২২৪৪

পরিচ্ছেদঃ সালাতে মানুষের সাথে মানুষের কথা বলা নিষেধ কিন্তু সালাতে বান্দা কর্তৃক তাঁর প্রভুকে সম্বোধন নিষিদ্ধ নয়

২২৪৪. মু‘আবিয়া বিন হাকাম আস সুলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কিছু আগেও আমরা মুশরিক ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ আমাদের কাছে ইসলাম নিয়ে আসেন। আমাদের মাঝে কিছুলোক শুভ-অশুভ বিশ্বাস করে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এটা এমন একটা জিনিস যা তারা অন্তরে অনুভব করে। এটা তাদের কোন ক্ষতি করবে না।” আমি বললাম, “আমাদের মধ্যে কিছু লোক গণকের কাছে যায়।” জবাবে তিনি বলেন, “তোমরা তাদের কাছে যাবে না।” আমি বললাম, “আমাদের মাঝে কিছু লোক আছে, যারা দাগ কাটে (আর এর মাধ্যমে তারা শুভাশুভ নির্ণয় করে)।” জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “একজন নাবী আলাইহিস সালাম দাগ কাটতেন। কাজেই যার দাগ কাটা তাঁর সাথে মিলে যায়, সেটা ঠিক আছে।” তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাতে আদায় করছিলাম, এমন সময় কওমের মাঝে এক ব্যক্তি হাঁচি দেয়। তখন আমি বলি, “يَرْحَمُكَ اللَّهُ (আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন), এর ফলে লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়। আমি তখন বলি, وَاثُكْلَ أُمَّاهُ  (হায়! আমার মায়ের দুর্ভোগ!), তোমাদের কী হলো, তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছো কেন?” রাবী বলেন, “এতে লোকজন তাদের উরুতে হাত চাপড়াতে থাকে।” রাবী বলেন, “যখন আমি আমি দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে, তখন আমি চুপ থাকি। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করেন, তখন তিনি আমাকে ডাকেন। আমার বাবা-মা তাঁর জন্য উৎসর্গ হোক। শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর উত্তম কোন শিক্ষক আগে বা পরে কাউকে দেখিনি। আল্লাহর কসম! তিনি আমাকে প্রহার করেননি, ধমক দেননি এবং গালিও দেননি। বরং তিনি আমাকে বলেছেন, “আমাদের এই সালাতে মানুষের কোন কথা বলা সমীচীন নয়। বস্তুত সালাত হলো তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠ (করার জায়গা)।”

রাবী বলেন, “আমার কিছু মেষ আমার এক দাসী উহুদ ও জাওওয়ানিয়্যার দিকে চরাতো। একদিন গিয়ে আমি দেখতে পাই যে, একটি নেকড়ে বাগ একটি মেষকে নিয়ে চলে গেছে। আর আমি তো আদম সন্তানের একজন। আমি দুঃখিত হই, যেমন অন্যান্য আদম সন্তান দুঃখিত হয়। আমি রাগান্বিত হই, যেমন অন্যান্য আদম সন্তান রাগান্বিত হয়। ফলে আমি তাকে জোরে চড় লাগিয়ে দেই। অতঃপর আমি ব্যাপারটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানাই। তিনি ব্যাপারটি ‍গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করলেন। তখন আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যদি আমি জানতে পারি যে, সে মু‘মিনা তবে আমি তাকে স্বাধীন করে দিবো।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তুমি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো।” ফলে আমি তাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসি। তখন তিনি বলেন, “আল্লাহ কোথায়?” সে জবাব দেয়, “আসমানে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, “আমি কে?” সে জবাবে বলে, “আপনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই সে মু‘মিনা, তাকে আজাদ করে দাও।” [1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ نَسْخَ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ إِنَّمَا نُسِخَ مِنْهُ مَا كَانَ مِنْهُ مِنْ مُخَاطَبَةِ الْآدَمِيِّينَ دُونَ مُخَاطَبَةِ الْعَبْدِ رَبَّهُ فِيهَا

2244 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي هِلَالُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ الحكم السلمي قال: قلت: يا رسول الله إِنَّا كُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَجَاءَ اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ وَإِنَّ رِجَالًا مِنَّا يَتَطَيَّرُونَ قَالَ: (ذَلِكَ شَيْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ وَلَا يَضُرُّهُمْ) قُلْتُ: وَرِجَالًا مِنَّا يَأْتُونَ الْكَهَنَةَ؟ قَالَ: (فَلَا تَأْتُوهُمْ) قُلْتُ: وَرِجَالًا مِنَّا يَخُطُّون؟ قَالَ: (قَدْ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ) قَالَ: ثُمَّ بَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ إذا عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَحَدَّقَنِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ: وَاثُكْلَ أُمَّاهُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَيَّ قَالَ: فَضَرَبَ الْقَوْمُ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي سَكَتُّ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ دَعَانِي فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ وَاللَّهِ مَا ضَرَبَنِي وَلَا كَهَرَنِي وَلَا سَبَّنِي وَلَكِنْ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ صَلَاتَنَا هَذِهِ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَتِلَاوَةُ الْقُرْآنِ) قَالَ: وَأَطْلَقْتُ غُنَيْمَةً لِي تَرْعَاهَا جَارِيَةٌ لِي قِبَلَ أحدٍ والجوَّانيَّة فَوَجَدْتُ الذِّئْبَ قَدْ ذَهَبَ مِنْهَا بِشَاةٍ وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ وَأَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُونَ فَصَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَخْبَرْتُ بِذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَظَّمَ عَلَيَّ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّهَا مُؤْمِنَةٌ لَأَعْتَقْتُهَا قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (ائْتِنِي بِهَا) فَجِئْتُ بِهَا فَقَالَ: (أَيْنَ اللَّهُ؟ ) قَالَتْ: فِي السَّمَاءِ قَالَ: (مَنْ أَنَا؟ ) قَالَتْ: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ: (إِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ فَأَعْتِقْهَا) الراوي : مُعَاوِيَةُ بْنُ الحكم السلمي | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2244 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (2/ 111 ـ 113) , ((صحيح أبي داود)) (862): م.