পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি হজ্জ্ব করার ইচ্ছা করে, সে যেনো আগে আগেই তা সম্পাদন করে
১৮২১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি হাজ্জ্ব করার ইচ্ছা করে, সে যেনো অতিসত্তর তা (সম্পাদন) করে।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ১/২২৫; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭৩২; দাওলাবী, আল কুন্নী ২/১২; হাকিম ১/৪৪৮; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/৪৭; বাইহাকী, হাজ্জ ৪/৪১৬; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৮৮৩; তাবারাণী, আল কাবীর ১৮/২৮৭ নং ৭৩৭; যয়ীফ সনদে।
مِنْ كِتَابِ الْمَنَاسِك بَاب مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو الْفُقَيْمِيُّ عَنْ مِهْرَانَ أَبِي صَفْوَانَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তি (সক্ষমতা সত্ত্বেও) হজ্জ না করে মৃত্যু বরণ করে
১৮২২. আবী উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কোনো ব্যক্তি, যাকে কোনো প্রকাশ্য প্রয়োজন, কিংবা জালিম শাসক কিংবা আটকে রাখার মতো কোনো রোগ হাজ্জ্বে যেতে বাধা দেয়নি, সে যদি হাজ্জ না করে মৃত্যু বরণ করে, তবে চায় সে ইয়াহুদী হিসেবে মরুক, অথবা খৃস্টান হিসেবে মরুক (তাতে আমার কিছু আসে যায় না)।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯/২৫১; সুয়্যূতী, আল লা’আলী ২/১১৮; ইবনুল জাউযী, আল মাওযু’আত ২/২১০; ইবনু আদী, আল কামিল ৭/২৫০২ যয়ীফ সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১/৪/৩৩৬ নং ২৪৭।
যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৩/১৬৯ তে এ হাদীস উল্লেখ করে বলেন: শারীক হতে এটি মুনকার।’
بَاب مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ لَيْثٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يَمْنَعْهُ عَنْ الْحَجِّ حَاجَةٌ ظَاهِرَةٌ أَوْ سُلْطَانٌ جَائِرٌ أَوْ مَرَضٌ حَابِسٌ فَمَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ فَلْيَمُتْ إِنْ شَاءَ يَهُودِيًّا وَإِنْ شَاءَ نَصْرَانِيًّا
পরিচ্ছেদঃ ৩. নাবী (ﷺ) এর হজ্জ সম্পর্কে- তিনি একবার হজ্জ করেছেন
১৮২৩. আবী ইসহাক বলেন, আমি যাইদ ইবনু আরক্বাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হিজরতের পরে একবার হাজ্জ সম্পাদন করেন।’[1]
রাবী বলেন, আর আবী ইসহাক বলেন, তিনি তাঁর হিজরতের পূর্বেও একবার হাজ্জ করেছিলেন।
তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী ৩৯৪৯, ৪৪০৪; মুসলিম, হাজ্জ ১২৫৪; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা, হাজ্জাতুল বিদা’ পৃ. ৫৯; বাইহাকী, দালাইল ৫/৪৫৩; আহমাদ ৪/৩৭৩; তিরমিযী, জিহাদ ১৬৭৬…।
بَاب فِي حَجِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةً وَاحِدَةً
أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ يَقُولُ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ هِجْرَتِهِ حَجَّةً قَالَ وَقَالَ أَبُو إِسْحَقَ حَجَّ قَبْلَ هِجْرَتِهِ حَجَّةً
পরিচ্ছেদঃ ৩. নাবী (ﷺ) এর হজ্জ সম্পর্কে- তিনি একবার হজ্জ করেছেন
১৮২৪. কাতাদা (রাহি:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতবার হাজ্জ করেছেন? তিনি বললেন, তিনি একবার হজ্জ এবং চারবার উমরা করেছেন। একটি উমরা হলো মুশরিকরা যেইবার তাঁকে বাইতুল্লাহ যেতে বাধা দিয়েছিল, দ্বিতীয়টি হলো যখন তারা তাঁর সাথে (হুদায়বিয়ার) সন্ধি করল, এরপর তিনি পরবর্তী বছর (উমরার জন্য) ফিরে এসেছিলেন। এরপর তৃতীয়টি ছিল যিলকাদ মাসে জি’ইরানা থেকে, যখন তিনি হুনায়ন যুদ্ধে লব্ধ গনীমত বন্টন করেছিলেন। এবং অপর উমরাটি ছিল তাঁর হাজ্জের সঙ্গে।[1]
তাখরীজ: বুখারী, উমরাহ ১৭৭৮; মুসলিম, হাজ্জ ১২৫৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৭২, ৩০৯১।
بَاب فِي حَجِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةً وَاحِدَةً
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قَالَ قُلْتُ لِأَنَسٍ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَجَّةً وَاحِدَةً وَاعْتَمَرَ أَرْبَعًا عُمْرَتُهُ الْأُولَى الَّتِي صَدَّهُ الْمُشْرِكُونَ عَنْ الْبَيْتِ وَعُمْرَتُهُ الثَّانِيَةُ حِينَ صَالَحُوهُ فَرَجَعَ مِنْ الْعَامِ الْمُقْبِلِ وَعُمْرَتُهُ مِنْ الْجِعْرَانَةِ حِينَ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَتُهُ مَعَ حَجَّتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪. হজ্জ কিভাবে ফরয হলো
১৮২৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের উপর হাজ্জ ফরয করা হয়েছে।” তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তা কি প্রতি বছরই (করা ফরয)? তিনি বলেনঃ “না। কিন্তু আমি যদি তা (হাঁ) বলতাম, তবে অবশ্যই তা (প্রতি বছর হাজ্জ করা) অবশ্য কর্তব্য হয়ে যেতো। অতঃপর এর অধিক যা করবে, তা নফল।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ১/২৫৬, ২৯১-২৯২; হাকিম ২/২৯৩; বাইহাকী, হাজ্জ ৪/৩২৬; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭২১; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৮৮৬; নাসাঈ, মানাসিক ৫/১১১ জাইয়্যেদ সনদে;
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আলী রা: হতে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৭, ৫৪২।
بَاب كَيْفَ وُجُوبُ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سِنَانٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُتِبَ عَلَيْكُمْ الْحَجُّ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كُلِّ عَامٍ قَالَ لَا وَلَوْ قُلْتُهَا لَوَجَبَتْ الْحَجُّ مَرَّةٌ فَمَا زَادَ فَهُوَ تَطَوُّعٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪. হজ্জ কিভাবে ফরয হলো
১৮২৬. (অপর সনদে) ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]
তাখরীজ: এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। সেখানে দেখুন।
بَاب كَيْفَ وُجُوبُ الْحَجِّ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ شَرِيكٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জের মীকাতসমূহ
১৮২৭. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য যুলহুলায়ফা, শাম (বা সিরিয়া)-বাসীদের জন্য জুহ্ফাহ্, নাজদবাসীদের জন্য কার্ণ নামক স্থানকে (হজ্জ ও উমরার) মীকাত নির্দিষ্ট করেন। ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ তিনটি স্থানের কথা আমি নিজে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট শুনেছি; এছাড়া, আমি জানতে পেরেছি যে, তিনি ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে মীকাত নির্ধারণ করেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ, ১৫২৫; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪২৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৫৯, ৩৭৬০, ৩৭৬১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৩৫।
بَاب الْمَوَاقِيتِ فِي الْحَجِّ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلِأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ وَلِأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ أَمَّا هَذِهِ الثَّلَاثُ فَإِنِّي سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَلَغَنِي أَنَّهُ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ
পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জের মীকাতসমূহ
১৮২৮. (অপর সনদে) ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
তাখরীজ: মালিক, হাজ্জ ২৩; পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের হাদীসটি দেখুন।
بَاب الْمَوَاقِيتِ فِي الْحَجِّ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জের মীকাতসমূহ
১৮২৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য যুল্-হুলায়ফা, শাম (বা সিরিয়া)-বাসীদের জন্য জুহ্ফাহ্, নাজদবাসীদের জন্য কার্ণ ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে (হাজ্জ ও উমরার) মীকাত নির্ধারণ করেন। এস্থানগুলি এ সকল স্থানের অধিবাসীদের জন্য এবং তারা ব্যতীত অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য, যারা এ স্থান দিয়ে হজ্জ এবং উমরার উদ্দেশ্যে আগমণ করবে। আর এছাড়া অন্যান্যরা (মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাসকারীগণ) যেখান হতে সফর শুরু করবে, সেস্থানই তাদের মীকাত হবে। এমনকি মক্কাবাসিগণ মক্কা হতেই ইহরাম বাঁধবে।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ১/২৫২; বুখারী, হাজ্জ, ১৫২৪, ১৫২৬, জাযাউস সাইয়িদ ১৮৪৫; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮১ (১২); নাসাঈ, মানাসিক ৫/১২৩-১২৪; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১১৭; দারুকুতনী ২/২৩৮; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৭/৭১; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/২৯; ইবনু খুযাইমা নং ২৫৯১; তায়ালিসী ১/২০৮ নং ৯৯৪; ইবনুল জারুদ নং ৪১৩; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭৩৮।
بَاب الْمَوَاقِيتِ فِي الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلِأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ وَلِأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ أَلَمْلَمَ هُنَّ لِأَهْلِهِنَّ وَلِكُلِّ آتٍ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইহরাম অবস্থায় গোসল করা প্রসঙ্গে
১৮৩০. আব্দুল্লাহ ইবনু হুনায়ন (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবওয়া নামক স্থানে মুহরিম ব্যক্তির তার মাথা ধৌত করার বিষয়ে মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং ’আব্দুল্লাহ ইবন ’আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর মধ্যে মতানৈক্য হল। এরপর তিনি (’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস) আমাকে আবূ আইয়ুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট একথা জিজ্ঞাসা করতে পাঠালেন যে, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মুহরিম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করতে দেখেছেন? আমি আবূ আইয়ুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট এলাম। আমি তাঁকে কূপ থেকে পানি ঊঠানোর চরকার দু’খুটির মাঝে কাপড় ঘেরা অবস্থায় (গোসল করতে) দেখতে পেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তখন তিনি কাপড়টি তাঁর গায়ে জড়িয়ে নিলেন। তখন আমি বললাম, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মুহরিম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করতে দেখেছেন, এ বিষয়টি জিজ্ঞাসা করার জন্য আমাকে ’আব্দুল্লাহ ইবন ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আপনার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন (এ কথা শুনে) তিনি তাঁর হাতদু’টি মাথার উপর দিয়ে একবার সামনের দিকে টানলেন আবার পেছনের দিকে টেনে নিলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইয়িদ ১৮৪০; মুসলিম, হাজ্জ ১২০৫।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৮৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৪৮ তে।
بَاب فِي الِاغْتِسَالِ فِي الْإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ امْتَرَى الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ وَابْنُ عَبَّاسٍ فِي غَسْلِ الْمُحْرِمِ رَأْسَهُ فَأَرْسَلُونِي إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ كَيْفَ رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَأَتَيْتُ أَبَا أَيُّوبَ وَهُوَ بَيْنَ قَرْنَيْ الْبِئْرِ وَقَدْ سُتِرَ عَلَيْهِ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَضَمَّ الثَّوْبَ إِلَيْهِ فَقُلْتُ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ ابْنُ أَخِيكَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَيْفَ رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ فَأَمَرَّ يَدَيْهِ عَلَى رَأْسِهِ مُقْبِلًا وَمُدْبِرًا
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইহরাম অবস্থায় গোসল করা প্রসঙ্গে
১৮৩১. যাইদ ইবন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ইহরামের উদ্দেশ্যে (সেলাই করা) পোশাক খুলতে ও গোসল করতে দেখেছেন।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, হাজ্জ ৮৩০, তিরমিযী বলেন: এ হাদীসটি হাসান গারীব’; তাবারাণী, আল কাবীর ৫/১৩৫ নং ৪৮৬২; উকাইলী, আয যুয়াফা ৪/১৩৮; দারুকুতনী, সুনান ২/২২০, ২২১; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/৩২; হাকিম ১/৪৪৭ যয়ীফ সনদে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রা: হতে দারুকুতনী ২/২১৯ ও হাকিম ১/৪৪৭ ও বাইহাকী ৫/৩২ তে সেটিও যয়ীফ।
এছাড়া ইবনু উমার রা: থেকে এর শাহিদ বর্ণনা করেছেন দারুকুতনী, বাইহাকী যার সনদ সহীহ, এবং এর পূর্ণ তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৩৯১ তে।
আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ২/২৭৫; নাসবুর রায়াহ ৩/১৭-১৮; নাইলুল আওতার ১/৩০০; মুছান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/৭৩-৭৪।
بَاب فِي الِاغْتِسَالِ فِي الْإِحْرَامِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَعْقُوبَ الْمَدَنِيُّ عَنْ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَجَرَّدَ لِلْإِهْلَالِ وَاغْتَسَلَ
পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ ও উমরার ফযীলত সম্পর্কে
১৮৩২. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “জান্নাতই হল হাজ্জে মাবরূরের প্রতিদান। এবং এক ’উমরার পর আর এক ’উমরা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের জন্য কাফফারা।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, উমরাহ ১৭৭৩; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬৫৭, ৬৬৬০, ৬৬৬১; ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৯৫, ৩৬৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৩২ তে।
بَاب فِي فَضْلِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَجَّةٌ مَبْرُورَةٌ لَيْسَ لَهَا ثَوَابٌ إِلَّا الْجَنَّةُ وَعُمْرَتَانِ تُكَفِّرَانِ مَا بَيْنَهُمَا مِنْ الذُّنُوبِ
পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ ও উমরার ফযীলত সম্পর্কে
১৮৩৩. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ’য় হাজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও (ফিসক্ব) গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে এমন (নিষ্পাপ) অবস্থায় ফিরে আসে, যেমন (নিষ্পাপ) অবস্থায় তাঁর মা তাকে প্রসব করেছে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫২১; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৫০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৯৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৩৪ তে।
بَاب فِي فَضْلِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ حَجَّ الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
পরিচ্ছেদঃ ৮. কোন্ প্রকারের হজ্জ উত্তম
১৮৩৪. আবী বাকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত আছে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন প্রকার হাজ্জ সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলেন: উচ্চ শব্দ করা ও প্রবাহিত করা।[1] [الْعَجُّ (উচ্চ শব্দ করা) অর্থ: উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা; এবং َالثَّجُّ (প্রবাহিত করা) অর্থ: রক্ত প্রবাহিত করা (কুরবানী দেওয়া)।
তাখরীজ: বাযযার, বাহরুয যুখখার নং ৭১, ৭২; তিরমিযী, হাজ্জ, ৭২৭; ইবনু খুযাইমা, নং ২৬৩১; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৯২৪; দারুকুতনী, ইলাল ১/২৭৯-২৮০; হাকিম ১/৪৫০-৪৫১; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/৪২; মাওসিলী নং ১১৭।
(মুহাক্বিক্ব এর পরে বিভিন্ন মুহাদ্দিস হতে এর দুর্বলতা উল্লেখ করেছেন-অনুবাদক))
এবং এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু মাসউদ হতে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০৮৬ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৪৪৫ তে। এর আরো শাহিদ রয়েছে ইবনু আব্বাস, আবী হুরাইরা, আনাস, ইবরাহীম ইবনু খাল্লাদ ইবনু সুওয়াইদ আল খাযরাজী, খাল্লাদ ইবনু সুওয়াইদ, সাইব ইবনু খাল্লাদ রা: হতে যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদূল মাউসিলী নং ৫৪৩৯, ৫৪৪০, ৫৪৪১, ৫৪৪২, ৫৪৪৩, ৫৪৪৪ তে। ফলে এর শাহিদ সমূহ একে সহীহ তে উন্নীত করে।
بَاب أَيُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنْ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ الْعَجُّ وَالثَّجُّ الْعَجُّ يَعْنِي التَّلْبِيَةَ وَالثَّجُّ يَعْنِي إِهْرَاقَةَ الدَّمِ
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) কোন্ প্রকার কাপড় পরিধান করবে
১৮৩৫. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলো, ’আমরা যখন ইহরাম বাধবো, তখন কী কী কাপড় পরবো?’ তিনি বলেনঃ “তুমি জামা পরবে না, পাজামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, টুপি পরবে না এবং চপ্পল পরবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে যেন চামড়ার মোজা পরে, তবে মোজা দু’টি পায়ের গিরার (টাখনু’র) নিচে রাখবে। আর তুমি ’ওয়ারস’ (এক প্রকার সুগন্ধি) বা যা’আফরান মিশ্রিত কোন কাপড় পরবে না।[1]
তাখরীজ: বুখারী, ইলম ১৩৪; মুসলিম, হাজ্জ ১১৭৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪২৫, ৫৪৮৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৫৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৩৯ তে।
بَاب مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَلْبَسُ مِنْ الثِّيَابِ إِذَا أَحْرَمْنَا قَالَ لَا تَلْبَسُوا الْقُمُصَ وَلَا السَّرَاوِيلَاتِ وَلَا الْعَمَائِمَ وَلَا الْبَرَانِسَ وَلَا الْخِفَافَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَحَدٌ لَيْسَتْ لَهُ نَعْلَانِ فَلْيَلْبَسْ الْخُفَّيْنِ وَلْيَجْعَلْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلَا تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ وَرْسٌ وَلَا زَعْفَرَانٌ
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) কোন্ প্রকার কাপড় পরিধান করবে
১৮৩৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “কোনো (মুহরিম) ব্যক্তির লুঙ্গি না থাকলে পায়জামা পরিধান করবে এবং যার জুতা নেই সে মোজা পরিধান করবে।”আমি বললাম, কিংবা তাঁকে বলা হলো, সে কি মোজা দু’টি কেটে নিবে? তিনি বললেন: “না।”[1]
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১৩৩; আহমাদ ১/২২৮;
তবে "সে যেন মোজা পরে" হাদীসের এ অংশটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা। বুখারী, হাজ্জ ১৮৪১; মুসলিম, হাজ্জ ১১৭৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৮১, ৩৭৮৫, ৩৭৮৬, ৩৭৮৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৭৪ তে।
بَاب مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ قَالَ قُلْتُ أَوْ قِيلَ أَيَقْطَعُهُمَا قَالَ لَا
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) কোন্ প্রকার কাপড় পরিধান করবে
১৮৩৭. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ’মুহরিম ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন তিনি বলেনঃ “সে জামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, পাজামা পরবে না, টুপি পরবে না এবং চপ্পল পরবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে যেন চামড়ার মোজা পরে, তবে মোজা দু’টি পায়ের গিরার (টাখনু’র) নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলবে।”[1]
তাখরীজ: মালিক, হাজ্জ ৮; এটি পূর্বের ১৮৩৯ (অনূবাদে ১৮৩৫) নং হাদীসের পুনরাবৃত্তি।
بَاب مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ
أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ قَالَ لَا يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلَا الْعَمَائِمَ وَلَا السَّرَاوِيلَاتِ وَلَا الْبَرَانِسَ وَلَا الْخِفَافَ إِلَّا أَنْ لَا يَجِدَ نَعْلَيْنِ فَيَلْبَسَ خُفَّيْنِ وَيَقْطَعَهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ১০. ইহরামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার
১৮৩৮. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধার পূর্বে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উত্তম সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম।’[1]
তিনি (অধঃস্তন রাবী) বলেন: আর উরওয়াহ রাহি. (উর্ধ্বতন রাবী) আমাদেরকে বলতেন, তোমরা ইহরাম বাধার পূর্বে এবং ’ইয়ামুন নাহর’-এ ’তাওয়াফে ইফাযা’ করার পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করবে।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৮৩৯; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৯। এছাড়া, ইবনু হাযম, হাজ্জাতুল বিদা’ পৃ: ১৬০। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৯১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৬৬, ৩৭৬৮, ৩৭৭০, ৩৭৭১, ৩৭৭২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১২ তে।
بَاب الطِّيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ بِأَطْيَبِ الطِّيبِ قَالَ وَكَانَ عُرْوَةُ يَقُولُ لَنَا تَطَيَّبُوا قَبْلَ أَنْ تُحْرِمُوا وَقَبْلَ أَنْ تُفِيضُوا يَوْمَ النَّحْرِ
পরিচ্ছেদঃ ১০. ইহরামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার
১৮৩৯.আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে যে সুগন্ধিই পেয়েছি, তা দিয়েই সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি।[1]
তাখরীজ: বুখারী, লিবাস ৫৯২৮; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৯। আর এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। তাই পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেখানে দেখুন। এছাড়া আরও দেখুন, আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১৫ তে।
بَاب الطِّيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ إِحْرَامِهِ بِأَطْيَبِ مَا أَجِدُهُ
পরিচ্ছেদঃ ১০. ইহরামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার
১৮৪০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে এবং ’তাওয়াফে ইফাযা’ করার পূর্বে মিনায় আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি।’[1]
তাখরীজ: বুখারী, লিবাস ৫৯২২; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৯ (৩৩)।
আর এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। তাই পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেখানে দেখুন। এছাড়া আরও দেখুন, আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১২ তে।
بَاب الطِّيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ قَالَا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَقُولُ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُرْمِهِ وَطَيَّبْتُهُ بِمِنًى قَبْلَ أَنْ يُفِيضَ