১৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ

১৬৫৯। যমীনের সর্বপ্রথম বামপার্শ্ব ধ্বংস হবে এরপর তার ডানপার্শ্ব ধ্বংস হবে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/৪৮), ইবনু জামী’ তার "মু’জাম" (২৫৮) ও ইবনু আসাকির (১৫/৩৬/২, ২/২৫৬) হাফস ইবনু উমার ইবনুস সাবাহ আররাকী হতে, তিনি আবূ হুযাইফাহ মূসা ইবনু মাসউদ হতে, তিনি সুফইয়ান সাওরী হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবু খালেদ হতে, তিনি কায়েস ইবনু আবূ হাযেম হতে, তিনি জারীর ইবনু আবদুল্লাহ হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে ত্ববারানী "আলআওসাত" গ্রন্থে (৩৬৬৩) বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এর বর্ণনাকারী হাফস ইবনু উমার দুর্বল। হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি পরিচিত শাইখ, ত্ববারানীর বড় শাইখদের একজন। তিনি কাবীসাহ প্রমুখ হতে বেশী বেশী বর্ণনাকারী। আবু আহমাদ হাকিম বলেনঃ তিনি হাদীস ছাড়া অন্য কিছু বর্ণনা করেছেন তার মুতাবা’য়াত করা হয়নি। তাকে ইবনু হিব্বান "আসসিকাত" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি কখনও কখনও ভুল করতেন।

এ আবু হুযাইফাহ ছাড়া অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ বুখারীর বর্ণনাকারী। তার হেফযের দিক থেকে তার সমালোচনা করা হয়েছে। এ কারণে হাফিয যাহাবী তাকে "আয-যুয়াফা অল-মাতরূকীন" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইমাম আহমাদ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু খুযাইমাহ বলেনঃ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করি না। আর তিনি “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি ইমাম বুখারীর একজন শাইখ। তিনি সত্যবাদী ইন শা আল্লাহ, সন্দেহ করতেন। ইমাম আহমাদ তার সমালোচনা করেছেন আর ইমাম তিরমিযী তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

এ কারণে হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, মন্দ হেফযের অধিকারী, উল্টাপাল্টা করে ফেলতেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনিই হাদীসটির সমস্যা, যদি আররাকী হতে নিরাপদে থাকে।

হাইসামী "আলমাজমা" গ্রন্থে (৭/২৮৯) বলেনঃ হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে হাফস্ ইবনু উমার ইবনুস সবাহ আররাকী রয়েছেন। তাকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ সহীহ বর্ণনাকারী।

তিনি এরূপই বলেছেন। কিন্তু তিনি আবু হুযাইফার ব্যাপারে যে সব কথা বলা হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য করেননি।

আবু নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৭/১১২) ত্ববারানীর সূত্রে নিম্নের বাক্যে বর্ণনা করেছেনঃ

أسرع الأرض خرابا يسراها ثم يمناها

অর্থাৎ "যমীন তার বাম দিক থেকে দ্রুত গতিতে ধ্বংস হবে অতঃপর তার ডানদিক ধ্বংস হবে।"

অতঃপর বলেছেনঃ সাওরীর হাদীস হতে এটি গারীব ...।

এছাড়া হাদীসটির বাহ্যিকতার নিরিখে আমার (আলবানীর) নিকট হাদীসটি মুনকার। কারণ যমীন গোলাকৃতির হওয়া যেমন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণিত তেমনি তা শার’ঈ দলীল বিরোধীও নয়। যদি বিষয়টি এরূপই হয় তাহলে যমীনের ডান এবং বাম দিক কোথায়?

أول الأرضين خرابا، يسراها ثم يمناها ضعيف - رواه تمام في " الفوائد " (48 / 1) وابن جميع في " معجمه " (258) وابن عساكر (15 / 36 / 2 و256 / 2) عن حفص بن عمر بن الصباح الرقي - سنجة -: حدثنا أبو حذيفة موسى بن مسعود حدثنا سفيان الثوري عن إسماعيل بن أبي خالد عن قيس بن أبي حازم عن جرير بن عبد الله مرفوعا وكذا رواه الطبراني في " الأوسط " (3663 - بترقيمي) . قلت: وهذا إسناد ضعيف، حفص بن عمر هذا فيه ضعف، قال الذهبي في " الميزان ": " شيخ معروف، من كبار مشيخة الطبراني، مكثر عن قبيصة وغيره، قال أبو أحمد الحاكم: حدث بغير حديث لم يتابع عليه وذكره ابن حبان في " الثقات "، وقال: " ربما أخطأ ". وبقية رجال الإسناد ثقات رجال البخاري، غير أن أبا حذيفة هذا، قد تكلم فيه من قبل حفظه، ولذلك أورده الذهبي في " الضعفاء والمتروكين " وقال: " لينه الإمام أحمد، وقال ابن خزيمة: لا أحدث عنه ". وقال في " الميزان ": " أحد شيوخ البخاري، صدوق إن شاء الله، يهم، تكلم فيه أحمد، وضعفه الترمذي.. ". ولهذا قال الحافظ في " التقريب ": " صدوق، سيء الحفظ، وكان يصحف ". قلت: فهو علة الحديث، إن سلم من الرقي والحديث عزاه السيوطي لابن عساكر فقط! فتعقبه المناوي بقوله: " وقضية صنيع المصنف أنه لم يره مخرجا لأحد من المشاهير الذين وضع لهم الرموز، وهو غفلة، فقد رواه الطبراني وأبو نعيم والديلمي وغيرهم باللفظ المزبور عن جرير المذكور ". ولم يتكلم على إسناده بشيء، وقال الهيثمي في " المجمع " (7 / 289) : " رواه الطبراني في " الأوسط "، وفيه حفص بن عمر بن صباح الرقي، وثقه ابن حبان، وبقية رجاله رجال الصحيح ". كذا قال، ولم يتنبه لما قيل في أبي حذيفة! وقد أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (7 / 112) من طريق الطبراني بلفظ: " أسرع الأرض خرابا يسراها ثم يمناها ". وقال: " غريب من حديث الثوري، لم نكتبه عاليا إلا من حديث أبي حذيفة ثم إن ظاهر الحديث منكر عندي، لأن الأرض كروية قطعا، كما تدل عليه الحقائق العلمية، ولا تخالف الأدلة الشرعية، خلافا لمن يماري في ذلك، وإذا كان الأمر كذلك فأين يمنى الأرض ويسراها؟! فهما أمران نسبيان كالشرق والغرب تماما


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ