৩৩৮৬

পরিচ্ছেদঃ যেসব সীমিত (গণনাযোগ্য) অবস্থার কারণে মানুষের জন্য ভিক্ষা/চাওয়া বৈধ করা হয়েছে তার উল্লেখ

৩৩৮৬. কিনানাহ আল আদাবী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি একবার কবীসাহ বিন মুখারিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে ছিলাম। এমন সময় তার কওমের কিছু লোক এক ব্যক্তির বিবাহের জন্য তার কাছে সাহায্য চান।  কিন্তু তিনি তাদেরকে কিছু সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানান। অতঃপর তারা সেখান থেকে চলে যান।”

কিনানাহ আল আদাবী বলেন, “তখন আমি তাকে বললাম, “আপনি আপনার সম্প্রদায়ের নেতা। আর তারা আপনার কাছে সাহায্য চাইতে এসেছিলেন, কিন্তু আপনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না!” তখন তিনি জবাবে বলেন, “এই ব্যাপারে আমি  কোন কিছুই দিবো না। অচিরেই আমি এই সম্পর্কে তোমাকে হাদীস বলবো। একবার আমি আমার কওমের এক ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব গ্রহণ করি। অতঃপর আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করি  এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাই। তখন তিনি বলেন, “হে কবীসা, বরং আমরা সেই ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব তোমার থেকে আমরা গ্রহণ করে নিলাম। আমরা যাকাতের উট থেকে তা পরিশোধ করে দিবো। তারপর তিনি বলেন, “চাওয়া কেবল তিন শ্রেণির মানুষের জন্য বৈধ।
(১) ঐ ব্যক্তি যে অন্যের ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব নেয়। তবে তার জন্য তা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়া বৈধ
(২) ঐ ব্যক্তি যাকে কোন দুর্যোগ পেয়ে বসে অতঃপর তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। তবে তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতদিন না তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এবং (৩) যে ব্যক্তি দারিদ্র হয়ে পড়ে, অতঃপর তার কওমের তিনজন জ্ঞানী লোক তার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতদিন না সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।  এছাড়া অন্য কোন কারণে ভিক্ষা করা হারাম।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামের বাণী “এছাড়া অন্য কোন কারণে ভিক্ষা করা হারাম” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, বাইতুল মাল থেকে তার প্রাপ্য অংশের অতিরিক্ত সম্পদ এই তিন কারণ ছাড়া মুসলিম শাসকের কাছে চাওয়া হারাম। কেননা বাইতুল ব্যতীত এবং শাসক ব্যতীত অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া হারাম হবে, যখন সে চাওয়া থেকে মুখাপেক্ষীহীন থাকবে।”

ذِكْرُ الْخِصَالِ الْمَعْدُودَةِ الَّتِي أُبيح لِلْمَرْءِ الْمَسْأَلَةُ من أجلها

3386 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ عَنْ كِنَانَةَ الْعَدَوِيِّ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ قَبِيصَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ فَاسْتَعَانَ بِهِ نَفَرٌ مِنْ قَوْمِهِ فِي نِكَاحِ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ فَأَبَى أَنْ يُعْطِيَهُمْ شَيْئًا فَانْطَلَقُوا مِنْ عِنْدِهِ قَالَ كِنَانَةُ فَقُلْتُ لَهُ: أَنْتَ سَيِّدُ قَوْمِكَ وَأَتَوْكَ يَسْأَلُونَكَ فَلَمْ تُعْطِهِمْ شَيْئًا قَالَ: أَمَّا فِي هَذَا فَلَا أُعْطِي شَيْئًا وَسَأُخْبِرُكَ عَنْ ذَلِكَ تحمَّلت بِحَمَالَةٍ فِي قَوْمِي فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ وَسَأَلْتُهُ أَنْ يُعينني فَقَالَ: (بَلْ نَحْمِلُهَا عَنْكَ يَا قَبِيصَةُ ونؤَدِّيها إِلَيْهِمْ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ) ثُمَّ قَالَ: (إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِثَلَاثٍ: رَجُلٍ تحمَّل حَمَالَةً فَقَدْ حَلَّتْ لَهُ حَتَّى يؤدِّيها أَوْ رَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَشَهِدَ لَهُ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا مِنْ قَوْمِهِ أَنْ قَدْ حَلَّتْ الْمَسْأَلَةُ فَقَدْ حَلَّتْ لَهُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَالْمَسْأَلَةُ فيما سوى ذلك سحت) الراوي : كِنَانَة الْعَدَوِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3386 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (868) , ((صحيح أبي داود)) (1448): م. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ (وَالْمَسْأَلَةُ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ سُحْتٌ) أَرَادَ بِهِ أَنَّ الْمَسْأَلَةَ فِي سِوَى هَذِهِ الْأَشْيَاءِ الثَّلَاثَةِ مِنَ السُّلْطَانِ عَنْ فَضْلِ حِصَّتِهِ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ سُحتٌ لِأَنَّ الْمَسْأَلَةَ فِي غَيْرِ هَذِهِ الْخِصَالِ الثَّلَاثَةِ مِنْ غَيْرِ السُّلْطَانِ عَنْ غَيْرِ بَيْتِ مَالِ الْمُسْلِمِينَ تَكُونَ سُحْتًا إِذَا كَانَ الْإِنْسَانُ غَيْرَ مستغنٍ بما عنده


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কিনানাহ আল আদাবী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ