আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৪৫ টি

পরিচ্ছেদঃ ৩৯২। পরিবার-পরিজন ও মেহমানদের সাথে রাতে কথাবার্তা বলা।

৫৭৫। মাহমূদ (রহঃ) .... আবদুর-রাহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আসহাবে সুফ্‌ফা ছিলেন খুবই দরিদ্র। (একদা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার কাছে দু’জনের আহার আছে সে যেন (তাঁদের থেকে) তৃতীয় জনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। আর যার কাছে চারজনের আহারের সংস্থান আছে, সে যেন পঞ্চম বা ষষ্ঠজন সঙ্গে নিয়ে যায়। আবূ বকর (রাঃ) তিনজন সাথে নিয়ে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজন নিয়ে আসেন। আবদুর রাহমান (রাঃ) বলেন, আমাদের ঘরে এবং আবূ বকরের ঘরে আমি, আমার পিতা ও মাতা (এই তিন জন সদস্য) ছিলাম। রাবী বলেন, আমি জানিনা, তিনি আমার স্ত্রী এবং খাদিম একথা বলেছিলেন কি না?

আবূ বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং ইশার সালাত (নামায/নামাজ) পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। ইশার সালাতের পর তিনি আবার (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে) ফিরে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের আহার শেষ করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। আল্লাহর ইচ্ছায় কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বাড়ী ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, মেহমানদের কাছে আসতে কিসে আপনাকে ব্যস্ত রেখেছিল? কিংবা তিনি বলেছিলেন, (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) মেহমান থেকে। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, এখনও তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেন, আপনি না আসা পর্যন্ত তারা খেতে অস্বীকার করেন। তাদের সামনে হাযির করা হয়েছিল, তবে তারা খেতে সম্মত হননি।

তিনি (রাগান্বিত হয়ে) বললেন, ওরে বোকা এবং ভর্ৎসনা করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, খেয়ে নিন। আপনারা অস্বস্তিতে ছিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এ কখনই খাব না। আবদুর রাহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা লুক্‌মা উঠিয়ে নিতেই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ আগের চাইতে অধিক খাবার রয়ে গেল।

আবূ বকর (রাঃ) খাবারের দিকে তাকিয়ে দেখেতে পেলেন তা আগের সমপরিমাণ কিংবা তার চাইতেও বেশী। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, হে বনূ ফিরাসের বোন। এ কি? তিনি বললেন, আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো এখন আগের চাইতে তিনগুন বেশী! আবূ বকর (রাঃ)-ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, আমার সে শপথ শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়েছিল। এরপর তিনি আরও লুক্‌মা মুখে দিলেন এবং অবশিষ্ট খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে নিয়ে গেলেন।

ভোর পর্যন্ত সে খাদ্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেখানেই ছিল। এদিকে আমাদের ও অন্য একটি গোত্রের মাঝে সে সন্ধি ছিল তার সময়সীমা পূর্ন হয়ে যায়। (এবং তারা মদিনায় আসে) আমরা তাদের বারজনের নেতৃত্বে ভাগ করে দেই। তাদের প্রত্যকের সংগেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যকের সঙ্গে কতজন ছিল তা আল্লাহই জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য থেকে আহার করেন। (রাবী বলেন) কিংবা আবদুর রাহমান (রাঃ) যেভাবে বর্ণনা করেছেন।

باب السَّمَرِ مَعَ الضَّيْفِ وَالأَهْلِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ، كَانُوا أُنَاسًا فُقَرَاءَ، وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَالِثٍ، وَإِنْ أَرْبَعٌ فَخَامِسٌ أَوْ سَادِسٌ ‏"‏‏.‏ وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ، قَالَ فَهْوَ أَنَا وَأَبِي وَأُمِّي، فَلاَ أَدْرِي قَالَ وَامْرَأَتِي وَخَادِمٌ بَيْنَنَا وَبَيْنَ بَيْتِ أَبِي بَكْرٍ‏.‏ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لَبِثَ حَيْثُ صُلِّيَتِ الْعِشَاءُ، ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى تَعَشَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ، قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ وَمَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ ـ أَوْ قَالَتْ ضَيْفِكَ ـ قَالَ أَوَمَا عَشَّيْتِيهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ، قَدْ عُرِضُوا فَأَبَوْا‏.‏ قَالَ فَذَهَبْتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ فَقَالَ يَا غُنْثَرُ، فَجَدَّعَ وَسَبَّ، وَقَالَ كُلُوا لاَ هَنِيئًا‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَدًا، وَايْمُ اللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا‏.‏ قَالَ يَعْنِي حَتَّى شَبِعُوا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا هِيَ كَمَا هِيَ أَوْ أَكْثَرُ مِنْهَا‏.‏ فَقَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا قَالَتْ لاَ وَقُرَّةِ عَيْنِي لَهِيَ الآنَ أَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مَرَّاتٍ‏.‏ فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ ـ يَعْنِي يَمِينَهُ ـ ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً، ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ، وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَقْدٌ، فَمَضَى الأَجَلُ، فَفَرَّقَنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً، مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ، اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ، أَوْ كَمَا قَالَ‏.‏


`Abdur Rahman bin Abi Bakr said, "The Suffa Companions were poor people and the Prophet (s) said, 'Whoever has food for two persons should take a third one from them (Suffa companions). And whosoever has food for four persons he should take one or two from them' Abu Bakr took three men and the Prophet (s) took ten of them." `Abdur Rahman added, my father my mother and I were there (in the house). (The sub-narrator is in doubt whether `Abdur Rahman also said, 'My wife and our servant who was common for both my house and Abu Bakr's house). Abu Bakr took his supper with the Prophet (s) and remained there till the `Isha' prayer was offered. Abu Bakr went back and stayed with the Prophet (s) till the Prophet (s) took his meal and then Abu Bakr returned to his house after a long portion of the night had passed. Abu Bakr's wife said, 'What detained you from your guests (or guest)?' He said, 'Have you not served them yet?' She said, 'They refused to eat until you come. The food was served for them but they refused." `Abdur Rahman added, "I went away and hid myself (being afraid of Abu Bakr) and in the meantime he (Abu Bakr) called me, 'O Ghunthar (a harsh word)!' and also called me bad names and abused me and then said (to his family), 'Eat. No welcome for you.' Then (the supper was served). Abu Bakr took an oath that he would not eat that food. The narrator added: By Allah, whenever any one of us (myself and the guests of Suffa companions) took anything from the food, it increased from underneath. We all ate to our fill and the food was more than it was before its serving. Abu Bakr looked at it (the food) and found it as it was before serving or even more than that. He addressed his wife (saying) 'O the sister of Bani Firas! What is this?' She said, 'O the pleasure of my eyes! The food is now three times more than it was before.' Abu Bakr ate from it, and said, 'That (oath) was from Satan' meaning his oath (not to eat). Then he again took a morsel (mouthful) from it and then took the rest of it to the Prophet. So that meal was with the Prophet. There was a treaty between us and some people, and when the period of that treaty had elapsed the Prophet (s) divided us into twelve (groups) (the Prophet's companions) each being headed by a man. Allah knows how many men were under the command of each (leader). So all of them (12 groups of men) ate of that meal."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১১৭. তান’ঈম থেকে ‘উমরা করা।

১৬৬৯। ’আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ’আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সাওয়ারীর পিঠে ’আয়িশা (রাঃ) কে বসিয়ে তান’ঈম থেকে ’উমরা করানোর নির্দেশ দেন। রাবী সুফিয়ান (রহঃ) একবার বলেন, এ হাদীস আমি ’আমরের কাছে বহুবার শুনেছি।

باب عُمْرَةِ التَّنْعِيمِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يُرْدِفَ عَائِشَةَ، وَيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً سَمِعْتُ عَمْرًا، كَمْ سَمِعْتُهُ مِنْ عَمْرٍو‏.‏


Narrated `Amr bin Aus: `Abdur-Rahman bin Abu Bakr told me that the Prophet (ﷺ) had ordered him to let `Aisha ride behind him and to make her perform `Umra from at-Tan`im.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩৭৫. মুশরিক ও শত্রুপক্ষের সাথে বেচা-কেনা।

২০৭৫. আবূ নু’মান (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। এ সময়ে এলোমেলো লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এক মুশরিক ব্যাক্তি তার বকরী হাঁকিয়ে উপস্থিত হল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, এটা কি বিক্রির জন্য, না দান হিসেবে, অথবা তিনি বললেন, না হেবা হিসাবে? সে বলল, বরং বিক্রির জন্য। তখন তিনি তার কাছ থেকে একটি বকরী খরিদ করলেন।

باب الشِّرَاءِ وَالْبَيْعِ مَعَ الْمُشْرِكِينَ وَأَهْلِ الْحَرْبِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بَيْعًا أَمْ عَطِيَّةً أَوْ قَالَ أَمْ هِبَةً ‏"‏‏.‏ قَالَ لاَ بَلْ بَيْعٌ‏.‏ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً‏.‏


Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Bakr: We were with the Prophet (ﷺ) when a tall pagan with long matted unkempt hair came driving his sheep. The Prophet (ﷺ) asked him, "Are those sheep for sale or for gifts?" The pagan replied, "They are for sale." The Prophet (ﷺ) bought one sheep from him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬৩২. মুশরিকদের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা।

২৪৪২। আবূ নু’মান (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (কোন এক সফরে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমরা একশ ত্রিশজন লোক ছিলাম। সে সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কারো সাথে কি খাবার আছে? দেখা গেল, এক ব্যাক্তির সঙ্গে এক সা’ কিংবা তার কমবেশী পরিমান খাদ্য (আটা) আছে। সে আটা গোলানো হল। তারপর দীর্ঘ দেহী এলোমেলো চুল বিশিষ্ট এক মুশরিক এক পাল বকরী হাকিয়ে নিয়ে এল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন। বিক্রি করবে, না, উপহার দিবে? সে বলল না, বরং বিক্রি করব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছ থেকে একটা বকরী কিনে নিলেন। একশ ত্রিশজনের প্রত্যেককে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই কলিজার কিছু কিছু করে দিলেন। যে উপস্থিত ছিল, তাকে হাতে দিলেন; আর যে অনুপস্থিত ছিলো, তার জন্য তুলে রাখলেন। তারপর দু’টি পাত্রে তিনি মাংস ভাগ করে রাখলেন। সবাই তৃপ্তির সাথে খেলেন। আর উভয় পাত্রে কিছু উদ্বৃত্ত থেকে গেল। সেগুলো আমরা উটের পিঠে উঠিয়ে নিলাম। অথবা রাবী যা বললেন।

باب قَبُولِ الْهَدِيَّةِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثِينَ وَمِائَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ ‏"‏‏.‏ فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ، فَعُجِنَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَيْعًا أَمْ عَطِيَّةً ـ أَوْ قَالَ ـ أَمْ هِبَةً ‏"‏‏.‏ قَالَ لاَ، بَلْ بَيْعٌ‏.‏ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً، فَصُنِعَتْ وَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَوَادِ الْبَطْنِ أَنْ يُشْوَى، وَايْمُ اللَّهِ مَا فِي الثَّلاَثِينَ وَالْمِائَةِ إِلاَّ قَدْ حَزَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَهُ حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا، إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهَا إِيَّاهُ، وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَأَ لَهُ، فَجَعَلَ مِنْهَا قَصْعَتَيْنِ، فَأَكَلُوا أَجْمَعُونَ، وَشَبِعْنَا، فَفَضَلَتِ الْقَصْعَتَانِ، فَحَمَلْنَاهُ عَلَى الْبَعِيرِ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ‏.‏


Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Bakr: We were one-hundred and thirty persons accompanying the Prophet (ﷺ) who asked us whether anyone of us had food. There was a man who had about a Sa of wheat which was mixed with water then. A very tall pagan came driving sheep. The Prophet (ﷺ) asked him, "Will you sell us (a sheep) or give it as a present?" He said, "I will sell you (a sheep)." The Prophet (ﷺ) bought a sheep and it was slaughtered. The Prophet ordered that its liver and other Abdominal organs be roasted. By Allah, the Prophet (ﷺ) gave every person of the one-hundred-and-thirty a piece of that; he gave all those of them who were present; and kept the shares of those who were absent. The Prophet (ﷺ) then put its meat in two huge basins and all of them ate to their fill, and even then more food was left in the two basins which were carried on the camel (or said something like it).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮৬৬. উটের পিঠে আপন ভাইয়ের পেছনে মহিলাকে বসানো

২৭৭৭। আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ)-কে আমার পেছনে বসিয়ে তানয়ীম থেকে উমরার ইহরাম করিয়ে আনতে আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন।

باب إِرْدَافِ الْمَرْأَةِ خَلْفَ أَخِيهَا

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَمَرَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ أُرْدِفَ عَائِشَةَ وَأُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ‏.‏


Narrated `Abdur-Rahman bin Abi Bakr As-Siddiq: The Prophet (ﷺ) ordered me to let `Aisha sit behind me (on the animal) and to let her perform `Umra from at-Tan`im.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুয়্যতের নিদর্শনসমূহ

৩৩২৮। মূসা ইবনু ইসমাইল (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) বর্ণনা করেন, আসহাবে সুফফায় কতিপয় অসহায় দরিদ্র লোক ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেন, যার ঘরে দু’জনের পরিমান খাওয়ার আছে সে যেন এদের মধ্য থেকে তৃতীয় একজন নিয়ে যায়। আর যার ঘরে চার জনের পরিমান খাওয়ার আছে সে এদের মধ্য থেকে পঞ্চম একজন বা ষষ্ঠ একজনকে নিয়ে যায় অথবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন। আবূ বকর (রাঃ) তিনজন নিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিলেন দশজন। আবদুর রহমান বলেন, (আমরা বাড়ীতে ছিলাম তিনজন)। আমি আমার আব্বা ও আম্মা। আবূ উসমান বলেন, আমার মনে নাই আবদুর রহমান (রাঃ) কি ইহাও বলেছিলেন যে আমার স্ত্রী ও আমাদের পিতা-পুত্রের একজন গৃহভৃত্যও ছিল।

আবূ বকর (রাঃ) ঐ রাতে নবীজীর বাড়ীতেই খেয়ে নিলেন এবং ইশার সালাত (নামায/নামাজ) পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করলেন। ইশার সালাতের পর পুনরায় তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গৃহে গমন করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের আহার গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তথায়ই অবস্থান করলেন। অনেক রাতের পর গৃহে ফিরলেন। তখন তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, মেহমান পাঠিয়ে দিয়ে আপনি এতক্ষন কোথায় ছিলেন? তিনি বললেন, তাদের কি এখনও রাতের আহার দাওনি? স্ত্রী বললেন, আপনার না আসা পর্যন্ত তারা আহার খেতে রাযী হননি। তাদেরকে ঘরের লোকজন আহার দিয়েছিল। কিন্তু তাদের অসম্মতির নিকট আমাদের লোকজনকে হার মানতে হয়েছে। আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আমি (অবস্থা বেগতিক দেখে) তাড়াতাড়ি কেটে পড়লাম। আবূ বকর (রাঃ) (আমাকে উদ্দেশ্য করে) বললেন, ওরে বেওকুফ! আহম্মক! আরো কিছু কড়া কথা বলে ফেললেন।

তারপর মেহমান পক্ষকে সম্বোধন করে বললেন, আপনারা খেয়ে নিন। আমি কিছুতেই খাবো না। (মধ্যে আরো কিছু কথা কাটাকাটি হয়ে গেল অবশেষে সকলেই খেতে বসলেন।) আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা যখন গ্রাস তুলে নেই তখন দেখি পাত্রের খাবার অনেক বেড়ে যায়। খাওয়ার শেষে আবূ বকর (রাঃ) লক্ষ্য করলেন যে, পরিতৃপ্তভাবে আহারের পরও পাত্রে খাবার পূর্বাপেক্ষা অধিক রয়ে গেছে। তখন স্ত্রীকে লক্ষ করে বললেন, হে বনী ফিরাস গোত্রের বোন, ব্যাপার কি? তিনি বললেন, হে আমার নয়নমণি। খাদ্যের পরিমান এখন তিনগুণের চেয়ে অধিক রয়েছে।

আবূ বকর (রাঃ) তা থেকে কয়েক গ্রাস খেলেন এবং বললেন, আমার কসম শয়তানের প্ররোচনায় ছিল। তারপর অবশিষ্ট খাদ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে গেলেন এবং ভোর পর্যন্ত ঐ খাদ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হেফাযতে রইল। রাবী বলেন, আমাদের (মুসলিমদের) ও অন্য একটি গোত্রের মধ্যে সন্ধি ছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতে তাদের মোকাবেলা করার জন্য আমাদের বার জনকে নেতা মনোনীত করা হল। প্রত্যেক নেতার অধীনে আবার কয়েকজন করে লোক ছিল। আল্লাহই ভালো জানেন তাদের প্রত্যেকের সাথে কতজন করে দেয়া হয়েছিল! আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, এদের প্রত্যেকেই এ খাবার থেকে খেয়ে নিলেন। অথবা তিনি যা বলেছেন।

باب عَلاَمَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلاَمِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ أَصْحَابَ، الصُّفَّةِ كَانُوا أُنَاسًا فُقَرَاءَ، وَأَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً ‏ "‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَالِثٍ، وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ أَوْ سَادِسٍ ‏"‏‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ، وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ وَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ، وَأَبُو بَكْرٍ وَثَلاَثَةً، قَالَ فَهْوَ أَنَا وَأَبِي وَأُمِّي ـ وَلاَ أَدْرِي هَلْ قَالَ امْرَأَتِي وَخَادِمِي ـ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْنَ بَيْتِ أَبِي بَكْرٍ، وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى تَعَشَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ، قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ أَوْ ضَيْفِكَ‏.‏ قَالَ أَوَ عَشَّيْتِهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ، قَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوهُمْ، فَذَهَبْتُ فَاخْتَبَأْتُ، فَقَالَ يَا غُنْثَرُ‏.‏ فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ كُلُوا وَقَالَ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَدًا‏.‏ قَالَ وَايْمُ اللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنَ اللُّقْمَةِ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا حَتَّى شَبِعُوا، وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلُ، فَنَظَرَ أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا شَىْءٌ أَوْ أَكْثَرُ قَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ‏.‏ قَالَتْ لاَ وَقُرَّةِ عَيْنِي لَهْىَ الآنَ أَكْثَرُ مِمَّا قَبْلُ بِثَلاَثِ مَرَّاتٍ‏.‏ فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ، وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ الشَّيْطَانُ ـ يَعْنِي يَمِينَهُ ـ ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً، ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ‏.‏ وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ، فَمَضَى الأَجَلُ، فَتَفَرَّقْنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ‏.‏ اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ، غَيْرَ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ، قَالَ أَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ‏.‏
وَغَيْرُهُ يَقُولُ فَعَرَفْنَا مِنْ الْعِرَافَةِ


Narrated `Abdur-Rahman bin Abi Bakr: The companions of Suffa were poor people. The Prophet (ﷺ) once said, "Whoever has food enough for two persons, should take a third one (from among them), and whoever has food enough for four persons, should take a fifth or a sixth (or said something similar)." Abu Bakr brought three persons while the Prophet (ﷺ) took ten. And Abu Bakr with his three family member (who were I, my father and my mother) (the sub-narrator is in doubt whether `Abdur-Rahman said, "My wife and my servant who was common for both my house and Abu Bakr's house.") Abu Bakr took his supper with the Prophet (ﷺ) and stayed there till he offered the `Isha' prayers. He returned and stayed till Allah's Messenger (ﷺ) took his supper. After a part of the night had passed, he returned to his house. His wife said to him, "What has detained you from your guests?" He said, "Have you served supper to them?" She said, "They refused to take supper until you come. They (i.e. some members of the household) presented the meal to them but they refused (to eat)" I went to hide myself and he said, "O Ghunthar!" He invoked Allah to cause my ears to be cut and he rebuked me. He then said (to them): Please eat!" and added, I will never eat the meal." By Allah, whenever we took a handful of the meal, the meal grew from underneath more than that handful till everybody ate to his satisfaction; yet the remaining food was more than the original meal. Abu Bakr saw that the food was as much or more than the original amount. He called his wife, "O sister of Bani Firas!" She said, "O pleasure of my eyes. The food has been tripled in quantity." Abu Bakr then started eating thereof and said, "It (i.e. my oath not to eat) was because of Sa all." He took a handful from it, and carried the rest to the Prophet. So that food was with the Prophet (ﷺ) . There was a treaty between us and some people, and when the period of that treaty had elapsed, he divided US into twelve groups, each being headed by a man. Allah knows how many men were under the command of each leader. Anyhow, the Prophet (ﷺ) surely sent a leader with each group. Then all of them ate of that meal.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১১০. পরিতৃপ্ত হওয়া পর্যন্ত আহার করা।

৪৯৯০। মুসা (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমরা একশ-তিরিশ জন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কারো কাছে কিছু খাবার আছে কি? দেখা গেল এক ব্যাক্তির কাছে প্রায় এক সা’ পরিমাণ খাবার আছে। এগুলো গুলিয়ে খামীর করা হলো। তারপর দীর্ঘ দেহী দীর্ঘ কেশী এক মুশরিক ব্যাক্তি একটা বকরী হাকিয়ে নিয়ে আসলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটাকি বিক্রির জন্য, না উপঢৌকন অথবা তিনি বললেনঃ দানের জন্য? লোকটি বললোঃ না, আমি বরং বিক্রি করবো। তিনি তার কাছ থেকে সেটি কিনে নিলেন। পরে সেটি যবেহ করে বানানো হলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কলিজা ইত্যাদি রান্না করতে নির্দেশ দিলেন। আল্লাহর কসম! (আহারের সময়) তিনি একশ ত্রিশজনের প্রত্যেককেই এক টুকরা করে কলিজা ইত্যাদি দিলেন। যারা উপস্থিত ছিল তাদের তো দিলেনই। আর যারা অনুপস্থিত ছিল তাদের জন্যও তিনি টুকরাগুলো তুলে রাখলেন। তারপর খাবারগুলো দুটি পাত্রে রাখলেন। আমরা সকলে তৃপ্তিসহ আহার করলাম। এরপরও উভয় পাত্রে খাবার অবশিষ্ট থাকল। আমি তা উটের পিঠে তুললাম। কিংবা রাবী যা বলেছেন।

باب مَنْ أَكَلَ حَتَّى شَبِعَ

حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ وَحَدَّثَ أَبُو عُثْمَانَ، أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثِينَ وَمِائَةً، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ ‏"‏‏.‏ فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ، فَعُجِنَ، ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبَيْعٌ أَمْ عَطِيَّةٌ أَوْ ـ قَالَ ـ هِبَةٌ ‏"‏‏.‏ قَالَ لاَ بَلْ بَيْعٌ‏.‏ قَالَ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً فَصُنِعَتْ، فَأَمَرَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَوَادِ الْبَطْنِ يُشْوَى، وَايْمُ اللَّهِ مَا مِنَ الثَّلاَثِينَ وَمِائَةٍ إِلاَّ قَدْ حَزَّ لَهُ حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا، إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهَا إِيَّاهُ، وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَأَهَا لَهُ، ثُمَّ جَعَلَ فِيهَا قَصْعَتَيْنِ فَأَكَلْنَا أَجْمَعُونَ وَشَبِعْنَا، وَفَضَلَ فِي الْقَصْعَتَيْنِ، فَحَمَلْتُهُ عَلَى الْبَعِيرِ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ‏.‏


Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Bakr: We were one hundred and thirty men sitting with the Prophet. The Prophet (ﷺ) said, "Have anyone of you any food with him?" It happened that one man had one Sa of wheat flour (or so) which was turned into dough then. After a while a tall lanky pagan came, driving some sheep. The Prophet (ﷺ) asked, 'Will you sell us (a sheep), or give (it to) us as a gift?" The pagan said, "No, but I will sell it " So the Prophet bought from him a sheep which was slaughtered, and then the Prophet (ﷺ) ordered that the liver, the kidneys, lungs and heart, etc., of that sheep be roasted. By Allah, none of those one hundred and thirty men but had his share of those things. The Prophet (ﷺ) gave to those who were present, and also kept a share for those who were absent He then served that cooked sheep in two big trays and we all ate together our fill; yet there remained a part of it in those two trays which I carried on the camel.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫২০. মেহমানের সামনে কারো উপর রাগ করা, আর অসহনশীল হওয়া অনুচিত

৫৭১০। আয়্যাশ ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) কিছু লোককে মেহমান হিসাবে গ্রহন করলেন। তিনি (তার পুত্র) আবদুর রহমান কে নির্দেশ দিলেন, তোমার এ মেহমানদের নিয়ে যাও। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যাচ্ছি। আমি ফিরে আসার পূর্বে তুমি তাদের খাইয়ে দাইয়ে অবসর হয়ে যেয়ো। আবদুর রহমান (রাঃ) তাদের নিয়ে চলে গেলেন এবং তার ঘরে যা ছিল তা সামনে পেশ করে দিয়ে তাদের বললেনঃ আপনারা খেয়ে নিন। তাঁরা বললেন আমাদের এ বাড়ীর মালিক কোথায়? তিনি বললেনঃ আপনারা খেয়ে নিন। তারা বললেন বাড়ীর মালিক না আসা পর্যন্ত আমরা খাবো না। তিনি বললেনঃ আমাদের পাত্র থেকে আপনারা আপনাদের খাবার খেয়ে নিন। কারন আপনারা না খেলে তিনি এসে আমার উপর রাগ করবেন। কিন্তু তাঁরা অস্বীকার করলেন।

আমি ভাবলাম যে তিনি অবশ্যই আমার উপর ক্ষুব্ধ হবেন। তারপর তিনি ফিরে আসলে আমি তার থেকে এক পাশে সরে পড়লাম। তিনি তাদের জিজাসা করলেন, আপনারা কী করেছেন। তখন তারা তাঁকে সব বর্ণনা করলেন। তখন তিনি বললেনঃ হে আবদুর রহমান! তখন আমি চুপ করে রইলাম। তিনি আবার ডাকলেন, হে আবদুর রহমান। এবারেও আমি চুপ করে রইলাম। তিনি আবার ডেকে বললেনঃ ওহে মূর্খ! আমি তোকে কসম দিচ্ছি। যদি আমার ডাক শুনে থাকিস, তবে কেন আসছিস না? তখন আমি বেরিয়ে এসে বললামঃ আপনি আপনার মেহমানদের জিজ্ঞাসা করুন। তখন তারা বললেন সে ঠিকই আমাদের খাবার এনে দিয়েছিল। তিনি বললেন তবুও কি আপনারা আমার অপেক্ষা করছেন? আল্লাহর কসম! আমি আজ রাতে তো খাবো না।

মেহমানরাও বললেনঃ আল্লাহর কসম আপনি যতক্ষন না খাবেন ততক্ষন আমরাও খাব না। তখন তিনি বললেনঃ আমি আজ রাতের মত খারাপ রাত আর দেখিনি। আপনাদের প্রতি আক্ষেপ। আপনারা কি আমাদের খাবার গ্রহণ করবেন না? তখন তিনি (আবদুর রহমানকে ডেকে) বললেনঃ তোমার খাবার নিয়ে এসো। তিনি তা নিয়ে আসলে তিনিই খাবারের উপর নিজ হাত রেখে বললেন, বিসমিল্লাহ এ প্রথম ঘটনাটা শয়তানের কারনেই ঘটেছে। তারপর তিনি খেলেন এবাং তারাও খেলেন।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ الْغَضَبِ وَالْجَزَعِ عِنْدَ الضَّيْفِ

حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، تَضَيَّفَ رَهْطًا فَقَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ دُونَكَ أَضْيَافَكَ فَإِنِّي مُنْطَلِقٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَافْرُغْ مِنْ قِرَاهُمْ قَبْلَ أَنْ أَجِيءَ‏.‏ فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَأَتَاهُمْ بِمَا عِنْدَهُ فَقَالَ اطْعَمُوا‏.‏ فَقَالُوا أَيْنَ رَبُّ مَنْزِلِنَا قَالَ اطْعَمُوا‏.‏ قَالُوا مَا نَحْنُ بِآكِلِينَ حَتَّى يَجِيءَ رَبُّ مَنْزِلِنَا‏.‏ قَالَ اقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ، فَإِنَّهُ إِنْ جَاءَ وَلَمْ تَطْعَمُوا لَنَلْقَيَنَّ مِنْهُ‏.‏ فَأَبَوْا فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يَجِدُ عَلَىَّ، فَلَمَّا جَاءَ تَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ مَا صَنَعْتُمْ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ‏.‏ فَسَكَتُّ ثُمَّ قَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ‏.‏ فَسَكَتُّ فَقَالَ يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوْتِي لَمَّا جِئْتَ‏.‏ فَخَرَجْتُ فَقُلْتُ سَلْ أَضْيَافَكَ‏.‏ فَقَالُوا صَدَقَ أَتَانَا بِهِ‏.‏ قَالَ فَإِنَّمَا انْتَظَرْتُمُونِي، وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ‏.‏ فَقَالَ الآخَرُونَ وَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ‏.‏ قَالَ لَمْ أَرَ فِي الشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ، وَيْلَكُمْ مَا أَنْتُمْ لِمَ لاَ تَقْبَلُونَ عَنَّا قِرَاكُمْ هَاتِ طَعَامَكَ‏.‏ فَجَاءَهُ فَوَضَعَ يَدَهُ فَقَالَ بِاسْمِ اللَّهِ، الأُولَى لِلشَّيْطَانِ‏.‏ فَأَكَلَ وَأَكَلُوا‏.‏


Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Bakr: Abu Bakr invited a group of people and told me, "Look after your guests." Abu Bakr added, I am going to visit the Prophet (ﷺ) and you should finish serving them before I return." `Abdur-Rahman said, So I went at once and served them with what was available at that time in the house and requested them to eat." They said, "Where is the owner of the house (i.e., Abu Bakr)?" `Abdur-Rahman said, "Take your meal." They said, "We will not eat till the owner of the house comes." `Abdur-Rahman said, "Accept your meal from us, for if my father comes and finds you not having taken your meal yet, we will be blamed severely by him, but they refused to take their meals . So I was sure that my father would be angry with me. When he came, I went away (to hide myself) from him. He asked, "What have you done (about the guests)?" They informed him the whole story. Abu Bakr called, "O `Abdur Rahman!" I kept quiet. He then called again. "O `Abdur-Rahman!" I kept quiet and he called again, "O ignorant (boy)! I beseech you by Allah, if you hear my voice, then come out!" I came out and said, "Please ask your guests (and do not be angry with me)." They said, "He has told the truth; he brought the meal to us." He said, "As you have been waiting for me, by Allah, I will not eat of it tonight." They said, "By Allah, we will not eat of it till you eat of it." He said, I have never seen a night like this night in evil. What is wrong with you? Why don't you accept your meals of hospitality from us?" (He said to me), "Bring your meal." I brought it to him, and he put his hand in it, saying, "In the name of Allah. The first (state of fury) was because of Satan." So Abu Bakr ate and so did his guests.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫২১. মেহমানকে মেজবানের (এ কথা) বলা যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না। এ সম্পর্কে নবী (সাঃ) থেকে আবু জুহায়ফার হাদীস রয়েছে

৫৭১১। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আবূ বকর (রাঃ) তার একজন কিংবা কয়েকজন মেহমান নিয়ে এলেন এবং সন্ধ্যার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন। তিনি ফিরে এলে আমার আম্মা তাকে বললেনঃ আপনি মেহমানকে, কিংবা বললেন, মেহমানদের (ঘরে) রেখে (এতো) রাত কোথায় আটকা পড়েছিলেন? তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেঃ তুমি কি তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেনঃ আমি তাদের সামনে খাবার দিয়েছিলাম কিন্তু তারা, বা সে তা খেতে অস্বীকার করলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) রেগে গাল মন্দ বললেন ও বদ দু’আ করলেন। আর শপথ করলেন যে, তিনি খাবার খাবেন না। আমি লুকিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে বললেন ওরে মূর্খ! তখন মহিলা (আমার আম্মা) ও কসম করলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি না খাবেন ততক্ষন আম্মাও খাবেন না।

এদিকে মেহমানটি বা মেহমানরাও কসম খেয়ে বসলেন যে, যতক্ষন তিনি না খান, ততক্ষন পর্যন্ত তারাও খাবেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শয়তান থেকে। তারপর তিনি খাবার আনতে বললেন। আর তিনি খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। কিন্তু তারা খাওয়া আরম্ভ করে যতবারই লুকমা উঠাতে লাগলেন, তার নীচে থেকে তার চেয়েও বেশী খাবার বৃদ্ধি পেতে লাগলো। তখন তিনি তার স্ত্রীকে ডেকে বললেন হে বনী ফেরাসের বোন এ কি? তিনি বললেন আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো আমাদের পূর্বের খাবার থেকে এখন অনেক বেশী দেখছি। তখন সবাই খেলেন এবং তা থেকে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে কিছু পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি বর্ণনা করেন যে, তা থেকে তিনিও খেয়েছিলেন।

باب قَوْلِ الضَّيْفِ لِصَاحِبِهِ لاَ آكُلُ حَتَّى تَأْكُلَ فِيهِ حَدِيثُ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِضَيْفٍ لَهُ أَوْ بِأَضْيَافٍ لَهُ، فَأَمْسَى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا جَاءَ قَالَتْ أُمِّي احْتَبَسْتَ عَنْ ضَيْفِكَ ـ أَوْ أَضْيَافِكَ ـ اللَّيْلَةَ‏.‏ قَالَ مَا عَشَّيْتِهِمْ فَقَالَتْ عَرَضْنَا عَلَيْهِ ـ أَوْ عَلَيْهِمْ فَأَبَوْا أَوْ ـ فَأَبَى، فَغَضِبَ أَبُو بَكْرٍ فَسَبَّ وَجَدَّعَ وَحَلَفَ لاَ يَطْعَمُهُ، فَاخْتَبَأْتُ أَنَا فَقَالَ يَا غُنْثَرُ‏.‏ فَحَلَفَتِ الْمَرْأَةُ لاَ تَطْعَمُهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ، فَحَلَفَ الضَّيْفُ ـ أَوِ الأَضْيَافُ ـ أَنْ لاَ يَطْعَمَهُ أَوْ يَطْعَمُوهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ كَأَنَّ هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَدَعَا بِالطَّعَامِ فَأَكَلَ وَأَكَلُوا فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا، فَقَالَ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا فَقَالَتْ وَقُرَّةِ عَيْنِي إِنَّهَا الآنَ لأَكْثَرُ قَبْلَ أَنْ نَأْكُلَ فَأَكَلُوا وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَنَّهُ أَكَلَ مِنْهَا‏.‏


Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Bakr: Abu Bakr came with a guest or some guests, but he stayed late at night with the Prophet (ﷺ) and when he came, my mother said (to him), "Have you been detained from your guest or guests tonight?" He said, "Haven't you served the supper to them?" She replied, "We presented the meal to him (or to them), but he (or they) refused to eat." Abu Bakr became angry, rebuked me and invoked Allah to cause (my) ears to be cut and swore not to eat of it!" I hid myself, and he called me, "O ignorant (boy)!" Abu Bakr's wife swore that she would not eat of it and so the guests or the guest swore that they would not eat of it till he ate of it. Abu Bakr said, "All that happened was from Satan." So he asked for the meals and ate of it, and so did they. Whenever they took a handful of the meal, the meal grew (increased) from underneath more than that mouthful. He said (to his wife), "O, sister of Bani Firas! What is this?" She said, "O, pleasure of my eyes! The meal is now more than it had been before we started eating'' So they ate of it and sent the rest of that meal to the Prophet. It is said that the Prophet (ﷺ) also ate of it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে

২৮০৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন আয়িশা (রাঃ) কে (বাহনে) তার পিছনে বসিয়ে তানঈম নিয়ে যাওয়ার জন্য যাতে তিনি তাকে (তানঈম থেকে) উমরা করান।

باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، أَخْبَرَهُ عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يُرْدِفَ عَائِشَةَ فَيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ ‏.‏


Abd al-Rahman b. Abu Bakr reported that the Messenger of Allah (ﷺ) ordered him to mount A'isha behind him and enable her to (enter into the state of Ihram for 'Umra) at Tan'im.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১. মেহমানের সমাদর করা ও তাকে প্রাধন্য দেওয়ার ফযীলত

৫১৯১। উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয আম্বারী, হামিদ ইবনু উমার বাকরাবী ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আলা (রহঃ) ... আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একশ ত্রিশজন লোক (এক সফরে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এক সময়) বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কারো কাছে খাদ্যদ্রব্য আছে কি? দেখা গেল, এক ব্যক্তির কাছে এক সা’ বা অনুরূপ পরিমাণ খাদ্য আছে। তা (গুলিয়ে) খামীর করা হলো। এরপর এলোকেশী দীর্ঘদেহী এক মুশরিক ব্যক্তি কিছু বক্বরী হাকিয়ে নিয়ে এলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এগুলো বিক্রি করবে না উপহার হিসেবে দিবে? অথবা (উপহার শব্দের পরিবর্তে) তিনি দান করবে বলেছিলেন। লোকটি বললো, না, আমি বরং বিক্রি করবো।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তার থেকে একটি বকরী খরিদ করলেন। বকরীটা যবেহ করা হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কলিজা ভুনা করতে আদেশ দিলেন। রাবী আবদুর রহমান (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, একশ ত্রিশজনের মধ্যে একজনও এমন ছিলনা যাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক টুকরা কলিজা দেন নাই। যারা উপস্থিত ছিল, তাদেরকে তো তখনই দিয়েছেন। আর যারা অনুপস্থিত ছিল তাদের জন্য তুলে রেখেছেন। রাবী বলেনঃ মাংস দুটি পাত্রে ভাগ করে রাখলেন। আমরা সকলে সে দুটি থেকে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলাম। এরপরও পাত্র দুটিতে গোশত উদ্বৃত্ত থাকলো। আমি তা উটের পিঠে বহন করে নিয়ে গেলাম। অথবা তিনি (বর্ণনাকারী) যেভাবে বর্ণনা করেছেন।

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، الأَعْلَى جَمِيعًا عَنِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، - وَحَدَّثَ أَيْضًا، - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثِينَ وَمِائَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ طَعَامٌ ‏"‏ ‏.‏ فَإِذَا مَعَ رَجُلٍ صَاعٌ مِنْ طَعَامٍ أَوْ نَحْوُهُ فَعُجِنَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ مُشْعَانٌّ طَوِيلٌ بِغَنَمٍ يَسُوقُهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبَيْعٌ أَمْ عَطِيَّةٌ - أَوْ قَالَ - أَمْ هِبَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لاَ بَلْ بَيْعٌ ‏.‏ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَاةً فَصُنِعَتْ وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَوَادِ الْبَطْنِ أَنْ يُشْوَى ‏.‏ قَالَ وَايْمُ اللَّهِ مَا مِنَ الثَّلاَثِينَ وَمِائَةٍ إِلاَّ حَزَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُزَّةً حُزَّةً مِنْ سَوَادِ بَطْنِهَا إِنْ كَانَ شَاهِدًا أَعْطَاهُ وَإِنْ كَانَ غَائِبًا خَبَأَ لَهُ - قَالَ - وَجَعَلَ قَصْعَتَيْنِ فَأَكَلْنَا مِنْهُمَا أَجْمَعُونَ وَشَبِعْنَا وَفَضَلَ فِي الْقَصْعَتَيْنِ فَحَمَلْتُهُ عَلَى الْبَعِيرِ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏


'Abd al-Rahman b. Abu Bakr reported: We were one hundred and thirty (persons) with Allah's Apostle (ﷺ). Allah's Apostle (ﷺ) said: Does any one of You possess food? There was a person with (us) who had a sa' of flour or something about that, and it was kneaded. Then a tall polytheist with dishevelled hair came driving his flock of sheep. Thereupon Allah's Apostle (ﷺ) said: Would you like to sell it (any one of these goats) or offer it as a gift or a present? He said: No, (I am not prepared to offer as a gift), but I would sell it. He (the Holy Prophet) bought a sheep from him, and it was slaughtered and its meat was prepared, and Allah's Messenger (ﷺ) commanded that its liver should be roasted. He (the narrator) said: By Allah, none among one hundred and thirty persons was left whom Allah's Messenger (ﷺ) had not given a part out of her liver; if anyone was present he gave it to him. but if he was absent it was set aside for him. And he (the Holy Prophet) filled two bowls (one with soup and the other with mutton) and we all ate out of them to our hearts' content, but (still) some part was (left) in (those) two bowls, and I placed it on the camel- (or words to the same effect).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১. মেহমানের সমাদর করা ও তাকে প্রাধন্য দেওয়ার ফযীলত

৫১৯২। উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয আম্বারী, হামিদ ইবনু উমার বাকরাবী ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আলা কায়সী (রহঃ) ... আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে আসহাবে সুফফায় অবস্থানকারী লোকজন ছিলেন দরিদ্র। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেনঃ যার নিকট দুজেনের খাবার আছে সে যেন তিন (তৃতীয়) একজনকে নিয়ে যায়। আর যার কাছে চারজনের খাবার আছে, সে যেন পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। অথবা বর্ণনাকারী যেভাবে বর্ণনা করেছেন।

রাবী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) তিন জন কে নিয়ে আললেন। আর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজনকে নিয়ে রওয়ানা হলেন।আবূ বকর (রাঃ) তিন জন কে নিলেন এ কারণে যে, (আমাদের পরিবারে আমরা ছিলাম) তিনজন। আমি, আমার পিতা ও আমার মাতা। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, তিনি বলেছেন, কি না যে, আমার স্ত্রী। আর ছিল আমাদের ও আবূ বকরের বাড়িতে শরিক খাদিম। রাবী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওখানে রাতের খানা খেলেন। এরপর তিনি অপেক্ষা করলেন। অবশেষে ইশার সালাত আদায় করা হলো। সালাত থেকে প্রত্যাবর্তন করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তন্দ্রাচন্ন হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করলেন। তারপর আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী রাতের একটি পরিমাণ অতিবাহিত হলে তিনি (ঘরে) ফিরে আসলেন।

তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, মেহমান রেখে দেরী করলেন কেন? তিনি বললেন, কেন? তুমি কি তাঁদের রাতের খাবার খাওয়াও নি? তাঁর স্ত্রী বললেন আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা আহার করতে অস্বীকার করেছেন। (কয়েকবারই) খাবার পেশ করা হয়েছে কিন্তু মেহমানরা তাঁদের (বাড়ির লোকদের) মধ্যস্থ করেছেন তারা তাদের কথা থেকে হটেননি। আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আমি গিয়ে লুকিয়ে রইলামা তিনি বললেন, হে নির্বোধ! তারপর তিনি আমাকে বকাবকি করলেন। আর (মেহমানদের) বললেন, ভাল হলো না। আপনারা আহার করুন। তিনি আরও বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এ আহার গ্রহণ করবো না।

তিনি [আবদুর রহমান (রাঃ)] বলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা যে লোকমাই গ্রহণ করছিলাম তার নীচে তার চেয়ে অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। এমনকি আমরা পরিতৃপ্ত হয়েও আমাদের খাদ্য পূর্বে যা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি হয়ে গেল। আবূ বকর (রাঃ) খাবারের প্রতি লক্ষ্য করে দেখলেন, তা যেমন ছিল তেমনি আছে বা তার চেয়েও অধিক হয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রীকে বললেন, হে বনী ফিরাসের বোন, একি ব্যাপার! তিনি বললেন, কিছু না। আমার চোখের প্রশান্তি, এগুলি পূর্বে যা ছিল তার চেয়ে তিন গুন বেড়ে গেছে। আবদুর রহমান বলেন, এরপর আবূ বকর (রাঃ) কিছু খেলেন এবং বললেন, ওটা অর্থাৎ কসমটা ছিল শয়তানের পক্ষ থেকে। অতঃপর আরও এক লুকমা খেলেন। তারপর সেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে গেলেন। আমিও তাঁর কাছে সকাল পর্যন্ত থাকলাম।

তিনি বলেন, আমাদের এবং কোন এক সম্প্রদায়ের মাঝে একটি চুক্তি ছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেল। প্রতিপক্ষ চুক্তি নবায়নের জন্য আগমন করল। আমরা তাদের বারজনের নেতৃত্বে বিভক্ত করলাম। প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে অনেক লোক ছিল। আল্লাহই ভাল জানেন, প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে কতজন লোক ছিল। তাদের প্রত্যেকের নিকট এ খাবার পাঠানো হলো। আর তারা সকলেই সে খাবার খেলেন। অথবা বর্ণনাকারী যেভাবে বর্ণনা করেছেন।

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، الْقَيْسِيُّ كُلُّهُمْ عَنِ الْمُعْتَمِرِ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ مُعَاذٍ - حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ، كَانُوا نَاسًا فُقَرَاءَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً ‏ "‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَلاَثَةٍ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلاَثَةٍ وَانْطَلَقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ وَأَبُو بَكْرٍ بِثَلاَثَةٍ - قَالَ - فَهُوَ وَأَنَا وَأَبِي وَأُمِّي - وَلاَ أَدْرِي هَلْ قَالَ وَامْرَأَتِي وَخَادِمٌ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْتِ أَبِي بَكْرٍ - قَالَ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعِشَاءُ ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى نَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ - أَوْ قَالَتْ - ضَيْفِكَ قَالَ أَوَمَا عَشَّيْتِهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ قَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوهُمْ - قَالَ - فَذَهَبْتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ وَقَالَ يَا غُنْثَرُ ‏.‏ فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ كُلُوا لاَ هَنِيئًا ‏.‏ وَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَدًا - قَالَ - فَايْمُ اللَّهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا - قَالَ - حَتَّى شَبِعْنَا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ فَنَظَرَ إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ فَإِذَا هِيَ كَمَا هِيَ أَوْ أَكْثَرُ ‏.‏ قَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا قَالَتْ لاَ وَقُرَّةِ عَيْنِي لَهِيَ الآنَ أَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مِرَارٍ - قَالَ - فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ - يَعْنِي يَمِينَهُ - ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ - قَالَ - وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَقْدٌ فَمَضَى الأَجَلُ فَعَرَّفْنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلاً مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ اللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ إِلاَّ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ ‏.‏ أَوْ كَمَا قَالَ ‏.‏


'Abd al-Rabman b. Abu Bakr reported that the people of Suffa were very poor. Once the Messenger of Allah (ﷺ) said (to his Companions): He who amongst you has food for two persons should take three (guests with him). and he who has with him food for four persons should take five or six (guests with him for entertaining them). It was (in accordance with these instructions of the Holy Prophet) that Abu Bakr brought three persons, and the Messenger of Allah (ﷺ) brought ten persons (as guests to their respective houses). Abu Bakr had brought three persons (he himself, and myself), my father and my mother (along with therm). He (the narrator) said: I do not know whether he also said: My wife and one servant who was common between our house and that of Abu Bakr. Abu Bakr had had his evening meal with Allah's Apostle (ﷺ). He stayed here until night prayer had been offered. He then came back (to the house of Allah's Apostle) and stayed there until Allah's Messenger (ﷺ) felt drowsy and (Abu Bakr) then came (back to his own house) when (a considerable) part of the night had been over, as Allah had desired. His wife said to him: What held you back from your guests? He said: Oh! have you not served them the evening meal (by this time)? She said: It was in fact served to them. but they refused to eat until you came. He ('Abd al-Rahman) said: I slunk away and bid myself. He (Abu Bakr) said: O, you stupid fellow, and he reprimanded me, and said to the guests: Eat, though it may not be pleasant now. He said: By Allah. I will never eat it He ('Abd al-Rahman) said: By Allah. we did not take a morsel when from beneath that (there appeared) more until they had eaten to their fill, and lo! it was more than what it was before. Abu Bakr saw that and found that it was so or more than that. He said to his wife: Sister of Band Firis, what is th-is? She said: By the coolness of my eyes. it is in excess by three times over the previous one. Then Abu Bakr ate saying: That was from the Satan (viz. his vow for not eating the food). He then took a morsel out of that and then took it (the rest) to the Messenger of Allah (ﷺ), and it was kept there until morning, and during (those days) there was a covenant between us and some other people, and the period of covenant was over, and we had appointed twelve officials with every person amongst them. It is Allah only Who knows as to how many people were there with each of them. He sent (this food to them) and all of them ate out of it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১. মেহমানের সমাদর করা ও তাকে প্রাধন্য দেওয়ার ফযীলত

৫১৯৩। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কিছু মেহমান আমাদের বাড়িতে এলেন। (রাবী বলেন)। আমার পিতা রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আলাপ আলোচনা করতেন। তাই তিনি যাওয়ার সময় বললেন, হে আবদুর রহমান! মেহমানদারীর সব কাজ সম্পন্ন করবে। আবদুর রাহমান বলেন, সন্ধ্যা হলে আমি মেহমানদের খাবার নিয়ে এলাম। কিন্তু তারা খেতে রাযী হলেন না। তারা বললেন, বাড়ির মালিক যতক্ষন পর্যন্ত এসে আমাদের সাথে আহার না করবেন, (ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আহার করবো না)। আমি তাঁদের বললাম, তিনি কড়া মেজাজের (রাগী) মানুষ। আপনারা যদি আহার না করেন তাহলে আমার ভয় হচ্ছে, আমাকে তাঁর বকাবকি শুনতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা রাযী হলেনই না।

আমার পিতা এসে প্রথমেই তাঁদের সংবাদ নিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি মেহমানদারীর কাজ সম্পন্ন করেছ? তাঁরা বললেন, না, আল্লাহর কসম! আমরা সম্পন্ন করতে পারি নি। তিনি বললেন, আমি কি আবদুর রহমানকে নির্দেশ দেইনি? আবদুর রাহমান বলেন, আমি তাঁর দৃষ্টি থেকে সরে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, হে আবদুর রহমান! আমি আরও সরে গেলাম। তিনি পুনরায় বললেন, নির্বোধ! আমি কসম করে তোমাকে বলছি তুমি যদি আমার আওয়ায শুনে থাক, তাহলে হাযির হও। তিনি বলেন, তখন আমি হাযির হয়ে বললাম, আল্লাহর কসম! আমার কোন অপরাধ নেই। আপনার মেহমানদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন আমি তাঁদের খাবার নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে সম্মত হলেন না।

তখন তিনি (মেহমানদের) বললেন, আপনাদের কি হয়েছে? আপনারা কেন আমাদের আপ্যায়ন গ্রহণ করেননি? আবদুর রাহমান বলেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আজ আর খাব না। বর্ণনাকারী বলেন, তারা বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না। তিনি বললেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আজকের রাতের মত এত খারাপ রাত আমি আর দেখিনি। সর্বনাশ, আপনারা কেন আমাদের মেহমানদারী গ্রহণ করবেন না?

রাবী বলেন, তিনি বললেন, প্রথমে যা হয়েছে (না খাওয়ার কসম) তা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তোমরা খাবার নিয়ে আস। তিনি বলেন, এরপর খাবার আনা হলে তিনি ’বিসমিল্লাহ’ পড়ে খেতে লাগলেন। তাঁরাও খাওয়া শুরু করল। আবদুর রাহমান (রাঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা তো ভাল কাজই করেছেন কিন্তু আমি কসম ভেঙ্গে ফেলেছি। তিনি (বর্ণনাকারী) বললেন, অতঃপর তিনি তাকে (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে) ঘটনাটি খুলে বললেন। পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বরং তুমি সবচেয়ে বেশি সৎকর্মশীল এবং সবচেয়ে ভাল। রাবী বলেন, কাফফারার কথা আমার কাছে পৌছেনি।

باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ ‏‏

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ الْعَطَّارُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ نَزَلَ عَلَيْنَا أَضْيَافٌ لَنَا - قَالَ - وَكَانَ أَبِي يَتَحَدَّثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ - قَالَ - فَانْطَلَقَ وَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ افْرُغْ مِنْ أَضْيَافِكَ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جِئْنَا بِقِرَاهُمْ - قَالَ - فَأَبَوْا فَقَالُوا حَتَّى يَجِيءَ أَبُو مَنْزِلِنَا فَيَطْعَمَ مَعَنَا - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُمْ إِنَّهُ رَجُلٌ حَدِيدٌ وَإِنَّكُمْ إِنْ لَمْ تَفْعَلُوا خِفْتُ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْهُ أَذًى - قَالَ - فَأَبَوْا فَلَمَّا جَاءَ لَمْ يَبْدَأْ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنْهُمْ فَقَالَ أَفَرَغْتُمْ مِنْ أَضْيَافِكُمْ قَالَ قَالُوا لاَ وَاللَّهِ مَا فَرَغْنَا ‏.‏ قَالَ أَلَمْ آمُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ قَالَ وَتَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ‏.‏ قَالَ فَتَنَحَّيْتُ - قَالَ - فَقَالَ يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوْتِي إِلاَّ جِئْتَ - قَالَ - فَجِئْتُ فَقُلْتُ وَاللَّهِ مَا لِي ذَنْبٌ هَؤُلاَءِ أَضْيَافُكَ فَسَلْهُمْ قَدْ أَتَيْتُهُمْ بِقِرَاهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يَطْعَمُوا حَتَّى تَجِيءَ - قَالَ - فَقَالَ مَا لَكُمْ أَلاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ - قَالَ - فَقَالُوا فَوَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ ‏.‏ قَالَ فَمَا رَأَيْتُ كَالشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ قَطُّ وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ أَنْ لاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ قَالَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الأُولَى فَمِنَ الشَّيْطَانِ هَلُمُّوا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَسَمَّى فَأَكَلَ وَأَكَلُوا - قَالَ - فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَرُّوا وَحَنِثْتُ - قَالَ - فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ ‏ "‏ بَلْ أَنْتَ أَبَرُّهُمْ وَأَخْيَرُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَلَمْ تَبْلُغْنِي كَفَّارَةٌ ‏.‏


'Abd al-Rahman b. Abd Bakr reported: There came to our house some guests. It was a common practice with my father to (go) and talk to Allah's Messenger (ﷺ) during the night. While going he said: 'Abd al-Rahman, entertain the guests. When it was evening we served the food to them, but they refused saying: So long as the owner of the house does not come and join us, we would not take the meal. I said to them: He ('Abd Bakr) is a stern person, and if you would not do that (if you do not take the food). I fear, I may be harmed by him, but they refused. As he (my father) came, the first thing he asked was: Have you served the guests? They (the peopleof the household) said: We have not served them sofar. He said: Did I not command 'Abd al-Rahman (to do this)? He ('Abd al-Rahman) said: I slunk away and kept myself away by that time. He again said: O stupid fellow, I ask you on oath that In case you hear my voice you come to me. I came and said: By Allah, there is no fault of mine. These are your guests; you may ask them. I provided them with food but they refused to eat until you came. He said to them: Why is it that you did not accept our food? By Allah, I shall not even take food tonight (as you have not taken). They said: By Allah, we would not take until you join us. Thereupon he Abu Bakr) said: I have never seen a more unfortunate night than this. Woe be to thee! that you do not accept from us food prepared for you. He again said: What I did first (that is the taking of vow for not eating the food) was prompted by the Satan. Bring the food. The food was brought, and he ate by reciting the name of Allah and they also ate, and when it was morning he came to Allah's Apostle (ﷺ) and said: Allah's Messenger, their oath (that of the guests) came to be true, but mine was not true, and after that he informed him of the whole incident. He said: Your oath came to be the most true and you are the best of them. He (the narrator) said. I do not know whether he made an atonement for it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

মহান আল্লাহ বলেছেন,

﴿ أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ ٦٢ الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ ٦٣ لَهُمُ الْبُشْرَىٰ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ ٦٤ ﴾ (يونس : ٦٢، ٦٤)

“মনে রেখো যে, আল্লাহর বন্ধুদের না কোন আশংকা আছে আর না তারা বিষণ্ণ হবে। তারা হচ্ছে সেই লোক যারা ঈমান এনে তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে। তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনে এবং পরকালেও; আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তন নেই; এটাই হচ্ছে বিরাট সফলতা।” (সূরা ইউনুস ৬২-৬৪ আয়াত)

আরও বলেন,

﴿ وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا ٢٥ فَكُلِي وَاشْرَبِي﴾ (مريم: ٢٥، ٢٦)

“তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কাণ্ড হিলিয়ে দাও; ওটা তোমার সামনে সদ্যপক্ব তাজা খেজুর ফেলতে থাকবে। সুতরাং আহার কর, পান কর---।” (সূরা মারয়্যাম ২৫-২৬ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿ لَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا ۖ قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَٰذَا ۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ۖ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ ٣٧ ﴾ (ال عمران: ٣٧)

“যখনই যাকারিয়া মিহরাবে (কক্ষে) তার সঙ্গে দেখা করতে যেত, তখনই তার নিকট খাদ্য-সামগ্রী দেখতে পেত। সে বলত, ’হে মারয়্যাম! এসব তুমি কোথা থেকে পেলে?’ সে বলত, ’তা আল্লাহর কাছ থেকে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পর্যাপ্ত জীবিকা দান করে থাকেন।” (সূরা আলে ইমরান ৩৭ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿وَإِذِ اعْتَزَلْتُمُوهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ إِلَّا اللَّهَ فَأْوُوا إِلَى الْكَهْفِ يَنْشُرْ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ رَحْمَتِهِ وَيُهَيِّئْ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ مِرْفَقًا ١٦ وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَتْ تَزَاوَرُ عَنْ كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَتْ تَقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ ١٧ ﴾ (الكهف: ١٦، ١٧)

“তোমরা যখন তাদের ও তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হলে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর; তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য তাঁর দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করবার ব্যবস্থা করবেন। তুমি দেখলে দেখতে, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার ডান দিকে হেলে অতিক্রম করছে এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করছে বাম পাশ দিয়ে---।” (সূরা কাহাফ ১৬-১৭ আয়াত)


১/১৫১১। আবূ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, ’আসহাবে সুফ্ফাহ’ (তৎকালীন মসজিদে নববীতে একটি ছাউনিবিশিষ্ট ঘর ছিল। সেখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তত্ত্বাবধানে কিছু সাহাবী আশ্রয় গ্রহণ করতেন ও বসবাস করতেন। তাঁরা) গরীব মানুষ ছিলেন। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যার কাছে দু’জনের আহার আছে সে যেন (তাদের মধ্য থেকে) তৃতীয় জনকে সাথে নিয়ে যায়। আর যার নিকট চারজনের আহারের অবস্থা আছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ জনকে সাথে নিয়ে যায়।”

আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে এলে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজনকে সাথে নিয়ে গেলেন। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং এশার নামায পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এশার নামাযের পর তিনি পুনরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে ফিরে আসেন এবং আল্লাহর ইচ্ছামত রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, ’বাইরে কিসে আপনাকে আটকে রেখেছিল?’ তিনি বললেন, ’তুমি এখনো তাঁদেরকে খাবার দাওনি?’ স্ত্রী বললেন, ’আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে রাজি হলেন না। তাঁদের সামনে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা তা খাননি।’

আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (পিতার তিরস্কারের ভয়ে) আমি লুকিয়ে গেলাম। তিনি (রাগান্বিত হয়ে) বলে উঠলেন, ’ওরে মূর্খ!’ অতঃপর নাক কাটা ইত্যাদি বলে গালাগালি করলেন এবং (মেহমানদের উদ্দেশ্যে) বললেন, ’আপনারা স্বচ্ছন্দে খান, আল্লাহর কসম! আমি মোটেই খাব না।’

আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ’আল্লাহর কসম! আমরা লুকমা (খাদ্য-গ্রাস) উঠিয়ে নিতেই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ’সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ পূর্বের চেয়ে বেশি খাবার রয়ে গেল।’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু খাবারের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে বললেন, ’হে বনু ফিরাসের বোন! এ কি?’ তিনি বললেন, ’আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এ তো পূর্বের চেয়ে তিনগুণ বেশি!’ সুতরাং আবূ বাক্ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, ’আমার (খাব না বলে) সে কসম শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’ তারপর তিনি আরও খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে নিয়ে গেলেন। ভোর পর্যন্ত সে খাবার তাঁর নিকটেই ছিল।

এদিকে আমাদের এবং অন্য একটি গোত্রের মাঝে যে চুক্তি ছিল তার সময়সীমা পূর্ণ হয়ে যায়। (এবং তারা মদিনায় আসে।) অতঃপর আমরা তাদেরকে তাদের বারো জনের নেতৃত্বে ভাগ করে দিই। প্রত্যেকের সাথেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যেকের সাথে কতজন ছিল তা আল্লাহই বেশি জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য আহার করে।

অন্য বর্ণনায় আছে, আবূ বকর ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন, তা দেখে তাঁর স্ত্রীও ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন। আর তা দেখে মেহমানরাও তিনি সঙ্গে না খেলে ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন! আবূ বকর বললেন, ’এ সব (কসম) শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি খাবার আনতে বলে নিজে খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। তাঁরা যখনই লুকমা (খাদ্য-গ্রাস) উঠিয়ে খাচ্ছিলেন, তখনই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু (স্ত্রীকে) বললেন, ’হে বনু ফিরাসের বোন! এ কি?’ স্ত্রী বললেন, ’আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এখন এ তো খেতে শুরু করার আগের চেয়ে অধিক বেশি!’ সুতরাং সকলেই খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে পাঠিয়ে দিলেন। আব্দুর রহমান বলেন, ’তিনি তা হতে খেলেন।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আবূ বকর আব্দুর রহমানকে বললেন, ’তোমার মেহমান নাও। (তুমি তাদের খাতির কর) আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাচ্ছি। আমার ফিরে আসার আগে আগেই তুমি (খাইয়ে) তাঁদের খাতির সম্পন্ন করো।’ সুতরাং আব্দুর রহমান তাঁর নিকট যে খাবার ছিল, তা নিয়ে তাঁদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ’আপনারা খান।’ কিন্তু মেহমানরা বললেন, ’আমাদের বাড়ি-ওয়ালা কোথায়?’ তিনি বললেন, ’আপনারা খান।’ তাঁরা বললেন, ’আমাদের বাড়ি-ওয়ালা না আসা পর্যন্ত আমরা খাব না।’ আব্দুর রহমান বললেন, ’আপনারা আমাদের তরফ থেকে মেহমান-নেওয়াযী গ্রহণ করুন। কারণ তিনি এসে যদি দেখেন যে, আপনারা খাননি, তাহলে অবশ্যই আমরা তাঁর নিকট থেকে (বড় ভৎর্সনা) পাব।’ কিন্তু তাঁরা (খেতে) অস্বীকার করলেন।

(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি বুঝে নিলাম যে, তিনি আমার উপর খাপ্পা হবেন। অতঃপর তিনি এলে আমি তাঁর নিকট থেকে সরে গেলাম। তিনি বললেন, ’ কি করেছ তোমরা?’ তাঁরা তাঁকে ব্যাপারটা খুলে বললেন। অতঃপর তিনি ডাক দিলেন, ’আব্দুর রহমান!’ আব্দুর রহমান নিরুত্তর থাকলেন। তিনি আবার ডাক দিলেন, ’আব্দুর রহমান?’ কিন্তু তখনও তিনি নীরব থাকলেন। তারপর আবার বললেন, ’এ বেওকুফ! আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, যদি তুমি আমার ডাক শুনতে পাচ্ছ, তাহলে এসে যাও।’

(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি (বাধ্য হয়ে) বের হয়ে এলাম। বললাম, ’আপনি আপনার মেহমানদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, (আমি তাঁদেরকে খেতে দিয়েছিলাম কি না?)’ তাঁরা বললেন, ’ও সত্যই বলেছে। ও আমাদের কাছে খাবার নিয়ে এসেছিল। (আমরাই আপনার অপেক্ষায় খাইনি।)’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’তোমরা আমার অপেক্ষা করে বসে আছ। কিন্তু আল্লাহর কসম! আজ রাতে আমি আহার করব না।’ তাঁরা বললেন, ’আল্লাহর কসম! আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না।’ তিনি বললেন, ’ধিক্কার তোমাদের প্রতি! তোমাদের কি হয়েছে যে, আমাদের পক্ষ থেকে মেহমান-নেওয়াযী গ্রহণ করবে না?’ (অতঃপর আব্দুর রহমানের উদ্দেশ্য বললেন,) ’নিয়ে এস তোমার খাবার।’ তিনি খাবার নিয়ে এলে আবূ বকর তাতে হাত রেখে বললেন, ’বিস্মিল্লাহ। প্রথম (রাগের অবস্থায় কসম) ছিল শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি খেলেন এবং মেহমানরাও আহার করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ أَبي مُحَمَّدٍ عَبدِ الرَّحْمَانِ بنِ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفّةِ كَانُوا أُنَاساً فُقَرَاءَ وَأَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً: «مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ، فَلْيَذْهَبْ بثَالِثٍ، وَمنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ، فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ» أَوْ كَمَا قَالَ، وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ رضي الله عنه، جَاءَ بِثَلاَثَةٍ، وَانْطَلَقَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بعَشَرَةٍ، وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيّ، ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صَلَّى العِشَاءَ، ثُمَّ رَجَعَ، فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللهُ . قَالَتِ امْرَأتُهُ: مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ ؟ قَالَ: أَوَمَا عَشَّيْتِهمْ ؟ قَالَتْ: أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ وَقَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ، قَالَ: فَذَهَبتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ، فَقالَ: يَا غُنْثَرُ، فَجَدَّعَ وَسَبَّ، وَقَالَ: كُلُوا لاَ هَنِيئاً وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَداً، قَالَ: وَايْمُ اللهِ مَا كُنَّا نَأخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسفَلِهَا أَكْثَرَ مِنهَا حَتَّى شَبِعُوا، وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبلَ ذَلِكَ، فَنَظَرَ إِلَيهَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لاِمرَأَتِهِ: يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا ؟ قَالَتْ: لاَ وَقُرَّةِ عَينِيْ لَهِيَ الآنَ أَكثَرُ مِنهَا قَبلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مَرَّاتٍ ! فَأَكَلَ مِنهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ: إنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيطَانِ، يَعنِيْ: يَمِينَهُ . ثُمَّ أَكَلَ مِنهَا لُقْمَةً، ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ. وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ، فَمَضَى الأَجَلُ، فَتَفَرَّقْنَا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً، مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ، اللهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ .
وَفِي رِوَايةٍ: فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَطْعَمُهُ، فَحَلَفَتِ المَرْأَةُ لاَ تَطْعَمُهُ، فَحَلَفَ الضَّيْفُ . - أَو الأَضْيَافُ - أَنْ لاَ يَطْعَمُهُ أَوْ يَطْعَمُوهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ! فَدَعَا بِالطَّعَامِ فَأكَلَ وَأَكَلُوا، فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً إِلاَّ رَبَتْ مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا، فَقَالَ: يَا أُخْتَ بَني فِرَاسٍ، مَا هَذَا ؟ فَقَالَتْ: وَقُرَّةِ عَيْنِي إنَّهَا الآنَ لأَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ أنْ نَأكُلَ، فَأكَلُوا، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبيِّ، فَذَكَرَ أنَّهُ أكَلَ مِنْهَا .
وَفِي رِوايَةٍ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَانِ: دُونَكَ أَضْيَافَكَ، فَإِنِّي مُنْطَلِقٌ إِلَى النَّبيِّ، فَافْرُغْ مِنْ قِرَاهُم قَبْلَ أَنْ أَجِيءَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمانِ، فَأَتَاهُمْ بِمَا عِنْدَهُ، فَقَالَ: اِطْعَمُوا ؛ فَقَالُوا: أَينَ رَبُّ مَنْزِلِنا ؟ قَالَ: اِطْعَمُوا، قَالُوا: مَا نحنُ بِآكِلِينَ حَتَّى يَجِيءَ رَبُّ مَنْزِلِنَا، قَالَ: اقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ، فَإِنَّهُ إِنْ جَاءَ وَلَمْ تَطْعَمُوا، لَنَلْقَيَنَّ مِنْهُ فَأبَوْا، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يَجِدُ عَلَيَّ، فَلَمَّا جَاءَ تَنَحَّيْتُ عَنْهُ، فَقَالَ: مَا صَنَعْتُمْ ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: يَا عَبْدَ الرَّحمانِ، فَسَكَتُّ: ثُمَّ قَالَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمانِ، فَسَكَتُّ، فَقَالَ: يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوتِي لَمَا جِئْتَ ! فَخَرَجْتُ، فَقُلْتُ: سَلْ أَضْيَافَكَ، فَقَالُوا: صَدَقَ، أَتَانَا بِهِ، فَقَالَ: إِنَّمَا انْتَظَرْتُمُونِي وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ . فَقَالَ الآخَرُونَ: وَاللهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ فَقَالَ: وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ لاَ تَقْبَلُونَ عَنَّا قِرَاكُمْ ؟ هَاتِ طَعَامَكَ، فَجَاءَ بِهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ فَقَالَ: بِسْمِ اللهِ، الأُولَى مِنَ الشَّيْطَانِ، فَأَكَلَ وَأَكَلُوا. متفق عَلَيْهِ

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Allah, the Exalted, says: "No doubt! Verily, the Auliya' of Allah [i.e., those who believe in the Oneness of Allah and fear Allah much (abstain from all kinds of sins and evil deeds which He has forbidden), and love Allah much (perform all kinds of good deeds which He has ordained)], no fear shall come upon them nor shall they grieve. Those who believed (in the Oneness of Allah - Islamic Monotheism), and used to fear Allah much (by abstaining from evil deeds and sins and by doing righteous deeds). For them are glad tidings, in the life of the present world (i.e., through a righteous dream seen by the person himself or shown to others), and in the Hereafter. No change can there be in the Words of Allah. This is indeed the supreme success.'' (10: 62-64) "And shake the trunk of date-palm towards you, it will let fall fresh ripe-dates upon you. So eat and drink.'' (19: 25,26) "Every time he (Zakariya) entered Al-Mihrab to (visit) her, he found her supplied with sustenance. He said: `O Maryam (Mary)! From where have you got this?' She said, `This is from Allah.' Verily, Allah provides sustenance to whom He wills, without limit.'' (3:37) "(The young men said to one another): `And when you withdraw from them, and that which they worship, except Allah, then seek refuge in the Cave; your Rubb will open a way for you from His Mercy and will make easy for you your affair (i.e., will give you what you will need of provision, dwelling). And you might have seen the sun, when it rose, declining to the right from their Cave, and when it set, turning away from them to the left...'' (18:16,17) 'Abdur-Rahman bin Abu Bakr (May Allah be pleased with them) reported: The Companions of As-Suffah were poor people. The Prophet (ﷺ) said, "Whoever has food enough for two people, should take a third one (from among them), and whoever has food enough for four persons, should take a fifth or sixth (or said something similar)." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) took three people with him while Messenger of Allah (ﷺ) took ten. Abu Bakr (May Allah be pleased with him) took his supper with the Prophet (ﷺ) and stayed there till he offered the 'Isha' prayers. After a part of the night had passed, he returned to his house. His wife said to him: "What has detained you from your guests?" He said: "Have you not served supper to them?" She said: "They refused to take supper until you come." [Abdur-Rahman (Abu Bakr's son) or the servants] presented the meal to them but they refused to eat. I (the narrator) hid myself out of fear. Abu Bakr (May Allah be pleased with him) (my father) rebuked me. Then he said to them: "Please eat. By Allah! I will never eat the meal." 'Abdur-Rahman added: Whenever we took a morsel of the meal, the meal grew from underneath more than that morsel we had till everybody ate to his satisfaction; yet the remaining food was more than what was in the beginning. On seeing this, Abu Bakr (May Allah be pleased with him) called his wife and said: "O sister of Banu Firas! What is this?" She said: "O pleasure of my eyes! The food has increased thrice in quantity." Then Abu Bakr (May Allah be pleased with him) started eating. He said: "My oath not to take the meal was because of Satan." He took a morsel handful from it and carried the rest to the Prophet (ﷺ). That food remained with him. In those days there was a treaty between us and the pagans and when the period of that treaty elapsed, he (ﷺ) divided us into twelve groups and every group was headed by a man. Allah knows how many men were under the command of each leader. Anyhow, all of them ate of that meal. [Al-Bukhari and Muslim]. There are some more narrations in both Al-Bukhari and Muslim with very minor differences in wordings and in details. Commentary: We learn the following points from this Hadith: 1. It is permissible to take students of religious schools home for meals, as was the practice in certain areas in the past. 2. A father can admonish his children for disciplinary purposes. 3. If a better situation develops, one can break his vow and go for the new and better choice. It is, however, necessary to expiate for breaking the vow. 4. This Hadith affirms miracles. This is evident from the fact that a small quantity of food was so blessed by Allah that all the members of the family, guests, the Prophet (PBUH) and twelve "Arif'' (leader) along with their companions took that food. (Gist of the text of Hadith from Fath Al-Bari, Kitab Al-Manaq.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪৬. নামাযের মধ্যে পূর্ণ তাকবীর পাঠ সম্পর্কে।

৮৩৬. আমর ইবনু উছমান ..... আবূ বকর ইবনু আব্দুর রহমান এবং আবূ সালামা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তারা বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) ফরয ও অন্যান্য নামায আদায়ের সময় দাঁড়ানো ও রুকূ করাকালে তাকবীর বলতেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলার পর “রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ” বলতেন সিজদায় যাওয়ার পূর্বে। অতঃপর সিজদায় যেতে “আল্লাহু আকবার” বলতেন। সিজদা হতে মাথা উত্তোলন এবং পুনরায় সিজদায় গমনকালে তিনি তাকবীর বলতেন, অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠাবার সময় তাকবীর বলতেন। দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক হতে দন্ডায়মান হবার সময়ও তিনি “আল্লাহু আকবার” বলতেন। প্রত্যেক রাকাতেই “আল্লাহু আকবার” বলতেন। নামাযান্তে তিনি বলতেনঃ আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন! তোমাদের তুলনায় আমার নামায রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাযের সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত এরূপে নামায আদায় করেন। (বুখারী, নাসাঈ, মুসলিম)।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালেক আলী ইবনু হুসাইনের সূত্রে এটাকে সর্বশেষ বাক্য বলেছেন। আব্দুল আলা যুহরীর সূত্রে এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন।

باب تَمَامِ التَّكْبِيرِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي وَبَقِيَّةُ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ وَغَيْرِهَا يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ يَقُولُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْجُلُوسِ فِي اثْنَتَيْنِ فَيَفْعَلُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ حَتَّى يَفْرُغَ مِنَ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَنْصَرِفُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَتْ هَذِهِ لَصَلاَتُهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا الْكَلاَمُ الأَخِيرُ يَجْعَلُهُ مَالِكٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَغَيْرُهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ وَوَافَقَ عَبْدُ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ شُعَيْبَ بْنَ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ ‏.‏


Abu bakr b. ‘Abd al-Rahman and abu Salamah said: Abu Hurairah would utter the takbir in every prayer, whether obligatory or non-obligatory, He would utter the takbir when he stood, and he would utter the takbir when he bowed, then he would say: “Allah listens to him who praises Him”; he then would say before prostrating himself; “ Our Lord, to Thee be praise”; then he would say while falling in prostration: “Allah is most great”; he then would utter the takbir when he raised his head after prostration, and then utter the takbir when he prostrated, and then utter takbir the takbir when he stood up at the end of two rak’ahs after sitting down. He used to do so in every rak’ah until he finished his prayer. Then he would say at the end of the prayer: By Him in Whose hands lies my life, I am closer to the Messenger of Allah(ﷺ) in respect of his prayer. Such was the prayer he used to offer until he departed from the world. Abu Dawud said: Malik, al-Zubaidi and others have narrated so that they form the last words from al-Zuhri on the authority of ‘Ali b, Husain. And this is supported by the version reported by ‘Abd al-A’la from Ma’mar and SHu’aib b. Abi Hamzah on the authority of Al-Zuhri.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. মসজিদের মধ্যে যাঞ্ছা করা।

১৬৭০. বিশর ইব্‌ন আদম (রহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্‌ন আবু বাক্‌র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে আজ একজন মিসকীনকে আহার করিয়েছে? আবু বাক্‌র (রাঃ) বলেনঃ আজ আমি মসজিদে প্রবেশ করে দেখতে পাই যে, এক ভিক্ষুক কিছু ভিক্ষা চাচ্ছে। তখন আমি (আমার পুত্র) আব্দুর রহমানের হাতে এক টুকরা রুটি পাই। আমি তা তার হতে নিয়ে ঐ ভিক্ষুককে দান করি। (মুসলিম, নাসাঈ)।

باب الْمَسْأَلَةِ فِي الْمَسَاجِدِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هَلْ مِنْكُمْ أَحَدٌ أَطْعَمَ الْيَوْمَ مِسْكِينًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه - دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أَنَا بِسَائِلٍ يَسْأَلُ فَوَجَدْتُ كِسْرَةَ خُبْزٍ فِي يَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأَخَذْتُهَا مِنْهُ فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِ ‏.‏


‘Abd al-Rahman bin Abu Bakr (may Allah be pleased with him) said The Messenger of Allah (ﷺ) asked Is there anyone of you who provided food to a poor man today? Abu Bakr said I entered the mosque where a beggar was begging ; I found a piece of bread in the hand of ‘Abdal-Rahman which I took and gave it to him


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৯১. যদি কেউ কিছু না খাওয়ার জন্য কসম করে।

৩২৮৬. মু’আমমাল ইবন হিশাম (রহঃ) .... আবদুর রহমান ইবন আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমাদের নিকট (ঘরে) কয়েকজন মেহমান আসে। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রাত্রিতে কথাবার্তা বলছিলেন। তখন তিনি [আবূ বকর (রাঃ)] বলেনঃ আমি ততক্ষণ তোমাদের কাছে ফিরে যাব না, যতক্ষণ না তোমরা মেহমানদের খানাপিনা করানো হতে নিষ্ক্রান্ত না হও। তখন আবদুর রহমান মেহমানদের নিকট ফিরে আসেন এবং তাদের সামনে খাদ্য-বস্তু উপস্থিত করেন। তখন মেহমানরা বলেনঃ আবূ বকর ফিরে না আসা পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করব না।

ইত্যবসরে আবূ বকর (রাঃ) ফিরে আসেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের মেহমানরা কি করছেন, তোমরা কি তাদের আহার করিয়েছ? তাঁরা বলেনঃ না। আমি বললামঃ আমি তাদের সামনে খাদ্য-বস্তু উপস্থিত করেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে এবং এরূপ কসম করেছে যে, আল্লাহ্‌র শপথ! যতক্ষণ না আবূ বকর (রাঃ) ফিরে আসেন, ততক্ষণ আমরা খাদ্য গ্রহণ করব না। তখন তারা বলেনঃ আবদুর রহমান ঠিক কথা বলেছেন। সে আমাদের সামনে খাদ্য দিয়েছিল, কিন্তু আপনি না আসা পর্যন্ত আমরা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করি। আবূ বকর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ কিসে আপনাদের মানা করেছে? তাঁরা বলেনঃ আপনি গৃহে না থাকায় আমরা আপনার গৃহে খাদ্য গ্রহণ করিনি। তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ আমি আজ রাতে খাদ্য গ্রহণ করব না।

রাবী বলেন, তখন তাঁরা (সাহাবীরা) বলেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! যতক্ষণ না আপনি খাদ্য খাবেন, ততক্ষণ আমরা তা খাব না। রাবী বলেনঃ এরূপ খারাপ রাত আমি আর কখনও দেখিনি। এরপর তিনি [আবূ বকর (রাঃ)] বলেনঃ খানা হাযির কর। তখন তাদের জন্য খাদ্য-বস্তু আনা হলে তিনি ’বিসমিল্লাহ’ বলে খাওয়া শুরু করেন এবং মেহমানরাও খাদ্য-বস্তু ভক্ষণ করেন। রাবী বলেনঃ আমাকে এরূপ খবর দেওয়া হয় যে, আবূ বকর (রাঃ) সকাল বেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে (রাতের) ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বলেনঃ তুমি তাদের সকলের চাইতে অধিক নেককার এবং সত্যবাদী।

باب فِيمَنْ حَلَفَ عَلَى الطَّعَامِ لاَ يَأْكُلُهُ

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، أَوْ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ ‏:‏ نَزَلَ بِنَا أَضْيَافٌ لَنَا قَالَ ‏:‏ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَتَحَدَّثُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ فَقَالَ ‏:‏ لاَ أَرْجِعَنَّ إِلَيْكَ حَتَّى تَفْرَغَ مِنْ ضِيَافَةِ هَؤُلاَءِ وَمِنْ قِرَاهُمْ فَأَتَاهُمْ بِقِرَاهُمْ فَقَالُوا ‏:‏ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى يَأْتِيَ أَبُو بَكْرٍ ‏.‏ فَجَاءَ فَقَالَ ‏:‏ مَا فَعَلَ أَضْيَافُكُمْ أَفَرَغْتُمْ مِنْ قِرَاهُمْ قَالُوا ‏:‏ لاَ ‏.‏ قُلْتُ ‏:‏ قَدْ أَتَيْتُهُمْ بِقِرَاهُمْ فَأَبَوْا وَقَالُوا ‏:‏ وَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى يَجِيءَ، فَقَالُوا ‏:‏ صَدَقَ قَدْ أَتَانَا بِهِ فَأَبَيْنَا حَتَّى تَجِيءَ، قَالَ ‏:‏ فَمَا مَنَعَكُمْ قَالُوا ‏:‏ مَكَانُكَ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ وَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ، قَالَ فَقَالُوا ‏:‏ وَنَحْنُ وَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ مَا رَأَيْتُ فِي الشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ قَطُّ - قَالَ - قَرِّبُوا طَعَامَكُمْ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَقُرِّبَ طَعَامُهُمْ فَقَالَ ‏:‏ بِسْمِ اللَّهِ فَطَعِمَ وَطَعِمُوا فَأُخْبِرْتُ أَنَّهُ أَصْبَحَ فَغَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي صَنَعَ وَصَنَعُوا، قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ بَلْ أَنْتَ أَبَرُّهُمْ وَأَصْدَقُهُمْ ‏"‏ ‏.‏


Narrated 'Abd al-Rahman b. Abi Bakr: Some guests visited us, and Abu Bakr was conversing with the Messenger of Allah (ﷺ) at night. He (Abu Bakr) said: I will not return to you until you are free from their entertainment and serving them food. So he brought them food, but they said: We shall not eat it until Abu Bakr comes (back). Abu Bakr then came and asked: What did your guest do? Are you free from their entertainment ? They said: No. I said: I brought them food, but they refused and said: We swear by Allah, we shall not take it until he comes. They said: He spoke the truth. He brought it to us, but we refused (to take it) until you come. He asked: What did prevent you ? He said: I swear by Allah, I shall not take food tonight. They said: And we also swear by Allah that we shall not take food until you take it. He said: I never saw an evil like the one tonight. He said: Bring your food near (you). He ('Abd al-Rahman) said: Their food was then brought near them. He said: In the name of Allah, and he took the food, and they also took it. I then informed him that the dawn had broken. So he went to th Prophet (ﷺ) and informed him of what he and they had done. He said: You are the most obedient and most trustful of them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৯১. যদি কেউ কিছু না খাওয়ার জন্য কসম করে।

৩২৮৭. ইবন মুছান্না (রহঃ) ..... আবদুব রহমান ইবন আবূ বকর (রাঃ) উপরিউক্ত হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সালিম হতে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আমি এটা জানতে পারিনি যে, আবূ বকর (রাঃ) এ ঘটনার জন্য কাফফারা দিয়েছেন।

باب فِيمَنْ حَلَفَ عَلَى الطَّعَامِ لاَ يَأْكُلُهُ

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، وَعَبْدُ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ نَحْوَهُ زَادَ عَنْ سَالِمٍ، فِي حَدِيثِهِ قَالَ ‏:‏ وَلَمْ يَبْلُغْنِي كَفَّارَةً ‏.‏


A similar tradition has also been transmitted by 'Abd al-Rahman b. Abi Bakr through a different chain of narrators. This version adds on the authority of Salim: "Expiation (for breaking the oath) has not reached me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯/৪৮. তানঈম নামক স্থান থেকে উমরা করা

১/২৯৯৯। আবূ বকর (রাঃ) এর পুত্র আবদর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন আয়েশা (রাঃ)-কে নিজের জন্তুযানে করে নিয়ে যান এবং তানঈম নামক স্থান থেকে তার উমরা করার ব্যবস্থা করেন।

بَاب الْعُمْرَةِ مِنْ التَّنْعِيمِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو إِسْحَاقَ الشَّافِعِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ شَافِعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَهُ أَنْ يُرْدِفَ عَائِشَةَ فَيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ ‏.‏


‘Abdur-Rahman bin Abu Bakr narrated that the Prophet (ﷺ) told him to seat ‘Aishah behind him on his riding animal, and perform ‘Umrah with her from Tan’im.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তানঈম থেকে উমরা করা।

৯৩৬. ইয়াহ্ইয়া ইবনু মূসা ও ইবনু আবী উমার (রহঃ) ..... অবদুর রহমান ইবনু আবী বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ) -কে তানঈম থেকে (ইহরাম করে) উমরা করতে আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর - কে নির্দেশ দিয়েছেলেন। - ইবনু মাজাহ ২৯৯৯, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) এই হাদিসটি হাসান-সহীহ্।

باب مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ مِنَ التَّنْعِيمِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ أَنْ يُعْمِرَ عَائِشَةَ مِنَ التَّنْعِيمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Amr bin Aws narrated from Abdur-Rahman bin Abi Bakr: "The Prophet ordered Abdur-RAhman bin Abi Bakr to (accompany) Aishah to perform Umrah from At-Tan'im."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »