পরিচ্ছেদঃ
১৯২৩। যখন কোন ব্যক্তিকে তোমরা দেখবে যে, তাকে দুনিয়াতে যুহদ (দুনিয়া বিমূখতা) দেয়া হয়েছে, কম কথা বলার গুণাবলী দেয়া হয়েছে, তখন তোমরা তার নিকটবর্তী হও। কারণ সে হিকমাত প্রাপ্ত হয়েছে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইমাম বুখারী "আততারীখ" গ্রন্থে (আলকুনা ২৭-২৮), ইবনু মাজাহ (নং ৪১০১), ত্ববারানী (১/৮৪), ইবনু আসাকির (৫/১২১, ১৫/১৮৭/১) ও আবু বাকর কালাবায়ী "মিফতাহুল মায়ানী" গ্রন্থে (২/১২১) হিশাম ইবনু আম্মার হতে, তিনি হাকাম ইবনু হিশাম হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ইবনু আবান কুরাশী হতে, তিনি আবূ ফরওয়াহ হতে, তিনি আবু খাল্লাদ হতে (তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ ঘটেছিল)। তিনি মারফু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আর হাদীসটিকে আবু আব্দুল্লাহ ইবনু মান্দাহ “মারিফাতুস সাহাবা” (৩৭/১৯৫/২) কাসীর ইবনু হিশাম হতে, তিনি হাকাম ইবনু হিশাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হিশাম ইবনু আম্মার এটিকে হাকাম ইবনু হিশাম হতে অনুরূপভাবেই বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবূ নুয়াইম "আলহিলইয়াহ" গ্রন্থে (১০/৪০৫) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল ওয়াহাব হতে, তিনি আবু মুসহির হতে, তিনি হাকাম ইবনু হিশাম হতে বর্ণনা করেছেন।
আর ইবনু আসাকির (১৫/৯৭/১) অন্য সূত্রে হাকাম ইবনু হিশাম হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল, মুনকাতি’। কারণ আবু ফারওয়ার নাম হচ্ছে ইয়াযীদ ইবনু সিনান ইবনু ইয়াযীদ রাহাবী। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি দুর্বল। তিনি কোন সাহাবী হতে শ্রবণ করেননি। বরং তিনি হচ্ছেন তাবে’ তাবেঈগণের অন্তর্ভুক্ত।
অতঃপর আমি (আলবানী) ইবনু আবী হাতিমকে “আলইলাল” গ্রন্থে (২/১১৫) হাদীসটি উল্লেখ করতে দেখেছি আমি যেভাবে উল্লেখ করেছি সেভাবে। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমার পিতা বলেনঃ আমাদেরকে এ হাদীসটি ইবনুত তুব্বা বর্ণনা করেছেন ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ উমাবী হতে, তিনি আবু ফরওয়াহ ইয়াযীদ ইবনু সিনান হতে, তিনি আবু মারইয়াম হতে, তিনি আবু খাল্লাদ হতে বর্ণনা করেছেন।
তিনি দু’জনের মাঝে আবূ মারইয়ামের প্রবেশ ঘটিয়েছেন। আর আমি তাকে চিনি না। এটি হচ্ছে ইমাম বুখারীর একটি বর্ণনা। তিনি প্রথমটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আবী হাতিম বলেনঃ আমি আমার পিতাকে বললামঃ আবূ খাল্লাদের রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কি সাক্ষাৎ ঘটেছে? তিনি বলেনঃ তার কোন সনদ নেই।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ আবূ খাল্লাদ সায়েব ইবনু খাল্লাদ নন, আর আব্দুর রহমান ইবনু যুহায়েরও নন। এর নাম নেয়া হয়নি, আর তার “আলইসাবাহ” গ্রন্থে জীবনী আলোচনা করা হয়েছে। হাদীসটির একটি শাহেদ মারফু’ হিসেবে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।
এটিকে আবু নুয়াইম "আলহিলইয়্যাহ" গ্রন্থে (৭/৩১৭) সুলাইমান ইবনু আহমাদ হতে, তিনি আহমাদ ইবনু তাহের ইবনু হারমালাহ হতে, তিনি তার দাদা হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া হতে, তিনি ইবনু ওয়াহাব হতে, তিনি সুফইয়ান ইবনু ওয়াইনাহ হতে, তিনি মিসরী এক ছোট ব্যক্তি হতে যাকে আমর ইবনুল হারেস বলা হত, তিনি ইবনু হুজাইরাহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আবু নুয়াইম বলেনঃ ইবনু ওয়াহাব হতে এ সূত্রের সনদটি গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি জোড় লাগানো ও বাতিল। এটিকে আহমাদ ইবনু তাহের বানিয়েছেন। কারণ তিনি বড়ই মিথ্যুক যেমনটি দারাকুতনী বলেছেন আর হাইসামী (১০/৩০২) তার অনুসরণ করেছেন। এর আব্দুল্লাহ ইবনু জাফরের হাদীস হতে সংক্ষেপে মারফু হিসেবে নিম্নের ভাষায় অন্য একটি শাহেদ রয়েছেঃ
“যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে দেখবে যে, সে দুনিয়ার ব্যাপারে বিমুখতা দেখাচ্ছে, তখন তোমরা তার নিকটবর্তী হও কারণ সে হিকমাত প্রাপ্ত হয়েছে।”
কিন্তু এটি খুবই দুর্বল। আবু ইয়ালা তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (৪/১৬০৭) ইসমাইল ইবনু সাইফ বাসরী হতে, তিনি উমার ইবনু হারূন বালখী হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফার হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন।
হাইসামী (১০/২৮৬) বলেনঃ এটিকে আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে উমার ইবনু হারূন বালখী রয়েছেন যিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আর আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফারকে আমি চিনি না। সম্ভবত কপির মধ্যে উলোটপালট করার মত ঘটনা ঘটেছে।
আর ইসমাঈল ইবনু সাইফ দুর্বল, তিনি হাদীস চোর। তার অন্য একটি হাদীস (২৫২৩ নম্বরে) আসবে।
إذا رأيتم الرجل قد أعطي زهدا في الدنيا وقلة منطق، فاقتربوا منه، فإنه يلقى الحكمة
ضعيف
-
رواه البخاري في " التاريخ " (الكنى 27 - 28) وابن ماجه (رقم 4101) والطبراني (84 / 1 - المنتقى منه) وابن عساكر (5 / 121 و15 / 187 / 1) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح المعاني " (121 / 2) عن هشام بن عمار: حدثنا الحكم بن هشام حدثنا يحيى بن سعيد بن أبان القرشي عن أبي فروة عن أبي خلاد وكانت له صحبة، قال: فذكره مرفوعا. ورواه أبو عبد الله بن منده في " معرفة الصحابة " (37 / 195 / 2) عن كثير بن هشام: حدثنا الحكم بن هشام به، وقال: " رواه هشام بن عمار عن الحكم بن هشام نحوه ". قلت: ورواه أبو
نعيم في " الحلية " (10 / 405) عن عبد الله بن عبد الوهاب عن أبي مسهر عن الحكم بن هشام به. ورواه ابن عساكر (15 / 97 / 1) من طريق آخر عن الحكم بن هشام به. قلت: وهذا إسناد ضعيف منقطع، فإن أبا فروة هذا اسمه يزيد بن سنان بن يزيد الرهاوي قال الحافظ: " ضعيف من كبار السابعة ". يعني أنه لم يسمع من أحد من الصحابة، بل هو من أتباع التابعين. ثم رأيت ابن أبي حاتم قد أورد الحديث في " العلل " (2 / 115) كما أوردته، ثم قال: " قال أبي: حدثنا بهذا الحديث ابن الطباع عن يحيى بن سعيد الأموي عن أبي فروة يزيد بن سنان عن أبي مريم عن أبي خلاد ". فأدخل بينهما أبا مريم، ولم أعرفه، وهو رواية للبخاري، وصحح الأول، وقال ابن أبي حاتم: " قلت لأبي: يصح لأبي خلاد صحبة؟ فقال: ليس له إسناد ". قلت: وأبو خلاد هذا هو غير السائب بن خلاد، وعبد الرحمن بن زهير، هذا لا يسمى. وله ترجمة في " الإصابة ". وللحديث شاهد من حديث أبي هريرة مرفوعا به. أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (7 / 317) : حدثنا سليمان بن أحمد حدثنا أحمد بن طاهر ابن حرملة حدثنا جدي حرملة بن يحيى حدثنا ابن وهب حدثنا سفيان بن عيينة: حدثني رجل قصير من أهل مصر يقال له عمرو بن الحارث عن ابن حجيرة عنه. وقال: " غريب بهذا الإسناد من هذا الوجه عن ابن وهب ". قلت: وهو إسناد مركب باطل، افتعله أحمد بن طاهر فإنه كذاب كما قال الدارقطني وتبعه الهيثمي (10 / 302) وله شاهد آخر من حديث عبد الله بن جعفر مرفوعا مختصرا بلفظ: " إذا رأيتم من يزهد في الدنيا فادنوا منه فإنه يلقى
الحكمة ". ولكنه واه جدا، قال أبو يعلى في " مسنده " (4 / 1607) : حدثنا إسماعيل بن سيف البصري: حدثنا عمر بن هارون البلخي عن سفيان عن عبد الله بن عبد الله بن جعفر عن أبيه. قال الهيثمي (10 / 286) : " رواه أبو يعلى، وفيه عمر بن هارون البلخي وهو متروك ". قلت: وعبد الله بن عبد الله بن جعفر لم أعرفه، ولعل في النسخة تحريفا. وإسماعيل بن سيف، وهو ضعيف يسرق الحديث، وسيأتي له حديث آخر (2523)