৪৫২৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৫২৮-[১৫] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর (উম্মু সালামাহ্’র) ঘরে একটি মেয়ে দেখতে পেলেন, তার চেহারায় চিহ্ন ছিল (মুখায়ব বদনযরের দরুন হলুদ বর্ণ দেখাচ্ছিল)। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এর জন্য ঝাড়ফুঁক করো, কেননা তার ওপর নযর লেগেছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي بَيْتِهَا جَارِيَةً فِي وجهِها سفعة يَعْنِي صُفْرَةً فَقَالَ: «اسْتَرْقُوا لَهَا فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ»

ব্যাখ্যাঃ (فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ) ‘‘কেননা তার প্রতি নযর লেগেছে’’। নিহায়াহ্ গ্রন্থে এসেছে যে, অর্থাৎ তাকে বদনযর আক্রান্ত করেছে, সুতরাং তাকে ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা গ্রহণ কর। এর অর্থ হল, তাকে জিনে্র চোখ আক্রান্ত করেছে, এ কথা বলেছেন কোন কোন ব্যাখ্যাকার। এও বলা হয়েছে, জীনদের চোখ তীরের আগার চেয়েও বেশি ধারালো।

‘আল্লামা সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বদনযর মানুষের অথবা জিনে্র পক্ষ থেকেও হতে পারে।

অত্র হাদীসটিতে ঝাড়ফুঁক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবার কোন কোন হাদীসে ঝাড়ফুঁক করতে নিষেধও করা হয়েছে। যেমন- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। তাদের মধ্য হতে যারা ঝাড়ফুঁক করবে না...। এ বিষয়ে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ দুই হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করা হয় এভাবে যে, ঐ ঝাড়ফুঁক অপছন্দনীয় যা ‘আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় হয়, যা আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলীসমূহ ছাড়া হয় এবং তার নাযিলকৃত বাণীবিহীন হয় (আর কুফরী কালাম দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা নিষেধ)। আর এর বিপরীতে কুরআন দ্বারা, আল্লাহর নামসমূহ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। হাদীসে যে ঝাড়ফুঁকের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে তা এ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)