লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৮৬৯। উহুদ পাহাড় আমাদেরকে ভালবাসে আর আমরা তাকে ভালবাসি। অতএব তোমরা যদি তাকে ভালবেসে থাক তাহলে তোমরা তার গাছ থেকে ভক্ষণ কর, যদিও তার কাঁটাযুক্ত বড় বৃক্ষ থেকে হয়।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু শাব্বাহ “তারীখুল মদীনাহ” গ্রন্থে (১/৮৪) সুফইয়ান ইবনু হামযাহ্ হতে, ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে (১/১০৩/২) আব্দুল আযীয ইবনু মুহাম্মাদ দারাওরদী হতে, তিনি কাসীর ইবনু যায়েদ হতে, তিনি উম্মু হাবীবার দাস আবদুল্লাহ ইবনু তাম্মাম হতে, তিনি যাইনাব বিনতু নুবায়েত হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ত্ববারানী বলেনঃ যাইনাব হতে একমাত্র এ সনদেই বর্ণনা করা হয়েছে। দারাওরদী এটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি নির্ভরযোগ্য। ইবনু হামযাহ তার মুতাবায়াত করেছেন যেমনটি দেখছেন। সমস্যা হচ্ছে ইবনু তাম্মাম হতে। তাকে ইবনু আবী হাতিম (২/২/১৯) এ বর্ণনায় উল্লেখ করে তার সম্পর্কে মন্দ কিছু উল্লেখ করেননি। আর হাইসামী তাকে নয় অন্যকে দিয়ে হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। তিনি (৪/১৪) বলেনঃ ত্ববারানী হাদীসটিকে “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তার সনদে কাসীর ইবনু যায়েদ রয়েছেন। তাকে ইমাম আহমাদ প্রমুখ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আর মানবী তাকে সমর্থন করেছেন। আসলে সমস্যা হচ্ছে কাসীরের শাইখ থেকেই যেমনটি উল্লেখ করেছি।
অতঃপর ইবনু শাব্বাহ হাদীসটিকে আব্দুল আযীয হতে, তিনি ইবনু সাম’আন হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ওবায়েদ হতে, তিনি যাইনাব বিনতু নুবায়েত হতে বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু এ সনদটি একেবারে দুর্বল। আব্দুল আযীয হচ্ছেন ইবনু ইমরান মাদানী, তিনি মাতরূক। আর ইবনু সাম’আন তার মতই বা তার চেয়েও নিকৃষ্ট, এর নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ। তাকে আবু দাউদ প্রমুখ মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী করেছেন।
আর তার শাইখ ইবনু ওবাইদকে আমি চিনি না।
উহুদ পাহাড় সম্পর্কে পূর্বেও কয়েকটি হাদীস আলোচিত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছেঃ (১৬১৮, ১৮১৯) প্রথম হাদীসটিতে কিছু অতিরিক্ত তথ্য রয়েছে সেটি দেখুন।
أحد جبل يحبنا ونحبه، فإذا أحببتموه فكلوا من شجره، ولومن عضاهه ضعيف - رواه ابن شبة في " تاريخ المدينة " (1 / 84) عن سفيان بن حمزة، والطبراني في " الأوسط " (1 / 103 / 2 - مصورة الجامعة) عن عبد العزيز بن محمد الدراوردي عن كثير بن زيد عن عبد الله بن تمام مولى أم حبيبة عن زينب بنت نبيط عن أنس بن مالك مرفوعا، وقال: " لم يروعن زينب إلا بهذا الإسناد تفرد به الدراوردي ". قلت: وهو ثقة، لكن قد تابعه ابن حمزة كما ترى، فالعلة من ابن تمام هذا فقد أورده ابن أبي حاتم (2 / 2 / 19) بهذه الرواية ولم يذكر فيه جرحا، وأما الهيثمي فأعله بغيره فقال (4 / 14) : " رواه الطبراني في "الأوسط " وفيه كثير بن زيد، وثقه أحمد وغيره، وفيه كلام ". وأقره المناوي! وإنما العلة من شيخ كثير كما ذكرنا. ثم رواه ابن شبة عن عبد العزيز عن ابن سمعان عن عبد الله بن محمد بن عبيد عن زينب بنت نبيط به هذا إسناد واه بمرة، عبد العزيز وهو ابن عمران المدني متروك، ومثله بل وأسوأ منه ابن سمعان، واسمه عبد الله بن زياد اتهمه بالكذب أبو داود وغيره. وشيخه ابن عبيد لم أعرفه. وقد تقدمت أحاديث أخرى في (أحد) وهذه أرقامها: (1618و1819) وراجع التنبيه المذكور في آخر الكلام على الحديث الأول