَوَّاهُ وَلَوْ كَانَتْ وَاحِدَةً لَمْ تَقُمْ عَلَى سَاقٍ وَهُوَ مَثَلٌ ضَرَبَهُ اللهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ خَرَجَ وَحْدَهُ ثُمَّ قَوَّاهُ بِأَصْحَابِهِ كَمَا قَوَّى الْحَبَّةَ بِمَا يُنْبِتُ مِنْهَا.

মুজাহিদ বলেন, سِيْمَاهُمْ فِيْ وُجُوْهِهِمْ তাদের মুখমণ্ডল ের নিদর্শন। মানসূর মুজাহিদের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, এর অর্থ হচ্ছে বিনয় ও নম্রতা। شَطْأَهُ অর্থ, কচি পাতা। فَاسْتَغْلَظَ পুষ্ট হয়। سُوْقِهِ ঐ কান্ড যা গাছকে দাঁড় করিয়ে রাখে। دَآئِرَةُالسَّوْءِ শব্দটি এখানে رَجُلُالسَّوْءِ-এর মত ব্যবহৃত হয়েছে। دَآئِرَةُالسُّوْءِ শাস্তি। تُعَزِّرُوْهُ তাঁরা তাঁকে সাহায্য করে। شَطْأَهُ কচি পাতা, একটি বীজ থেকে দশ, আট এবং সাতটি করে বীজ অঙ্কুরিত হয় এবং একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে। আল্লাহর বাণীঃ فَاٰزَرَهُ (এরপর এটা শক্তিশালী হয়) এর মধ্যে এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে। অঙ্কুর যদি একটি হয় তাহলে তা কান্ডের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। আল্লাহ্ তা’আলা এ উপমাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্বন্ধে ব্যবহার করেছেন, কেননা, প্রথমত তিনি একাই দাওয়াত নিয়ে উত্থিত হয়েছেন, তারপর সাহাবীদের দ্বারা (আল্লাহ্) তাকে শক্তিশালী করেছেন যেমন বীজ থেকে উদগত অঙ্কুর দ্বারা বীজ শক্তিশালী হয়।


৪৮৩৩. আসলাম (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা কোন এক সফরে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-ও চলছিলেন। ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তাঁকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন উত্তর দিলেন না। তিনি আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তারপর তিনি আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, এবারও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তখন ’উমার (রাঃ) (নিজেকে) বললেন, উমরের মা হারিয়ে যাক। তুমি তিনবার রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলে, কিন্তু একবারও তিনি তোমার জবাব দিলেন না।

’উমার (রাঃ) বলেন, তারপর আমি আমার উটটি দ্রুতবেগে চালিয়ে লোকদের আগে চলে গেলাম এবং আমার ব্যাপারে কুরআন নাযিলের আশংকা করলাম। অধিকক্ষণ হয়নি, তখন শুনলাম এক আহবানকারী আমাকে ডাকছে। আমি (মনে মনে) বললাম, আমি তো আশংকা করছিলাম যে, আমার ব্যাপারে কোন আয়াত অবতীর্ণ হতে পারে। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, আজ রাতে আমার উপর এমন একটি সূরাহ নাযিল হয়েছে, যা আমার কাছে, এই পৃথিবী, যার ওপর সূর্য উদিত হয়,তা থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি পাঠ করলেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়। [৪১৭৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৭০)

بَاب :{إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا}

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسِيْرُ فِيْ بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيْرُ مَعَهُ لَيْلًا فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَكِلَتْ أُمُّ عُمَرَ نَزَرْتَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلَّ ذَلِكَ لَا يُجِيْبُكَ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيْرِيْ ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ النَّاسِ وَخَشِيْتُ أَنْ يُنْزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِيْ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيْتُ أَنْ يَكُوْنَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَجِئْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ سُوْرَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَرَأَ (إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا).


Narrated Aslam: While Allah's Messenger (ﷺ) was proceeding at night during one of his journeys and `Umar bin Al-Khattab was traveling beside him, `Umar asked him about something but Allah's Messenger (ﷺ) did not reply. He asked again, but he did not reply, and then he asked (for the third time) but he did not reply. On that, `Umar bin Al-Khattab said to himself, "Thakilat Ummu `Umar (May `Umar's mother lose her son)! I asked Allah's Messenger (ﷺ) three times but he did not reply." `Umar then said, "I made my camel run faster and went ahead of the people, and I was afraid that some Qur'anic Verses might be revealed about me. But before getting involved in any other matter. I heard somebody calling me. I said to myself, 'I fear that some Qur'anic Verses have been revealed about me,' and so I went to Allah's Messenger (ﷺ) and greeted him. He (Allah's Messenger (ﷺ) ) said, 'Tonight a Sura has been revealed to me, and it is dearer to me than that on which the sun rises (i.e. the world)' Then he recited: "Verily, We have given you a manifest victory." (48.1)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসলাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »