৪৫৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জ্যোতিষীর গণনা

৪৫৯৫-[৪] হাফসাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং (তার কথা সত্য ভেবে) তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল হয় না। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْكِهَانَةِ

وَعَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ لم تقبل صَلَاة أَرْبَعِينَ لَيْلَة» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ (مَنْ أَتٰى عَرَّافًا) ‘‘র’’ বর্ণে তাশদীদ যোগে। এটা عارف এর মুবালাগাহ্। জাওহারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ عراف হলো জ্যোতিষী এবং চিকিৎসক! পশ্চিমারা তাকে জ্যোতির্বিদ বলে। আর সেটাই হলো হাদীসের উদ্দেশ্য যা কতিপয় ব্যাখ্যাকার উল্লেখ করেছেন।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ জ্যোতিষীর যত প্রকার আছে তন্মেধ্যে عراف-ও একটি।

ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) ও অন্য একজন বলেনঃ عراف বলা হয়, যে চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসের স্থান এবং হারানো জিনিসের স্থান ইত্যাদি চিহ্নিত করে দেয়।

(فَسَأَلَهٗ عَنْ شَيْءٍ) অর্থাৎ সত্য বলে বিশ্বাস করার জন্য যদি তাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করে। তবে কেউ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য তাকে জিজ্ঞেস করলে এর বিপরীত হবে। তথা এ হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য নয়। মোটকথা যে অন্য কোন প্রয়োজনে তার কাছে আসে সে তার থেকে সতর্ক থাকবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(لم تقبل صَلَاة أَرْبَعِينَ لَيْلَة) তার সালাত কবুল না হওয়ার অর্থ হলো, তাতে তার কোন সাওয়াব হবে না। যদিও তার থেকে ফরয আদায় হয়ে যাবে। তবে উক্ত সালাত পুনরায় তাকে আর আদায় করতে হবে না। এ সালাতের দৃষ্টান্ত হলো ছিনতাইকৃত জমিতে সালাত আদায় করার মতো, যাতে তার ফরয আদায় হয়ে যাবে, কিন্তু তাতে সওয়াব হবে না। আমাদের প্রসিদ্ধ সাথীরা অনুরূপই বলেছেন। তারা বলেছেন, ফরয সালাত এবং অন্যান্য ফরয ‘ইবাদাত, যদি পরিপূর্ণভাবে আদায় করা হয় তবে সেখান থেকে দু’টি অর্জিত হয়। প্রথমটি হলো, ফরযটি পালন হয়ে গেল। আর দ্বিতীয়টি হলো, সাওয়াব অর্জিত হলো।

ছিনতাইকৃত জমিতে ফরয কাজ সম্পন্ন করলে প্রথমটি তথা ফরয আদায় হয়ে যায় তবে দ্বিতীয়টি তথা সাওয়াব হয় না। এ ব্যাখ্যাটি অবশ্যই এ হাদীসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা সকল ‘উলামা এ ব্যাপারে একমত যে, যে ব্যক্তি عراف বা গণকের কাছে আসলো তাকে চল্লিশ দিনের সালাত পুনরায় আদায় করা লাগবে না। সুতরাং তার ব্যাখ্যা ওয়াজিব হয়ে গেল। মহান আল্লাহই ভালো জানেন। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২৩৩০; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাফসাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ