৬০৬৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আবূ বাকর সিদ্দীক ও ‘উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০৬৪-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু হানত্বাব (রহ.) হতে বর্ণিত। একদিন নবী (সা.) আবূ বকর এবং ’উমার (রাঃ)-কে দেখে বললেন, এ দু’জন হলো কান ও চোখসম। (তিরমিযী, মুরসাল হিসেবে)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابِ مَنَاقِبِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالَ: «هَذَانِ السَّمْعُ وَالْبَصَرُ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مُرْسلا سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3671) * المطلب بن عبداللہ بن حنطب مدلس و عنعن و للحدیث شواھد ضعیفۃ عند الحاکم (3 / 369 ح 4432) و الخطیب (8 / 460 ، فیہ ابن عقیل ضعیف) وغیرھما

ব্যাখ্যা: (هَذَانِ السَّمْعُ وَالْبَصَرُ) তারা উভয়ে ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির ন্যায় অথবা তারা মুসলিমদের জন্য ও দীনের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য কর্ণ ও চক্ষুর গুরুত্ব রয়েছে। অথবা তারা উভয়ে মর্যাদার দিক থেকে আমার নিকট চক্ষু ও কর্ণের মর্যাদায়।
ক্বাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) এ প্রসঙ্গে বলেন, সম্ভবত নবী (সা.) তাদের এ নামে ডেকেছেন সত্যকে অধিক আগ্রহের সাথে শ্রবণ ও পালন করার জন্য এবং আয়াতসমূহের প্রতি প্রফুল্লতার সাথে গবেষণা করা, চিন্তা-ভাবনা করা ও গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত হওয়ার দরুন এরূপ বলেছেন।
উক্ত হাদীস হতে এটা প্রমাণিত হয়, যে চক্ষুর চেয়ে কর্ণের মর্যাদা বেশি। এ কথাকে আরো শক্তিশালী করে আল্লাহর বাণী, (وَّ جَعَلَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَ الۡاَبۡصَارَ) “তিনি তোমাদের কর্ণ ও চক্ষু দান করেছেন।” (সূরা আন্ নাহল ১৬: ৭৮)
ইমাম সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) এ প্রসঙ্গে জামিউস্ সগীরে বলেন, আবূ বাকর ও ‘উমার আমার নিকট তেমনি মর্যাদাবান যেমনি মানুষের মাথায় কর্ণ ও চক্ষু মর্যাদাবান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৯/৩৬৮০)