৩১৯৮

পরিচ্ছেদঃ আমরা যে কর্ম উল্লেখ করলাম সেটাকে নাকচকারী স্পষ্ট দ্বিতীয় হাদীস

৩১৯৮. ইবনু জুরাইজ বলেন, আমি আতা রহিমাহুল্লাহকে বললাম, “আপনি কি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, “তোমাদেরকে তাওয়াফ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে; কা‘বায় প্রবেশ করতে আদেশ করা হয়নি।” জবাবে তিনি বলেন, “তিনি কা‘বা ঘরে প্রবেশ করতেন না। কিন্তু আমি তাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমাকে উসামা বিন যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কা‘বা ঘরে প্রবেশ করেন, তখন তিনি কা‘বার প্রত্যেক কোণায় দুআ করেন। কিন্তু তাতে তিনি কোন সালাত আদায় করেননি। অতঃপর তিনি বের হয়ে দরজার কাছে সালাত আদায় করেছেন এবং বলেছেন, “এটিই কিবলা। কাজেই তুমি এখানেই সালাত আদায় করো।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই দুটি হাদীসের ব্যাপারে আমাদের ইমামগণ কথা বলার প্রয়াস চালিয়েছিলেন, তারা বলেছেন, নিশ্চয়ই বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কা‘বা ঘরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত আদায় করাকে সাব্যস্ত করেছেন পক্ষান্তরে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা সেটাকে নাকচ করেছেন। এক্ষেত্রে সব সময় যিনি কোন কিছু সাব্যস্ত করেন, হুকুম তার পক্ষেই হয়; যে নাকচ করে তা পক্ষে নয়। উহুদ যুদ্ধে শহীদদের গোসল করা ও জানাযার সালাত আদায় করা বা না করাকে অবধারিতভাবে এমনটাই আমরা বলি।

কিন্তু এই দুই হাদীসের ক্ষেত্রে আমার কাছে সঠিকতর মত হলো এই দুটিকে আলাদা দুটি কাজ ধরা এবং এভাবে সমাধান বলা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা বিজয় করেন, তখন সেখানে সালাত আদায় করেছেন, যা আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার ছাত্রগণ বিলাল ও উসামা বিন যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন। এটা ঘটেছিল মক্কা বিজয়ের দিন। এমনটাই বলেছেন হাসসান বিন আতিয়্যাহ নাফে থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন।

পক্ষান্তরে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক কা‘বা ঘরে সালাত করাকে নাকচ করেছেন, সেটা হয়েছিল বিদায় হজ্জের সময়। কাজেই দুটি কাজ ভিন্ন ভিন্ন দুই অবস্থায় সংঘটিত হয়েছে। কেননা আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা কা‘বা ঘরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক কা‘বা ঘরে সালাত করাকে নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, উসামা বিন যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে এটি বলেছেন।

অপরদিকে আবুস সা‘সা‘ আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা‘বা ঘরে সালাত আদায় করেছেন। এখানেও আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেছেন যে, উসামা বিন যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে এটি বলেছেন। কাজেই দুটো হাদীসকে যখন ভিন্ন ভিন্ন দুই জায়গায় প্রয়োগ করা হবে, তখন হাদীস দুটির পরস্পর বিরোধী হওয়ার অভিযোগ বাতিল হয়ে যাবে এবং উভয়টির আমল ঠিক থাকবে।”

ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحْ بِنَفْيِ هَذَا الْفِعْلِ الذي ذكرناه

3198 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَيَّانَ قَالَ: حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: قُلْتُ لِعَطَاءٍ: أَسَمِعْتَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: إِنَّمَا أُمِرْتُمْ بِالطَّوَافِ وَلَمْ تُؤْمَرُوا بِدُخُولِهِ قَالَ: لَمْ يَكُنْ يَنْهَى عَنْ دُخُولِهِ وَلَكِنْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بن زَيْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا دَخَلَ الْبَيْتَ دَعَا فِي نَوَاحِيهِ كُلِّهَا وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ حَتَّى خَرَجَ فصلى عند الباب وقال: ها هنا قِبْلَةٌ فَصَلِّهِ. الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3198 | خلاصة حكم المحدث: صحيح: م (4/ 96 ـ 97). قَالَ: أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: هَذَانِ خَبَرَانِ قَدْ عوَّل أَئِمَّتُنَا ـ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ وَرِضْوَانُهُ ـ عَلَى الْكَلَامِ فِيهِمَا عَلَى النَّفْيِ وَالْإِثْبَاتِ وَزَعَمُوا أَنَّ بِلَالًا أَثْبَتَ صَلَاةَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَعْبَةِ وَابْنُ عَبَّاسٍ يَنْفِيهَا وَالْحَكَمُ الْمُثْبِتُ لِلشَّيْءِ أَبَدًا لَا لِمَنْ يَنْفِيهِ وَهَذَا شَيْءٌ يَلْزَمُنَا فِي قِصَّةِ أُحُدٍ فِي نَفْيِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الصَّلَاةَ عَلَى شُهَدَاءِ أُحُدٍ وَغَسْلَهُمْ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. وَالْأَشْبَهُ عِنْدِي فِي الْفَصْلِ بَيْنَ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ بِأَنْ يُجْعَلَا فِي فِعْلَيْنِ مُتَبَايِنَيْنِ فَيُقَالُ: أَنَّ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا فَتَحَ مَكَّةَ دَخَلَ الْكَعْبَةَ فَصَلَّى فِيهَا عَلَى مَا رَوَاهُ أَصْحَابُ ابْنِ عُمَرَ عَنْ بِلَالٍ وَأُسَامَةِ بْنِ زَيْدٍ وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ الْفَتْحِ كَذَلِكَ قَالَهُ حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ويُجعل نَفْيُ ابْنِ عَبَّاسٍ صَلَاةَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَعْبَةِ فِي حَجَّته الَّتِي حَجَّ فِيهَا حَتَّى يَكُونَ فِعْلَانِ فِي حَالَتَيْنِ مُتَبَايِنَتَيْنِ لِأَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ نَفَى الصَّلَاةَ فِي الْكَعْبَةِ عَنِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَعَمَ أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ بِذَلِكَ وَأَخْبَرَ أَبُو الشَّعْثَاءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْبَيْتِ وَزَعَمَ أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَإِذَا حُمِلَ الْخَبَرَانِ عَلَى مَا وَصَفْنَا فِي الْمَوْضِعَيْنِ الْمُتَبَايِنَيْنِ بَطَلَ التَّضَادُّ بَيْنَهُمَا وَصَحَّ اسْتِعْمَالُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا.