৫৯৬৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে

৫৯৬৭-[১২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মৃত্যুর পর একদিন আবূ বকর সিদ্দিক (রাঃ) ’উমার (রাঃ)-কে বললেন, চল আমাদের সাথে উম্মু আয়মান-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে যাই, রাসূলুল্লাহ (সা.) যেভাবে তার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন। [আনাস (রাঃ) বলেন,] আমরা তার কাছে পৌছলে তিনি কাঁদতে লাগলেন। তখন তারা উভয়ে উম্ম আয়মান-কে বললেন, কাঁদছ কেন? তুমি কি জান না, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে যা আছে, তাই উত্তম; উম্ম আয়মান বললেন, এজন্য আমি কাঁদছি না যে, আমি জানি না আল্লাহর কাছে যা তা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর উত্তম; বরং আমি এজন্য কাঁদছি যে, আকাশ হতে ওয়াহী আসার ধারা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কথা শুনে তাদের অন্তরও বিগলিত হয়ে গেল, ফলে তাঁরাও উম্মু আয়মান-এর সাথে কাঁদতে লাগলেন। (মুসলিম)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب هِجْرَة أَصْحَابه صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من مَكَّة ووفاته)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أُمِّ أَيْمَنَ نَزُورُهَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزُورُهَا فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهَا بَكَتْ. فَقَالَا لَهَا: مَا يُبْكِيكِ؟ أَمَا تَعْلَمِينَ أَنَّ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَتْ: إِنِّي لَا أَبْكِي أَنِّي لَا أَعْلَمُ أَنَّ مَا عِنْدَ اللَّهِ تَعَالَى خَيْرٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَكِنْ أَبْكِي أَنَّ الْوَحْيَ قَدِ انْقَطَعَ مِنَ السَّمَاءِ فَهَيَّجَتْهُمَا عَلَى الْبُكَاءِ فَجعلَا يَبْكِيَانِ مَعهَا. رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (103 / 2454)، (6318) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: উম্মু আয়মান ছিলেন উসামাহ্ ইবনু যায়দ ইবনু হারিস-এর মা। তিনি নবী (সা.) -এর মুক্তদাসী ছিলেন। তাকে নবী (সা.) যায়দ (রাঃ)-এর সাথে বিবাহ দেন। তাঁর নাম ছিল বারাকাহ্। তিনি নবী (সা.) -এর পিতা আবদুল্লাহ-এর দাসী ছিলেন। পরে নবী (সা.) উত্তরাধিকার সূত্রে তার মালিক হন। তিনি মুজাহিদদের পানি পান করাতেন ও আহতদের সেবা করতেন। তিনি হাবশীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি উমার (রাঃ)-এর মৃত্যুর বিশ দিন পরে মারা যান। আর যায়দ (রাঃ)-এর মালিক ছিলেন খাদীজাহ্ (রাঃ)। পরে তিনি তাকে খাদীজাহ্ (রাঃ) -এর কাছে চেয়েছিলেন। তাই খাদীজাহ্ (রাঃ) তাকে তার সেবা করার জন্য পেশ করেন। পরে নবী (সা.) তাকে মুক্ত করে দেন। এভাবেই কিছু মুহাক্কিক ‘আলিম উল্লেখ করেছেন। আর লেখক তার নাম উম্মু আয়মান উল্লেখ করেননি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)