ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৯৮ টি

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৭১-[১৭] ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক মহিলার সাথে জোরপূর্বক যিনা করা হয়েছিল, যিনার অভিযোগে জনৈকা নারীর ওপর দণ্ড ক্ষমা করে; কিন্তু পুরুষের ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন। তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নারীটির জন্য মোহর ধার্য করেছিলেন কিনা বর্ণনাকারী তা উল্লেখ করেননি। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: اسْتُكْرِهَتِ امْرَأَةٌ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَرَأَ عَنْهَا الْحَدَّ وَأَقَامَهُ عَلَى الَّذِي أَصَابَهَا وَلَمْ يُذْكَرْ أَنَّهُ جَعَلَ لَهَا مَهْرًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: মুযহির এবং ইবনু মালিক বলেনঃ এ হাদীস মোহর ওয়াজিব না এমনটি প্রমাণিত হয় না, কেননা অন্য হাদীস দ্বারা মোহর ওয়াজিব এটি প্রমাণিত হয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৫৩)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৭২-[১৮] উক্ত রাবী [ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে জনৈকা মহিলা সালাতের উদ্দেশে বের হলো। এমন সময় এক ব্যক্তি তাকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক যিনা করলে মহিলাটির চিৎকারে পুরুষটি পালিয়ে যায়। তখন মুহাজিরদের একটি দল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তখন মহিলাটি বলল, ঐ লোকটি আমার সাথে এরূপ এরূপ করেছে। তারা তখন ঐ লোকটিকে গ্রেফতার করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত করল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঐ মহিলাটিকে বললেন, চলে যাও আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর যে লোকটি মহিলাটির সাথে যিনা করেছিল। যিনাকারীর ব্যাপারে হুকুম করলেন, একে পাথর নিক্ষেপে হত্যা কর। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, লোকটি এমনভাবে তওবা্ করেছে যদি মদীনার সকল লোক এরূপ তওবা্ করত, তাহলে তাদের সকলের পক্ষ থেকে তা কবুল করা হতো। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْهُ: أَنَّ امْرَأَةً خَرَجَتْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُرِيدُ الصَّلَاةَ فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَتَجَلَّلَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا فَصَاحَتْ وَانْطَلَقَ وَمَرَّتْ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ فَقَالَتْ: إِنَّ ذَلِكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا فَأَخَذُوا الرَّجُلَ فَأَتَوْا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهَا: «اذْهَبِي فَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكِ» وَقَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا: «ارْجُمُوهُ» وَقَالَ: «لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: (فَقَضٰى حَاجَتَه مِنْهَا) ‘‘তার প্রয়োজন পূরণ করেছে’’ শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ তাকে ডেকে নিয়েছে এবং তার সাথে যিনা করেছে।

(اذْهَبِىْ فَقَدْ غَفَرَ اللّٰهُ لَكِ) তুমি চলে যাও আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন, কেননা তোমাকে জোর করে তথা তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমার সাথে এ আচরণ করা হয়েছে।

(لِلرَّجُلِ الَّذِىْ وَقَعَ عَلَيْهَا : ارْجُمُوْهُ) আর লোকটি যিনার কথা স্বীকার করেছে এবং তাকে রজম করার আদেশ দিয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যেহেতু সে বিবাহিত।

(لَقُبِلَ مِنْهُمْ) লোকটির তাওবার পরিমাণ এতো বেশি তা যদি মদীনাবাসীকে বন্টন করে দেয়া হতো তাহলে তা যথেষ্ট হতো। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৭৩-[১৩] ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন সালামাহ্ ইবনু ইয়াযীদ আল জু’ফী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে কি নির্দেশ দেন, যদি আমাদের ওপর এমন শাসক চেপে বসে যারা আমাদের থেকে স্বীয় হক আদায় করে নেয়। অথচ তারা আমাদের প্রতি হক আদায় করে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তাদের আদেশ মান্য করো এবং আনুগত্য করো। কেননা তাদের কর্তব্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। আর তোমাদের কর্তব্য তোমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: سَأَلَ سَلَمَةُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قَامَتْ عَلَيْنَا أُمَرَاءُ يَسْأَلُونَا حَقَّهُمْ وَيَمْنَعُونَا حَقَّنَا فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا فَإِنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাষ্ট্রনায়ক বা শাসক ও সাধারণ মানুষ সকলের জন্য কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা বাস্তবায়ন বা পালন করা অপরিহার্য। শাসকের দায়িত্ব সাধারণ জনগণের ওপর ইনসাফ কায়িম করা, গনীমাতের মাল প্রদান করা ইত্যাদি। আর জনগণের দায়িত্ব হলো শাসকের কথা শ্রবণ করা এবং কথার আনুগত্য করা, বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা, শাসকের কাজে সহায়তা করা। সুতরাং উভয়ের জন্য জরুরী হলো তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা ও সীমালঙ্ঘন না করা।

এই মর্মে মহান আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ করেন : বলুন, আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে তার ওপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্য তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর তবে সৎ পথ পাবে। রসূলদের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেয়া।

উপরে উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, শাসকের ওপর আল্লাহ তা‘আলা যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা প্রতিষ্ঠা (বাস্তবায়ন) করা জরুরী। যেমন জনগণের মাঝে সমতা সৃষ্টি করা, আদল প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি যখন তারা এটা কায়িম করবে না তখন তাদের ওপর পাপ হবে। আর তোমাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যেমন কথা শোনা, আনুগত্য করা, অধিকার আদায় করা। যখন তোমরা এটা সম্পাদন করবে তখন তোমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সাওয়াব প্রদান করবেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২১৯৯; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা

৪৭৬২-[১৩] মুসলিম-এর উপর বর্ণনায় ওয়ায়িল ইবনু হুজর হতে বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আঙ্গুরকে কার্ম বলো না; বরং عِنَبْ (’ইনাব) ও حَبَلَهْ (হাবালাহ্) বলো।[1]

بَابُ الْأَسَامِىْ

وَفِي
رِوَايَةٍ لَهُ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: لَا تَقُولُوا: الْكَرْمُ وَلَكِنْ قُولُوا: الْعِنَبُ والحبلة

ব্যাখ্যাঃ ‘আলকামাহ্ ইবনু ওয়ায়িল তার পিতা থেকে বর্ণিত হাদীস নিষেধ রয়েছে।

لَا تَقُولُوا الْكَرْمُ وَلَكِنْ قُولُوا الْعِنَبُ وَالْحَبَلَةُ

অর্থাৎ নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ‘কার্ম’ বলো না। বরং তোমরা আঙ্গুর বা আঙ্গুরের গাছ বলো। আর এটাই আসল কথা। (শারহুন নাবাবী ১৫শ খন্ড, হাঃ ২২৪৮/১২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)

৭২৬। ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি দেখাব। তিনি বলেন, (তা হচ্ছে এরূপঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে স্বীয় দু’ হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করেন। তারপর ডান হাত দিয়ে স্বীয় বাম হাত ধরেন এবং রুকু’তে গমনকালে স্বীয় দু’ হাত তদ্রুপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর উভয় হাতকে হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখেন। রুকু’ হতে মাথা উত্তোলনের সময়ও তিনি উভয় হাত ঐভাবে উত্তোলন করেন। এরপর তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিলেন এবং বাম হাত বাম ঊরুর উপর এবং ডান হাত ডান ঊরুর উপর আলাদাভাবে রাখেন। অতঃপর তিনি তাঁর ডান হাতের কনিষ্ঠ ও অনামিকা অঙ্গুলিদ্বয় আবদ্ধ করে রাখেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন। (বর্ণনাকারী বলেন), আমি তাকে এভাবে বলতে দেখেছি। আর বিশর নিজের মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেন।[1]

সহীহ।

باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم كَيْفَ يُصَلِّي قَالَ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا أُذُنَيْهِ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ فَلَمَّا سَجَدَ وَضَعَ رَأْسَهُ بِذَلِكَ الْمَنْزِلِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَحَدَّ مِرْفَقَهُ الأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ ثِنْتَيْنِ وَحَلَّقَ حَلْقَةً وَرَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا ‏.‏ وَحَلَّقَ بِشْرٌ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ

- صحيح


Narrated Wa'il ibn Hujr: I purposely looked at the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ), how he offered it. The Messenger of Allah (ﷺ) stood up, faced the direction of the qiblah and uttered the takbir (Allah is most great) and then raised his hands in front of his ears, then placed his right hand on his left (catching each other). When he was about to bow, he raised them in the same manner. He then placed his hands on his knees. When he raised his head after bowing, he raised them in the like manner. When he prostrated himself he placed his forehead between his hands. He then sat down and spread his left foot and placed his left hand on his left thigh, and kept his right elbow aloof from his right thigh. He closed his two fingers and made a circle (with the fingers). I (Asim ibn Kulayb) saw him (Bishr ibn al-Mufaddal) say in this manner. Bishr made the circle with the thumb and the middle finger and pointed with the forefinger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৬. রাফ‘উল ইয়াদাইন (সালাতে দু’ হাত উত্তোলন)

৭২৮। ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত আরম্ভকালে স্বীয় দু’ হাত নিজের কান পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি কয়েক দিন পর সেখানে গিয়ে দেখলাম, সাহাবীগণ সালাত আরম্ভকালে তাদের হাতগুলো বুক পর্যন্ত উঠাচ্ছেন। এ সময় তাঁদের শরীর কোট ও অন্যান্য কাপড়ে আবৃত ছিল।[1]

সহীহ।

باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حِيَالَ أُذُنَيْهِ - قَالَ - ثُمَّ أَتَيْتُهُمْ فَرَأَيْتُهُمْ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلَى صُدُورِهُمْ فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ وَعَلَيْهِمْ بَرَانِسُ وَأَكْسِيَةٌ ‏

- صحيح


Narrated Wa'il ibn Hujr: I witnessed the Prophet (ﷺ) raise his hands in front of his ears when he began to pray. I then came back and saw them (the people) raising their hands up to their chest when they began to pray. They wore long caps and blankets.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৭. সালাত শুরু করা সম্পর্কে

৭২৯। ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শীতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে দেখলাম যে, তাঁর সাহাবীগণ সালাতরত অবস্থায় তাদের কাপড়ের ভিতর থেকে নিজ নিজ হাত উত্তোলন করছিলেন।[1]

সহীহ।

باب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فِي الشِّتَاءِ فَرَأَيْتُ أَصْحَابَهُ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ فِي ثِيَابِهِمْ فِي الصَّلَاةِ ‏.‏

- صحيح


Wa’il b. Hujr said: I came to the Prophet(ﷺ) during winter; I saw his companions raise their hands in their clothes in prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪১. সিজদার সময় হাত রাখার পূর্বে হাঁটু রাখা প্রসঙ্গে

৮৩৮। ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখেছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে সিজদায় গমনকালে (জমিনে) হাত রাখার পূর্বে হাঁটু রাখতেন এবং এবং সিজদা্ হতে দাঁড়ানোর সময় হাঁটুর পূর্বে হাত উঠাতেন।[1]

দুর্বল।

بَابُ كَيْفَ يَضَعُ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ:رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم إِذَا سَجَدَ وَضَعَ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ، وَإِذَا نَهَضَ رَفَعَ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ

- ضعيف


Narrated Wa'il ibn Hujr: I saw that the Prophet (ﷺ) placed his knees (on the ground) before placing his hands when he prostrated himself. And when he stood up, he raised his hands before his knees.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে

৯৩২। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, (সালাত আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ’’ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ পড়তেন তখন তিনি সশব্দে আমীন বলতেন।[1]

সহীহ।

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَرَأَ ‏(وَلَا الضَّالِّينَ)‏ قَالَ ‏"‏ آمِينَ ‏"‏ ‏.‏ وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ ‏.‏

- صحيح


Narrated Wa'il ibn Hujr: When the Messenger of Allah (ﷺ) recited the verse "Nor of those who go astray" (Surah al-Fatihah, verse 7), he would say Amin; and raised his voice (while uttering this word).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে

৯৩৩। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। তাতে তিনি সশব্দে ’’আমীন’’ বলেছেন। তিনি ডানে ও বামে এভাবে সালাম ফিরিয়েছেন যে, আমি তাঁর গালের শুভ্রতা দেখেছি।[1]

হাসান সহীহ।

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ

حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشَّعِيرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَهَرَ بِآمِينَ وَسَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ خَدِّهِ ‏.‏

- حسن صحيح


Wail b, hujr said that he prayed behind the Messenger of Allah (ﷺ),and he said Amin loudly and saluted at his right and left sides until I saw the whiteness of his cheek.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮০. তাশাহহুদের বৈঠকে বসার নিয়ম

৯৫৭। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি (মনে মনে) বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে সালাত আদায় করেন আমি তা অবশ্যই দেখবো। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়ে ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)হমূখী হয়ে তাকবীর বলে দুই হাত কান বরাবর উত্তোলন করলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাত আঁকড়ে ধরলেন। তারপর যখন রুকূ’তে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন তখনও অনুরূপভাবে দু’ হাত উত্তোলন করলেন। বর্ণনাকারী (ওয়াইল ইবনু হুজর) বলেন, অতঃপর তিনি বাম পা বিছিয়ে বসলেন, বাম হাত বাম ঊরুর উপর রাখলেন এবং ডান কনুই ডান ঊরু হতে পৃথক রাখলেন। তারপর দু’ আঙ্গুল গুটিয়ে বৃত্তাকার করলেন এবং তাঁকে আমি এভাবেই বলতে দেখলাম। বর্ণনাকারী বিশর (রহঃ) বৃদ্ধাংগুলিকে মধ্যমার সাথে মিলিয়ে বৃত্ত করলেন এবং শাহাদাত অংগুলি দ্বারা ইশারা করে দেখালেন।[1]

সহীহ।

باب كَيْفَ الْجُلُوسُ فِي التَّشَهُّدِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ قُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم كَيْفَ يُصَلِّي فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ ثُمَّ أَخَذَ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَحَدَّ مِرْفَقَهُ الأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ ثِنْتَيْنِ وَحَلَّقَ حَلَقَةً وَرَأَيْتُهُ يَقُولُ هَكَذَا وَحَلَّقَ بِشْرٌ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ ‏.‏

- صحيح مضى ب سنده و متنه (٧٢٦)


Narrated Wa'il ibn Hujr: I said that I should look at the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) how he prays. The Messenger of Allah (ﷺ) stood up and faced the qiblah (i.e. the direction of Ka'bah) and uttered the takbir (Allah is most great); then he raised his hands till he brought them in front of his ears; then he caught hold of his left hand with his right hand (i.e. folded his hands). When he was about to bow, he raised them (his hands) in a like manner. Then he sat, stretched out his left foot (to sit on it), placed his left hand on his left thigh, and kept away the tip of his right elbow from his right thigh, joined two fingers, formed a ring, to do so. And the narrator Bishr made a ring with the thumb and the middle finger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া

৩০৫৮। ওয়াইল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হাদরামাওত এলাকায় এখ খন্ড জমি জায়গীর হিসাবে দিয়েছেন।[1]

بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَهُ أَرْضًا بِحَضْرَمُوتَ

صحيح، الترمذي (١٤١٢)


Narrated Alqamah ibn Wa'il: The Prophet (ﷺ) bestowed land in Hadramawt as fief.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১. চুল লম্বা করা সম্পর্কে

৪১৯০। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসতাম। আমার মাথায় লম্বা চুল ছিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখে বললেনঃ মাছি, মাছি। তিনি বলেন, আমি ফিরে এসে চুল কেটে ফেললাম। পরদিন সকালে আমি তাঁর নিকট গেলে তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাকে কষ্ট দেইনি। আর এরূপ (চুল) খুবই চমৎকার![1]

সহীহ।

بَابٌ فِي تَطْوِيلِ الْجُمَّةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، وَسُفْيَانُ بْنُ عُقْبَةَ السُّوَائِيُّ هُوَ أَخُو قَبِيصَةَ - وَحُمَيْدُ بْنُ خُوَارٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِي شَعْرٌ طَوِيلٌ، فَلَمَّا رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ذُبَابٌ ذُبَابٌ قَالَ: فَرَجَعْتُ فَجَزَزْتُهُ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنَ الْغَدِ، فَقَالَ: إِنِّي لَمْ أَعْنِكَ، وَهَذَا أَحْسَنُ

صحيح


Narrated Wa'il ibn Hujr: I came to the Prophet (ﷺ) and I had long hair. When the Messenger of Allah (ﷺ) saw me, he said: Evil, evil! He said: I then returned and cut them off. I then came to him in the morning. He said (to me): I did not intend to do evil to you. This is much better.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. শাসক বা বিচারক যদি খুনিকে ক্ষমা করার আদেশ দেন

৪৪৯৯। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম এমতাবস্থায় গলায় চামড়ার রশি বাধানো এক হত্যাকারীকে আনা হলো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিহত ব্যক্তির অভিভাবককে ডেকে বললেন, তুমি কি ক্ষমা করে দিবে? সে বললো, না। তিনি বললেন, তুমি কি দিয়াত নিবে? সে বললো, না। তিনি পুনরায় বললেন, তুমি হত্যা করবে? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ দিলেন, একে নিয়ে যাও।

সে যখন যেতে উদ্যত হলো, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনরায় বললেন, তুমি কি ক্ষমা করে দিবে? সে বললো, না। তিনি বললেন, তুমি রক্তপণ গ্রহণ করবে? সে বললো, না। তিনি প্রশ্ন করলেন, তাহলে তুমি কি হত্যা করবে? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, একে নিয়ে যাও। এভাবে চতুর্থবারে তিনি বললেন, জেনে রাখো, তুমি তাকে ক্ষমা করে দিলে সে নিজের ও তার সাথীর গুনাহ নিয়ে ফিরতো। বর্ণনাকারী বলেন, অতএব সে তাকে ক্ষমা করে দিলো। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাকে (হত্যাকারীকে চামড়ার রশি টেনে টেনে চলে যেতে দেখেছি)।[1]

সহীহ।

بَابُ الْإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ أَبُو عُمَرَ الْعَائِذِيُّ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، حَدَّثَنِي وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جِيءَ بِرَجُلٍ قَاتِلٍ فِي عُنُقِهِ النِّسْعَةُ، قَالَ: فَدَعَا وَلِيَّ الْمَقْتُولِ، فَقَالَ: أَتَعْفُو؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَفَتَأْخُذُ الدِّيَةَ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَفَتَقْتُلُ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: اذْهَبْ بِهِ، فَلَمَّا وَلَّى قَالَ: أَتَعْفُو؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَفَتَأْخُذُ الدِّيَةَ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَفَتَقْتُلُ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: اذْهَبْ بِهِ، فَلَمَّا كَانَ فِي الرَّابِعَةِ، قَالَ: أَمَا إِنَّكَ إِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ يَبُوءُ بِإِثْمِهِ، وَإِثْمِ صَاحِبِهِ، قَالَ: فَعَفَا عَنْهُ، قَالَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ يَجُرُّ النِّسْعَة

صحيح


Narrated Wa'il ibn Hujr: I was with the Prophet (ﷺ) when a man who was a murderer and had a strap round his neck was brought to him. He then called the legal guardian of the victim and asked him: Do you forgive him? He said: No. He asked: Will you accept the blood-money? He said: No. He asked: Will you kill him? He said: Yes. He said: Take him. When he turned his back, he said: Do you forgive him? He said: No. He said: Will you accept the blood-money? He said: No. He said: Will you kill him? He said: Yes. He said: Take him. After repeating all this a fourth time, he said: If you forgive him, he will bear the burden of his own sin and the sin of the victim. He then forgave him. He (the narrator) said: I saw him pulling the strap.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম

(১৮৩৫) আবূ হুনাইদা ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, সালামাহ ইবনে য়্যাযীদ জু’ফী আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, ’হে আল্লাহর নবী! আপনি বলুন, যদি আমাদের উপর (অসৎ) শাসক নিযুক্ত হয় এবং আমাদের কাছে তাদের অধিকার চায় ও আমাদেরকে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। অতএব এ ব্যাপারে আপনি কী নির্দেশ দেন?’ তিনি তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা (তাদের) কথা শুনো এবং (তাদের) আনুগত্য করো। কারণ তাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তাদের উপর চাপানো হয়েছে (অর্থাৎ সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতা) এবং তোমাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তোমাদের উপর অর্পণ করা হয়েছে (অর্থাৎ নেতা ও শাসকের আনুগত্য)।

وَعَن أَبي هُنَيْدَةَ وَائِلِ بنِ حُجْرٍ قَالَ : سَألَ سَلَمَةُ بن يَزيدَ الجُعفِيُّ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَقَالَ : يَا نَبِيَّ الله أَرَأَيتَ إنْ قامَت عَلَيْنَا أُمَرَاءُ يَسألُونَا حَقَّهُم وَيمْنَعُونَا حَقَّنَا فَمَا تَأْمُرُنَا ؟ فَأعْرَضَ عَنهُ، ثُمَّ سَألَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اسْمَعْوا وَأَطِيعُوا فإنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ رواه مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ নিষিদ্ধ কিছু কথা

(২৯৯৭) ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আঙ্গুরকে ’করম’ বলো না। বরং ’ইনাব’ ও ’হাবালাহ’ বল। (মুসলিম ৬০১০)

وَعَنْ وَائِلِ بنِ حُجْرٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لاَ تَقُولُوا : الكَرْمُ وَلَكِنْ قُولُوا : العِنَبُ وَالحَبَلَةُ رواه مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - সালাতে দণ্ডায়মান অবস্থায় দু’হাত রাখার স্থান

২৭৮. ওয়ায়িল বিন হুজর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছিলাম, তিনি স্বীয় ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে তার সিনার[1] উপর স্থাপন করলেন। ইবনু খুযাইমাহ।[2]

وَعَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ. أَخْرَجَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ

-

صحيح. رواه ابن خزيمة (479)، وهو وإن كان بسند ضعيف، إلا أن له شواهد تشهد له، وهي مذكورة بالأصل، وانظر مقدمة «صفة الصلاة» لشيخنا -حفظه الله تعالى. طبعة مكتبة المعارف بالرياض


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - ইমামের আমীন উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করা শরীয়তসম্মত

২৮৪. আবূ দাউদ ও তিরমিযীতে ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[1]

وَلِأَبِي دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيِّ مِنْ حَدِيثِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ نَحْوُهُ

-

صحيح. رواه أبو داود (932)، والترمذي (248) عن وائل بن حجر -رضي الله عنه- قال: «كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا قرأ (ولا الضالين) قال: «آمين» ورفع بها صوته». واللفظ لأبي داود. وقال الترمذي: «حديث حسن». قلت: بل صحيح، ثم هو له شواهد أخرى مذكورة «بالأصل». وقال الحافظ في «التلخيص «(1/ 236): سنده صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - রুকূ’ ও সাজদায় দু’হাতের আঙ্গুলসমূহের অবস্থা

৩০০. ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ করার সময় আঙ্গুলগুলো (হাঁটুর উপর) ফাঁক-ফাঁক করে রাখতেন, আর যখন সিজদাতে যেতেন তখন তাঁর আঙ্গুলগুলোকে মিলিয়ে রাখতেন।[1]

وَعَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ - رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - كَانَ إِذَا رَكَعَ فَرَّجَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ, وَإِذَا سَجَدَ ضَمَّ أَصَابِعَهُ. رَوَاهُ الْحَاكِمُ

-

صحيح. رواه الحاكم (1/ 224) مقتصرا على شطره الأول، وروى الشطر الثاني (1/ 227) وقال في الموضوعين: صحيح على شرط مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - সালাত শেষে সলাম ফিরানোর পদ্ধতি

৩২০. ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছিলাম। তিনি (সালাত সমাপ্তকালে) ডান দিকে আসসালামু ’আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (আল্লাহর শান্তি, করুণা ও আশিষ আপনাদের উপর বর্ষিত হোক) এবং বাম দিকে আসসালামু আলাইকুম, ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু বলে সালাম ফেরালেন। আবূ দাউদ সহীহ সানাদে।[1]

وَعَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَكَانَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ: «السَّلَام عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ»، وَعَنْ شِمَالِهِ: «السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ [وَبَرَكَاتُهُ]». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ بِسَنَدٍ صَحِيحٍ

-

صحيح. رواه أبو داود (997) تنبيه: وقع في المطبوع من «البلوغ»: زيادة «وبركاته» في تسليمه عن الشمال، وهو خطأ فاحش، وإن زعم بعضهم أنها زيادة صحيحة


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ৬১ থেকে ৮০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 পরের পাতা »