৪৫৫৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৫৫-[৪২] মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শরীর দাগায় অথবা ঝাড়ফুঁক করায়, সে তাওয়াক্কুল হতে দূরে সরে পড়েছে। (আহমাদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اكْتَوَى أَوِ اسْتَرْقَى فَقَدْ بَرِئَ مِنَ التَّوَكُّلِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা মানবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ থেকে বিরত থাকা উত্তম জেনেও যে ব্যক্তি এ কাজ করে সে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল না করে ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করে। এটা (তাওয়াক্কুল হতে সরে পড়া) মূলত তার জন্যই। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৫)

(مَنْ اكْتَوٰى) অর্থাৎ শরীর দাগানোকে সুস্থ হওয়ার উপকরণ মনে করে বিনা প্রয়োজনে শরীরে দাগ দিবে না। (أَوِ اسْتَرْقٰى) অর্থাৎ অসুখ দূর করার জন্য এমন সব শব্দাবলী ব্যবহার করা যাতে আল্লাহর নাম ও তাঁর কিতাব তথা আল কুরআনের কোন শব্দ, অথবা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত বিশুদ্ধ কোন দু‘আ থাকে না।

(فَقَدْ بَرِئَ مِنَ التَّوَكُّلِ) অর্থাৎ তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সে সরে যাবে। অথচ মহান আল্লাহ বলেনঃ

وَعَلَى اللهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ ‘‘আর মু’মিনদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা করা।’’ (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরা-ন ৩ : ১২২)

ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (তাওয়াক্কুল হতে সরে পড়া) এটার সম্ভাবনা আছে ঐ ব্যক্তির জন্য যে বিশ্বাস করে দাগ দেয়া ও ঝাড়ফুঁক আরোগ্য দিতে পারে। আর যে ব্যক্তির বিশ্বাস এরূপ হবে সে শুধু তাওয়াক্কুল থেকে নয়, বরং দীন থেকেই বেরিয়ে যাবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

শারী‘আত সমর্থিত পন্থায় ঝাড়ফুঁক ও বৈধ ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করা দোষের কিছু নয়, বরং মুস্তাহাব। তবে ঝাড়ফুঁক বা ঔষধের উপর তাওয়াক্কুল করা জায়িয হবে না। আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে ঝাড়ফুঁক ও ঔষধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ও সাওয়াব কামনা করতে হবে। কারণ আরোগ্য দানকারী কেবলমাত্র মহান আল্লাহ। [সম্পাদক]