লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৭০৬। দুটি চরিত্রকে আল্লাহ্ তা’য়ালা ভালোবাসেন আর দুটি চরিত্রকে আল্লাহ্ তা’য়ালা অপছন্দ করেন। আল্লাহ্ তা’য়ালা যে দুটিকে ভালোবাসেন সে দুটি হচ্ছে বদান্যতা (দানশীলতা) ও ক্ষমা প্রদর্শন। আর আল্লাহ্ তা’য়ালা যে দুটিকে অপছন্দ করেন সে দুটি হচ্ছে মন্দ চরিত্র এবং কৃপণতা। আর আল্লাহ্ যখন কোন বান্দার দ্বারা কল্যাণকর কিছু করার ইচ্ছা করেন তখন তাকে লোকেদের প্রয়োজন মিটানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বাইহাকীর “আশশুয়াব’ গ্রন্থের বর্ণনা থেকে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী তার তাখরীজের মধ্যে বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ হাদীসটিকে আবূ নুয়াইম, দাইলামী, আসবাহানী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি এর সনদ সম্পর্কে কোনই মন্তব্য করেননি।
আমি (আলবানী) হাদীসটি সম্পর্কে কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ বারযালীর তাখরীজ গ্রন্থ "জুযউ আহাদীসিন আন শুয়ূখিল ইজাযাহ" গ্রন্থে (১/১৫২) অবগত হয়েছি। তিনি হাদীসটিকে মুহাম্মাদ ইবনু ইউনুস কুদাইমী সূত্রে আবু আসেম কিলাবী হতে, তিনি তার দাদা ওবাইদুল্লাহ ইবনু অযে’ হতে, তিনি হিশাম ইবনু উরওয়াহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর হাদীসটিকে আমি “আলমুনতাকা মিন হাদীসি আবী বাকর ইবনু সুলাইমান আলফাকীহ” গ্রন্থে (২/১০১) এ সূত্রেই পেয়েছি। তবে তিনি আবু আসেমের স্থলে আমর ইবনু আসেম উল্লেখ করেন। অতঃপর আমি হাদীসটিকে “হাদীসুল কুদাইমী’ গ্রন্থে (১/৩২) আবূ নুয়াইমের বর্ণনায় আবু বাকর ফাকীহির বর্ণনার মত করে পেয়েছি, আর এটিই সঠিক। কারণ আমর ইবনু আসেমই হচ্ছেন কিলাবী আর তার দাদা হচ্ছেন ওবাইদুল্লাহ ইবনু অযে আর তার দাদা হচ্ছেন মাজহুল (অপরিচিত)।
আর কুদাইমী হচ্ছে প্রসিদ্ধ জালকারী।
অতঃপর আমি (আলবানী) হাদীসটিকে দেখেছি বাইহাকীর “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে (২/২৪৯/২), আসবাহানীর “আততারগীব অততারহীব” গ্রন্থে (১/১১৪) ও দাইলামীর নিকট আবূ নুয়াইমের সূত্রে (২/১৩৫) এ সূত্রেই।
خلقان يحبهما الله، وخلقان يبغضهما الله، فأما اللذان يحبهما الله فالسخاء والسماحة، وأما اللذان يبغضهما الله فسوء الخلق والبخل، وإذا أراد الله بعبد خيرا استعمله على قضاء حوائج الناس موضوع - ذكره السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية البيهقي في الشعب عن ابن عمرو، وزاد المناوي في تخريجه: " وأبو نعيم والديلمي والأصبهاني وغيره ". ثم لم يتكلم على إسناده بشيء وقد وقفت عليه في " جزء أحاديث عن شيوخ الإجازة " تخريج القاسم بن محمد بن يوسف البرزالي (152 / 1 مخطوط الظاهرية 37 مجموع) خرجه من طريق محمد بن يونس الكديمي: حدثنا أبو عاصم الكلابي حدثنا جدي عبيد الله بن الوازع عن هشام بن عروة عن أبيه عن عبد الله بن عمرو مرفوعا. ثم وجدته في " المنتقى من حديث أبي بكر بن سلمان الفقيه " (101 / 2) من هذا الوجه، إلا أنه قال: " عمرو بن عاصم " بدل: " أبو عاصم "، ثم وجدته في " حديث الكديمي " (32 / 1) رواية أبي نعيم مثل رواية أبي بكر الفقيه، وهو الصواب، فإن عمرو بن عاصم هو الكلابي وجده عبيد الله بن الوازع، وجده مجهول. والكديمي وضاع معروف. ثم رأيته في " شعب الإيمان " للبيهقي (2 / 249 / 2) والأصبهاني في " الترغيب والترهيب " (114 / 1) والديلمي أيضا من طريق أبي نعيم (2 / 135) من هذا الوجه