৩৬৩১

পরিচ্ছেদঃ একজন ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব হলো একদিন সিয়াম রাখা আর একদিন সিয়াম না রাখা কেননা এটা দাউদ আলাইহিস সালামের সিয়াম আর কোন ব্যক্তি এরকম করার সামর্থ না রাখলে তবে একদিন সিয়াম রাখা অতঃপর দুই দিন সিয়াম না রাখা মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গে বর্ণনা

৩৬৩১. আবূ কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলেন, “হে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি কিভাবে সিয়াম রাখেন?” রাবী বলেন, “অতঃপর আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাগান্বিত হলেন। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এটা দেখে বলেন, “প্রতিপালক হিসেবে আল্লাহর প্রতি, নাবী হিসেবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি এবং দ্বীন হিসেবে ইসলামের প্রতি আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই আল্লাহর ক্রোধ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্রোধ থেকে।” উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এটা বারবার বলছিলেন, অতঃপর আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্রোধ প্রশমিত হয়ে যায়। অতঃপর তিনি বলেন, “ হে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ঐ ব্যক্তির অবস্থা কেমন, যে দুইদিন সিয়াম রাখে আর একদিন সিয়াম না রাখে?” তিনি জবাবে বলেন, “কেউ এরকম করতে পারে?” তিনি আবারো প্রশ্ন করেন, “তাহলে ঐ ব্যক্তির অবস্থা কেমন, যে একদিন সিয়াম রাখে আর একদিন সিয়াম না রাখে?” তিনি জবাবে বলেন, “ওটা আমার ভাই দাঊদ আলাইহিস সালামের সিয়াম।” তিনি পুণরায় প্রশ্ন করেন, “ঐ ব্যক্তির অবস্থা কেমন, যে একদিন সিয়াম রাখে অতঃপর দুই দিন সিয়াম রাখে না?” তিনি জবাবে বলেন, “আমি আশাবাদী যে, আমাকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়ামের ধরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার কারণে রাগান্বিত হননি; বস্তুত তিনি রাগান্বিত হয়েছিলেন এজন্য যে, প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেছিল, “হে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আপনি কিভাবে সিয়াম পালন করেন?” ফলে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপছন্দ করেছিলেন তাঁর সিয়াম সম্পর্কে অবহিত করতে এই আশংকায় যে, যদি তিনি তাকে সেটা অবহিত করেন, তবে সে ব্যক্তি অনুরুপ আমল করতে অসমর্থ হবে অথবা তিনি আশংকা করেছিলেন সেটা সেই ব্যক্তি এবং তাঁর সমস্ত উম্মতের উপর ফরয হয়ে যেতে পারে অতঃপর তারা সেটা পালন করতে সমর্থ হবে না।”

ذِكْرُ اسْتِحْبَابِ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمٍ إِذْ هو صوم داود صلى الله عليه وسلم أَوْ صَوْمِ يَوْمٍ وَإِفْطَارِ يَوْمَيْنِ لِمَنْ عَجَزَ عن ذلك

3631 - أخبرنا أبو يعلى حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ غَيْلَانَ بْنِ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ: أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ كَيْفَ تَصُومُ؟ قَالَ: فَغَضِبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عُمَرُ قَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم نَبِيًّا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضِبِ اللَّهِ وَغَضِبِ رَسُولِهِ وَجَعَلَ يردُّدها حَتَّى سَكَنَ مِنْ غَضِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمَيْنِ وَيُفْطِرُ يَوْمًا؟ قَالَ: (وَيُطِيقُ ذَلِكَ أَحَدٌ)؟ قَالَ: فَكَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا؟ قَالَ: (ذَاكَ صَوْمُ أَخِي دَاوُدَ) قَالَ: فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ؟ قال: (وَدِدْتُ أني طُوِّقْتُ ذاك). الراوي : أَبُو قَتَادَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3631 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((صحيح أبي داود)) (2096): م. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَمْ يَكُنْ غَضَبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَجْلِ مَسْأَلَةِ هَذَا السَّائِلِ عَنْ كَيْفِيَّةِ الصَّوْمِ وَإِنَّمَا كَانَ غَضَبُهُ صلى الله عليه وسلم لِأَنَّ السَّائِلَ سَأَلَهُ قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ كَيْفَ تَصُومُ قَالَ: فَكَرِهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اسْتِخْبَارَهُ عَنْ كَيْفِيَّةِ صَوْمِهِ مَخَافَةَ أَنْ لَوَ أَخْبَرَهُ يَعْجِزُ عَنْ إِتْيَانِ مِثْلِهِ أَوْ خَشِيَ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّائِلِ وَأُمَّتِهِ جَمِيعًا أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَيَعْجِزُوا عَنْهُ.