হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ১৪. ‘আলী বিন আবী ত্বলিব (রাঃ)-এর সম্মান

৬/১১৯। হুবশী ইবনু জুনাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ আলী আমার থেকে এবং আমি তার থেকে। আলীই আমার পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারে।

بَاب فَضْلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَلاَ يُؤَدِّي عَنِّي إِلاَّ عَلِيٌّ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Hubshi bin Junadah said: "I heard the Messenger of Allah say: ''Ali is part of me and I am part of him, and no one will represent me except 'Ali.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১. [মুনাফিকরা ‘আলী (রাযিঃ)-এর প্রতি বিদ্বেষী]

৩৭১৯। হুবশী ইবনু জুনাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আলী আমার হতে এবং আমি আলী হতে। আমার কোন কাজ থাকলে আমি নিজেই সম্পন্ন করি অথবা আমার পক্ষ হতে তা আলীই সম্পন্ন করে।

হাসানঃ ইবনু মাজাহ (১১৯)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْ عَلِيٍّ وَلاَ يُؤَدِّي عَنِّي إِلاَّ أَنَا أَوْ عَلِيٌّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Hubshi bin Junadah: that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "'Ali is from me and I am from 'Ali. And none should represent me except myself or 'Ali."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৫০-[১৪] হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কারো কাছে কিছু চাওয়া ধনী, সুস্থ সবল ও সুস্থ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পন্ন লোকের জন্য হালাল নয়। তবে ওই ফকিরের জন্য তা হালাল, যে ক্ষুধা পিপাসার কারণে মাটিতে পড়ে গেছে। এভাবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যও হাত পাতা হালাল যে ভারী ঋণের বোঝায় জর্জরিত। মনে রাখবে যে ব্যক্তি শুধু সম্পত্তি বাড়াবার জন্য মানুষের কাছে ঋণ চায়, তার এ চাওয়া কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন আহতের চিহ্নরূপে তার মুখে ভেসে উঠবে। তাছাড়াও জাহান্নামে তার খাদ্য হিসেবে গরম পাথর দেয়া হবে। অতএব যার ইচ্ছা সে কম হাত পাতুক অথবা বেশী বেশী হাত পাতুক। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ لِغَنِيٍّ وَلَا لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ إِلَّا لِذِي فَقْرٍ مُدْقِعٍ أَوْ غُرْمٍ مُفْظِعٍ وَمَنْ سَأَلَ النَّاسَ لِيُثْرِيَ بِهِ مَالَهُ: كَانَ خُمُوشًا فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَرَضْفًا يَأْكُلُهُ مِنْ جَهَنَّمَ فَمَنْ شَاءَ فَلْيَقُلْ وَمَنْ شَاءَ فليكثر . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: হাদীসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কঠিন অভাব অথবা দেনা পরিশোধের জন্য নয় বরং নিজের সম্পদকে বৃদ্ধি করার জন্য মানুষের নিকট সাওয়াল (ভিক্ষাবৃত্তি বা চাইবে) করবে তাকে হাদীসে বর্ণিত শাস্তি প্রদান করা হবে। এ শাস্তির কথা জানার পর যার ইচ্ছে হয় সাওয়াল কম করা সে কম করে করবে আর যার ইচ্ছে হয় বেশি সাওয়াল করার সে বেশি করবে। (সাওয়ালের অনুপাতে তার শাস্তি হবে)। এর দৃষ্টান্ত যেমন আল্লাহর বাণী, অর্থাৎ ‘‘যার ইচ্ছে হয় সে ঈমান আনবে আর যার ইচ্ছে হয় সে কুফরী করবে। আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রস্ত্তত রেখেছি আগুন’’- (সূরাহ্ আল কাহফ ১৮ : ২৯)।


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
বর্ণনাকারীঃ হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০৯২-[৬] হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ’আলী আমা হতে, আর আমি ’আলী হতে। আর আমার তরফ হতে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, আমি অথবা ’আলী ছাড়া। [তিরমিযী, আর ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি জুনাদাহ হতে বর্ণনা করেছেন।]

اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)

وَعَن حبشِي بن جُنَادَة قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْ عَلِيٍّ وَلَا يُؤَدِّي عني إِلَّا أَنا وَعلي» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَرَوَاهُ أَحْمد عَن أبي جُنَادَة

حسن ، رواہ الترمذی (3719 وقال : حسن غریب صحیح) و احمد (4 / 164 ح 17645) ۔
(صَحِيح)

ব্যাখ্যা: (عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْ) অর্থাৎ ‘আরবদের অভ্যাস ছিল যদি তাদের মাঝে কোন ওয়াদা ভঙ্গ করা, কোন কথা, কোন চুক্তি, কোন ওয়াদা ভঙ্গ করার সময় হয় তখন তা কেবল ভঙ্গ করতে পারে সে সম্প্রদায়ের নেতা। অথবা যে তার খুব নিকটাত্মীয় বা কাছের লোক। তার থেকে ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। যে বছর রাসূল (সা.) আবূ বাকর (রাঃ)-কে হজ্জ সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন তার পিছনে পিছনে ‘আলী (রাঃ) কে পাঠালেন মুশরিকদের সাথে করা চুক্তিকে ভঙ্গ করার জন্য। তিনি তাদের সামনে সূরাহ্ আত্ তাওবার আয়াত পাঠ করলেন।
(اِنَّمَا الۡمُشۡرِکُوۡنَ نَجَسٌ فَلَا یَقۡرَبُوا الۡمَسۡجِدَ الۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِهِمۡ هٰذَا) “মুশরিকরা অপবিত্র, তারা যেন এ বছরের পর আর মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয়”(সূরাহ আত্ তাওবাহ ৯: ২৮)। এছাড়াও অন্যান্য বিধানাবলী দ্বারা তাকে পাঠানো হয়েছিল। এটা ছিল ‘আলী (রাঃ)-এর বিরাট বড় একটা মর্যাদা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ হুবশী ইবনু জুনাদাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে