পরিচ্ছেদঃ ৩. হাঁচিদাতার জবাবে যা বলতে হবে
২৭৪১। আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কেউ যখন হাঁচি দিবে তখন সে যেন বলে, আল-হামদুলিল্লাহ আল কুল্লি হাল। উত্তরদাতা বলবে, ইয়ারহামুকাল্লাহ।হাঁচিদাতা আবার বলবে, ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়াইউসলিহু বালাকুম।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৭১৫)
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না-মুহাম্মাদ ইবনু জাফার হতে, তিনি শুবাহ হতে, তিনি আবূ লাইলা (রহঃ) হতে এই সনদসূত্রে উপরের হাদীসের একই রকম হাদীস বর্ণিত হয়েছে। শু’বাহও এ হাদীসটি ইবনু আবূ লাইলার সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে বর্ণিত। ইবনু আবী লাইলা এই হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে ইযতিরাব করেছেন।
কখনো বলেছেনঃ আবূ আইয়ূব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, আবার কখনো বলেছেন, আলী (রাযিঃ)-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণিত। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া আস-সাকাফী আল-মারওয়ায়ী তারা উভয়ে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান হতে, তিনি ইবনু আবী লাইলা হতে, তিনি আলী (রাযিঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلْيَقُلِ الَّذِي يَرُدُّ عَلَيْهِ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَقُلْ هُوَ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ هَكَذَا رَوَى شُعْبَةُ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَكَانَ ابْنُ أَبِي لَيْلَى يَضْطَرِبُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ أَحْيَانًا عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَقُولُ أَحْيَانًا عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الثَّقَفِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Narrated Abu Ayyub:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When one of you sneezes let him say: 'Al-Hamdulillahi 'Ala Kulli Hal (All praise is due to Allah in every circumstance).' And let the one replying to him say: "Yarhamukallah (May Allah have mercy upon you).' And let him say to him: 'Yahdikumullah Wa Yuslihu Balakum (May Allah guide you and rectify your affairs).'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. (আয়াতুল কুরসীর ফযীলত)
২৮৮০। আবূ আইয়ুব আল-আনসার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তার খেজুর বাগানে একটি ছোট মাচান ছিল। তিনি তাতে শুকনো খেজুর রাখতেন। রাতে শাইতান জিন এসে মাচান হতে খেজুর নিয়ে যেত। তিনি এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নালিশ করলেন। তিনি বললেন; যাও, তুমি যখন এটিকে দেখবে তখন বলবে, বিসমিল্লাহ্, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডাকে তুমি সাড়া দাও।
বর্ণনাকারী বলেন, জিন আসতেই তিনি তাকে ধরে ফেললেন। সে তখন কসম করে বলল যে, সে আর কখনও আসবে না। কাজেই তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ -এর নিকট আসলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার বন্দী কি করেছে? তিনি বললেন, সে শপথ করেছে যে, সে আর কখনও আসবে না। তিনি বললেনঃ সে মিথ্যা বলেছে এবং সে তো মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তাকে আবার ধরলেন। এবারও সে শপথ করল যে, সে আর কখনো আসবে না। তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন। তারপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ কি হে! তোমার বন্দীর কি খবর? তিনি বললেন, সে কসম করে বলেছে যে, সে আর আসবে না, (কাজেই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি)। তিনি বললেনঃ সে এবারও মিথ্যা বলেছে, আর সে মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আবারো তাকে ধরে ফেললেন এবং বললেন, আমি তোকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট না নিয়ে ছাড়ছি না। সে বলল, আমি আপনাকে একটি বিষয় স্মরণ করাতে চাই। আপনি আপনার ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন। তাহলে শাইতান বা অন্য কিছু এতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এবার তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার বন্দী কি করেছে? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে জিনের কথা ব্যক্ত করলেন। তিনি বললেনঃ সে মিথ্যাবাদী হলেও এ কথাটা সত্য বলেছে।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২১২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَخِيهِ، عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ كَانَتْ لَهُ سَهْوَةٌ فِيهَا تَمْرٌ فَكَانَتْ تَجِيءُ الْغُولُ فَتَأْخُذُ مِنْهُ قَالَ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَاذْهَبْ فَإِذَا رَأَيْتَهَا فَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ أَجِيبِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " . قَالَ فَأَخَذَهَا فَحَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَأَرْسَلَهَا فَجَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَقَالَ " كَذَبَتْ وَهِيَ مُعَاوِدَةٌ لِلْكَذِبِ " . قَالَ فَأَخَذَهَا مَرَّةً أُخْرَى فَحَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ فَأَرْسَلَهَا فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ حَلَفَتْ أَنْ لاَ تَعُودَ . فَقَالَ " كَذَبَتْ وَهِيَ مُعَاوِدَةٌ لِلْكَذِبِ " . فَأَخَذَهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِتَارِكِكِ حَتَّى أَذْهَبَ بِكِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ إِنِّي ذَاكِرَةٌ لَكَ شَيْئًا آيَةَ الْكُرْسِيِّ اقْرَأْهَا فِي بَيْتِكَ فَلاَ يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ وَلاَ غَيْرُهُ . قَالَ فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ " . قَالَ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَتْ . قَالَ " صَدَقَتْ وَهِيَ كَذُوبٌ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Laila:
that Abu Ayyub Al-Ansari had a store house in which he kept dates. A ghoul would come and take from it, so he complained about that to the Prophet (ﷺ). So he said: "Go, and when you see her say: 'In the Name of Allah, answer to the Messenger of Allah (ﷺ).'" He said: "So I caught her, and she swore that she would not return, so I released her." He went to the Prophet (ﷺ) and he said: "What did your captive do?" He said: "She swore not to return." He said: "She has lied, and she will come again to lie." He said: "I caught her another time and she swore that she would not return, so I released her, and went to the Prophet (ﷺ)." He said: "What did your captive do?" He said: "She swore that she would not return." So he said: "She lied and she will come again to lie." So he caught her and said: "I shall not let you go until you accompany me to the Prophet (ﷺ)." She said: "I shall tell you something: If you recite Ayat Al-Kursi in your home, then no Shaitan, nor any other shall come near you." So he went to the Prophet (ﷺ) and he said: "What did your captive do?" He said: "I informed him of what she said, and he said: 'She told the truth and she is a continuous liar.'"
পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা আল-ইখলাসের ফযীলত
২৮৯৬। আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি কি এক রাতে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন তিলাওয়াত করতে অপারগ? যে লোক আল্লাহু ওয়াহিদুস সামাদ (সূরা আল-ইখলাস) পাঠ করল সে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করল।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (২/২২৫), মুসলিম, আবূ দারদা হতে।
আবূদ দারদা, আবূ সাঈদ, কাতাদাহ্ ইবনুন নুমান, আবূ হুরাইরাহ, আনাস, ইবনু উমার ও আবূ মাসউদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি যায়িদার রিওয়ায়াতের চাইতে অধিক উত্তমভাবে আর কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ইসরাঈল ও ফুযাইল ইবনু ইয়ায এটির সমার্থক রিওয়ায়াত করেছেন। শু’বাহ প্রমুখ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ মানসূরের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন কিন্তু এতে তারা গড়মিল করেছেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ رَبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ امْرَأَةٍ، وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيَعْجَزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثُلُثَ الْقُرْآنِ مَنْ قَرَأَ اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ فَقَدْ قَرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَبِي سَعِيدٍ وَقَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَلاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَحْسَنَ مِنْ رِوَايَةِ زَائِدَةَ وَتَابَعَهُ عَلَى رِوَايَتِهِ إِسْرَائِيلُ وَالْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الثِّقَاتِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَنْصُورٍ وَاضْطَرَبُوا فِيهِ .
Narrated Abu Ayyub:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Would one of you like to recite a third of the Qur'an during a night? Whoever recited: Allaahu Al-Wahid As-Samad then he has recited a third of the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে
৩৫৩৯। আবূ আইউব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় বলেন, তোমাদের হতে আমি একটি বিষয় লুকিয়ে রেখেছি যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আমি শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা যদি গুনাহ না করতে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা এমন এক দলের আবির্ভাব করতেন যারা গুনাহ করত, তারপর আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে মাফ করতেন।
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ৯৬৭-৯৭০, ১৯৬৩), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস মুহাম্মাদ ইবনু কাব (রহঃ) আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সনদে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। কুতাইবাহ আবদুর রহমান ইবনু আবূয যিনাদ হতে, তিনি গুফরার মুক্ত দাস উমার হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু কা’ব আল-কুরায়ী হতে, তিনি আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সনদে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، قَاصِّ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي صِرْمَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّهُ قَالَ حِينَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَدْ كَتَمْتُ عَنْكُمْ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَوْلاَ أَنَّكُمْ تُذْنِبُونَ لَخَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا يُذْنِبُونَ وَيَغْفِرُ لَهُمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غَفْرَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Abu Sirmah narrated from Abu Ayyub, that:
when death reached him, he said: “I have concealed something I heard from the Messenger of Allah (ﷺ) from you. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: ‘If you did not sin, Allah would create a creation that would sin, so He will forgive them.’”
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. (একটি দু'আ দশবার পাঠ করার সাওয়াব)
৩৫৫৩। আবূ আইউব আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক দশবার বলে, “আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই, সার্বভৌমত্ব তার, সকল প্রশংসা তার। তিনি জীবন দান করেন, তিনি মৃত্যু দেন এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী”, সে হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশের [অর্থাৎ কুরাইশ বংশের] চারজন দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
সহীহঃ যঈফাহ (৫১২৬) নং হাদীসের অধীনে, বুখারী ও মুসলিম “তিনি জীবিত করেন মৃত্যুদান করেন" এই অংশ বাদে।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ আইউব (রাযিঃ) হতে এ হাদীসটি মাওকুফরূপেও বর্ণিত হয়েছে।
باب
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ عَشْرَ مَرَّاتٍ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ . كَانَتْ لَهُ عِدْلَ أَرْبَعِ رِقَابٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ " . قَالَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ مَوْقُوفًا .
Abu Ayyub Al-Ansari narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever says ten times: ‘None has the right to be worshipped by Allah, Alone, without partner, to Him belongs all that exists, and to Him belongs the praise, [He gives life and causes death,] and He has power over all things, (Lā ilāha illallāh, waḥdahu lā sharīka lahu, lahul-mulku wa lahul-ḥamdu, [yuḥyī wa yumītu,] wa huwa `alā kulli shai’in qadīr)’ it is for him equal to freeing four slaves among the offspring of Isma`il.”
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. গিফার, আসলাম, জুহাইনাহ ও মুযাইনাহ গোত্রসমূহ প্রসঙ্গে
৩৯৪০। আবূ আইউব আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আনসারগণ এবং মুযাইনাহ্, জুহাইনাহ, আশজা’, গিফার গোত্রগুলো ও বানু আবদুদ দার-এর লোকেরা আমার সঙ্গী ও সাহায্যকারী। আল্লাহ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী সঙ্গী নেই। আল্লাহ ও তার রাসূলই তাদের সাহায্যকারী সঙ্গী বা সাথী।
সহীহঃ মুসলিম (৭/১৭৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَنْصَارُ وَمُزَيْنَةُ وَجُهَيْنَةُ وَغِفَارُ وَأَشْجَعُ وَمَنْ كَانَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ مَوَالِيَّ لَيْسَ لَهُمْ مَوْلًى دُونَ اللَّهِ وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ مَوْلاَهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Ayyub Al-Ansari:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The Ansar, Muzainah, and Juhainah, Ashja', Ghifar, and whoever is from Banu 'Abdid-Dar are Mawali. They do not have a Mawla other than Allah, and Allah and His Messenger are their Mawla."
পরিচ্ছেদঃ ৬. পেশাব কিংবা পায়খানার সময় কিবলাকে পেছনে রাখা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে
৬৮৮. আবু আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমরা পায়খানায় যাও, তখন কিবলার দিকে মুখ করে বসো না এবং পিছন করেও বসো না- পায়খানার সময়ও না, পেশাব করতেও না; বরং পূর্বদিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসো।”[1] আবু আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর আমরা শাম (সিরিয়া) গেলাম। সেখানে আমরা দেখলাম যে, শৌচাগারগুলো কিবলার দিকে মুখ করে নির্মাণ করা হয়েছে। তখন আমরা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতাম এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতাম।[2]আবু মুহাম্মদ বলেন: এটি আব্দুল কারীমের হাদীসের চেয়ে অধিক সহীহ। আর আব্দুল কারীম ’মাতরুক’ -হওয়ার নিকটবর্তী।
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ৩৯৪; সহীহ মুসলিম ২৬৪; আর আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪১৬, ১৪১৭; এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৮২।
بَابُ النَّهْيِ عَنِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أَتَيْتُمْ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلَا بَوْلٍ وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا قَالَ ثُمَّ قَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ عِنْدَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ وَعَبْدُ الْكَرِيمِ شِبْهُ الْمَتْرُوكِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৭৪. পানি (বীর্যপাত)-এর ফলে পানি ব্যবহার (গোসল ফরয) হয়
৭৮১. আবু আইয়্যুব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম বলেছেন: “পানি (তথা গোসল করা) পানির (বীর্যপাতের) ফলেই ফরয হয়।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা সংযোজন করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১৭৩; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২৮, ২২৯ এ; মাওয়ারিদে আমাদের সংযোজিত টীকা দেখুন। আর এ হাদীসটি মানসুখ (রহিত)। দেখুন পরবর্তী হাদীসগুলি এবং এরউপর আমাদের টীকাসমূহ।
بَابُ الْمَاءِ مِنَ الْمَاءِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُعَادٍ وَكَانَ مَرْضِيًّا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمَاءُ مِنْ الْمَاءِ
إسناده ليس بذاك ولكن الحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৮২. দু’ সালাত একত্রে আদায় করা
১৫৫৪. আবী আইয়্যুব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (বিদায় হাজ্জে মুযদালিফা’র) ’জাম’আ’ নামক স্থানে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী , হাজ্জ্ব ১৬৭৪; মুসলিম, হাজ্জ্ব, ১২৮৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৫৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৮৭ তে। এছাড়া এটি সামনে ১৯২৫ নং এ আসছে।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِجَمْعٍ فَجَمَعَ بَيْنَهُمَا
পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত
১৬২০. আবী আইয়্যূব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ “তুমি বিতির আদায় করো পাঁচ রাকা’আত; যদি তুমি তা করতে সক্ষম না হও, তবে তিন রাকা’আত। যদি তুমি তাও করতে সক্ষম না হও, তবে এক রাকা’আত। যদি তুমি তাও করতে সক্ষম না হও, তবে (মাথা কিংবা চোখ দ্বারা) একবার ইশারা করো।”[1]
তাখরীজ: ((নাসাঈ, কিয়ামুল লাইল, বাব: ৪০; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১১৯০; আহমাদ ৫/৩৫৬- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত সুনানে দারেমী হা/১৫৭৭ এর টীকা হতে-অনুবাদক))
তায়ালিসী ১/১১৯-১২০ ৫৫৮ -৫৫৯ নং এর মাঝে নম্বরবিহীনভাবে।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৭৭ ; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮০৭, ৮০৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৮৪ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৬৪ তে।
بَاب كَمْ الْوِتْرُ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْتِرْ بِخَمْسٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَبِثَلَاثٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَبِوَاحِدَةٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَأَوْمِ إِيمَاءً
পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত
১৬২১. আবী আইয়্যূব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে তিনি অনূরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب كَمْ الْوِتْرُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা
১৭৯১. আবী আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল এবং এরপরই শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল, তবে তা পূর্ণ এক বছরের রোযা রাখার সমতুল্য (সাওয়াব) হলো।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১১৬৪;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৩৪ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৮৫, ৩৮৬ তে । আরো দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ হাদীস ৫১৭৭ এবং এর টীকা।
بَاب فِي صِيَامِ السِّتَّةِ مِنْ شَوَّالٍ
حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ وسَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتَّةً مِنْ شَوَّالٍ فَذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. (মুযদালিফায়) দু’ সালাত একত্রে আদায় করা
১৯২০. আবী আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিব এবং ঈশার সালাত একত্রে আদায় করেছেন।[1]
তাখরীজ: এটি ১৫৫৭ (অনুবাদে ১৫৫৪) নং এ গত হয়েছে।
بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِجَمْعٍ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ أَنْبَأَنِي قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ يَعْنِي بِجَمْعٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. পশুর অঙ্গছেদনের নিষেধাজ্ঞা
২০১২. আবূ আয়্যূব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃরাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেঁধে রেখে পশুহত্যা করতে নিষেধ করেছেন। আবূ আয়্যূব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যদি একটি মুরগীও হয়,তবু তাকে আমি এভাবে হত্যা করব না।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬০৯; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০৭২।
এবং এর শাহিদ হলো আগের হাদীসটি। আর ইবনু আব্বাসের হাদীসটি যা আমরা তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪৯৭ তে, যেটি পরবর্তী হাদীস।
এছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফর এর হাদীসটিও এর শাহিদ যেটি আমরা তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৯০ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُثْلَةِ الْحَيَوَانِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ تِعْلَى عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ صَبْرِ الدَّابَّةِ قَالَ أَبُو أَيُّوبَ لَوْ كَانَتْ دَجَاجَةً مَا صَبَرْتُهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩০. কোনো ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে যা বলবে
২৬৯৭. আবূ আয়্যুব আল আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হাঁচি দানকারী বলবে: ’আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ (অর্থ: সর্বাবস্থায় আল্লাহরই সকল প্রশংসা)। আর যে এটি (হাঁচিদাতাকে ’আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে) শুনবে, সে যেন বলে: ’ইয়ারহামুকাল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন)। এরপর হাঁচিদাতা জবাবে বলবে: ’ইয়াহদীকুমুল্লাহ ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’ (অর্থ: আল্লাহ তোমাদের হেদায়েত দান করুন এবং তোমাদের অবস্থা ভাল বানিয়ে দিন)।”[1]
তাখরীজ: হাকিম ৪/২৬৬; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/৩৬১ নং ১৮৬৪; আহমাদ ৫/৪১৯-৪২২; তিরমিযী, আদাব ২৭৪২; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইলাহ নং ২৫৫; তাবারাণী, কাবীর ৪/১৬১ নং ৪০০৯; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৭/১৬৩।
তিরমিযী বলেন, ‘ইবনু আবী লাইলা এ হাদীসটিতে ইযতিরাব করেছেন। কখনো এটি আবী আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবার কখনো এটি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।’
তিরমিযী আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর থেকে যে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন, আমরা এ হাদীসটির পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০৬ তে।
এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, আদাব ৬২২৪ ও আবূ দাউদ, আদাব ৫০৩৩ তে, ফলে এ শাহীদ আমাদের এ হাদীসটিকে সহীহতে উন্নীত করে। আল্লাহই ভাল জানেন।
باب إِذَا عَطَسَ الرَّجُلُ مَا يَقُولُ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَخِيهِ عِيسَى عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْعَاطِسُ يَقُولُ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَيَقُولُ الَّذِي يُشَمِّتُهُ يَرْحَمُكُمْ اللَّهُ وَيَرُدُّ عَلَيْهِ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে
১২-(১২/১৩) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) বলেন যে, কোন এক সফরে এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মুখে এসে তার উটনীর লাগাম ধরে ফেললো। এ সময় তিনি সফরে ছিলেন। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! অথবা হে মুহাম্মাদ! আমাকে এমন কিছু কাজের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দিবে এবং আগুন (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখবে। বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেমে গেলেন। তিনি সাহাবাদের দিকে তাকালেন। অতঃপর বললেনঃ নিশ্চয়ই তাকে অনুগ্রহ করা হয়েছে, অথবা তিনি বললেনঃ তাকে হিদায়াত দান করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ তুমি কি বলেছিলে? রাবী বলেন, লোকটি তার কথার পুনরাবৃত্তি করলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর ইবাদাত করো, তার সাথে কোন কিছুকে অংশী স্থাপন করো না, সালাত কায়িম কর, যাকাত আদায় কর, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ, এবার উটনীটি ছেড়ে দাও। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২ ইসলামিক সেন্টারঃ ১২)
باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ طَلْحَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، عَرَضَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي سَفَرٍ . فَأَخَذَ بِخِطَامِ نَاقَتِهِ أَوْ بِزِمَامِهَا ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ - أَوْ يَا مُحَمَّدُ - أَخْبِرْنِي بِمَا يُقَرِّبُنِي مِنَ الْجَنَّةِ وَمَا يُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ فَكَفَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَظَرَ فِي أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ " لَقَدْ وُفِّقَ - أَوْ لَقَدْ هُدِيَ - قَالَ كَيْفَ قُلْتَ " . قَالَ فَأَعَادَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصِلُ الرَّحِمَ دَعِ النَّاقَةَ " .
Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise
It is narrated on the authority of Abu Ayyub Ansari that once during the journey of the Prophet (may peace of Allah be upon him) a bedouin appeared before him and caught hold of the nosestring of his she-camel and then said, Messenger of Allah (or Muhammad), inform me about that which takes me near to Paradise and draws me away from the Fire (of Hell). He (the narrator) said: The Prophet (ﷺ) stopped for a while and cast a glance upon his companions and then said: He was afforded a good opportunity (or he had been guided well). He (the Holy Prophet) addressing the bedouin said: (Repeat) whatever you have uttered. He (the bedouin) repeated that. Upon this the Apostle (ﷺ) remarked: The deed which can draw you near to Paradise and take you away from Hell is, that you worship Allah and associate none with Him, and you establish prayer and pay Zakat, and do good to your kin. After having uttered these words, the Prophet asked the bedouin to release the nosestring of his she-camel.
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে
১৩-(১৩/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও আবদুর রহমান ইবনু বিশ্বর (রহঃ) ..... আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩)
باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَأَبُوهُ، عُثْمَانُ أَنَّهُمَا سَمِعَا مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ هَذَا الْحَدِيثِ .
Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise
This hadith is transmitted by Muhammad b. Hatim on the authority of Abu Ayyub Ansari.
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে
১৪-(১৪/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামিমী (রহঃ) ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রাযিঃ) ... আবূ আইয়ুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খিদমাতে হাযির হয়ে আরয করলো, আমাকে এমন একটি ’আমলের কথা বলে দিন, যে আমল আমাকে জান্নাতের কাছে পৌঁছে দিবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে, তার সাথে কোন কিছু শারীক করবে না, সালাত কায়িম করবে, যাকাত দিবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে। সে ব্যক্তি চলে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাকে যে ’আমলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা দৃঢ়তার সাথে পালন করলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আবূ শইবার বর্ণনায় إِنْ تَمَسَّكَ بِمَا এর স্থলে إِنْ تَمَسَّكَ بِهِ রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪)
باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْنِينِي مِنَ الْجَنَّةِ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ " تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصِلُ ذَا رَحِمِكَ " فَلَمَّا أَدْبَرَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ " إِنْ تَمَسَّكَ بِهِ " .
Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise
It is narrated on the authority of Abu Ayyub that a man came to the Prophet (ﷺ) and said: Direct me to a deed which draws me near to Paradise and takes me away from the Fire (of Hell). Upon this he (the Holy Prophet) said: You worship Allah and never associate anything with Him, establish prayer, and pay Zakat, and do good to your kin. When he turned his back, the Messenger of Allah (ﷺ) remarked: If he adheres to what he has been ordered to do, he would enter Paradise.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. ইস্তিঞ্জার বিবরণ।
৪৯৭-(৫৯/২৬৪) যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী বলেছেন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমরা প্রস্রাব বা পায়খানায় গেলে কিবলার দিকে মুখ করে কিংবা কিবলাহ পেছনে রেখে বসো না বরং পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ করে বস।
আবূ আইয়ুব বলেছেন, এক সময় আমরা শাম দেশে (সিরিয়ায়) গেলে দেখলাম, তাদের পায়খানাগুলো কিবলামুখী করে নির্মিত। কাজেই আমরা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহর কাছে ইসতিগফার করতাম। জবাবে সুফইয়ান বললেন, হ্যাঁ (আমি তার নিকট থেকে এ হাদীসটি শুনেছি)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫০০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৫১৬)
হাদীসের শিক্ষা
১. পেশাব-পায়খানার সময় কিবলামুখী হয়ে বা কিবলার দিকে পিছন দিয়ে থাকা নিষেধ। অধিকাংশ আলেম এ নিষেধাজ্ঞাকে হারাম হিসেবে ধরেছেন। এ মতের পক্ষে ছিলেন, সাহাবী আবু আইয়াব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু, মুজাহিদ, নাখায়ী, সাওরী, ইবন হাযম, ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবনুল কাইয়্যেম প্রমুখ
২. এ নিষেধাজ্ঞা ঘর কিংবা খালিস্থান উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
৩. কা'বার সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকরণ।
8. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তম শিক্ষাদান পদ্ধতি। তিনি নিষিদ্ধ জিনিস জানানোর পরে যা করা বৈধ তা জানিয়ে দিলেন।
৫. পেশাব ও পায়খানা অবস্থায় সূর্য কিংবা চন্দ্রের মুখোমুখী হয়ে বসা কিংবা পিছন দিয়ে বসা বৈধ।
باب الاِسْتِطَابَةِ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ قُلْتُ لِسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ سَمِعْتَ الزُّهْرِيَّ، يَذْكُرُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا بِبَوْلٍ وَلاَ غَائِطٍ وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا " . قَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ قَالَ نَعَمْ .
Chapter: Cleaning oneself after relieving oneself
Abu Ayyub reported: The Apostle of Allah (ﷺ) said: Whenever you go to the desert, neither turn your face nor turn your back towards the Qibla while answering the call of nature, but face towards the east or the west. Abu Ayyub said: When we came to Syria we found that the latrines already built there were facing towards the Qibla. We turned our faces away from them and begged forgiveness of the Lord. He said: Yes.
পরিচ্ছেদঃ ২১. একমাত্র বীর্যপাত থেকে গোসল ফরয করণ।
৬৬৯-(.../...) আবদুল ওয়ারিস ইবনু আবদুস সামাদ (রহঃ) ..... আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এমন শুনেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৭৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৮৮)
باب إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنِ الْحُسَيْنِ، قَالَ يَحْيَى وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ذَلِكَ، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Chapter: At the beginning of Islam, intercourse did not necessitate ghusl unless semen was emitted, then that was abrogated and ghusl becomes obligatory for intercourse
Abu Ayyub reported that he had heard like this from the Messenger of Allah (ﷺ).