৬০

পরিচ্ছেদঃ

ذِكْرُ تِعْدَادِ عَائِشَةَ قَوْلَ ابْنِ عَبَّاسٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ مِنْ أَعْظَمِ الْفِرْيَةِ

আমাদের বর্ণিত ইবনু আব্বাসের বক্তব্যকে আয়িশা (রাঃ) কর্তৃক বড় অপবাদ গণ্য করার বর্ণনা:

৬০. মাসরূক ইবনু আজদা’ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি বলেছে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন বা ওহীর কোন একটি বিষয়ও তিনি গোপন করেছেন অথবা আগামীকালে (ভবিষ্যতে ঘটিতব্য) বিষয়ে তিনি জানেন, তাহলে সে আল্লাহর উপর সাংঘাতিক মিথ্যা আরোপ করেছে। তখন তাকে বলা হলো, ইয়া উম্মুল মুমিনীন! তাহলে তিনি কাকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, বরং তিনি  তো জিবরীল (আঃ), যাকে তিনি তার আসল চেহারায় দু’বার দেখেছেনঃ একবার দিগন্ত জুড়ে এবং আরেকবার (তার ছয় শত ডানাসহ) আকাশের দিগন্ত ঢেকে।[1]

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: যারা হাদীসের ব্যাপারে সুগভীর পন্ডিত নয়, তারা কখনো কখনো ভুল বুঝে যে, এ হাদীস দু’টি হয়তো পরস্পর বিরোধী, বস্তুত তা নয়। আল্লাহ জাল্লা ওয়া আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অন্যান্য নবীগণের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। যেমন, তাঁর রবের পক্ষ হতে জিবরীল (আঃ) ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ধনুকের চেয়েও কম ব্যবধানে পরস্পর নিকটবর্তী হয়েছেন। তখন জিবরীল (আঃ) তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। এভাবে তিনি তাঁকে তাঁর মনশ্চক্ষু দিয়ে দেখেছেন, যেভাবে তিনি চেয়েছেন।

আর আয়িশা (রাঃ) এর হাদীস ও তার ব্যাখ্যা এই যে, কেই তার নাগাল পায় না’- অর্থাৎ না ঘুমের মধ্যে (স্বপ্নে), আর না জাগ্রত অবস্থায়।

আর আল্লাহর বাণী: “দৃষ্টি তাঁকে উপলব্ধি করতে পারে না”- এর অর্থ: তাঁকে কিয়ামতের দিবসে দেখা যাবে, যখন তাঁকে দেখা যাবে, তখন  দৃষ্টি তাঁকে উপলব্ধি করতে পারবে না। কেননা, ইদরাক’ শব্দটির অর্থ ’উপলব্ধি করা’। আর দর্শন বলতে নজর’ বা দৃষ্টি কে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ কে দেখা যাবে , কিন্তু তার প্রকৃত অবস্থা /প্রকৃতি উপলব্ধি করা যাবে না। কারণ, ইদরাক’ তথা উপলব্ধি মাখলুকের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে, আর আর বান্দা তাঁর রবের দিকে নজর করবে।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ دَاوُدَ بْنَ أَبِي هِنْدٍ حَدَّثَهُ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ الْأَجْدَعِ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ تَقُولُ: أَعْظَمُ الْفِرْيَةِ عَلَى اللَّهِ مَنْ قَالَ: إِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَبَّهُ وَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَمَ شَيْئًا مِنَ الْوَحْيِ وَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ قِيلَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ وَمَا رَآهُ؟ قَالَتْ: لَا إِنَّمَا ذَلِكَ جِبْرِيلُ رَآهُ مَرَّتَيْنِ فِي صُورَتِهِ: مَرَّةً ملأ الأفق ومرة ساداً أفق السماء = [14: 3] [تعليق الشيخ الألباني] صحيح - ((الظلال)) ـ أيضاً ـ: ق. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ قَدْ يَتَوَهَّمُ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْحَدِيثِ أَنَّ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ مُتَضَادَّانِ وَلَيْسَا كَذَلِكَ إِذِ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا فضَّل رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى غَيْرِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى كَانَ جِبْرِيلُ مِنْ رَبِّهِ أَدْنَى مِنْ قَابِ قَوْسَيْنِ وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُه جِبْرِيلُ حِينَئِذٍ فَرَآهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَلْبِهِ (1) كَمَا شَاءَ. وَخَبَرُ عَائِشَةَ وَتَأْوِيلُهَا أَنَّهُ لَا يُدْرِكُهُ تُرِيدُ بِهِ فِي النَّوْمِ وَلَا فِي الْيَقَظَةِ. وَقَوْلُهُ {لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ} [الأنعام: 103] فَإِنَّمَا مَعْنَاهُ: لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ يُرى [ص: 188] فِي الْقِيَامَةِ وَلَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ إِذَا رَأَتْهُ لِأَنَّ الْإِدْرَاكَ هُوَ الْإِحَاطَةُ وَالرُّؤْيَةُ هِيَ النَّظَرُ وَاللَّهُ يُرى وَلَا يُدرك كُنْهُهُ لِأَنَّ الْإِدْرَاكَ يَقَعُ عَلَى الْمَخْلُوقِينَ وَالنَّظَرُ يَكُونُ مِنَ الْعَبْدِ رَبَّهُ. وَخَبَرُ عَائِشَةَ أَنَّهُ لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ فَإِنَّمَا مَعْنَاهُ: لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ فِي الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ إِلَّا مَنْ يَتَفَضَّلُ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادِهِ بِأَنْ يُجعل أَهْلًا لِذَلِكَ وَاسْمُ الدُّنْيَا قَدْ يَقَعُ عَلَى الْأَرَضِينَ وَالسَّمَاوَاتِ وَمَا بَيْنَهُمَا لِأَنَّ هَذِهِ الْأَشْيَاءَ بِدَايَاتٌ خَلَقَهَا اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا لتُكتسب فِيهَا الطَّاعَاتُ لِلْآخِرَةِ الَّتِي بَعْدَ هَذِهِ الْبِدَايَةِ فَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَبَّهُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي لَا يُطلق عَلَيْهِ اسْمُ الدُّنْيَا لِأَنَّهُ كَانَ مِنْهُ أَدْنَى مِنْ قَابِ قَوْسَيْنِ حَتَّى يَكُونَ خَبَرُ عَائِشَةَ أَنَّهُ لَمْ يَرَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الدُّنْيَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْخَبَرَيْنِ تَضَادٌّ أو تهاتر. [ص: 189] (1) قلت: ثبت - بهذا القيد - عند مسلمٍ (1/ 109ـ 110) من طريقين عن ابن عباس، قال: رآه بقلبه. الحديث: 60 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 187


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ