৫৩০৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩০৩-[৯] সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আদম সন্তানের সৌভাগ্য হলো আল্লাহর ফায়সালার উপর খুশি থাকা, আর আদম সন্তানের দুর্ভাগ্য আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা ছেড়ে দেয়া। আর এটাও আদম সন্তানের দুর্ভাগ্য যে, সে আল্লাহর ফায়সালায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। [আহমাদ ও তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةِ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سُخْطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 168 ح 1444) و الترمذی (2151) * محمد بن ابی حمید : ضعیف ۔ (ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ) আদম সন্তানের সৌভাগ্যের নিদর্শন হচ্ছে সে আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করবে, অতঃপর তিনি তার জন্য যা ফায়সালা করেছেন এবং তার ভাগ্যে নির্ধারণ করেছেন তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। এর বিপরীত দুর্ভাগ্য রয়েছে যেমনটি পরবর্তী বাক্যে বলা হয়েছে,
(وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةِ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سُخْطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ)  আদম সন্তানের জন্য দুর্ভাগ্য হচ্ছে আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা না করা এবং তিনি যা ফায়সালা করেছেন তার জন্য রাগান্বিত হওয়া ও সন্তুষ্ট না থাকা। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : আল্লাহর ফায়সালার প্রতি সন্তুষ্ট হচ্ছে রাগকে পরিহার করা। আর এটা সৌভাগ্যের নিদর্শন। তিনি দুটি কারণে এটিকে বান্দার সৌভাগ্যের নিদর্শন ধার্য করেছেন-

[এক] যাতে ইবাদতের জন্য সমস্ত সময়কে ব্যয় করতে পারে। কেননা বান্দা যদি আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট না থাকে তাহলে সর্বদা চিন্তিত থাকবে। বিভিন্ন কার্যকলাপে মন ব্যস্ত থাকবে এবং বলবে, কেন এমনটি হলো, এমন হলো না কেন?

[দুই] যাতে তার রাগের কারণে তার ওপর আল্লাহর গযব নাযিল না হয়। বান্দার রাগের বহিঃপ্রকাশ হলো আল্লাহ তা'আলা তার জন্য যা ফায়সালা করেছেন তার বিপরীত উল্লেখ করা। আর যে ব্যাপারে তার কল্যাণ ও অকল্যাণ কোনটাই জানা নেই সে ব্যাপারে তার এমন মন্তব্য করা এটা হলে আরো ভালো হত, উত্তম হত। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫/২১৫১, মিরকাতুল মাফাতীহ ৫৩০৩)