৬২৩৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৩৬-[৪১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ’আম্মার -কে যখন দুটি কাজের যে কোন একটি করার ইচ্ছাধীন করা হয়েছে, তখন তিনি উভয়ের মধ্যে মজবুতটিকে গ্রহণ করেছেন। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا خُيِّرَ عَمَّارٌ بَيْنَ أمرينِ إِلا اخْتَار أرشدهما» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ ضعیف ، رواہ الترمذی (3799) [و ابن ماجہ (148) و الحاکم (3 / 388 ح 5665) و احمد (6 / 113)] * فیہ حبیب بن ابی ثابت مدلس و عنعن و للحدیث شاھد عند احمد (1 / 389 ، 445) و الحاکم (3 / 388 ح 5664) من حدیث سالم بن ابی الجعد عن ابن مسعود رضی اللہ عنہ بہ و سندہ منقطع وقال علی بن المدینی :’’ سالم ابن ابی الجعد : لم یلق ابن مسعود ‘‘ فالحدیث ضعیف من جمیع الطریقین

ব্যাখ্যা: (مَا خُيِّرَ عَمَّارٌ) অর্থাৎ ‘আম্মার-কে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়নি। কিন্তু তিনি দুটির মধ্যে যোগ্যতর অধিক সঠিক ও হকের কাছাকাছি যা সেটাই গ্রহণ করতেন। কোন কোন সূত্রে (أسرهما) রয়েছে। অধিক কঠিনকে পছন্দ করতে না। কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটা তাঁর বিবেচনায়।
 অতএব (مَا اخْتِيرَ عَمَّارٌبَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلَّا اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا) এ বর্ণনাটি তার বিপরীত নয়। কারণ এটা অন্যের দৃষ্টিতে। এসব বর্ণনাগুলো একত্রিত করলে যেটা ফুটে উঠে তা হলো এই যে, তিনি যেটার প্রধান্য প্রকাশিত হত তার মধ্যে অধিক সঠিক ও যোগ্য বিষয়টিকে মনোনীত করতেন। এছাড়া দুটোর মধ্যে অধিক সহজটিকে পছন্দ করতেন। কেউ বলেন, এ হাদীসে এ কথার দলীল পাওয়া যায় যে, ‘আলী (রাঃ) তাঁর খিলাফতে সঠিক বুঝের উপর ছিলেন। পক্ষান্তরে মু'আরিয়াহ্ (রাঃ) ইজতিহাদে ভুল করেছিলেন। তিনি সঠিক বুঝের উপর ছিলেন না। কারণ ‘আম্মার (রাঃ) ‘আলী (রাঃ)-এর সম্মতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তাই তিনি তাঁর সাথে সিফফীনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শাহাদাত বরণ করেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮১১)

সবসময় সালাফে সালিহীনদের এ নিয়ম জারি ছিল যে, তারা নিজের জন্য সংরক্ষিত বিষয়কে গ্রহণ করতেন এবং অন্যকে এমন পথের দিশা দিতেন যা তার নিকটে অধিক সহজ ও সোজা হয়। এজন্য যে, নবী (সা.) বর্ণনা করেন, তোমাদেরকে সহজ সরল করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। প্রেরণ করা হয়নি কঠিন ও সংকীর্ণতায় ফেলে দেয়ার জন্য। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৬)