লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়ার সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আশংকা
৩২১৫. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ভাষনে আমাদের বলেন, “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের ব্যাপারে যা আশংকা করি, তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশংকাজনক হলো আল্লাহ দুনিয়ার যে সৌন্দর্য ও চাকচিক্য বের করে দিবেন।” তখন এক ব্যক্তি বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কোন কল্যাণ কি অকল্যাণকে বয়ে আনতে পারে?” অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকেন। তারপর আমরা দেখলাম যে, তার উপর অহী অবতীর্ণ হচ্ছে। অতঃপর সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, “তোমার কী হলো, তুমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে (এমন কথা) বলছো যে, তিনি তোমার সাথে কথা বলছেন না?” অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে (অহী অবতীর্ণ হওয়ার সময়ের অবস্থা) কেটে যায়। তখন তিনি শরীর থেকে ঘাম মুছতে শুরু করেন এবং তিনি বলেন, “প্রশ্নকারী কোথায়?” আমরা তাঁকে দেখেছি যে, তিনি আল্লাহর প্রশংসা করেন তারপর তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই কল্যাণ কোন অকল্যাণকে বয়ে আনে না। নিশ্চয়ই নদীর তীরে যে উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, তা তৃণভোজী প্রাণীকে মেরে ফেলে অথবা মেরে ফেলার উপক্রম করে। তুমি কি দেখনি, তৃণভোজী প্রাণী ঘাস খেয়ে তার দুই পার্শ্বদেশ পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন সেটি রৌদ্রে যায় অতঃপর মলমুত্র ত্যাগ করে। তারপর সেটি আবার চরে বেরায়।
নিশ্চয়ই এই সম্পদ সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল। মুসলিম ব্যক্তি উৎকৃষ্ট সম্পদের অধিকারী হবে, যদি সে রক্ত সম্পর্ক বজায় রাখে এবং আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে। আর যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ গ্রহণ করে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে খায় কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না। আর এই সম্পদ কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে।”[1]
ذِكْرُ تَخَوُّفِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أُمَّتِهِ زِينَةَ الدُّنْيَا وَزَهْرَتَهَا
3215 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ: عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: (إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مَا يُخرِجُ اللَّهُ مِنْ زِينَةِ الدُّنْيَا وَزَهْرَتِهَا) فَقَالَ له رجل: يارسول اللَّهِ أَوَ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ؟ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَيْنَا أَنَّهُ يُنَزَّل عَلَيْهِ فَقِيلَ لَهُ: مَا شَأْنُكَ تكلِّم رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا يكلِّمك؟ فسُرِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَمْسَحُ عَنْهُ الرُّحَضَاء وَقَالَ: (أَيْنَ السَّائِلُ)؟ وَرَأَيْنَا أَنَّهُ حَمِدَهُ فَقَالَ: (إِنَّ الْخَيْرَ لَا يَأْتِي بِالشَّرِّ وَإِنَّ مِمَّا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ يقتلُ ـ أَوْ يُلِمُّ ـ حَبَطًا أَلَمْ تَرَ إِلَى آكِلَةِ الْخَضِرِ أَكَلَتْ حَتَّى امْتَلَأَتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتْ عَيْنَ الشَّمْسِ فَثَلَطَتْ وَبَالَتْ ثُمَّ رَتَعَتْ وَإِنَّ الْمَالَ حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ وَنِعْمَ صَاحِبُ الْمُسْلِمِ هُوَ إِنْ وَصَلَ الرَّحِمَ وَأَنْفَقَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَثَلُ الَّذِي يَأْخُذُهُ بِغَيْرِ حَقِّهُ كمثل الذي يأكل ولا يشيع ويكون عليه شهيدا يوم القيامة) الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3215 | خلاصة حكم المحدث: صحيح: خ (1465) , م (3/ 101 ـ 102).