৩২১৭

পরিচ্ছেদঃ মানুষ যে সম্পদ ন্যায় সঙ্গতভাবে গ্রহণ করে, তার বিবরণ

৩২১৭. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাদের মাঝে লোকদের ভাষন দিচ্ছিলেন, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের ব্যাপারে যা আশংকা করি,  তন্মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ দুনিয়ার সৌন্দর্য ও চাকচিক্যতা।” তখন এক ব্যক্তি বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কোন কল্যাণ কি অকল্যাণকে বয়ে আনতে পারে?”

আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “অতঃপর আমরা দেখলাম যে,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অহী অবতীর্ণ হচ্ছে। আমরা সেই ব্যক্তিকে তিরস্কার করি কারণ সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে (এমন কথা) বলেছে যে, তিনি তোমার সাথে কথা বলেননি!” অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে (অহী অবতীর্ণ হওয়ার সময়ের অবস্থা) কেটে যায়। তখন তিনি তাঁর চেহারা থেকে ঘাম মুছতে শুরু করেন এবং তিনি বলেন, “প্রশ্নকারী কোথায়?” (তিনি এমন মনোভাব প্রকাশ করেন) যেন তিনি তার প্রশংসা করছেন। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই কল্যাণ কোন অকল্যাণকে বয়ে আনে না। নিশ্চয়ই নদীর তীরে যে উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, তা তৃণভোজী প্রাণীকে মেরে ফেলে অথবা মেরে ফেলার উপক্রম করে। তবে ঐ তৃণভোজী প্রাণী নয়, যে ঘাস খেয়ে তার দুই পার্শ্বদেশ পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন সে রৌদ্রে যায় অতঃপর মলমুত্র ত্যাগ করে।

নিশ্চয়ই মুসলিম ব্যক্তি উৎকৃষ্ট সম্পদের অধিকারী হবে, যদি সে ন্যায় সঙ্গতভাবে তা গ্রহণ করে এবং ইয়াতিম, মিসকীন, ও সাহায্যপ্রার্থীকে দান করে। আর যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ গ্রহণ করে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে খায় কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না। তারপর এই সম্পদ কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে।”[1]

ذِكْرُ وَصْفِ الْمَالِ الَّذِي يَأْخُذُهُ الْمَرْءُ بِحَقِّهِ-

3217 - أَخْبَرَنَا ابْنُ سَلْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ: حَدَّثَنَا الأوزعي قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يخطب النَّاسَ فَقَالَ: (إِنَّ مِمَّا أَتَخَوَّفُ عَلَيْكُمْ مَا يُفْتَحُ عَلَيْكُمْ مِنْ زُهْرَةِ الدُّنْيَا وَزِينَتِهَا) فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَيَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ؟ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ فلُمنا الرَّجُلَ حِينَ يُكَلِّمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا يُكَلِّمُهُ فَلَمَّا جُلِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ يَمْسَحُ الرُّحَضَاء عَنْ وَجْهِهِ وَهُوَ يَقُولُ: (أَيْنَ السَّائِلُ)؟ فَكَأَنَّهُ قَدْ حَمِدَهُ فَقَالَ: (إِنَّ الْخَيْرَ لَا يَأْتِي بِالشَّرِّ وَإِنَّ مِمَّا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ مَا يَقْتُلُ حَبَطًا ـ أَوْ يُلِمُّ ـ إِلَّا آكِلَةَ الْخَضِرِ أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا هِيَ امْتَلَأَتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتْ عَيْنَ الشَّمْسِ فَثَلَطَتْ وَبَالَتْ وَإِنَّ هَذَا الْمَالَ نِعْمَ صَاحِبُ الْمُسْلِمِ لِمَنْ أَخَذَهُ بِحَقِّهِ فَأَعْطَى مِنْهُ الْيَتِيمَ وَالْمِسْكِينَ وَالسَّائِلَ وَمَنْ أَخَذَهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ كَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ ثم يكون عليه شهيداً يوم القيامة) الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3217 | خلاصة حكم المحدث: صحيح: خ (1465) , م (3/ 101 ـ 102).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ