পরিচ্ছেদঃ পিতামাতাকে গালি
(২০৮০) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’পিতা-মাতাকে গালি দেওয়া অন্যতম মহাপাপ।’’ লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! নিজ পিতা-মাতাকে কেউ কি গালি দেয়?! তিনি বললেন, হ্যাঁ, কোন ব্যক্তি যখন অপরের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে তার পিতাকে গালি দেয়, যখন অপরের মাতাকে গালি দেয়, তখন সে তার মাতাকে গালি দেয়!
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مِنَ الْكَبَائِرِ شَتْمُ الرَّجُلِ وَالِدَيْهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ هَلْ يَشْتِمُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ قَالَ نَعَمْ يَسُبُّ أَبَا الرَّجُلِ فَيَسُبُّ أَبَاهُ وَيَسُبُّ أُمَّهُ فَيَسُبُّ أُمَّهُ
পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ
(২২১৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি অধিকার ছাড়া (অযথা) একটি বা তার বেশী চড়ুই হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সে চড়ুই সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন। বলা হল, হে আল্লাহর রসূল! অধিকারটা কী (যে অধিকারে তাকে হত্যা করা বৈধ হবে)? তিনি বললেন, অধিকার হল এই যে, তা যবাই করে তা খাওয়া হবে এবং মাথা কেটে (হত্যা করে) ফেলে দেওয়া হবে না।
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ إِنْسَانٍ يَقْتُلُ عُصْفُوْرًا فَمَا فَوْقهَا بِغَيْر حَقّهَا إِلَّا سَأَلَهُ الله عَزَّ وَجَلَّ عَنْهَا قيل وَمَا حَقّهَا قَالَ يَذْبـَحُهَا وَيَأْكُلُهَا وَلَا يقطع رَأسَهَا ويَطرحها
পরিচ্ছেদঃ (অন্যায় ভাবে) কাউকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
والَّذِينَ يُؤْذُونَ المُؤْمِنِينَ والْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتاناً وإثْماً مُبِيناً
অর্থাৎ, যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব ৫৮)
(২২২১) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রকৃত মুসলিম সেই, যার মুখ ও হাত হতে মুসলিমগণ নিরাপদে থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মসমূহ ত্যাগ করে।
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمْرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ المُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللهُ عَنْهُ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ (অন্যায় ভাবে) কাউকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ
(২২২২) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে পছন্দ করে যে, তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হোক এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তার মরণ যেন এমন অবস্থায় হয় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান রাখে এবং অন্যের প্রতি এমন ব্যবহার দেখায়, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।
وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ وَيُدْخَلَ الجَنَّةَ فَلْتَأْتِهِ مَنِيَّتُهُ وَهُوَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ وَلْيَأْتِ إِلَى النَّاسِ الَّذِي يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى إِلَيْهِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ দুর্নীতি, অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী
(২২৪১) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রকৃত মুসলিম সেই, যার জিভ ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীনের খাতিরে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই, যে আল্লাহ যে সব কাজ করতে নিষেধ করেছেন, তা ত্যাগ করে।
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ الله عَنهُمَا عَنِ النَّبيّ ﷺ قَالَ المُسْلِمُ منْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللهُ عَنْهُ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ দুর্নীতি, অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী
(২২৪৮) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামানের জন্য একটি লোক নিযুক্ত ছিল, তাকে কিরকিরাহ (বা কারকারাহ) বলা হত। সে মারা গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে জাহান্নামী। অতঃপর (এ কথা শুনে) সাহাবীগণ তাকে দেখতে গেলেন (ব্যাপার কী?) সুতরাং তাঁরা একটি আংরাখা (বুকখোলা লম্বা ও ঢিলা জামা) পেলেন, সেটি সে (গনীমতের মাল থেকে) চুরি ক’রে নিয়েছিল।
وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ : كَانَ عَلَـى ثَقَلِ النَّبيِّ ﷺ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ كِرْكِرَةُ فَمَاتَ فَقَالَ رَسُول الله ﷺ هُوَ فِـي النَّارِ فَذَهَبُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْه فَوَجَدُوا عَبَاءةً قَدْ غَلَّهَا رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা
আল্লাহ তাআলা বলেন,
يا أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا أَوْفُوا بالْعُقُوْدِ
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা চুক্তিসমূহ পূর্ণ কর। (সূরা মায়েদাহ-৫:১)
তিনি আরো বলেছেন,
وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُوْلاً
অর্থাৎ, আর প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে (সূরা বানী ঈসরাঈল ৩৪)
(২২৬৩) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বিন আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে সে খাঁটি মুনাফিক্ব গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে। (সে স্বভাবগুলি হল,) ১। তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২। কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩। ওয়াদাহ করলে তা ভঙ্গ করে এবং ৪। ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে।
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيْهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا وَمَنْ كَانَتْ فِيْهِ خَصْلَةٌ مِّنْهُنَّ كَانَ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتّٰـى يَدَعَها : إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা
(২২৭৩) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার মধ্যে চারটি জিনিস হলে দুনিয়ার আর কিছু না পেলেও তোমার বয়ে যাবে না; ১। আমানত রক্ষা করা, ২। সত্য কথা বলা, ৩। চরিত্র সুন্দর করা এবং ৪। হালাল খাদ্য খাওয়া।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَرْبَعٌ إِذَا كُنَّ فِيكَ فَلَا عَلَيْكَ مَا فَاتَكَ مِنْ الدُّنْيَا حِفْظُ أَمَانَةٍ وَصِدْقُ حَدِيثٍ وَحُسْنُ خَلِيقَةٍ وَعِفَّةٌ فِي طُهْرٍ
পরিচ্ছেদঃ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার নিষেধাজ্ঞা
(২২৮০) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীলতাকে ঘৃণা করেন। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! ততদিন কিয়ামত কায়েম হবে না, যতদিন না আমানতদারকে খিয়ানতকারী ও খিয়ানতকারীকে আমানতদার বিবেচনা করা হয়েছে, অশ্লীলতা ব্যাপক হয়েছে, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হয়েছে এবং প্রতিবেশীর খারাপ ব্যবহার প্রকাশ পেয়েছে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ يُبْغِضُ الْفُحْشَ وَالتَّفَحُّشَ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتّٰـى يُخَوَّنَ الْأَمِينُ وَيُؤْتَمَنَ الْخَائِنُ حَتّٰـى يَظْهَرَ الْفُحْشُ وَالتَّفَحُّشُ وَقَطِيعَةُ الْأَرْحَامِ وَسُوءُ الْـجِوَارِ
পরিচ্ছেদঃ গান-বাজনা ও নাচ
(২৩১০) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অবশ্যই আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য মদ, জুয়া, ঢোল-তবলা এবং বীণা-জাতীয় বাদ্যযন্ত্রকে হারাম করেছেন।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى أُمَّتِي الْخَمْرَ وَالْمَيْسِرَ وَالْمِزْرَ وَالْكُوبَةَ وَالْقِنِّينَ
পরিচ্ছেদঃ নিজ পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা বা নিজ মনিব ছাড়া অন্যকে মনিব বলে দাবী করা হারাম
(২৩৮২) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পরের বাপকে নিজের বাপ বলে দাবী করে, সে ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধি ৭০ (অথবা ৫০০) বছরের দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْروٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ قَدْرِ سَبْعِينَ عَامًا أَوْ مَسِيرَةِ سَبْعِينَ عَامًا وَفِيْ رِوَايَةٍ مِنْ مَسِيْرَةِ خمس مائة عام
পরিচ্ছেদঃ নিজ পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা বা নিজ মনিব ছাড়া অন্যকে মনিব বলে দাবী করা হারাম
(২৩৮৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অজ্ঞাত বংশের সম্বন্ধ দাবী করা অথবা ছোট বা নীচু হলে তা অস্বীকার করা মানুষের জন্য কুফরী।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْروٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كُفْرٌ بِامْرِىءٍ ادِّعَاءُ نَسَبٍ لاَ يُعْرَفُ أَوْ جَحْدُهُ وَإِنْ دَقَّ
পরিচ্ছেদঃ মজুরকে মজুরী দান
(২৪২৭) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) এর খাজাঞ্চী তাঁর নিকট এলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, গোলামদেরকে তাদের আহার দিয়েছে কি? খাজাঞ্চী বলল, ’না।’ তিনি বললেন, ’যাও, তাদেরকে তা দিয়ে দাও। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যার আহারের দায়িত্বশীল তাকে তা (না দিয়ে) আটকে রাখে।
عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو إِذْ جَاءَهُ قَهْرَمَانٌ لَهُ فَدَخَلَ فَقَالَ أَعْطَيْتَ الرَّقِيقَ قُوتَهُمْ قَالَ لاَ قَالَ فَانْطَلِقْ فَأَعْطِهِمْ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يَحْبِسَ عَمَّنْ يَمْلِكُ قُوتَهُ
পরিচ্ছেদঃ ঋণ দেওয়া, পরিশোধ নেওয়া, পাওনাদারের পাওনা আদায়
(২৪৩১) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঋণ পরিশোধ না করার পাপ ছাড়া শহীদের সমস্ত পাপকে মাফ করে দেওয়া হবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ يُغْفَرُ لِلشَّهِيْدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ
পরিচ্ছেদঃ কৃতজ্ঞ ধনীর মাহাত্ম্য
(২৫৩৪) আমর বিন আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে লোক পাঠিয়ে আমাকে আমার পোশাক-পরিচ্ছদ এবং অস্ত্র সহ ডেকে পাঠালেন। আমি তাঁর কাছে গেলাম আর তখন তিনি ওযূ করছিলেন। আমার দিকে মাথা তুলে একবার তাকিয়ে আবার মাথা নামিয়ে নিয়ে বললেন, ’’আমি তোমাকে এক সৈন্যদলের আমীর হিসাবে পাঠাতে ইচ্ছা করেছি। আল্লাহ তোমাকে গনীমতের মাল সহ নিরাপদে ফিরিয়ে আনবেন। আর আমার সদিচ্ছা যে, তোমার মাল হোক।’’ তখন আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি মালের জন্য ইসলাম গ্রহণ করিনি। বরং ইসলাম গ্রহণ করেছি ইসলামকে ভালোবেসে এবং আপনার সঙ্গ লাভের আশায়।’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আমর! সৎ মানুষের জন্য পবিত্র মাল কতই না উত্তম!
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يَقُوْلُ بَعَثَ إِلَيَّ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالَ خُذْ عَلَيْكَ ثِيَابَكَ وَسِلَاحَكَ ثُمَّ ائْتِنِي، فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَصَعَّدَ فِيَّ النَّظَرَ ثُمَّ طَأْطَأَهُ فَقَالَ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَبْعَثَكَ عَلٰى جَيْشٍ فَيُسَلِّمَكَ اللهُ وَيُغْنِمَكَ وَأَرْغَبُ لَكَ مِن الْمَالِ رَغْبَةً صَالِحَةً قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا أَسْلَمْتُ مِنْ أَجْلِ الْمَالِ وَلَكِنِّي أَسْلَمْتُ رَغْبَةً فِي الْإِسْلَامِ وَأَنْ أَكُونَ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ يَا عَمْرُو نِعْمَ الْمَالُ الصَّالِحُ لِلْمَرْءِ الصَّالِحِ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রী নির্বাচন
(২৫৫৩) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দুনিয়া (তার সবকিছু) উপভোগ্য বস্তু। আর দুনিয়ার উপভোগ্য বস্তুসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বস্তু হল পুণ্যময়ী স্ত্রী।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৬) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা সেই মহিলার প্রতি চেয়েও দেখবেন না, যে তার স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না; অথচ সে তার মুখাপেক্ষিণী। (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫, ত্বাবারানী, বাযযার ২৩৪৯, হাকেম ২৭৭১, বাইহাকী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৮৯)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ نَبِىَّ اللهِ ﷺ قَالَ لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلٰـى امْرَأَةٍ لَا تَشْكُرُ لِزَوْجِهَا وَهِىَ لَا تَسْتَغْنِى عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ
(২৬৩৯) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি মানুষের পাপী হওয়ার জন্য এটা যথেষ্ট যে, সে তাদের (অধিকার) নষ্ট করবে (অর্থাৎ, তাদের ভরণপোষণে কার্পণ্য করবে) যাদের জীবিকার জন্য সে দায়িত্বশীল। (আহমাদ, আবূ দাউদ ১৬৯২, হাকেম, বাইহাকী, সহীহুল জামে’ ৪৪৮১)
উক্ত অর্থ সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,) মানুষের পাপী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যার খাদ্যের মালিক, তার খাদ্য সে আটকে রাখে। (মুসলিম ২৩৫৯)
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَفَى بِالمَرْءِ إثْمَاً أنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ حديث صحيح رواه أَبُو داود وغيره
وَرَوَاهُ مُسلِمٌ في صَحِيحِهِ بِمَعنَاهُ قَالَ كَفَى بِالمَرْءِ إثْمَاً أنْ يحْبِسَ عَمَّنْ يَمْلِكُ قُوتَهُ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৪)আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার শেষ যামানার উম্মতের মধ্যে কিছু এমন লোক হবে যারা ঘরের মত জিন্ (মোটর গাড়ি) তে সওয়ার হয়ে মসজিদের দরজায় দরজায় নামবে। (গাড়ি করে নামায পড়তে আসবে।) আর তাদের মহিলারা হবে অর্ধনগ্না; যাদের মাথা কৃশ উটের কুঁজের মত (খোঁপা) হবে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ করো। কারণ, তারা অভিশপ্তা!
عن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سَيَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي رِجَالٌ يَرْكَبُونَ عَلَى السُّرُوجِ كَأَشْبَاهِ الرِّجَالِ يَنْزِلُونَ عَلٰى أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ نِسَاؤُهُمْ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ عَلٰى رُءُوسِهِمْ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْعِجَافِ الْعَنُوهُنَّ فَإِنَّهُنَّ مَلْعُونَاتٌ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর ক্ষমাশীলতা
(২৭৯৪)আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা চাকরকে কতবার ক্ষমা করব?’ উত্তর না দিয়ে তিনি চুপ থাকলেন। সে আবার জিজ্ঞাসা করলে তিনি আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বারে তিনি বললেন, তোমরা তাকে প্রত্যহ ৭০ বার ক্ষমা কর।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قال: جَاءَ رَجُلٌ إِلٰـى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَمْ نَعْفُو عَنِ الْخَادِمِ فَصَمَتَ ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ الْكَلاَمَ فَصَمَتَ فَلَمَّا كَانَ فِى الثَّالِثَةِ قَالَ اعْفُوا عَنْهُ فِى كُلِّ يَوْمٍ سَبْعِينَ مَرَّةً