সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৬১ টি

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. জ্বরের তদবীর

২০৮৪। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জ্বর হল জাহান্নামের একটি টুকরা। তোমাদের কারো জ্বর হলে সে যেন তা পানি ঢেলে নিভায়। (এর নিয়ম হচ্ছে) ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয়ের পূর্বে প্রবাহমান ঝর্ণায় নেমে স্রোত প্রবাহের দিকে মুখ করে সে বলবে, “আল্লাহ তা’আলার নামে, হে আল্লাহ! তোমার বান্দাকে রোগমুক্ত করে দাও এবং তোমার রাসূলকে সত্যবাদী প্রমাণ কর"। তারপর ঝর্ণার পানিতে তিনবার ডুব দিবে। তিন দিন এরূপ করবে। তিন দিনেও যদি জ্বর না ছাড়ে তবে পাঁচ দিন এরকম করবে। পাঁচ দিনেও ভাল না হলে সাত দিন এরকম করবে। সাত দিনেও ভাল না হলে নয় দিন করবে। আল্লাহ্ তা’আলার হুকুমে জ্বর নয় দিনের বেশী অতিক্রম করতে পারবে না।

যঈফ, যঈফা (২৩৩৯)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গরীব।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الأَشْقَرُ الرِّبَاطِيُّ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا مَرْزُوقٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الشَّامِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ أَخْبَرَنَا ثَوْبَانُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا أَصَابَ أَحَدَكُمُ الْحُمَّى فَإِنَّ الْحُمَّى قِطْعَةٌ مِنَ النَّارِ فَلْيُطْفِئْهَا عَنْهُ بِالْمَاءِ فَلْيَسْتَنْقِعْ نَهْرًا جَارِيًا لِيَسْتَقْبِلَ جَرْيَةَ الْمَاءِ فَيَقُولُ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ وَصَدِّقْ رَسُولَكَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ فَلْيَغْتَمِسْ فِيهِ ثَلاَثَ غَمَسَاتٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ لَمْ يَبْرَأْ فِي ثَلاَثٍ فَخَمْسٌ وَإِنْ لَمْ يَبْرَأْ فِي خَمْسٍ فَسَبْعٌ فَإِنْ لَمْ يَبْرَأْ فِي سَبْعٍ فَتِسْعٌ فَإِنَّهَا لاَ تَكَادُ تُجَاوِزُ تِسْعًا بِإِذْنِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏


Thawban narrated that the Prophet (S.A.W) said: "When one of you suffers from fever - and indeed fever is a piece of the Fire - let him extinguish it with water. Let him stand in a flowing river facing the direction of it and say: Allahummasahfi 'abdaka wa saddik Rasulak ('In the name off Allah. O Allah! Cure your slave and testify to Your Messenger.)' Doing so after Salat As-Subh(Fajr) and before the rising of the sun. Let him submerse himself in it three times, for three days. If he is not cured in three, then five. If he is not cured in five, then seven. If he is not cured in seven, then nine. For indeed it will not remain after nine, with the permission of Allah."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. উম্মাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিনিটি দু’আ

২১৭৬। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার জন্য দুনিয়াকে আল্লাহ তা’আলা সংকুচিত করেন। ফলে আমি এর পূর্ব-পশ্চিম সকলদিক দর্শন করি। আমার জন্য দুনিয়ার যেটুকু পরিমাণ সংকুচিত করা হয়েছে, আমার উন্মাতের রাজত্ব শীঘ্রই ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করবে। আর আমাকে লাল-সাদা (সোন-রূপা) দুটি খনিজ ভাণ্ডারই প্রদান করা হয়েছে। অধিকন্তু আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার প্রভুর নিকট আবেদন করেছি যে, তিনি যেন তাদেরকে মারাত্মক দুর্ভিক্ষে ফেলে ধ্বংস না করে দেন এবং তাদের ব্যতীত বিজাতি দুশমনদেরকে যেন তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে না দেন যাতে তারা তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করার সূযোগ পেতে পারে। আমার প্রভু বলেন, হে মুহাম্মাদ! আমি কোন ফায়সালা করলে তা কোন ক্রমেই পরিবর্তিত হওয়ার নয়। আমি তোমার উম্মাতের জন্য কবুল করলাম যে, প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে তাদের ধ্বংস করব না, তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য কোন দুশমনদেরকে তাদের উপর আধিপত্যশালী করব না যাতে তারা তোমার উম্মাতকে বিনাশ করতে সুযোগ না পায়, এমনকি (দুনিয়ার) সকল অঞ্চল হতে তারা একজোট হয়ে এলেও। তবে তারা পরস্পর পরস্পরকে ধ্বংস করবে এবং কতক কতককে বন্দী করবে।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৫২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي سُؤَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فِي أُمَّتِهِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَصْفَرَ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي أَنْ لاَ يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ عَامَّةٍ وَأَنَّ لاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَإِنَّ رَبِّي قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لاَ يُرَدُّ وَإِنِّي أَعْطَيْتُكَ لأُمَّتِكَ أَنْ لاَ أُهْلِكَهُمْ بِسَنَةٍ عَامَّةٍ وَأَنْ لاَ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بِأَقْطَارِهَا أَوْ قَالَ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا وَيَسْبِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Thawban narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said: "Indeed Allah gathered the earth for me so that I saw its east and its west. And surely my Ummah's authority shall reach over all that was shown to me of it. And I have been granted the two treasures; the red and the white. I asked my Lord that my Ummah is not to be destroyed by a universal drought, and that He does not overcome them by enemies outside of them, reaching to their heart of power. My Lord said: 'O Muhammad! When I issue a decree it is not reversed. I have granted for your Ummah that they shall not be destroyed by universal drought. And that they not be overcome by enemies outside of themselves reaching to their heart of power- even if they gather against them from all the regions."' Or he said: "Among the regions. But some of them will destroy others, and some will capture others."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩২. (একবার মারমারি শুরু হলে কিয়ামত পর্যন্ত তা আর বন্ধ হবেনা)

২২০২। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে যখন তলোয়ার রাখা হবে (পরস্পর হানাহানি শুরু হবে) তখন হতে কিয়ামত পর্যন্ত তা আর তুলে নেয়া হবে না (হানাহানি বন্ধ হবে না)।

সহীহ, মিশকাত (৫৪০৬)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا وُضِعَ السَّيْفُ فِي أُمَّتِي لَمْ يُرْفَعْ عَنْهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Thawban narrated that the Messenger of Allah(s.a.w) said: "When the sword is imposed on my Ummah, it shall not be removed from it until the Day of Resurrection."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. কিছুসংখ্যক ডাহা মিথ্যাবাদীর (নবুওয়াতের দাবিদারের) আবির্ভাব হওয়ার পূর্বমুহুর্ত পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না

২২১৯। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুশরিকদের সাথে আমার উম্মাতের কতিপয় গোত্র না মিলিত হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, এমনকি তারা মূর্তিপূজাও করবে। আমার উম্মাতের মধ্যে খুব শীঘ্রই ত্রিশজন ডাহা মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব হবে। এদের সকলেই দাবি করবে যে সে নবী। অথচ আমিই সর্বশেষ নবী, আমার পরে কোন নবী নেই।

সহীহ, মিশকাত (৫৪০৬), সহীহাহ (১৬৮৩)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ كَذَّابُونَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَلْحَقَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِينَ وَحَتَّى يَعْبُدُوا الأَوْثَانَ وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي ثَلاَثُونَ كَذَّابُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Thawban narrated that the Messenger of Allah(s.a.w) said: "The Hour shall not be established until tribes of my Ummah unite with the idolaters, and until they worship idols. And indeed there shall be thirty imposters in my Ummah,each of them claiming that he is a Prophet. And I am the last of the Prophets, there is no Prophet after me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫১. পথভ্রষ্টকারী নেতৃবৃন্দ প্রসঙ্গে

২২২৯। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার উম্মাতের ব্যাপারে পথভ্রষ্টকারী নেতাদেরকেই ভয় করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ আমার উম্মাতের এক দল লোক আল্লাহ তা’আলার হুকুম (কিয়ামত) আসার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত সর্বদা বিজয়ীবেশে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যারা তাদের অপমানিত করতে চাইবে তারা তাদের ক্ষতি করতে পারবে না।

সহীহ, সহীহাহ (৪/১১০, ১৯৫৭), মুসলিম ২য় অংশ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে আমি বলতে শুনেছি, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত হাদীসটি আলী ইবনুল মাদীনীকে এভাবে বর্ণনা করতে শুনেছিঃ আমার উম্মাতের এক দল সর্বাবস্থায় সত্যের উপর বিজয়ী থাকবে। তাদের ব্যাপারে আলী (রাঃ) বলেন, এরা হলো আহলুল হাদীস।

باب مَا جَاءَ فِي الأَئِمَّةِ الْمُضِلِّينَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ يَخْذُلُهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ يَقُولُ وَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ عَلِيٌّ هُمْ أَهْلُ الْحَدِيثِ ‏.‏


Thawban narrated that the Messenger of Allah(s.a.w) said: "I only fear for my Ummah from the misguiding A'immah." He said that the Messenger of Allah(s.a.w) said: "There will never cease to be a group from my Ummah manifest upon the truth, they will not be harmed by those who forsake them until Allah's Decree comes."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা আত-তাওবাহ

৩০৯৪। সাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যারা সোনা ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহ তা’আলার পথে ব্যায় করে না তাদেরকে পীড়াদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও”— (সূরা আত-তওবাঃ ৩৪), এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ভ্রমণে ছিলাম। কোন কোন সাহাবী বলেন, এ আয়াতটি সোনা ও রূপার সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছে। কোন সম্পদ উৎকৃষ্ট আমরা তা জানতে পারলে তা জমা করতাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উৎকৃষ্ট সম্পদ হল (আল্লাহ তা’আলার) যিকরকারী জিহ্বা, কৃতজ্ঞ অন্তর ও ঈমানদার স্ত্রী, যে স্বামীকে দীনদারির ব্যাপারে সহযোগিতা করে।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৫৬)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে প্রশ্ন করে বললাম, সালিম ইবনু আবূল জা’দ (রহঃ) সাওবান (রাযিঃ) হতে (হাদীস) শুনেছেন কি? তিনি বলেন, না। আমি তাকে বললাম, তাহলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের মধ্যে কার নিকটে শুনেছেন? তিনি বললেন, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর নিকট শুনেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আরো কয়েকজন সাহাবীর নামও তিনি উল্লেখ করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ‏)‏ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ أُنْزِلَ فِي الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مَا أُنْزِلَ ‏.‏ لَوْ عَلِمْنَا أَىُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَهُ فَقَالَ ‏"‏ أَفْضَلُهُ لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُؤْمِنَةٌ تُعِينُهُ عَلَى إِيمَانِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَقُلْتَ لَهُ سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ سَمِعَ مِنْ ثَوْبَانَ فَقَالَ لاَ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعَ مِنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَذَكَرَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Thawban: "When (the following) was revealed: And those who hoard up gold and silver... (9:34)" He said: "We were with the Messenger of Allah (ﷺ) during one of his journeys, so some of his Companions said: (This) has been revealed about gold and silver, if we knew which wealth was better then we would use it. So he (ﷺ) said: 'The most virtuous of it is a remembering tongue, a grateful heart, and a believing wife that helps him with his faith.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার দু’আ

৩৩৮৯। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলে, ’আল্লাহ তা’আলা আমার রব, ইসলাম আমার দীন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার রাসূল হওয়ায় আমি সর্বান্তকরণে পরিতৃপ্ত আছি", তাকে পরিতৃপ্ত করা আল্লাহ্ তা’আলার করণীয় হয়ে যায়।

যঈফ, নাকদুল কিত্তানী (৩৩৩৪) আল-কালিমুত-তায়্যিব (২৪), যঈফা (৫০২০)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، سَعِيدِ بْنِ الْمَرْزُبَانِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ثَوْبَانَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏


Thawban (ra) said: “The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Whoever says when he reaches the evening: “I am pleased with Allah as (my) Lord, with Islam as (my) religion, and with Muhammad (ﷺ) as (my) Prophet (Raḍītu billāhi rabban wabil-Islāmi dīnan wa bi-Muḥammadin nabiyyan) it is a duty upon Allah to please him.’” (Hasan Gharib)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

৬৭৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা (দ্বীনের বিধি-বিধান পালনে) অটল থাকো, আর তোমরা কখনো (তোমাদের আমলসমূহকে) গুণে গুণে রেখো না। আর তোমরা জেনে রাখো, তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত।” তিনি অন্যত্র বলেন: “আর তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। আর মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউই উযু’র যথাযোগ্য হিফাযত করে না।”[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ وَالْأَعْمَشِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةُ وَقَالَ الْآخَرُ إِنَّ مِنْ خَيْرِ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةَ وَلَنْ يُحَافِظَ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ

إسناده صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

৬৭৯. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা ঠিকভাবে (ও মধ্যমপন্থায় আমল) করতে থাকো এবং নৈকট্য লাভ করো। আর তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। আর মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউই উযু’র যথাযোগ্য হিফাযত করে না।”[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ قَالَ حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ أَنَّ أَبَا كَبْشَةَ السَّلُولِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَخَيْرُ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةُ وَلَنْ يُحَافِظَ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৮. সালামের পরে যা বলতে হয় (যিকির)

১৩৮৫. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাত সমাপ্ত করতেন, তখন তিনি তিনবার ’আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলতেন এরপর পড়তেন, “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম।”[1]

بَاب الْقَوْلِ بَعْدَ السَّلَامِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنْصَرِفَ مِنْ صَلَاتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৫. বিতর সালাতের পরে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় প্রসঙ্গে

১৬৩২. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(রাত্রি) জাগরণ অতি কষ্টকর এবং অত্যন্ত ভারী। ফলে যখন তোমাদের কেউ বিতর আদায় করে, এরপর সে যেন দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়। এরপর যদি সে রাতে (সালাতে) দণ্ডায়মান হতে পারে, (তবে তো ভালো); নতুবা এ দু’ রাকা’আতই তার জন্য (যথেষ্ট) হবে।”[1]

আর বর্ণিত হয়েছে: هَذَا السَّفَرَ (এই সফর)। তবে আমি বলি: السَّهَرَ (রাত্রি জাগরণ)।

بَاب فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْوِتْرِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ثَوْبَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ هَذَا السَّهَرَ جَهْدٌ وَثِقَلٌ فَإِذَا أَوْتَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ فَإِنْ قَامَ مِنْ اللَّيْلِ وَإِلَّا كَانَتَا لَهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সচ্ছল ব্যক্তির জন্য কোনো কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা

১৬৮২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্তদাস ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সচ্ছল হওয়া সত্বেও যে ব্যক্তি লোকদের নিকট চেয়ে চেয়ে বেড়াবে, (কিয়ামত দিবসে) তার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাবে।”[1]

بَاب التَّشْدِيدِ عَلَى مَنْ سَأَلَ وَهُوَ غَنِيٌّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ سَأَلَ النَّاسَ مَسْأَلَةً وَهُوَ عَنْهَا غَنِيٌّ كَانَتْ شَيْنًا فِي وَجْهِهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬. হিজামাহ (শিঙা লাগানো) রোযাদারের রোযা ভেঙ্গে দেয়

১৭৬৮. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকী নামক স্থানে হাঁটছিলেন। তখন এক ব্যক্তি শিঙা লাগাচ্ছিল (রক্তমোক্ষণ করছিল)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “শিঙা যে লাগালো (রক্তমোক্ষণকারী) ও যাকে লাগিয়ে দেয়া হলো (যার রক্তমোক্ষণ করা হলো), তারা উভয়ে রোযা ভঙ্গ করেছে।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন: আমি রমযান মাসের রোযা রাখা অবস্থায় ’হিজামাহ’ (শিঙা লাগানো) থেকে বিরত থাকি।

بَاب الْحِجَامَةِ تُفْطِرُ الصَّائِمَ

أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي قِلَابَةَ أَنَّ أَبَا أَسْمَاءَ الرَّحَبِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ ثَوْبَانَ حَدَّثَهُ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي بِالْبَقِيعِ فَإِذَا رَجُلٌ يَحْتَجِمُ فَقَالَ أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَنَا أَتَّقِي الْحِجَامَةَ فِي الصَّوْمِ فِي رَمَضَانَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা

১৭৯২. সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “এক মাসের রোযা (রমযানের রোযা) দশমাসের রোযার সমতুল্য। এরপর আরও (শাওয়ালের) ছয়দিনের রোযা দুই মাসের সমতুল্য। এভাবে তা (সাওয়াবের দিক দিয়ে) পূর্ণ এক বছর এর সমতুল্য হলো।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, এর অর্থ: রমযান মাস ও এর পরবর্তী (মাসের) ছয় দিনকে বুঝানো হয়েছে।

بَاب فِي صِيَامِ السِّتَّةِ مِنْ شَوَّالٍ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صِيَامُ شَهْرٍ بِعَشَرَةِ أَشْهُرٍ وَسِتَّةِ أَيَّامٍ بَعْدَهُنَّ بِشَهْرَيْنِ فَذَلِكَ تَمَامُ سَنَةٍ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ وَسِتَّةَ أَيَّامٍ بَعْدَهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. কুরবানীর গোশত সম্পর্কে

১৯৯৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাস সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিনায় থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ এ মাংস ভালভাবে সংরক্ষণ করে রাখো।” আমি তাঁর জন্য তা ভাল করে রেখে দিলাম। আমরা মদীনায় পৌছা পর্যন্ত তিনি এ মাংস খেতে থাকেন।[1]

بَاب فِي لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزَّبِيدِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِمِنًى أَصْلِحْ لَنَا مِنْ هَذَا اللَّحْمِ فَأَصْلَحْتُ لَهُ مِنْهُ فَلَمْ يَزَلْ يَأْكُلُ مِنْهُ حَتَّى بَلَغْنَا الْمَدِينَةَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. কোনো স্ত্রীলোকের জন্য তার স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া নিষেধ

২৩০৯. ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনরূপ আপত্তিকর বিষয় ছাড়াই যে মহিলা তার স্বামীর নিকট তালাক চায়, জান্নাতের সুগন্ধও তার জন্য হারাম।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ أَنْ تَسْأَلَ الْمَرْأَةُ زَوْجَهَا طَلَاقَهَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا الطَّلَاقَ مِنْ غَيْرِ بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫২. ঋণের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী

২৬৩০. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাস সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তিনটি বিষয় থেকে মুক্ত অবস্থায় যার দেহ থেকে তার প্রাণ বের হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে: অহংকার, আত্মসাৎ ও ঋণ থেকে।” [1]

باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ فِي الدَّيْنِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ فَارَقَ الرُّوحُ الْجَسَدَ وَهُوَ بَرِيءٌ مِنْ ثَلَاثٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ مِنْ الْكِبْرِ وَالْغُلُولِ وَالدَّيْنِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে

২৭৯০. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি আমার উম্মাতের উপর পথভ্রষ্ট-বিভ্রান্ত নেতৃবৃন্দের আশংকাবোধ করি।” [1]

باب فِي الْأَئِمَّةِ الْمُضِلِّينَ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الْأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. পুরুষ ও মহিলার বীর্যের বর্ণনা এবং সন্তান যে উভয়ের বীর্য ও শুক্র থেকে সৃষ্টি হয় তার বর্ণনা।

৬০৩-(৩৪/৩১৫) আল হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম সাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। ইতোমধ্যেই ইয়াহুদীদের এক আলিম এসে বলল, আসসালামু ’আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! এরপর আমি তাকে এমন এক ধাক্কা মারলাম যে, সে প্রায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো! সে বলল, তুমি আমাকে ধাক্কা মারলে কেন? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলতে পার না। ইয়াহুদী বলল, আমরা তাকে তার পরিবার-পরিজন যে নাম রেখেছে সে নামেই ডাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার নাম মুহাম্মাদ। আমার পরিবারের লোকই আমার এ নাম রেখেছে। এরপর ইয়াহুদী বলল, আমি আপনাকে (কয়েকটি কথা) জিজ্ঞেস করতে এসেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, তোমার কী লাভ হবে, যদি আমি তোমাকে কিছু বলি? সে বলল, আমি আমার কান পেতে শুনব।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কাছে যে খড়িটি ছিল তা দিয়ে মাটিতে আঁকাঝোকা দাগ কাটতে ছিলেন। তারপর বললেন, জিজ্ঞেস কর। ইয়াহুদী বলল, যেদিন এ জমিন ও আকাশমণ্ডলী পাল্টে গিয়ে অন্য জমিন ও আকাশমণ্ডলীতে পরিণত হবে (অর্থাৎ কিয়ামত হবে) সেদিন লোকজন কোথায় থাকবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারা সেদিন পুলসিরাতের কাছে অন্ধকারে থাকবে।

সে বলল, কে সর্বপ্রথম (তা পার হবার) অনুমতি লাভ করবে? তিনি বললেন, দরিদ্র মুহাজিরগণ! ইয়াহুদী বলল, জান্নাতে যখন তারা প্রবেশ করবে তখন তাদের তোহফা কি হবে? তিনি বললেন, মাছের কলিজার টুকরা। সে বলল, এরপর তাদের দুপুরের খাদ্য কি হবে? তিনি বললেন, তাদের জন্য জান্নাতের ষাঁড় যাবাহ করা হবে যা জান্নাতের আশেপাশে চড়ে বেড়ায়। সে বলল, এরপরে তাদের পানীয় কি হবে? তিনি বললেন, সেখানকার একটি ঝর্ণার পানি যার নাম সালসাবীল। সে বলল, আপনি ঠিক বলেছেন।

সে আরো বলল যে, আমি আপনার কাছে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি যা নবী ছাড়া পৃথিবীর কোন অধিবাসী জানে না অথবা একজন কি দু’জন লোক ছাড়া। তিনি বললেন, আমি যদি তোমাকে তা বলে দেই তবে তোমার কি কোন উপকার হবে? সে বলল, আমি আমার কান পেতে শুনব। সে বলল, আমি আপনাকে সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি। তিনি বললেন, পুরুষের বীর্য সাদা এবং মেয়েলোকের বীর্য হলুদ। যখন উভয়টি একত্রিত হয়ে যায় এবং পুরুষের বীর্য মেয়েলোকের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে পুত্র সন্তান হয়। আর যখন মেয়েলোকের বীর্য পুরুষের বীর্যের ওপর প্রধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে কন্যা সন্তান হয়।

ইয়াহুদী বলল, আপনি ঠিকই বলেছেন এবং নিশ্চয়ই আপনি নবী। এরপর সে চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ লোক আমার কাছে যা জিজ্ঞেস করেছে, ইতোপূর্বে আমার সে সম্পর্কে কোন জ্ঞানই ছিল না। আল্লাহ তা’আলা এক্ষণে আমাকে তা জানিয়ে দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬০৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬২৩)

باب بَيَانِ صِفَةِ مَنِيِّ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ وَأَنَّ الْوَلَدَ مَخْلُوقٌ مِنْ مَائِهِمَا

حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، - وَهُوَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ - حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ زَيْدٍ، - يَعْنِي أَخَاهُ - أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحَبِيُّ، أَنَّ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُ قَالَ كُنْتُ قَائِمًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ فَدَفَعْتُهُ دَفْعَةً كَادَ يُصْرَعُ مِنْهَا فَقَالَ لِمَ تَدْفَعُنِي فَقُلْتُ أَلاَ تَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ إِنَّمَا نَدْعُوهُ بِاسْمِهِ الَّذِي سَمَّاهُ بِهِ أَهْلُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اسْمِي مُحَمَّدٌ الَّذِي سَمَّانِي بِهِ أَهْلِي ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ جِئْتُ أَسْأَلُكَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَيَنْفَعُكَ شَىْءٌ إِنْ حَدَّثْتُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَسْمَعُ بِأُذُنَىَّ فَنَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعُودٍ مَعَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ سَلْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ أَيْنَ يَكُونُ النَّاسُ يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هُمْ فِي الظُّلْمَةِ دُونَ الْجِسْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَنْ أَوَّلُ النَّاسِ إِجَازَةً قَالَ ‏"‏ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الْيَهُودِيُّ فَمَا تُحْفَتُهُمْ حِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَالَ ‏"‏ زِيَادَةُ كَبِدِ النُّونِ ‏"‏ قَالَ فَمَا غِذَاؤُهُمْ عَلَى إِثْرِهَا قَالَ ‏"‏ يُنْحَرُ لَهُمْ ثَوْرُ الْجَنَّةِ الَّذِي كَانَ يَأْكُلُ مِنْ أَطْرَافِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا شَرَابُهُمْ عَلَيْهِ قَالَ ‏"‏ مِنْ عَيْنٍ فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلاً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ وَجِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنْ شَىْءٍ لاَ يَعْلَمُهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ رَجُلٌ أَوْ رَجُلاَنِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ يَنْفَعُكَ إِنْ حَدَّثْتُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَسْمَعُ بِأُذُنَىَّ ‏.‏ قَالَ جِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنِ الْوَلَدِ قَالَ ‏"‏ مَاءُ الرَّجُلِ أَبْيَضُ وَمَاءُ الْمَرْأَةِ أَصْفَرُ فَإِذَا اجْتَمَعَا فَعَلاَ مَنِيُّ الرَّجُلِ مَنِيَّ الْمَرْأَةِ أَذْكَرَا بِإِذْنِ اللَّهِ وَإِذَا عَلاَ مَنِيُّ الْمَرْأَةِ مَنِيَّ الرَّجُلِ آنَثَا بِإِذْنِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الْيَهُودِيُّ لَقَدْ صَدَقْتَ وَإِنَّكَ لَنَبِيٌّ ثُمَّ انْصَرَفَ فَذَهَبَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَقَدْ سَأَلَنِي هَذَا عَنِ الَّذِي سَأَلَنِي عَنْهُ وَمَا لِي عِلْمٌ بِشَىْءٍ مِنْهُ حَتَّى أَتَانِيَ اللَّهُ بِهِ ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Description of the (fluid) of the man and the woman; the child is created from the water of both of them


Thauban, the freed slave of the Messenger of Allah (ﷺ), said: While I was standing beside the Messenger of Allah (ﷺ) one of the rabbis of the Jews came and said: Peace be upon you, O Muhammad. I pushed him backwith a push that he was going to fall. Upon this he said: Why do you push me? I said: Why don't you say: O Messenger of Allah? The Jew said: We call him by the name by which he was named by his family. The Messenger of Allah (ﷺ) said: My name is Muhammad with which I was named by my family. The Jew said: I have come to ask you (something). The Messenger of Allah (ﷺ) said: Should that thing be of any benefit to you, if I tell you that? He (the Jew) said: I will lend my ears to it. The Messenger of Allah (ﷺ) drew a line with the help of the stick that he had with him and then said: Ask (whatever you like). Thereupon the Jew said: Where would the human beings be on the Daywhen the earth would change into another earth and the heavens too (would change into other heavens)? The Messenger of Allah (ﷺ) said: They would be in darkness beside the Bridge. He (the Jew) again said: Who amongst people would be the first to cross (this bridge).? He said: They would be the poor amongst the refugees. The Jew said: What would constitute their breakfast when they would enter Paradise? He (the Holy Prophet) replied: A caul of the fish-liver. He (the Jew) said. What would be their food alter this? He (the Holy Prophet) said: A bullockwhich was fed in the different quarters of Paradise would be slaughtered for them. He (the Jew) said: What would be their drink? He (the Holy Prophet) said: They would be given drink from the fountain which is named" Salsabil". He (the Jew) said: I have come to ask you about a thing which no one amongst the people on the earth knows except an apostle or one or two men besides him. He (the Holy Prophet) said: Would it benefit you if I tell you that? He (the Jew) said: I would lend ears to that. He then said: I have come to ask you about the child. He (the Holy Prophet) said: The reproductive substance of man is white and that of woman (i. e. ovum central portion) yellow, and when they have sexual intercourse and the male's substance (chromosomes and genes) prevails upon the female's substance (chromosomes and genes), it is the male child that is created by Allah's Decree, and when the substance of the female prevails upon the substance contributed by the male, a female child is formed by the Decree of Allah. The Jew said: What you have said is true; verily you are an Apostle. He then returned and went away. The Messenger of Allah (ﷺ) said: He asked me about such and such things of which I have had no knowledge till Allah gave me that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬. সালাতের পর যিকর মুস্তাহাব এবং এর বিবরণ

১২২১-(১৩৫/৫৯১) দাউদ ইবনু রুশায়দ (রহঃ) ..... সাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে তিনবার ইসতিগফার করতেন এবং বলতেন- "আল্ল-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-মু তাবা-রকতা যাল জালা-লি ওয়াল ইকর-ম” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিময় এবং তোমার থেকে শান্তি আসে। তুমি কল্যাণময় এবং সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী।)।

হাদীস বর্ণনাকার ওয়ালীদ বলেন- আমি আওযাঈকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিভাবে ইস্তিগফার করতেন। তিনি বললেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন- আস্তাগফিরুল্ল-হ, আস্তাগফিরুল্ল-হ’ (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১২১০, ইসলামীক সেন্টার ১২২২)

باب اسْتِحْبَابِ الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلاَةِ وَبَيَان صِفَتِهِ ‏

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، - اسْمُهُ شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ - عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاَثًا وَقَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ كَيْفَ الاِسْتِغْفَارُ قَالَ تَقُولُ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ ‏.‏


Thauban reported: When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer. He begged forgiveness three times and said: O Allah! Thou art Peace, and peace comes from Thee; Blessed art Thou, O Possessor of Glory and Honour. Walid reported: I said to Auza'i: How is the seeking of forgiveness? He replied: You should say: I beg forgiveness from Allah, I beg forgiveness from Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ৮১ থেকে ১০০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 6 7 8 9 পরের পাতা »