পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮১-[১৮] ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! যদি আমাদের কেউ শিকার করে খাওয়ার মতো কোন পশু পেয়ে যায় আর তার সঙ্গে ছুরি না থাকে, তখন সে হালকা ধরনের পাথর কিংবা ধারালো কোন কাঠ দ্বারা তাকে যাবাহ করতে পারবে কি? তিনি বললেন, ইচ্ছামত যে কোন জিনিস দ্বারাই রক্ত প্রবাহিত করে দাও এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ أَحَدُنَا أَصَابَ صَيْدًا وَلَيْسَ مَعَهُ سِكِّينٌ أَيَذْبَحُ بِالْمَرْوَةِ وَشِقَّةِ الْعَصَا؟ فَقَالَ: «أَمْرِرِ الدَّمَ بِمَ شِئْتَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যাঃ মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা উল্লেখ করেছেন যে, হাদীসে উল্লেখিত শব্দ (الْمَرْوَةِ) হলো, একেবারে পাতলা সাদা পাথর। যাকে ছুরির মতো বানানো যায় এবং তা দিয়ে যাবাহ করা যায়। (الدَّمَ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রবহমান রক্ত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (الْمَرْوَةِ) হলো সাদা পাথর। আর (شِقَّةِ الْعَصَا) দ্বারা বুঝানো হয়েছে এমন জিনিসকে যা শক্ত এবং ধারালো হয়। অতএব পশুর শরীরে আঘাত করে রক্ত বের করা যায় এমন কোন জিনিস দিয়ে রক্ত বের করলে এবং আল্লাহর নাম নিলেই যথেষ্ট হবে। তখন তা খেতে কোন সমস্যা নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮২১)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৩-[২০] ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কুকুর অথবা বাজপাখি-কে শিকার ধরার জন্য তুমি শিক্ষা দিয়েছ, অতঃপর তাকে ’বিসমিল্লাহ’ বলে ছেড়ে দিয়েছ, যদি সে শিকারটিকে তোমার জন্য ধরে রাখে, তবে তুমি তা খেতে পার। (রাবী বলেন,) আমি জিজ্ঞেস করলাম, যদি সে শিকারটিকে মেরে ফেলে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যখন সে শিকারটিকে মেরে ফেলেছে এবং তার কিছুই খায়নি (তখন তা খাওয়া যায়)। কেননা সে তা তোমার জন্যই শিকার করেছে। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَن عدي بن حَاتِم أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا عَلَّمْتَ مِنْ كَلْبٍ أَوْ بَازٍ ثُمَّ أَرْسَلْتَهُ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكَ عَلَيْكَ» . قُلْتُ: وَإِنْ قَتَلَ؟ قَالَ: «إِذَا قَتَلَهُ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنَّمَا أَمْسَكَهُ عَلَيْكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসে শুধুমাত্র দু’টি প্রাণীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে উপমা হিসেবে অথবা অধিকাংশের বিবেচনায়। কেননা অধিকাংশ সময় সাধারণত এ দুই ধরনের প্রাণী দিয়েই শিকার করা হয়ে থাকে।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বাজ পাখি শিকার করে যদি সেই শিকারকৃত প্রাণী হতে কিছু খেয়ে ফেলে তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কুকুর শিকারকৃত প্রাণী হতে কিছু খেয়ে ফেলে তাহলে সেই শিকারকৃত প্রাণী খাওয়া মাকরূহ। তবে যদি কুকুর শিকার করে রক্ত পান করে তাহলে তা খেতে কোন সমস্যা নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৪৮)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৪-[২১] উক্ত রাবী (’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি কোন শিকারের প্রতি তীর ছুঁড়ি এবং পরের দিন আমার তীরসহ শিকারটিকে পাই। (এমতাবস্থায় তার হুকুম কি?) তিনি বললেন, যদি তোমার এ দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, তোমার তীরই তাকে মেরেছে এবং অন্য কোন হিংস্র জানোয়ারের দ্বারা আঘাতের চিহ্ন তাতে না দেখো, তখন তুমি তা খেতে পারো। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرْمِي الصَّيْدَ فَأَجِدُ فِيهِ مِنَ الْغَدِ سَهْمِي قَالَ: «إِذَا عَلِمْتَ أَنَّ سَهْمَكَ قَتَلَهُ وَلَمْ تَرَ فِيهِ أَثَرَ سَبُعٍ فَكُلْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যাঃ ইবনুল মালিক এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেনঃ যদি তুমি ঐ প্রাণীর মাঝে কোন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের চিহ্ন দেখতে পাও তাহলে সেটি খাবে না। কেননা তখন সেই প্রাণীকে হত্যা করার নিশ্চিত কারণ জানা যায় না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৬৮; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
অত্র হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আবূ সা‘লাবাহ্ আল খুশানী থেকে আরো একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছে, আবূ সা‘লাবাহ্ বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমাকে আমার তীর ও ধনুক সম্পর্কে বলুন? (অর্থাৎ তীর ও ধনুক দিয়ে আমি যা শিকার করি তা খেতে পারব কিনা?) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার ধনুক তোমার জন্য যা শিকার করে তা তুমি খেয়ে নাও। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেনঃ তা যাবাহ করা হোক না হোক। সা‘লাবাহ্ বললেন, তীর লাগার পর সেই প্রাণী যদি আমার থেকে আড়াল হয়ে যায় (তাহলেও কি খেতে পারব)? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার থেকে আড়াল হয়ে গেলেও তুমি তা খেতে পার। যতক্ষণ না সেই শিকারকৃত প্রাণী থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। আর যতক্ষণ না তোমার তীর ব্যতীত অন্য কোন কিছুর আঘাত তাতে না পাওয়া যায়।
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৫০-[২] ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার রব কথাবার্তা বলবেন না। তার ও তার প্রভুর মাঝে কোন দোভাষী এবং এমন কোন পর্দা থাকবে না, যা তাকে লুকিয়ে রাখবে। সে তার ডানে তাকাবে, তখন আগে প্রেরিত ’আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। আবার বামে তাকাবে, তখন আগে পাঠানো ’আমল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। আর সম্মুখের দিকে তাকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না, যা একেবারে চেহারার সামনে অবস্থিত। অতএব এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চেষ্টা কর। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (باب الحساب و القصاص و المیزان )
وَعَن عديِّ بن حاتمٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «مَا مِنْكُم أَحَدٍ إِلَّا سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تُرْجُمَانٌ وَلَا حِجَابٌ يَحْجُبُهُ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلَا يَرَى إِلَّا مَا قَدَّمَ مِنْ عَمَلِهِ وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلَا يَرَى إِلَّا مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلَا يَرَى إِلَّا النَّارَ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَة» . مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (6539) و مسلم (67 / 1016)، (2348) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (مِنْ<مَا مِنْكُم أَحَدٍ>) অতিরিক্ত হিসেবে ব্যবহার হয়েছে না-বোধকের পরিব্যপ্তি বুঝানোর জন্য। বার্তাটি মু'মিনদের জন্য। আল্লাহ বান্দার সাথে কথা বলবেন বিনা মাধ্যমে। আল্লাহ ও বান্দার মাঝে কোন দোভাষী থাকবে না। (تُرْجُمَانٌ) অর্থ দোভাষী, যিনি কোন কথাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় বুঝিয়ে দেন, রূপান্তরিত করেন, ব্যাখ্যা করেন।
বান্দা ডানদিকে তার সৎ “আমলগুলোকে উপস্থিত পাবে অথবা তার নির্ধারিত বিনিময় দেখতে পাবে। আর বামদিকে স্বীয় মন্দ ‘আমলকে উপস্থিত পাবে।
(وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَة) অর্থাৎ তোমরা অর্ধেক খেজুর অথবা কিয়দাংশ সদাক্বাহ করে হলেও তা করো, এর অর্থ সামান্য খেজুর বা অন্য কিছু হলেও তা দান কর। কারণ তা তোমাদের ও জাহান্নামের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আর অবশ্যই সদাক্বাহ ঢালস্বরূপ এবং জান্নাতের যাওয়ার ওয়াসীলাহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
হাফিয (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, স্বল্প পরিমাণে হলেও সদাকাহ্ ও সৎ ‘আমলকে তোমাদের ও জাহান্নামের মাঝে রক্ষার উপায় অবলম্বন করো। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৪১৫)।
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নুবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
৫৮৫৭-[৬] ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী (সা.) -এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তার কাছে এক লোক এসে দরিদ্রতার অভিযোগ করল। এরপর আরেক লোক এসে পথে ডাকাতির অভিযোগ করল। তখন তিনি (সা) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ’আদী! তুমি কি হীরাহ্ দেখেছ? কূফার একটি প্রসিদ্ধ শহর (বর্তমানে ’ইরাকের একটি প্রদেশ) যদি তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক তাহলে অবশ্যই দেখতে পাবে যে, একটি মহিলা হীরাহ থেকে ভ্রমণ করে মক্কায় গমন করবে এবং নিরাপদে কা’বা ঘর ত্বওয়াফ করবে, অথচ এক আল্লাহ তা’আলা ছাড়া তার অন্তরে আর কারো ভয় থাকবে না।
আর যদি তুমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাক তাহলে দেখতে পাবে, অচিরেই পারস্যের ধনভাণ্ডার বিজিত হবে (অর্থাৎ তা গনীমত হিসেবে মুসলিমদের হাতে আসবে)। আর যদি তুমি দীর্ঘজীবী হও, তাহলে এমনও দেখবে যে, এক ব্যক্তি দান-খয়রাত করার উদ্দেশে মুষ্টি ভরে সোনা অথবা রূপা নিয়ে বের হয়েছে এবং তা গ্রহণ করার জন্য লোক সন্ধান করছ। কিন্তু তার নিকট হতে তা গ্রহণ করার মতো কোন একজন লোকও সে খুঁজে পাবে না। আর নিশ্চয় তোমাদের কেউ একদিন আল্লাহর মাঝে এমন কোন একজন লোকও সে খুঁজে পাবে না। আর নিশ্চয় তোমাদের কেউ একদিন আল্লাহর সম্মুখে এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে এমন কোন লোক থাকবে না, যে তার অবস্থা আল্লাহর সামনে পেশ করবে। তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রশ্ন করবেন, আমি কি তোমার কাছে কোন রাসূল (সা.)ই পাঠাইনি, যিনি দীন শারী’আতের কথা তোমার কাছে পৌছাবে?
সে বলবে, হ্যাঁ, নিশ্চয় পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা আবার প্রশ্ন করবেন, আমি কি তোমাকে ধন-সম্পদ দান করিনি এবং আমি তোমার ওপর দয়া করিনি। সে বলবে, হ্যাঁ, করেছেন। অতঃপর সে স্বীয় ডানদিকে তাকাবে, কিন্তু জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। আবার স্বীয় বামদিকে তাকাবে, কিন্তু সেখানেও জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই দেখবে না। তোমরা খেজুরের এক টুকরা দান করে হলেও নিজেকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচাও। যদি কেউ এতটুকুও না পায়, তবে অন্তত মিষ্টি কথা দ্বারা আত্মরক্ষা কর। বর্ণনাকারী [আদী (রাঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর বাণী মোতাবেক একজন মহিলাকে হীরাহ্ হতে একাকিনী ভ্রমণ করে কা’বা ঘর তাওয়াফ করতে আমি নিজে দেখেছি। অথচ সে আল্লাহ তা’আলা ছাড়া আর কাউকে ভয় করেনি। আর কিসরা ইবনু হরমুযের (অর্থাৎ পারস্যের) ধনভাণ্ডার যারা উন্মুক্ত করেছেন, আমিও তাদের সাথে ছিলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী ’আদী (রাঃ) তার পরবর্তী লোকেদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, যদি তোমরা দীর্ঘায়ু হও তাহলে নবী আবূল কাসিম -এর এ ভবিষ্যদ্বাণী কোন লোক মুষ্টি ভরে.... ও দেখতে পাবে। (বুখারী)
الفصل الاول ( بَاب عَلَامَات النُّبُوَّة)
وَعَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْد النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَتَاهُ رَجُلٌ فَشَكَا إِلَيْهِ الْفَاقَةَ ثُمَّ أَتَاهُ الْآخَرُ فَشَكَا إِلَيْهِ قَطْعَ السَّبِيلِ. فَقَالَ: يَا عدي هَل رَأَيْتَ الْحِيرَةَ؟ فَإِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ فَلَتَرَيَنَّ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ لَا تَخَافُ أَحَدًا إِلَّا اللَّهَ وَلَئِنْ طَالَتْ بك حَيَاةٌ لَتُفْتَحَنَّ كُنُوزُ كِسْرَى وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الرَّجُلَ يَخْرُجُ مِلْءَ كَفِّهِ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ يَطْلُبُ مَنْ يَقْبَلُهُ فَلَا يجد أحدا يقبله مِنْهُ وَلَيَلْقَيَنَّ اللَّهَ أَحَدُكُمْ يَوْمَ يَلْقَاهُ وَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ يُتَرْجِمُ لَهُ فَلَيَقُولَنَّ: أَلَمْ أَبْعَثْ إِليك رَسُولا فليبلغك؟ فَيَقُولُ: بَلَى. فَيَقُولُ: أَلَمْ أُعْطِكَ مَالًا وَأُفْضِلْ عَلَيْكَ؟ فَيَقُولُ: بَلَى فَيَنْظُرُ عَنْ يَمِينِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا جَهَنَّمَ وَيَنْظُرُ عَنْ يَسَارِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا جَهَنَّمَ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ قَالَ عَدِيٌّ: فَرَأَيْتُ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ لَا تَخَافُ إِلَّا اللَّهَ وَكُنْتُ فِيمَنِ افْتَتَحَ كُنُوزَ كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ وَلَئِنْ طَالَتْ بِكُمْ حَيَاةٌ لَتَرَوُنَّ مَا قَالَ النَّبِيُّ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَخْرُجُ ملْء كفيه» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
رواہ البخاری (3595) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: হাদীসে যে লোক দারিদ্রতার ও ভয়ের অভিযোগ করেছিল তা ছিল কঠিন সময়ের। আর এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, (اِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا) “নিশ্চয় কঠিনের পর সহজ রয়েছে”- (সূরাহ আশ শারহ ৯৪: ৬)। আর কোন দেশ বিজয়ের আগে সাহাবীদের এরূপ অবস্থা ছিল।
এখানে প্রশ্নকারীর উত্তর দেয়া হয়েছে আর ‘আদী (রাঃ)-ও অন্যান্য সাহাবীদেরকে সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে যে, তারা অচিরেই সহজতা ও নিরাপত্তা লাভ করবে।
এরপর উল্লেখ করলেন দুনিয়াবী এ সকল আরাম-আয়েশ পরকালে কঠিন ও অপমানের কারণ হবে। তবে যাকে আল্লাহ তা থেকে ব্যয় করার ক্ষমতা দিয়েছেন আর সে তা কল্যাণের কাজে ব্যায় করে তার ব্যাপারটি ভিন্ন। যেমনটি হাদীসে এসেছে- সেদিন তোমাদের কেমন হবে যখন তোমরা সকালে পরিধান করবে এক সেট নতুন কাপড় আর সন্ধ্যায় পরিধান করবে আর এক সেট নতুন কাপড়। আর তার সামনে রাখা প্লেট। তিনি বললেন, তোমরা সেদিনের চেয়ে আজকে ভালো আছ। সেদিন মানুষের মাঝে পরিবর্তন দেখা দিবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ২২৯. ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুত্ববাহ দেয়া
১০৯৯। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক বক্তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বললোঃ মাঁই ইউতিয়িল্লাহা ওয়া রসূলুহু ফাক্বাদ রাশাদা ওয়া মাঁই ইয়া’সিহিমা’’। ’’যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করলো সে সঠিক পথ পেলো। আর যে তাঁদের নাফরমানী করলো’’। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি চলে যাও। তুমি অতিশয় নিকৃষ্ট বক্তা।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب الرَّجُلِ يَخْطُبُ عَلَى قَوْسٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ خَطِيبًا، خَطَبَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَقَالَ " قُمْ - أَوِ اذْهَبْ - بِئْسَ الْخَطِيبُ أَنْتَ "
- صحيح : م
'Adi b. Hatim said:
A speaker delivered a speech in the presence of the Prophet (ﷺ). He said: Anyone who obeys Allah and His Apostle, and one who disobeys them. He said: Go away, you are a bad speaker.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. সাহারীর সময়
২৩৪৯। ’আদী ইবনু হাতিম (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো সুতা থেকে ভোরের সাদা সুতা (রেখা) স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত হয়’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৭)। তখন আমি একটি কালো ও একটি সাদা রংয়ের সুতা নিয়ে আমার বালিশের নীচে রাখি। এরপর আমি তা দেখতে থাকি কিন্তু তা স্পষ্টভাবে দেখতে পেলাম না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি হেসে হেসে উঠলেন এবং বললেনঃ বালিশ তো দৈঘ্য প্রস্থকারী। বরং এটা হচ্ছে রাত ও দিন। উসমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ তা তো রাতের অন্ধকার এবং দিনের শুভ্রতা।[1]
সহীহ।
بَابُ وَقْتِ السُّحُورِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، الْمَعْنَى، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: (حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ) [البقرة: ١٨٧] مِنَ الخَيْطِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: أَخَذْتُ عِقَالًا أَبْيَضَ وَعِقَالًا أَسْوَدَ، فَوَضَعْتُهُمَا تَحْتَ وِسَادَتِي، فَنَظَرْتُ فَلَمْ أَتَبَيَّنْ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَضَحِكَ فَقَالَ: إِنَّ وِسَادَكَ لَعَرِيضٌ طَوِيلٌ، إِنَّمَا هُوَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ، وَقَالَ عُثْمَانُ: إِنَّمَا هُوَ سَوَادُ اللَّيْلِ وَبَيَاضُ النَّهَارِ
صحيح
Narrated 'Adi b. Hatim:
When the verse "Until the white thread of dawn appear to you distinct from its black thread" was revealed, I took a white rope and a black rope, and placed them beneath my pillow ; and then I looked at them, byt they were not clear to me. So I mentioned it to the Messenger of Allah (ﷺ). He laughed and said: Your pillow is so broad and lengthy ; that is (i.e. means) night and day. The version of the narrator 'Uthman has: That is the blackness of night and whiteness of day.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. চকমকি পাথর দ্বারা যবাহ করা
২৮২৪। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো হাতে শিকার আসলে তখন কাছে ছুরি না থাকলে সে কি চকমকি পাথর ও লাঠির ধারালো পার্শ্ব দিয়ে তা যবাহ করবে, এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেনঃ যেভাবে সম্ভব রক্ত প্রবাহিত করো এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো।[1]
بَابٌ فِي الذَّبِيحَةِ بِالْمَرْوَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ مُرَيِّ بْنِ قَطَرِيٍّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أَحَدُنَا أَصَابَ صَيْدًا وَلَيْسَ مَعَهُ سِكِّينٌ أَيَذْبَحُ بِالْمَرْوَةِ وَشِقَّةِ الْعَصَا؟ فَقَالَ: أَمْرِرِ الدَّمَ بِمَا شِئْتَ، وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
صحيح
Narrated Adi ibn Hatim:
I said: Messenger of Allah, tell me when one of us catches game and has no knife; may he slaughter with a flint and a splinter of stick. He said: Cause the blood to flow with whatever you like and mention Allah's name.
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৪৭। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করি, আমি আমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর শিকারে পাঠালে তা আমার জন্য শিকার ধরে আনলে আমি কি তা খাবো? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরকে আল্লাহর নাম নিয়ে শিকারে পাঠালে তা তোমার জন্য যে শিকার ধরে আনবে তা খাবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কুকুর যদি শিকারকে হত্যা করে? তিনি বললেনঃ কুকুর যদি শিকার হত্যা করে এবং তোমার কুকুরের সাথে অন্য কুকুর অংশগ্রহণ না করে তাহলে খেতে পারবে। আমি বলি, আমি পালকবিহীন ধাতুর পাত ছুঁড়ে কোনো শিকার ধরলে তা খাবো কি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে পালকবিহীন ধাতুর পাত ছোঁড়া হলে তা শিকারকে জখম করলে খেতে পারো। কিন্তু তীরের পার্শ্বের আঘাতে শিকার হয়ে থাকলে তা খেও না।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: إِنِّي أُرْسِلُ الْكِلَابَ الْمُعَلَّمَةَ، فَتُمْسِكُ عَلَيَّ، أَفَآكُلُ؟ قَالَ: إِذَا أَرْسَلْتَ الْكِلَابَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ، فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ. قُلْتُ: وَإِنْ قَتَلْنَ؟ قَالَ: وَإِنْ قَتَلْنَ مَا لَمْ يَشْرَكْهَا كَلْبٌ لَيْسَ مِنْهَا
صحيح
Narrated 'Abi b. Hatim:
I asked the Prophet (ﷺ) ,and said: I set off my trained dogs, and they catch (something) for me: may I eat (it)? He said: When you set off trained dogs and mention Allah's name, eat what they catch for you. I said: Even if they killed (the game)? He said: Even if they killed (the game) as long as another dog does not join it. I said: I shoot with a featherless arrow, and it strikes the target, may I eat (it) ? He said: If you shoot with a featherless arrow and mention Allah's name, and it strikes the aim, and pierce it, eat it ; and if it strikes with its middle, do not eat (it).
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৪৮। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করি, ’আমরা এসব কুকুর দ্বারা শিকার করে থাকি। তিনি আমাকে বললেনঃ যখন তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলো আল্লাহর নাম নিয়ে শিকারে পাঠাবে, সেগুলো তোমার জন্য যা ধরে আনবে তা খাও, এমন কি শিকার মেরে ফেললেও। কুকুর যদি তা থেকে না খেয়ে থাকে তাহলে খাও। আর যদি খেয়ে থাকে তবে খেও না। কেননা আমার আশঙ্কা হচ্ছে, ঐ শিকার সে নিজের জন্য ধরেছে।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ بَيَانٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ: إِنَّا نَصِيدُ بِهَذِهِ الْكِلَابِ. فَقَالَ لِي: إِذَا أَرْسَلْتَ كِلَابَكَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ، وَإِنْ قَتَلَ إِلَّا أَنْ يَأْكُلَ الْكَلْبُ فَإِنْ أَكَلَ الْكَلْبُ فَلَا تَأْكُلْ، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا أَمْسَكَهُ عَلَى نَفْسِهِ
صحيح
Narrated 'Adi b. Hatim:
I asked the Messenger of Allah. I said: We hunt with these dogs. He replied: When you set off your dog and mention Allah's name over it, eat what it catches for you, even if it kills it, except that the dog has eaten (any of it); if the dog has eaten (any of it), do not eat, for Im afraid it has caught it only for itself.
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৪৯। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি যদি আল্লাহর নাম নিয়ে তোমার তীর ছুঁড়ো এবং ঐ শিকারকৃত পশু পরের দিন এমন অবস্থায় পাও যে, তা পানিতে পড়েনি এবং তাতে তোমার তীরের আঘাত ছাড়া অন্য কোনো চিহ্নও নেই, তবে তা খাও। আর যদি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাথে অন্য কুকুর দেখো তাহলে শিকার খেও না। কেননা তুমি অবহিত নয় যে, হয় তো অন্য কোনো কুকুর শিকার হত্যা করেছে।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا رَمَيْتَ بِسَهْمِكَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ فَوَجَدْتَهُ مِنَ الْغَدِ، وَلَمْ تَجِدْهُ فِي مَاءٍ وَلَا فِيهِ أَثَرٌ غَيْرُ سَهْمِكَ فَكُلْ، وَإِذَا اخْتَلَطَ بِكِلَابِكَ كَلْبٌ مِنْ غَيْرِهَا فَلَا تَأْكُلْ لَا تَدْرِي لَعَلَّهُ قَتَلَهُ الَّذِي لَيْسَ مِنْهَا
صحيح
Narrated 'Adi b. Hatim:
The Prophet (ﷺ) as saying: When you shoot your arrow and mention Allah's name, and you find it (the game) after a day, and you do not find it in water, and you find in it only the mark of you arrow, eat (it). But if another dog joins your dogs, do not eat it, for you do not know maybe the one which was not yours has killed it.
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৫০। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমার শিকার তীরসহ পানিতে পড়ে ডুবে মারা গেলে তাহলে তুমি তা খাবে না।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنِي عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا وَقَعَتْ رَمِيَّتُكَ فِي مَاءٍ فَغَرِقَ فَمَاتَ فَلَا تَأْكُلْ
صحيح
Narrated 'Adi b. Hatim:
The Prophet (ﷺ) as saying: When the animal at which you shot falls in water, is drowned, and dies, do not eat.
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৫১। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কোনো কুকুর বা বাজ পাখি প্রশিক্ষণ দিয়ে শিকারে পাঠালে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করলে- সে তোমার জন্য যা ধরে আনবে তা খেতে পারো। আমি বলি, যদি সে তা মেরে ফেলে? তিনি বললেনঃ সে যদি শিকার হত্যা করে এর কোনো অংশ না খায়, তবে সে তা তোমার জন্যই শিকার করেছে।
আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বাজ পাখি শিকারের কিছু খেলে অসুবিধা নেই। কুকুর শিকার থেকে খেলে তা খাওয়া নিষেধ, তবে কেবল রক্ত পান করলে তা খাওয়া দূষণীয় নয়।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا عَلَّمْتَ مِنْ كَلْبٍ أَوْ بَازٍ، ثُمَّ أَرْسَلْتَهُ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكَ عَلَيْكَ. قُلْتُ: وَإِنْ قَتَلَ؟ قَالَ: إِذَا قَتَلَهُ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنَّمَا أَمْسَكَهُ عَلَيْكَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الْبَازُ إِذَا أَكَلَ فَلَا بَأْسَ بِهِ، وَالْكَلْبُ إِذَا أَكَلَ كُرِهَ، وَإِنْ شَرِبَ الدَّمَ فَلَا بَأْسَ بِهِ
صحيح إلا قوله أو باز فإنه منكر
Narrated Adi ibn Hatim:
The Prophet (ﷺ) said: Eat what ever is caught for you by a dog or a hawk you have trained and set off when you have mentioned Allah's name. I said: (Does this apply) if it killed (the animal)? He said: When it kills it without eating any of it, for it caught it only for you.
Abu Dawud said: If a hawk eats any of it, there is no harm (in eating it). If a dog eats it, it is disapproved (to eat the meat). If it drinks blood, there is no harm (in eating it).
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৫৩। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যদি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে, অতঃপর দুই বা তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর মৃত অবস্থায় শিকারটি পায় এবং তার শরীরে তীরবিদ্ধ থাকে। সে কি তা খাবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, সে ইচ্ছা হলে খেতে পারে।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُعَاذِ بْنِ خُلَيْفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدُنَا يَرْمِي الصَّيْدَ فَيَقْتَفِي أَثَرَهُ الْيَوْمَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ، ثُمَّ يَجِدُهُ مَيِّتًا وَفِيهِ سَهْمُهُ أَيَأْكُلُ؟ قَالَ: نَعَمْ إِنْ شَاءَ أَوْ قَالَ: يَأْكُلُ إِنْ شَاءَ
صحيح
Narrated Adi ibn Hatim:
Messenger of Allah, one of us shoots at the game, and follows its mark for two or three days, and then finds it dead, and there is his arrow (pierced) in it, may he eat it? He said: Yes, if he wishes, or he said: he may eat if he wishes.
পরিচ্ছেদঃ ২. শিকারের বর্ণনা
২৮৫৪। ’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (পালাকহীন ও মধ্যবর্তী অংশ মোটা) তীর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ শিকার এর ধারালো দিকের আঘাতে মারা গেলে খাবে। আর প্রস্থের দিকের আঘাতে মারা গেলে খাবে না। কেননা তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত প্রাণীর মতই (হারাম)। আমি বলি, আমি শিকার ধরার জন্য আমার কুকুর প্রেরণ করি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর নাম নিয়ে ছেড়ে থাকলে খাও, অন্যথায় খেও না। তবে কুকুর শিকার থেকে খেয়ে থাকলে তা খেও না। কেননা সে তা নিজের জন্য ধরেছে। ’আদী (রাঃ) বললেন, আমার শিকারের জন্য কুকুর প্রেরণ করি এবং এর সাথে অন্য কুকুরও দেখি। তিনি বললেনঃ তা খাবে না। কারণ তুমি তো কেবল তোমার কুকুরের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করেছো।[1]
بَابٌ فِي الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: قَالَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْمِعْرَاضِ؟ فَقَالَ: إِذَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْ، وَإِذَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَلَا تَأْكُلْ، فَإِنَّهُ وَقِيذٌ. قُلْتُ: أُرْسِلُ كَلْبِي؟ قَالَ: إِذَا سَمَّيْتَ فَكُلْ وَإِلَّا فَلَا تَأْكُلْ، وَإِنْ أَكَلَ مِنْهُ فَلَا تَأْكُلْ فَإِنَّمَا أَمْسَكَ لِنَفْسِهِ. فَقَالَ: أُرْسِلُ كَلْبِي فَأَجِدُ عَلَيْهِ كَلْبًا آخَرَ؟ فَقَالَ: لَا تَأْكُلْ لِأَنَّكَ إِنَّمَا سَمَّيْتَ عَلَى كَلْبِكَ
صحيح
Narrated 'Adi b. Hatim:
I asked Prophet (ﷺ) about featherless arrow. He said: If it strikes with its end, eat, and if it strikes with the middle part of it, do not eat, for it died by a violent blow. I said: I set off my dog? He replies: If you mention Allah's name, eat, otherwise do not eat. If it eats any of it, do not eat, for it caught for itself. He asked: I set off my dog, and I find with it another dog ? He replied: Do not eat, because you mentioned Allah's name on your dog.
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. পরিচ্ছেদ নাই
৪৯৮১। আদী ইবনু হাতীম (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। এক বক্তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিতিতে বক্তৃতা করতে গিয়ে বললোঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরন করলো সে সঠিক পথ পেলো আর যে তাদের আদেশ অমান্য করলো- এ পর্যন্ত বলার পর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ওঠো! অথবা তিনি বললেন, চলে যাও! কারন তুমি কতই না খারাফ বক্তা।[1]
সহীহ।
باب
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ، عَنْ تَمِيمٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، أَنَّ خَطِيبًا خَطَبَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشِدَ وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَقَالَ: قُمْ أَوْ قَالَ: اذْهَبْ فَبِئْسَ الْخَطِيبُ أَنْتَ
صحيح
‘Adl b. Hatim said:
A speaker gave sermon before the prophet (May peace be upon him). He said : he who obeys Allah and his Prophet will follow the right course, and he who disobeys them. He (The prophet) said: get up; he said: go away, a bad speaker you are.
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহভীতি ও সংযমশীলতা
(১৯০) আবূ ত্বারীফ আদী ইবনে হাতেম ত্বাই (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (এ কথা) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খাবে অতঃপর তার চেয়ে বেশী আল্লাহ-ভীতির বিষয় দেখবে, তার উচিত আল্লাহ-ভীতির বিষয় গ্রহণ করা।
عَنْ أَبيْ طَرِيفٍ عَدِيِّ بنِ حَاتِمٍ الطَّائيِّ قَالَ : سَمِعْتُ رسولَ الله ﷺ يَقُوْلُ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ ثُمَّ رَأَى أتْقَى للهِ مِنْهَا فَليَأتِ التَّقْوَى رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২১) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার প্রতিপালক কথা বলবেন; তার ও তাঁর মাঝে কোন আনুবাদক থাকবে না। (সেখানে) সে তার ডানদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকে তা-ই দেখতে পাবে যা সে অগ্রিম পাঠিয়েছিল এবং বামদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকেও নিজের কৃতকর্ম দেখতে পাবে। আর সামনে তাকাবে, সুতরাং তার চেহারার সামনে জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতএব তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়।
عَن عَدِي بنِ حَاتمٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَينَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرى إلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنظُرُ بَيْنَ يَدَيهِ فَلاَ يَرَى إلاَّ النَّار تِلقَاءَ وَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَو بِشِقِّ تَمْرَةٍ متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৫০৩) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ ক’রে হয়!
উক্ত আদী হতে বুখারী-মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার প্রতিপালক কথা বলবেন; তার ও তাঁর মাঝে কোন আনুবাদক থাকবে না। (সেখানে) সে তার ডানদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকে তা-ই দেখতে পাবে যা সে অগ্রিম পাঠিয়েছিল। এবং বামদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকেও নিজের কৃতকর্ম দেখতে পাবে। আর সামনে তাকাবে, সুতরাং তার চেহারার সামনে জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতএব তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়। আর যে ব্যক্তি এরও সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ভাল কথা বলে বাঁচে।
عَن عَدِي بنِ حَاتمٍ قَالَ : سَمِعتُ النَّبيّ ﷺ يَقُولُ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَفي رِوَايَةٍ لَّهُمَا عَنهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَينَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرى إلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنظُرُ بَيْنَ يَدَيهِ فَلاَ يَرَى إلاَّ النَّار تِلقَاءَ وَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَو بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ
পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ
(৯২৬) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়! (যদি এক টুকরা খেজুরও না পাও, তবে উত্তম কথা বলে।)
عَن عَدِي بنِ حَاتِمٍ قَالَ : سَمِعْتُ النَّبيَّ ﷺ يَقُولُ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ مُتَّفَقٌ عليه