লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৯২২। কিয়ামতের দিন বান্দার দু’পা অগ্রসর হতে পারবে না যে পর্যন্ত তাকে চারটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা না হবেঃ তার জীবন সম্পর্কে কিভাবে তা অতিবাহিত করেছে, তার দেহ সম্পর্কে কিভাবে তাকে পুরানা করেছে, তার সম্পদ সম্পর্কে কোন ক্ষেত্রে তা খরচ করেছে আর কিভাবে তা উপার্জন করেছে এবং তাকে আহলেবাইত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।
হাদীসটি এ ভাষায় বাতিল।
এটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১১২) হাইসাম ইবনু খালাফ দাওরী হতে, তিনি বানু হাশেমের দাস আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াযীদ ইবনু সুলাইম হতে, তিনি হুসাইন ইবনুল হাসান আশকার হতে, তিনি হুশাইম ইবনু বাশীর হতে, তিনি আবূ হাশেম হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। হুসাইন আশকার ছাড়া এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তাকে জামহুর দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর কেউ কেউ তাকে মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী করেছেন। তিনি সীমালঙ্ঘনকারী শী’য়া। হাদীসের শেষের অংশটুকু বাড়িয়ে বর্ণনা করায়, সেই ব্যক্তির সিদ্ধান্তকে শক্তিশালী করছে যিনি তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন এবং যিনি তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন তার কথাকেও ভুল প্রমাণ করছে, যেমন ইবনু হিব্বান ও ইবনু মা’ঈন।
হাদিসটির আরেকটি সমস্যা রয়েছে সেটি হচ্ছে হুশাইম ইবনু বাশীর কর্তৃক আন আন করে বর্ণনা করা। কারণ তিনি বহু তাদলীসকারী। যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেন।
কোন কোন মিথ্যুক এ হাদীসটিকে চুরি করে অন্য একটি সনদ জড়িয়ে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন। এটিকে আব্দুল কাদের ইবনু আব্দুস সালাম আব্বাসী “আলহাশেমিয়্যাত” গ্রন্থে (৬/১০৯/১-২) মুহাম্মাদ ইবনু যাকারিয়া গিলাবী হতে, তিনি ইয়াকুব হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ গিলাবী প্রসিদ্ধ জালকারী।
আবার কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি এর সাথে আরেকটি সনদকে জুড়ে দিয়ে মুসনাদু আবু যার (রাঃ)-এর অন্তর্ভুক্ত করে, এ থেকে জীবন সম্পৃক্ত প্রশ্নটি কমিয়ে ফেলে বর্ণনা করেছেনঃ “কিয়ামতের দিন বান্দার দু’পা অগ্রসর হতে পারবে না যে পর্যন্ত তাকে চারটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা না হবেঃ তার জ্ঞান সম্পর্কে, সে তার উপর কতটুকু আমল করেছে, তার সম্পদ সম্পর্কে কিভাবে সে তা উপার্জন করেছে আর কোন ক্ষেত্রে তা খরচ করেছে, আহলেবাইত সম্পর্কে আমাদের ভালোবাসা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। কেউ বললঃ হে আল্লাহর রসূল! তারা কারা? তিনি তার হাত দিয়ে আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ)-এর দিকে ইঙ্গিত করলেন।”
এটিকে ইবনু আসাকির (১২/১২৬/১) ইয়াকুব ইবনু ইসহাক কুলূসী হতে, তিনি হারেস ইবনু মুহাম্মাদ মাকফূক হতে, তিনি আবূ বকর ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি মা’রূফ ইবনু খারবূয হতে, তিনি আবুত তুফায়েল হতে, তিনি আবু যার (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ মা’রূফ ইবনু খারবুযের সমালোচনা করা হয়েছে। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি সত্যবাদী শীয়া। তাকে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তার হাদীস কেমন আমি জানি না। আবু হাতিম বলেনঃ তার হাদীস লিখা যাবে। আমি (যাহাবী) বলছিঃ তিনি কম হাদীস বর্ণনাকারী। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, কখনও কখনও সন্দেহ করতেন।
আর বর্ণনাকারী হারেস ইবনু মাকফুফের জীবনী আমি (আলবানী) পাচ্ছি না। সম্ভবত ইনিই হাদীসটির সমস্যা। কারণ হাদীসের মধ্যে আহলুল বাইত উল্লেখ করাটা মুনকার। কারণ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী আসওয়াদ ইবনু ’আমের এ হাদীসের সনদ এবং ভাষা উভয় ক্ষেত্রে তার বিরোধিতা করে বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু বাকর ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি সাঈদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু জুরায়েয হতে, তিনি আবূ বারযাহ আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...। তিনি আহলে বাইতকে ভালোবাসা সম্পৃক্ত বাক্যটি ছাড়া উল্লেখ করেছেন। এর পরিবর্তে বলেছেনঃ "তার দেহ সম্পর্কে কিভাবে তাকে পুরানো করেছে" আর প্রথম অংশে বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ "তার জীবন সম্পর্কে কিভাবে তা অতিবাহিত করেছে"।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) ও মুয়ায (রাঃ) হতে এরূপই বর্ণিত হয়েছে। তাদের হাদীসগুলোকে আমি “সিলসিলাহ সহীহাহ” গ্রন্থের মধ্যে (৯৪৬) তাখরীজ করেছি।
لا تزول قدما عبد يوم القيامة حتى يسأل عن أربع: عن عمره فيما أفناه، وعن جسده فيما أبلاه، وعن ماله فيما أنفقه ومن أين اكتسبه، وعن حبنا أهل البيت باطل بهذا اللفظ - أخرجه الطبراني في " الكبير " (ج 3 ورقة 112 وجه 2) : حدثنا الهيثم بن خلف الدوري: أخبرنا أحمد بن محمد بن يزيد بن سليم مولى بني هاشم حدثني حسين بن الحسن الأشقر أخبرنا هشيم بن بشير عن أبي هاشم عن مجاهد عن ابن عباس مرفوعا به. قلت: وهذا إسناد ضعيف، ورجاله ثقات غير حسين الأشقر فضعفه الجمهور، ورماه بعضهم بالكذب، وهو شيعي غال، وروايته هذه الزيادة في آخر الحديث مما يؤكد صدق من كذبه، وخطأ من وثقه كابن حبان وابن معين! والهيثم بن خلف ثقة، وقد وثق شيخه أحمد هذا كما ذكر ذلك الخطيب في " تاريخه " (5 / 119 - 120) وترجم أيضا للهيثم وقال (14 / 63) : " إنه كان من الأثبات ". وبقية رجال السند من رجال " التهذيب ". لكن له علة أخرى وهي عنعنة هشيم بن بشير، فإنه كان كثير التدليس كما قال الحافظ في " التقريب ". وقد سرق بعض الكذابين هذا الحديث فركب عليه إسنادا آخر إلى ابن عباس به. رواه عبد القاهر بن عبد السلام العباسي في " الهاشميات " (6 / 109 / 1 - 2) عن محمد (هو بن زكريا الغلابي) : حدثنا يعقوب حدثنا أبي عن أبيه عن جده عن ابن عباس مرفوعا. والغلابي هذا وضاع معروف. وركب له أحد المجهولين إسنادا آخر، فجعله من مسند أبي ذر، ونقص منه السؤال عن العمر، ولفظه: " لا تزول قدما ابن آدم يوم القيامة حتى يسأل عن أربع، عن علمه ما عمل به؟ وعن ماله من أين اكتسبه، وفيما أنفقه؟ وعن حبنا أهل البيت. فقيل: يل رسول الله! ومن هم؟ فأومى بيده إلى علي بن أبي طالب ". أخرجه بن عساكر (12 / 126 / 1) عن يعقوب بن إسحاق القلوسي أخبرنا الحارث بن محمد المكفوف أخبرنا أبو بكر بن عياش عن معروف (الأصل: حروف) بن خربوذ عن أبي الطفيل عن أبي ذر مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، معروف بن خربوذ متكلم فيه، قال الذهبي: " صدوق شيعي، ضعفه يحيى بن معين. وقال أحمد: ما أدري كيف حديثه؟ وقال أبو حاتم: يكتب حديثه. قلت: وهو مقل ". وقال في " التقريب ": " صدوق ربما وهم ". والحارث بن محمد المكفوف لم أجد له ترجمة، فلعله هو الآفة، فإن الحديث بذكر أهل البيت فيه منكر، وقد خالفه الثقة أسود بن عامر إسناد ومتنا، فقال: حدثنا أبو بكر بن عياش عن الأعمش عن سعيد بن عبد الله بن جريج عن أبي برزة الأسلمي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكره دون جملة حب البيت، وقال بدلها: " وعن جسمه فيما أبلاه ". وزاد في أوله " عن عمره فيما أفناه ". وكذلك روي عن ابن مسعود ومعاذ، وقد خرجت أحاديثهم في " الصحيحة " (946)