১৬২৯

পরিচ্ছেদঃ

১৬২৯। তুমি একজন কুমারী মেয়েকে কেন বিয়ে করোনি সে তোমাকে কামড়াতো আর তুমি তাকে কামড়াতে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আজুররী “তাহরীমুন নারদ অশ শাতরঞ্জ অল মালাহী” গ্রন্থে (নং ৫) গ্রন্থে দাউদ ইবনু যাবারকান সূত্রে মালেক ইবনু মুগূল হতে, তিনি রাবী’ ইবনু কা’ব ইবনু আবু কা’ব হতে, তিনি কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি এক সফরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। এক রাতে আমি বিয়ে করে ফেললাম। অতঃপর সকালে আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে উপস্থিত হলে তিনি এক এক করে জিজ্ঞেস করা শুরু করলেন। হে ব্যক্তি! তুমি কি বিয়ে করেছো? তুমি কি বিয়ে করেছো? তুমি কি বিয়ে করেছে হে কা’ব? আমি বললামঃ জি হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল। তিনি বললেনঃ কুমারী মেয়ে নাকি বিধবা মেয়ে? আমি বললামঃ বিধবা। তখন তিনি বললেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। কারণ দাউদ ইবনু যাবারকান মাতরূক বর্ণনাকারী।

আর বর্ণনাকারী রাবী’ ইবনু কা’ব ইবনু আবু কা’বের বংশ পরিচয় নিয়ে মতভেদ করা হয়েছে। আমার কপিতে ’রাবী’ ইবনু কা’ব ইবনু আবূ কা’ব’ এভাবে পেয়েছি। আর ইমাম বুখারী “তারীখুল কাবীর” (২/১/২৪৮) ও ইবনু আবী হাতেম “আলজারহু অততা’দীল” গ্রন্থে (১/২/৪৫৪) বলেছেন এভাবেঃ রাবী’ ইবনু উবাই ইবনু কা’ব আনসারী। আর ইবনু আবী হাতিম বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ তাকে রাবী ইবনু কা’ব ইবনু আজরাহ বলা হয়ে থাকে। আর তারা উভয়েই বলেছেন যে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তারা উভয়ে তার সম্পর্কে ভালো বা মন্দ কোনই মন্তব্য করেননি।

তবে ইমাম বুখারী বলেনঃ আবু আব্দুল্লাহ বলেনঃ বর্ণনাকারী মূসা ইবনু দাহকান সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ বলেনঃ তার শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।

আমি (আলবানী) বলছি মূসাকে রাবী’ ইবনু উবাই হতে বর্ণনাকারী হিসেবে তিনি ছাড়া অন্য কেউ উল্লেখ করেননি।

হাদীসটিকে হাইসামী “আলমাজমা” গ্রন্থে (৪/২৫৯) ত্ববারানীর বর্ণনায় রাবী’ ইবনু কা’ব ইবনু আজরা হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি বলেছেনঃ বর্ণনাকারী রাবী’র জীবনী কে আলোচনা করেছেন পাচ্ছি না। আর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তাদের কারো কারো মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। আর তাদেরকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী "আততারীখ” গ্রন্থে (২/১/২৭২), ত্ববারানী "আলকাবীর" গ্রন্থে (১৯/১৪৯/৩২৮) মূসা সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি রাবী’ ইবনু কা’ব ইবনে আজরাহ হতে তার পিতার উদ্ধৃতিতে শ্রবণ করেছেন।

এই রাবী’ই হাদীসটির সমস্যা, বর্ণনাকারীগণ কর্তৃক তার বংশ পরিচয় দিতে গিয়ে ইযতিরাব সংঘটিত হওয়ার কারণে। যা তার অপরিচিত হওয়ারই পরিচয় বহন করে। এছাড়া তার শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।

فهلا بكرا تعضها وتعضك ضعيف - أخرجه الآجري في " تحريم النرد والشطرنج والملاهي " (رقم 5 - نسختي) من طريق داود بن الزبرقان عن مالك بن مغول عن الربيع بن كعب بن أبي كعب عن كعب بن مالك قال: " كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر، فعرست ذات ليلة، ثم غدوت على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فجعل يسأل رجلا رجلا : أتزوجت يا فلان؟ أتزوجت يا فلان؟ ثم قال: أتزوجت يا كعب؟ قلت: نعم يا رسول الله. قال: أبكر أم ثيب؟ قلت: ثيب، قال: فذكره ". قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، داود بن الزبرقان متروك. والربيع بن كعب بن أبي كعب. هكذا وجدته في نسختي، وأصلها مما لا تطوله الآن يدي، لأنظر هل الخطأ منه أومن ناسخها. فقد أورده البخاري في " التاريخ الكبير " (2 / 1 / 248) وابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (1 / 2 / 454) هكذا: " ربيع بن أبي بن كعب الأنصاري "، وزاد ابن أبي حاتم: " ويقال: ربيع بن كعب بن عجرة ". وذكرا أنه روى عن أبيه، ولم يذكرا فيه جرحا ولا تعديلا، غير أن البخاري قال " قال أبو عبد الله: موسى بن دهقان: يقولون: تغير بآخرة ". قلت: وموسى هذا لم يذكرا سواه راويا عن الربيع بن أبي. والحديث أورده الهيثمي في " المجمع " (4 / 259) من رواية الطبراني عن الربيع بن كعب بن عجرة عن أبيه وقال: " ولم أجد من ترجم لربيع، وبقية رجاله ثقات، وفي بعضهم ضعف، وقد وثقهم ابن حبان ". قلت: وقد رواه البخاري في " التاريخ " (2 / 1 / 272) وكذا الطبراني في " الكبير " (19 / 149 / 328) من طريق موسى سمع الربيع بن كعب بن عجرة عن أبيه به. وفي رواية للبخاري عن موسى عن الربيع بن أبي بن كعب عن أبيه. ثم وقفت على النسخة المطبوعة من " تحريم النرد " بتحقيق محمد بن سعيد ، فوجدتها مطابقة للأصل الذي نقلت عنه، ولكن المحقق لم يتنبه للفرق بينها وبين ما في " التاريخ " و" الجرح " مع أنه عزاه إليهما؟ وادعى أن البخاري سكت عنه! وقد عرفت أنه ذكر أنه تغير! فالربيع هذا، هو علة الحديث، لاضطراب الرواة في نسبه، المنبئ عن جهالته. ولاسيما وكان تغير بآخرة


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ